সুস্থতা সৃষ্টিকর্তা সবচেয়ে বড় নেয়ামত।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, সুস্থতা সৃষ্টিকর্তা সবচেয়ে বড় নেয়ামত এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে বড় নেয়ামত। অসুস্থ না হলে এই বিষয়টা কেউ বুঝতে পারে না। সুস্থতা সকল সুখের মূল এইটা প্রকৃত সত্য কথা। সুস্থ থাকলে আমাদের সব কিছু করতে ভালো লাগে। আর অসুস্থ থাকলে ভালো কিছুই খারাপ লাগবে। আসলে সুস্থ থাকাটাই সবচেয়ে বড় ভাগ্যের ব্যাপার। অসুস্থ হলে শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিক ভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। একজন মানুষের সবকিছুর ঊর্ধ্বে হচ্ছে তার সুস্থতা। একজন সুস্থ হলে সব কিছু করতে তার কাছে ভালো লাগে। আর অসুস্থ হলে যতোই বিনোদন যতোই ভালো মানের খাবার দেওয়া হোক না কেন তাতে অসুস্থ লোকের কাছে কোন কিছুতে ভালো লাগে না।
সুস্থ থাকলে মানুষের দ্বারা সহজ ভাবে সবকিছু করা সম্ভব। অসুস্থ হলে সুস্থতা মূল্য কতটা তা বোঝা যায়। সুস্থতা আমাদের সকলের জন্য বেশ প্রয়োজন। নিজে অসুস্থ থাকলে অসুস্থতার কষ্ট সহ্য করে কোন রকম দিন অতিবাহিত করা যায়। আর যদি পরিবারের আপন কেউ অসুস্থ হয়ে থাকে। তাহলে নিজ সুস্থ থাকলেও অসুস্থতা বোধ হয় । শারীরিক এবং মানসিক ভাবে বেশ চাপের মধ্যে থাকতে হয় সারাক্ষণ। আপনজন অসুস্থ থাকলে বেশ উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। আপনজনকে নিয়ে সারাক্ষণ হাসপাতালে আর বাড়িতে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। আজ কয়দিন যাবত আমার ভাগিনা খুবই অসুস্থ। তার বয়স ১৭ মাস। হঠাৎ করে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়লো।
একেবারে হঠাৎ করে ভাগিনা জ্বর, সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্ট দেখা দিলো। বাসা থেকে বাইরে কোথায় যাওয়া হয় নি তারপরও কিভাবে যে ঠান্ডা লেগে গেলো তা বুঝতে পারছি না। রাতে কিছুটা অসুস্থতা অনুভব হওয়ার পরের দিন সকালে জ্বর, সর্দি কাশি বিশেষ করে বুকে শ্বাসকষ্টের পরিমাণ অত্যন্ত বেড়ে গেলো। সকালবেলা শ্বাসকষ্টের সাথে মুখ হাত পা কিছুটা হলুদ হয়ে একেবারে ভাগিনা অজ্ঞান হয়ে গেছে। আপু তো এই অবস্থা দেখে কান্নাকাটি আরম্ভ করলো। আমি আমাদের বাড়িতেই আছি হাতের কিছু কাজ করতেছি। হঠাৎ করে ফোন আসলো ভাগিনা অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে।
আপুদের পরিবারে বাসায় আপু ছাড়া আর কেউ নেই । কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় হসপিটালে নেওয়া জন্য আমাকে ফোন করলো। আপু তো ফোনের মধ্যে কান্নাকাটি আরম্ভ করলো। আমি ভাগিনার অসুস্থতার কথা শুনে নিজে হতগম্বর হয়ে গেলাম। খুব দ্রুত আপুদের বাসায় গিয়ে ভাগিনাকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে ছুটে গেলাম। সত্যি ভাগিনা অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। ভাগিনা কোন কথা বলছে না, বুকে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে আর হাত পা লাড়া চড়া সব বন্ধ হয়ে গেছে। আমি একটি প্রাইভেট হসপিটালে ৬০০ টাকা ভিজিট দিয়ে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখালাম। ডাক্তার দেখে আমাকে বলছে আর আগে নিয়ে আসেন নি কেন?
আমি বললাম স্যার কাল রাতে অসুস্থ হয়ে গেছে। ডাক্তার ভাগিনাকে দেখে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা দিলো। রক্ত পরীক্ষা, পেশাব পরীক্ষা, টাইফয়েড পরীক্ষা, ডেঙ্গু এবং এক্সরে পরীক্ষা। যেহেতু ভাগিনার অবস্থা একেবারে খারাপ তাই এই পরীক্ষা গুলো করা ছাড়া আমার কোন উপায় ছিল না। সবগুলো পরীক্ষার বিল আসলো ১৬০০ টাকা। আমি অনেক রিকুয়েস্ট করে ১২০০ হাজার টাকা দিয়ে পরীক্ষা করে নিলাম। পরীক্ষা করানোর জন্য ভাগিনাকে নিয়ে এই রুম থেকে ঐ রুমে যেতে যেতে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গেল। বিশেষ করে রক্ত পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রক্ত নেওয়াতে বেশ কান্নাকাটি করেছে আর এক্স রে করাতে বেশ কষ্ট হয়েছে অনেক কান্নাকাটি করেছে।
প্রায় তিন ঘন্টা অপেক্ষা করার পর পরীক্ষার রিপোর্ট দিলো। রিপোর্টে ভাগিনা ফুসফুসে ইনফেকশন হয়ে গেছে। ভাগিনা ফুসফুসে ইনফেকশনের জন্য সাত দিনে সাতটি ইনজেকশন দিলো। দিনে তিনবার নেবুলাইজার করার জন্য বলছে। গত দুইদিন হসপিটালে রাখার পর আজ বিকেলে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসলাম। আজ তিন দিন হয়ে গেল এখনো ভাগিনা তেমন সুস্থ হয়ে ওঠে নি। সারাক্ষণ কান্নাকাটি করতেছে। শিশুতো শরীরের কি অবস্থা এখন কোন কিছু বলতে পারছে না? সবাই আমার ভাগিনার জন্য দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
একজন সুস্থ ব্যক্তি সে কখনো উপলব্ধি করতে পারে না অসুস্থতা কি জিনিস। আর একজন অসুস্থ ব্যক্তি খুব সহজে উপলব্ধি করতে পারে সুস্থতা থাকাটা কতটা আল্লাহর রহমত। পৃথিবীতে সব কিছু থাকলে যে মানুষ সুখে থাকে সেটা নয়। সুস্থতা সৃষ্টিকর্তের একটা বড় নেয়ামত। সুস্থ আছি ভালো আছি এটাই অনেক কিছু একজন মানুষের জন্য। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাই।
https://twitter.com/MdAgim17/status/1731716573965230313?t=y6FILj0C4yf6VVXHzb4s2g&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার ভাগিনার অসুস্থতার কথা শুনে সত্যিই ভীষণ খারাপ লাগলো। তার অসুস্থতার বিষয়গুলো আমি বেশ ভালোভাবে পড়ার চেষ্টা করলাম। আমার ছেলে ইয়ান যখন জন্মগ্রহণ করে তখন তার নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, রক্তের ইনফেকশন এবং ফুসফুসে ছিদ্র ইত্যাদি সমস্যা ছিল। সবথেকে বড় যে সমস্যাটা ছিল সেটা হল শ্বাসকষ্ট তাকে টানা ২০ থেকে ২২ দিন অক্সিজেন দিতে হয়েছে। সে আইসিইউতে ছিল আপনার ভাগিনার অবস্থাটা আমার কাছে খুব ভালো লাগছে না। যেহেতু সে তিন দিনেও সুস্থ হয়নি তাকে আবারও হাসপাতালে রাখলে মনে হয় ভালো হতো। তার জন্য উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন, আশা করি পরিবারের সাথে আলোচনা করে তার সুচিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেবেন।
দোয়া করবেন ভাই যেন ভাগিনা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সুস্থতা যে মহান আল্লাহ তাআলার কত বড় এক নিয়ামত সেটা অসুস্থ না হলেই বোঝা যায় না। আর নিজে অসুস্থ হলে এক কথা কিন্তু আপনজন কেউ অসুস্থ হলে আর সেই দায়িত্ব যদি নিজের উপর আসে তাহলে যেন মাথার ওপর অটোমেটিক চাপ চলে আসে। আপনার ভাগ্নির অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল বিষয়টা শুনে তো মনে হচ্ছে বেশ খারাপ অবস্থায় হয়েছিল। আসলে এই শীতকাল আশাতেই বাচ্চাদের এ ধরনের প্রবলেম অনেক দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ শ্বাসকষ্ট বুকে চাপ ইত্যাদি। আর এই সমস্যাগুলো মাঝে মাঝে ওষুধ খেয়ে ঠিক হতে চাই না তাই ইনজেকশন দিতে হয়। আমিও কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটা বাচ্চার এরকম অবস্থা দেখছি যদিও বা তাদের প্রবলেম এতটা বেশি হয়নি। যাই হোক আপনার ভাগ্নের জন্য দোয়া রইল সে যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।
জ্বি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন, আবহাওয়া চেঞ্জ হওয়াতে বাচ্চাদের জ্বর সর্দি-কাশি শ্বাসকষ্ট লেগে আছে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
একদমই ঠিক বলেছেন ভাইয়া। সুস্থতা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা সবচেয়ে বড় নেয়ামত। আপনার ভাগিনা অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো। ছোট বাবু না জানি কত কষ্ট হচ্ছে। ডাক্তার ঠিক বলেছিলো আগে বাবুকে নেওয়া উচিত ছিলো। যাক টেনশন নিয়েন না ঔষধ দিয়েছেন নিয়ম মতো ঔষধ খাওয়াতে বলেন। আল্লাহর রহমতে আপনার ভাগিনা সুস্থ হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ ❣️
আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার দেয়া অনেক বড় একটি নেয়ামত।
আসলে অসুস্থ না হলে সুস্থতার মর্ম টা বোঝার মুশকিল।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে জ্বর সর্দি কাশি ঠান্ডা জনিত রোগ গুলো খুব বেড়েছে বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য।
আপনার ভাগিনার সুস্থতা কামনা করছি।
দোয়া করবেন ভাই যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ভাগিনা খুবই অসুস্থ এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো ভাইয়া বর্তমান সময়ে একটু একটু শীতের দেখা দিয়েছে আর এই সময়ে ছোট বাচ্চারা অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বাসায় পুরুষ মানুষ না থাকায় আপনি দ্রুতই আপনার আপুর বাসায় গিয়ে ভাগিনাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। ফুসফুসে ইনফেকশন মানে অনেক বড় একটা ব্যাপার আশা করি খুব দ্রুতই আপনার ভাগিনা সুস্থ হয়ে উঠবে। শুভকামনা রইল আপনার ভাগিনার জন্য। টেনশন করবেন না ভাইয়া।
ফুসফুসে ইনফেকশনের জন্য বেশ চিন্তিত আছি ভাই। দোয়া করবেন যেন ভাগিনা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।