বিদ্যুৎ এখন যায় না মাঝে মাঝে আসে।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, বিদ্যুৎ ভোগান্তি নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
পবিত্র মাহে রমজান মাস চলছে। রমজানের প্রায় শেষ পর্যায় । এখন বাংলা চৈত্র মাস চলতেছে। যদিও স্বাভাবিক ভাবে এই মাসে প্রচন্ড গরম পডার কথা কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে কয়েক দিন পর পর বৃষ্টি হওয়াতে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবুও আজ কয়েক দিন গরমের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পবিত্র মাহে রমজান মাসে মুসলমানেরা জেগে রাতের অধিকাংশ সময় কাটিয়ে দেয় ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে। কারণ ইফতার, এশার নামাজ, তারাবির নামাজ, সেহরি এইসব এবাদত করতে করতে রাত কেটে যায়।
কিন্তু আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, এই রহমতের মাসে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ একবার গেলে আর আসার খবর থাকে না। গরমের তাপমাত্রা একটু বৃদ্ধি হওয়ার পরে বিদ্যুতের যে নাজেহার অবস্থা তাতে করে সাধারণ জনগণ খুবই ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। বিশেষ করে ইফতার, এশার এবং তরবির নামাজে বিদ্যুৎ থাকে না । তাছাড়া সেহরি করার সময়ও বিদ্যুৎ ঠিক মতো পাওয়া যায় না। এতে করে দুর্ভোগের শেষ নাই । শিশু, বয়স্ক লোকেরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শহর বা, বাজার এলাকায় বিদ্যুৎ গেল আবার কিছুক্ষণ পর ফিরে আসে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ একবার গেলে আর ফিরে আসে না।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। অতিমাত্রায় বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বর্তমানে আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ ছাড়া এক মুহূর্ত চলা সম্ভব নয়। সকল কাজকর্ম প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে এখন এক মুহুর্ত বিদ্যুৎ ছাড়া চলা সম্ভব নয়। বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং এর যাত্রা শুরু এই যেন দেখার কেউ নেই। সেহরী আর ইফতারের সময় নতুন ভোগান্তির নাম বিদ্যুৎ লোডশেডিং। আগে বিদ্যুৎ গেলে কিছুক্ষণ পর বিদ্যুৎ আসতো এখন আর আসে না।
তাইতো অনেকে বলে, বিদ্যুৎ এখন যায় না মাঝে মাঝে আসে। গরম আসলে আমাদের দেশে বিদ্যুৎ বিভ্রান্তির শুরু হয়। কিন্তু এবারের বিভ্রান্তি মাত্র অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে । এক দিকে গরম আর অন্যদিকে দীর্ঘ সময় লোডশেডিং সব মিলিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে আমাদের জীবন। এশার নামাজের সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। আসে রাতের ১১ টার দিকে আবার কিছুক্ষণ পর চলে যায় তারপর আর আসার খবর থাকে না। এভাবে অতিবাহিত হচ্ছে আজ কয়েক দিন। দিনের বেলা ঠিকমতো বিদ্যুৎ থাকে না।
যার ফলে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবনে সংকট কাটবে কবে? কেউ বলতে পারে না। এবাদত বন্দেগির পর রাতে কিছুক্ষণ ঘুমানো যায় না বিদ্যুৎ না থাকার কারণে। লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ থেকে জনজীবন মুক্তি চাই। লোডশেডিংয়ে অতিরিক্ত হলে আমাদের জীবনে খুবই বিপর্য নেমে আসবে।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
সত্যি বিদ্যুতের এমন বিরক্তিকর অবস্থা আর সহ্য হচ্ছে না। যদিও প্রথম দিকে রোজা গুলো আমরা বেশ ভালো ভাবে কাটিয়েছি সেটা সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজারো শুকরিয়া। যদি প্রথম দিকে রোজা গুলো ভালোভাবে না কাটাতাম তাহলে আমাদের অনেক কষ্ট হতো। কিন্তু যে কয়দিন বিদ্যুতের যে বেহাল অবস্থা বিদ্যুৎ যায় এবং কিছুক্ষণ থাকে আবার যায় এই অবস্থা। এই গরমের মধ্যে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আমরা সবাই একটু আরাম পাবো।
https://twitter.com/MdAgim17/status/1776294734094635463?t=p2c0LBuGMuS_r_XJcrcANQ&s=19
বেশ ভালো লিখেছেন ভাইয়া। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন বিদ্যুৎ এখন যায় না আসে।সত্যি রমজান মাস রহমতের মাস আর এখানে লোকজন ইবাদত করে একটু ঘুমাবে বিদ্যুৎ এর জন্য তার উপায় নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
হি হি হি । আপনার পোস্টের টাইটেল পড়ে না হেসে থাকতে পারলাম না। দারুন লিখেছেন তো। আসলেই কিন্তু বিদুৎ এখন আর যায় না। তবে মাঝে মাঝে ফেরত আসে। বর্তমানে ভোগান্তির আর এক নাম হলো বিদুৎ। আর এই বিদুৎ এর যন্ত্রণায় এখন কোন কাজই ঠিক মতা করা যাচ্ছে না। সুন্দর এবং সময় উপযোগি একটি পোস্ট করার জন্য। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি তো সুন্দর একটি টাইটেল দিয়েছেন। সত্যি ভাইয়া বিদ্যুৎ এখন যায় না মাঝে মাঝেই আসে। লোডশেডিং এর যন্ত্রণা আর ভালো লাগেনা। বর্তমানে নাকি বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে যাবে সেই অবস্থা আমরা দেখতে পাচ্ছি।
গ্ৰামের লোডশেডিংয়ের এমন করুণ অবস্থার কথা শুনে গ্ৰামে যেতেই ইচ্ছে করে না। ঢাকা শহরে এখনও পর্যন্ত লোডশেডিংয় শুরু হয়নি। অন্য সব কিছুতে অশান্তি থাকলেও এই দিক দিয়ে শান্তিতে আছি। প্রথম দিকের রমজান গুলোই ভালোই ঠান্ডায় গিয়েছে। কিন্তু শেষ দিকে এসে গরমের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে আর এর মধ্যে গ্ৰামে লোডশেডিংয়ের এই অবস্থা। এই সমস্যার জন্য ছোট বড় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। গ্ৰামের মানুষ কবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবে কে জানে?
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বিদ্যুৎ এখন যায় না মাঝে মাঝে আসে। প্রচন্ড গরমে মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে কেমন লাগে আপনি বলেন। খারাপ লাগে সালাতের সময় যদি বিদ্যুৎ চলে যায়। লোডশেডিং নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই বর্তমান আধুনিক ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ ছাড়া যেন কোন কিছু কল্পনা করা যায় না। বিদ্যুৎ বর্তমান সময়ে অনেকটাই লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে আর এই লোডশেডিং এর মূল কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। যদিও প্রত্যেক বছরের দিকে যদি আমরা লক্ষ রাখি তাহলে এটাই দেখতে পাই যে রমজান মাসে বিদ্যুৎ নিয়ে যত রকমের ঝামেলা। আসলেই লোডশেডিং যখন বেশি মাত্রায় হয় তখন জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়ে। সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, বিদ্যুৎ কখনোই যায়, মাঝে মাঝে পরিদর্শন করতে আসে। বেশ কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ প্রচুর পরিমাণে ডিস্ট্রাব করছে। বিশেষ করে সেহেরি এবং তারাবির নামাজের সময় খুবই ঝামেলা করছে বিদ্যুৎ। তবে হয়তো এটি ঈদের কারণে এমনটা হচ্ছে। ঈদের পর হয়তো এটা সচল হবে।