বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের খেলা দেখার অনুভূতি।

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম

আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।

প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।আজ আমি আপনাদের, বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের খেলা দেখার অনুভূতি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।

আসুন শুরু করি

আপনারা নিশ্চয়ই সকলে অবগত আছেন গতকাল পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশ কয়েকদিন হলো এশিয়া কাপের খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ ছিলো। দ্বিতীয় ম্যাচটি জয় বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো । আপনারা সকলে নিশ্চয় জানেন প্রথমে ম্যাচে বাংলাদেশ খুব লজ্জা জনক ভাবে শ্রীলংকার কাছে হেরে গিয়েছিল। আসলে এভাবে হেরে যাবে তা কখনো কল্পনা করা যায় না । এতো অল্প রানে গুটিয়ে যাবে তা সত্যি খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। তাই দ্বিতীয় ম্যাচ দেখার জন্য খুবই আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম কখন খেলা শুরু হবে। খেলা দেখার জন্য মনের মাঝে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে।

সাড়ে তিনটায় খেলা শুরু হলো হাতে অনেক কাজ থাকা সত্ত্বেও খেলার প্রতি ভালোবাসা থাকার কারণে। সকল কাজকর্ম ছেড়ে খেলা দেখার জন্য টিভির সামনে বসে পড়লাম। আমি আর আমার মামাতো ভাই দুজন মিলে খেলা দেখছি ‌‌। বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি বাঁচা মরার ম্যাচ ছিলো‌। কারণ বাংলাদেশ যদি গতকাল আফগানিস্তানের কাছে হেরে যেতো তাহলে খালি হাতে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিতে হতো। তাই টিভি সেটের স্কিন থেকে চোখের ফলক এক মুহূর্তের জন্য সরে নি। শুধুমাত্র দেখছি প্রতি মুহূর্তে কি ঘটে। বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিলো। ওপেনিং জুটিতে মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাইস শেখ ব্যাটিংয়ে এলো। নাঈম শেখ ৩২ বলে ২৮ রান করে আউট হয়েছে।

তারপরে মিরাজ ১০০ রান পূর্ণ করেছিলো। মিরাজ সেঞ্চুরি করেছে দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। তারপর সে হাতে ইনজুরি পেয়ে মাঠ থেকে উঠে গেলো। তারপর নাজমুল হাসান শান্ত সেঞ্চুরি করেছে। আসলে নাজমুল হাসান শান্ত খুবই অসাধারণ খেলেছে। তার খেলা দেখে খুব ভালো লাগলো। সেই রান নিতে গিয়ে দুঃখজনক ভাবে আউট হয়ে গেলো ‌। আউট হওয়ার পূর্বে ১০৪ রান করেছে। মুজিব, রশিদ খুব ভালোই বল করেছে কিন্তু কোনভাবে দ্রুত উইকেট নিতে পারেনি এটা কিন্তু বাংলাদেশের জন্য খুবই ভালো ব্যাপার ছিলো। খেলা ভালো ভাবেই চলছে খুব দুর্দান্ত ভাবে উপভোগ করছি। হঠাৎ মুশফিকুর রহিম রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যাই। অবশেষে বাংলাদেশ পাঁচ উইকেটে ৩৩৪ রান করতে সক্ষম হয়। সত্যি ৩৩৪ রান বাংলাদেশের জন্য খুবই ভালো অর্জন।

তারপর আফগানিস্তান ব্যাটিংয়ে এলো আফগানিস্তান ব্যাটিং এসে তাদের প্রথম উইকেট পতোন হলো। তা দেখে খুব ভালো লাগছিল। কারণ বাংলাদেশ যদি অতি দ্রুত উইকেট না নিতে পারে তাহলে জয়ের সম্ভাবনা কমে যাবে। প্রথম উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের দুজন খেলোয়াড় খুব ভালো খেলছে তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছে তারা জয়ের বন্দরে পৌঁছে যাবে । তারপর ইবারীহীম আর রহমত শাহ পার্টনারশিপ তৈরি করলো। আফগানিস্তানের একজন ব্যাটম্যান খুব ভালো খেলেছে ৭৪ রান করেছে সে। খেলার মাঝে সবচেয়ে আনন্দ উপভোগ করেছি যখন মুশফিকুর রহিম শূন্য ভেসে ঈগলের মতোন ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাত দিয়ে ক্যাস ধরেছে। আমার কাছে ক্যাস ধরা খুবই ভালো লেগেছে । সত্যিই মুশফিকুর রহিম এই বয়সে যেভাবে ক্যাশ ধরেছে তা সত্যি খুব অসাধারণ।

তারপর আফগানিস্তান তেমন ভালো কোন সুবিধা করতে পারে নি। মাঠে আফগানিস্তানের প্লেয়ার আসলো আর গেলো। রশিদ খান খুব ভালো ব্যাটিং করে। রশিদ খান যদি আউট না হতো তাহলে জয়ের সম্ভাবনা কিছুটা থাকতো আফগানিস্তানের। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন, শরিফুল খুব ভালো বল করেছে। অবশেষে আফগানিস্তান ২৪৫ রানে অলআউট হলো। আফগানিস্তান ৮৯ রানে হেরে গিয়েছে। বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত জয় পেলো। এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টে প্রথম বার বাংলাদেশ তাদের জয় তুলে নিলো। বাংলাদেশ জয়ের সাক্ষী হতে পেরে নিজের কাছে ভালো লেগেছে। পুরো খেলা খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছি‌। পুরো ম্যাচ বাংলাদেশ খুব ভালো লেগেছে। প্রতিটি মুহূর্ত খুব চমৎকার ভাবে উপভোগ করেছি । আসলে বাংলাদেশ ভালো খেলেছে বাঙালি হিসেবে আমার কাছে এটাই খুব গর্বের বিষয়।

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি এসে এশিয়া কাপের অন্য ম্যাচ দেখার অনুভূতি উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।

• অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।

আমার পরিচিতি

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।