ফেরা হবে না আর চির চেনা সেই গোয়ালে।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, ফেরা হবে না আর চির চেনা গোয়ালে এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
আসলে পৃথিবীটা খুবই অদ্ভুত। এখানে মায়া, মমতা, আবেগ অনুভূতির ভালোবাসা নিমিষে মিশে যায় বাতাসের ধূলিকণায়। মানুষের অন্তরে অনেক আবেগ অনুভূতি ভালোবাসা জন্মে। সে আবেগ অনুভূতি ভালোবাসা চাইলেও রক্ষা করা যায় না প্রকৃতির নিয়মে হারিয়ে যায়। মানুষ হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার সর্বশ্রেষ্ঠ জীব। মানুষ চাইলে তার শখের পশু পাখিকে পুষতে পারে খুব সহজে। পশু পাখির প্রতি মানুষের অগাধ ভালোবাসা রয়েছে। মানুষ তার প্রিয় পশুপাখি লালন পালন করতে যথেষ্ট চেষ্টা করে থাকে। মানুষের প্রিয় কাজ গুলোর মধ্যে হচ্ছে শখের বশে পশুপাখি লালন পালন করা।
মানুষ যখন তার প্রিয় পশু পাখি লালন পালন করে ঐ পশু পাখির প্রতি এক ধরনের ভালো লাগা এবং ভালোবাসার অনুভূতি কাজ করে। লালন পালন করতে করতে ধীরে ধীরে ভালোবাসা জন্ম নেয় মানুষের মনে। ঐ পশু পাখিও তার মালিকের হাতের ছোঁয়া পেয়ে ধীরে ধীরে তার অন্তরে এক ধরনের আবেগ অনুভূতি সৃষ্টি হয়। পশু পাখির প্রতি মায়া কাজ করে। ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যেই গভীর ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে এই ভালোবাসা এক সময় হারিয়ে যায় যে কোন কারণে। যখন এই ভালোবাসা হারিয়ে যায় তখন হৃদয়ের মাঝে বারবার শূন্যতা অনুভব হয়। বর্তমান সময়ে মুসলিম উম্মার দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা চলছে।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অনেক রকমের পশু উট, মহিষ, গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্মা আল্লাহর রাস্তায় জবাই করবে। এই উৎসবকে বলা হয় কোরবানির ঈদ। আমরা সকলে জানি ঈদ অর্থ অফুরন্ত খুশি। যারা পশু কোরবানি করবে তারা খুব আনন্দে উৎসবের সাথে দিনটি পালন করবে। কিন্তু যারা ঐ পশু লালন পালন করেছে তাদের হৃদয়ে বারবার অনুভব হবে প্রিয় পশুটি টাকার জন্য হারিয়ে ফেরার কারণে। বাস্তব পরিস্থিতিতে যদিও পশুর মালিক ঐ পশু বিক্রি করে কিছু টাকা পেয়ে থাকে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে ঐ পশুর মালিক পশু বিক্রি করে না টাকার কাছে তার মায়া আবেগ অনুভূতি ভালোবাসা বিক্রি করে।
টাকার জন্য যখন পশু বিক্রি করা হয় তখন ঐ মালিকের চোখে মুখে ভালোবাসা হারিয়ে পেলার কষ্ট চাপ দেখা যায়। প্রিয় পশু বিদায়ের বেলা চোখের কোন অশ্রু ঝরে পড়ে অঝোর। টাকার কাছে ভালোবাসা বিক্রি করতে হয়। এই বছর আমি দুটি গরু লালন পালন করেছি। গতকাল গরু দুটি বিক্রি করে দিয়েছে। গরু দুটিকে যখন আমাদের বাড়ি থেকে নিয়ে যাচ্ছে তখন আমি চোখের জল ধরে রাখতে পারি নি। গরু দুটিও আমাকে ছেড়ে যাতে চাচ্ছে না। তাদের অবুঝ মনে দুই চোখ দিয়ে শুধু আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে আর চোখ দুটি দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।
আসলে পশু দুটোর প্রতি আমার কি যে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। গরু দুটিকে যখন গাড়ি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন অবুঝ মনে আমার দিকে দুই চোখে তাকিয়ে রয়েছে। তাদের চোখে পানি পড়তেছে আর আমার কষ্টের বুক ফেটে কান্না হচ্ছে। এক হাতে টাকা অন্যদিকে প্রিয় পশুকে হারিয়ে ফেরার কষ্টে বুকে আগুন জ্বলছে। ভালোবাসা টাকার কাছে হেরে গেলো। তাদের আর ফিরে হবে না চেনা সেই গোয়ালে। আমার হাতের স্পর্শ আর পাবে না । আমিও চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলেছি প্রিয় পশুদের।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MdAgim17/status/1802046710472175627?t=wwbVvRs67fzSqu3XuEhbkA&s=19
আসলে ভাইয়া বর্তমান টাকার কাছে সব কিছু হার মেনে যায়।আর বাড়িতে একটা বিড়াল ও পালন করলে তার জন্য মায়া লাগে। আর গরু আমাদের গৃহপালিত পশু। তবে এগুলো লালন পালন করে মানুষ লাভের জন্য।তবে আমরা যতই লাভ করি না কেন নিজের হাতে পালিত জিনিস এর প্রতি ভালোবাসা থাকে অন্যরকম। কথায় আছে না যেতে নাহি দিব হায় তবু যেতে দিতে হয় তবু সে চলে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু, যেতে নাহি দিব হায় তবু যেতে দিতে হয় তবু সে চলে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
যেকোনো জিনিসেই মানুষ মায়ায় পড়ে।আর নিজের হাতে গরু টা কে লালন পালন করে এখন সেল দিয়ে দিতে হচ্ছে আপনাদের।আসলে মানুষ অর্থের জন্যই গরু পালন করে।এটাই নিয়ম প্রথমে খারাপ লাগলেও পরে ঠিক হয়ে যাবে।ধন্যবাদ অনুভুতিমূলক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
খুব আবেগঘন পোস্ট করেছেন ভাইয়া।আপনার পোস্ট টি পড়তে গিয়ে চোখের কোনে জল চলে এসেছে। আসলেই টাকার কাছে ও প্রকৃতির নিয়মের কাছে ভালোবাসা হেরে যায়।পশুোলন করলে পশুর প্রতি যেমন ভালোবাসা তৈরি হয় ঠিক তেমনি পশুদেরও ভালোবাসা সৃুষ্টি হয় মানুষের প্রতি। আমিও দেখেছি অনেক যে বিক্রি করে দিলে সেই পশুটি অঝোরে কান্না করে শুধু বলতে পারে না আমাকে কোথায় পাঠিয়ে দিচ্ছো।
জি আপু, টাকার কাছে আবেগ, অনুভূতি ভালোবাসা হারিয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
যখন কোরবানির ঈদে হাজার হাজার গরু জবাই করা হয় তখন বেশ খারাপ লাগে আমার। আসলে মালিকানা খুব যত্ন করে পশুপাখি গুলো পালন করে থাকেন। কিন্তু টাকার বিনিময়ে প্রিয় পশু গুলো বিক্রি করে দেন। যেই দিন বিক্রি করা হয় সেদিন মালিককে দেখলে বুঝা যায় এই পশু পাখির প্রতি কত দরদ থাকে। আর পশু পাখিরা কান্না করে থাকে মালিকের জন্য। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
আসলে আপু, প্রিয় পশু বিদায় এর বেলায় চোখে জল আটকে রাখা সত্যিই বেশ কষ্টকর। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
যেকোনো পশু হোক কিংবা পাখি লালন পালন করলে তার প্রতি সন্তানের মতো মায়া জন্মে যায়।সেই মায়া ভালোবাসা কে তুচ্ছ করে একদিন পশু পালন করা সেই মালিককে চির বিদায় জানাতে হয় সেই পশুটির।এটা খুব দুঃখজনক ব্যাপার।আপনার পোস্ট পড়ে আমারই খারাপ লাগছে ভাইয়া।আর তার ফেরা হবে না চির চেনা সেই গোয়ালে।
জি আপু, টাকার কাছে হেরে গেলো ভালোবাসা ফেরা হবে না চির চেনা সেই গোয়ালে।
প্রতি বছর এরকম লক্ষ্য লক্ষ্য গরু ছাগল কুরবানী হয়ে যায়। অনেকেই আছে যারা গরু ছাগল লালন পালন করে থাকে, তারা সেই গরু ছাগল পালন করার পথে সেই গরু কিংবা ছাগলের সাথে একটা মায়া জন্ম নেয়।মায়া জন্ম নেয়ার পর ও কিছু টাকার জন্য প্রিয় গরু ছাগল কে বিক্রি করে দেয়া হয়। আসলে প্রতি বছর এরকম টা হয় প্রতিটি খামারী মানুষের সাথে।
আসলে মায়া বাঁধন ছিঁড়ে প্রিয় পশুকে বিদায় জানাতে হয়। বাস্তবতার কাছে হেরে যায় ভালোবাসা ধন্যবাদ আপনাকে।