বাড়ির মসজিদে ইফতার মজলিসে কিছুক্ষণ।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, বাড়ির মসজিদে ইফতার মজলিসে কিছুক্ষণ সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর অনুভূতি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
পবিত্র রমজান মাস চলছে। সিয়াম সাধনার শান্তির হাওয়া চারদিকে বয়ে চলছে। মুসলিম উম্মা খুবই তাৎপর্য এবং গুরুত্বের সহকারে সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে এই মাসটি অতিবাহিত করছে। পবিত্র রমজান মাস হচ্ছে শুদ্ধ আত্মার উন্নতির মাস । সিয়াম সাধনার মাধ্যমে সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখাকে রোজা বলে থাকে। রোজা শুধু উপবাস থাকা নয়। সকল প্রকার মিথ্যে অন্যায় অত্যাচার অবিচার জুলুম শোষণ নির্যাতন নিপীড়ন থেকে নিজেকে বিরত রাখাকে বুঝানো হয়ে থাকে। সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে উপবাস থাকা যে কি কষ্ট তা হৃদয়ে অনুভব করে সমাজে নিম্ন আয়ের মানুষের বিভিন্ন সময় উপবাস থাকা অনুভব করাকে বুঝায় ।
সমাজের হতদরিদ্র নিম্ন আয়ের মানুষ যে উপবাস থেকে কত কষ্ট করে তা হৃদয়ে অনুভব করে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে রোজার প্রকৃত শিক্ষা। আমাদের সমাজে ধনী শ্রেণীর লোকেরা প্রতি মুহূর্তে তারা তাদের পছন্দের খাবার গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু সমাজের হতদরিদ্র মানুষ তারা অনেক সময় উপবাস থাকতে হয়। তারা আর্থিক সংকটের কারণে দুই মুঠো দুই বেলা খাবার যোগাড় করতে পারে না। তারা প্রায় সময় উপবাস থাকে। এই উপবাস থাকা যে কি কষ্ট তা সমাজের উচ্চ শ্রেণীর লোকেরা যাতে অনুধাবন করতে পারে পবিত্র মাহে রমজানের সিয়াম সাধনা এইটাই আমাদের শিক্ষা দেয়।
সিয়াম সাধনা সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের সাথে আমাদের ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করে। সমাজে যারা স্বচ্ছ বিত্তবান রয়েছে তারা সমাজের দরিদ্র নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক সহযোগিতা প্রদান করবে। বিত্তবান যারা রয়েছে তারা নিম্ন আয়ের মানুষের সহযোগিতা করবে এইটা তাদের অনুগ্রহ নয় নিম্ন আয়ের মানুষের অধিকার এটাই ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা। সিয়াম সাধনা সম্প্রীতি আর মেল বন্ধনে আবদ্ধ হতে শিক্ষা দেয় । মুসলিম উম্মাহর জন্য মাহে রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত আনন্দের। বিশেষ করে ইফতার এবং সেহেরির মুহূর্ত গুলো আনন্দের বন্যা বয়ে যায় সকলের হৃদয়ে।
সকলের পরিবার গুলোতে হরেক রকমের ইফতারি এবং সেহরির আয়োজন করা থাকে। পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য এবং আনন্দের সহকারে সবাই সেহরি এবং ইফতার করে থাকে। সমাজের সকলে চায় একে অন্যের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে। বিশেষ করে ইফতারের মুহূর্তগুলোতে সমাজের সকলের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে। রমজান এলেই প্রতিদিন ইফতারের সময় মসজিদে বসে রোজাদারদের মিলন মেলা। ধনী দরিদ্রের বৈষম্য ভুলে সকল পেশার মানুষজন বসেন এক কাতারে। ইফতারের মুহূর্তগুলো ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করে সকলের মাঝে।
আমাদের বাড়ির মসজিদে প্রায় সময় ইফতারের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে আমি ব্যস্ত থাকায় এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামে যাওয়ার কারণে বাড়ির মসজিদে ইফতারের মজলিসে যেতে পারি না। আজ সমাজের সকলের সাথে ইফতার করতে মসজিদে গেলাম। সকালের সাথে এক কাতারে বসে ইফতার করতে পেরে খুব ভালো লাগলো। ইফতার করার আনন্দ সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নিলাম। আসলে সত্যি সমাজের ছোট বড় সকলের সাথে ইফতার করা মুহূর্ত গুলো সুন্দরভাবে অতিবাহিত করে ছে। বিশেষ করে ছোটরা বেশ আনন্দের সহকারে ইফতার মজলিসে অংশগ্রহণ করেছে। এই আনন্দের মুহূর্তগুলো সত্যি খুবই দুর্দান্ত। সকলের সাথে ইফতার মজলিসে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি যা সত্যি হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
https://twitter.com/MdAgim17/status/1773748052949659933?t=LNJjTVAAWJGTN-qbrn-EzA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বাড়ির মসজিদে ইফতার মজলিসে কিছু সময় অতিবাহিত। আসলে রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলমান শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে রোজা পালন করার চেষ্টা করে। আপনাদের বাড়ির পাশে সমাজের সকলে মিলে মসজিদে একসাথে ইফতারি করেছেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আসলে মসজিদে ইফতারির করার মধ্যে আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এতো অসাধারণ মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
এটা ঠিক বলেছেন রোজা শুধু উপবাস থাকা নয়। রোজায় থেকে সমস্ত পাপাচার থেকে নিজেকে বিরত রাখাকেই রোজা বলে। আর হ্যাঁ এই সারাদিন না খেয়ে রোজায় থেকে অনেক ধনী লোকেরা বুঝতে পারে যারা হতদরিদ্র অর্থাৎ যারা অভাবে কারণে অনেক সময় না খেয়ে থাকে তাদের অবস্থা কি রকম হয়। যাইহোক আজকে আপনি আপনার বাড়ির মসজিদে সবার সাথে একসাথে ইফতারি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে সবার সাথে মিলে একসাথে ইফতারি করার আনন্দ যেন অন্যরকম। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে সব মিলিয়ে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই, সবাই মিলে একসাথে ইফতার করার আনন্দ অন্যরকম হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আসলে ভাইয়া সিয়াম সাধনার মাস রমজান। আর রমজান মাসে আমাদের সবারই উচিত এভাবে মসজিদ সবাই মিলে ইফতার করা। আর রোজা শুধু উপবাস করা নয় আত্মসংযম এর মাস। আপনারা বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন মসজিদে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এতো অসাধারণ মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
চলছে রমজান মাস সারা দেশব্যাপী রোজা রাখার প্রবণতা আর ইফতারির আয়োজন। সেই ইফতারের সুন্দর কিছু চিত্র আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনার অনুভূতির মাধ্যমে। আর এদিকে বেশ ভালো লেগেছে আমার। আশা করি আপনাদের সকলের রোজা গুলো কবুল হবে। এবং বাকি রোজাগুলো ধৈর্য সহকারে পালন করতে পারবেন।
আপনার মন্তব্য পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
যেকোনো উৎসব আমাদের সম্মিলিত করে এবং অনুভূতিকে প্রসারিত করে।আসলেই এই সময়ে গরিব মানুষের অনেক কষ্ট হয়ে যায় তাই তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারাটাই পূর্ণতা।সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন আপনিও,ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি ঠিক বলছেন, যে এখনো উৎসবে সবাই মিলে অংশগ্রহণ করলে আনন্দ আরো বেড়ে যায় ধন্যবাদ আপনাকে।
এই সিয়াম সাধনার মাসে আসলেই আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমিও আপনার মত এটাই মনে করি যে, এই মাসটা শুধুমাত্র উপবাস থাকার জন্য নয়, বরঞ্চ সমস্ত পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসা। যাইহোক, আপনি আপনার বাড়ির পাশের মসজিদে সকলের সাথে ইফতার করেছেন এবং আনন্দ সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন, এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই।
আপনি ঠিক বলছেন, পবিত্র সিয়াম সাধনা আমাদের অনেক কিছুই শিক্ষা দেয়। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।