"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড # ২৫৯ [ তারিখ : ২৯-০৩-২০২৪]
গত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়েছে। ২৫৮ তম রাউন্ড শেষে আজ ২৯ মার্চ ২০২৪, ২৫৯ তম রাউন্ড এর আর্টিকেল পাবলিশ করা হবে। এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার-@monira999
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার-@monira999
অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
অথরের নাম-মোছা: মনীরা আক্তার মুন্নি। জাতীয়তা- বাংলাদেশী। শখ-তাঁহার প্রিয় শখ গুলো হলো: রান্না করা, ফুল গাছ লাগানো, ফটোগ্রাফি করা, ছবি আঁকা ইত্যাদি। তবে এগুলোর মধ্যে তাঁহার সবচেয়ে প্রিয় শখ হচ্ছে ফটোগ্রাফি করা।শিক্ষাগত যোগ্যতা- অনার্স শেষ করে বর্তমানে মাস্টার্সে অধ্যায়নরত আছেন। স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার-২০২১ সালের জুলাই মাসে স্টিমিটে জয়েন করেছিলেন এবং এখন মোট ব্লগিং ক্যারিয়ারের বয়স ৯৯৩ দিন।
এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি:
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল:
জেনারেল রাইটিং-কয়লা মানব|| ( Publish: 27.03.2024 )
এই নিউজটা আসলে আমিও কিছুদিন আগে দেখেছি। সত্যি অনেক ভয়ানক ছিল মৃত্যুটা। এইসব দেখলেই যেন মনের মধ্যে আঁতকে ওঠে। আসলে এইরকম ঘটনাগুলো বর্তমানে ঘটেই চলেছে, এইগুলো আসলে কিছু অসাবধানতার কারণে হচ্ছে, কিন্তু যার স্বীকার হতে হচ্ছে এইরকম খেটে খাওয়া মানুষগুলোর সাথে। একটা বিষয় খেয়াল করে দেখুন, শুধু যে এই সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত্যু হচ্ছে তা কিন্তু না, যেকোনো কলকারখানায় আগুন লাগলেও সেটার স্বীকার হয় সেখানকার কর্মচারীরা। আর এই সিলিন্ডার বিস্ফোরণ তো খুবই ভয়ানক, কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না সেখানে মানুষ তো রক্ত মাংসে গড়া।
এই লোকটাকে আসলে যেভাবে দেখেছিলাম, মানে লোকটার একদম যেভাবে ছিল সেইভাবেই যেন একটা মূর্তির মতো হয়ে বসে আছে। কিন্তু তার হাত-পা সবকিছুই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। এই ধরণের বিস্ফোরণে আসলে নিজেকে বাঁচানোর কোনো পথই থাকে না, একদম সেকেন্ডেই সবকিছুই ভস্ম হয়ে যায়। দেহটা পুরো পুড়ে ছাই হয়ে ছিল যেন। আসলে সমস্ত শরীরটা এমনভাবে শেষ পুড়ে গিয়েছে যে আইডেন্টিফাই করার মতো কোনো পর্যায় বাকি নেই বলে মনে হয়, তবুও এইগুলো ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের কাজ। মানুষের জীবন আজকাল খুবই সীমিত। আর এই সীমিত সময়ের মধ্যে কার কখন কি হয়ে যাবে সেটা কেউ বলতে পারে না।
আজকে আমি আপনার সাথে কথা বলছি, কালকে হয়তো এমন কিছু আমার সাথেও হয়ে যেতে পারে। আসলে জীবনের কোনো ভরসা নেই , যার যেখানে মরণ লিখে রেখেছে বিধাতা, তার তখন চলে যেতে হবে। তবে এইটা আমাদের নিউজে দেখে যতটা খারাপ লাগছে, তার দ্বিগুন কষ্ট তার পরিবারের হচ্ছে। হয়তো সেই মানুষটাই এই সংসারের একমাত্র উপার্জনের পথ ছিল, তাহলে ভাবুন সবকিছুই নিমিষে ধংস হয়ে গেলো একজনের সাথে সাথে । এই বিষয়গুলো একমাত্র তার পরিবারই ফিল করতে পারছে, নির্মম মৃত্যুটা মেনে নিতে কতটাই না কষ্ট হচ্ছে। বাস্তবতা আসলে বড়ই কঠিন, যেটা আমরা মেনে নিতে পারিনা চাইলেও।
জীবনের এই ভয়ংকর বাস্তবতা দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় কেন এত লড়াই। কেন এত প্রতিযোগিতা। একদিন এভাবেই হয়তো আমাদের সাধের জীবন নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে। সেদিন থাকবে না কোন প্রতিযোগিতা। থাকবে না কোন হিংসা-বিদ্বেষ।
এইটা আসলে ঠিক, কিন্তু কেউ মানতে চায় না। এই ক্ষনিকের জীবন দুইদিনের, যার কোনো ভরসা নেই, তবুও মানুষে মানুষে এতো বিদ্বেষ, হিংসা, মারামারি, খুনোখুনি যেন লেগেই আছে। যা একসময় মৃত্যুর পরে এইসবের কোনো মানেই থাকবে না।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আজকের ফিচারড আর্টিকেলে আমার নিজের পোস্ট নির্বাচিত হয়েছে দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে এই পোস্টটি লিখতে গিয়ে আমার ভীষণ খারাপ লেগেছে। আসলে একজন মানুষ কিভাবে নিমিষেই শেষ হয়ে গেল এই কথা ভাবতে গিয়ে হৃদয়টা কেঁপে উঠেছে। এই ভয়ংকর মৃত্যুর নিউজটি দেখে অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছিলাম। তাই তো নিজের অনুভূতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ক্ষণিকের এই জীবনে হয়তো আমাদের সবাইকে এভাবেই একদিন চলে যেতে হবে। কার মৃত্যু কিভাবে লিখা আছে আমরা কেউ জানিনা। যেহেতু সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে তাই হিংসা বিদ্বেষ সবকিছুকে আড়ালে রেখে সবাইকে নিয়ে একটু ভালোভাবে বাঁচার মাঝেই প্রশান্তি খুঁজে নেওয়া উচিত।
ফিচারড আর্টিকেলে মনিরা আপুর নাম দেখে খুব ভালো লাগলো। আপুর পোস্টটি খুব ভালো ছিল এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা এখানে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মনিরা আপুর এই পোস্টটি আমি পড়েছিলাম। ঘটনাটি আসলেই বেশ মর্মান্তিক। এমন মৃত্যু আসলেই মেনে নেওয়া যায় না। মনিরা আপুর জেনারেল রাইটিং গুলো অসাধারণ হয়। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আজকের ফিচার্ড আর্টিকেল হিসেবে বাছাই করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মনিরা আপুর পোস্ট যদিও আমার আগে পড়া হয়নি তবে এখন পড়ে অনেক কষ্ট লাগলো ।
সত্যিই এই দুনিয়াটা দুদিনে তারপরেও এখানে অনেক প্রতিযোগিতা । আজ আমি আপনাদের সবার মাঝে আছি কাল নাও থাকতে পারি। মৃত্যু অনিশ্চিত যেকোনো মুহূর্তে যে কারো হতে পারে। ফেসবুকে এই পোস্টটি আমিও দেখেছি ঘটনাটি অনেক মর্মান্তিক । মনিরা আপুর পোষ্ট ফিচারড আর্টিকেলে মনোনীত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকের এই ফিচারড আর্টিকেল পোস্টে মনিরা আপুর নাম দেখে অনেক ভালো লেগেছে। তিনি অনেক সুন্দর করে এই পোস্টটা লিখেছিলেন। যদিও ওনার পোস্ট দেখে নিই, তবে ফিচারডে প্রথম দেখলাম। আসলে ক্ষনিকের এই দুনিয়ায় মানুষ অনেক কিছুই করে। এত কিছু করে কি হবে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আমরা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে পারি। হিংসা, বিদ্বেষ ,অহংকার এই সবকিছুর থেকেই দূরে থাকা প্রয়োজন মানুষকে। ধন্যবাদ এই পোস্টটাকে ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে সিলেক্ট করার জন্য।
আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল এটি খুব চমৎকার একটি উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিদিন একটি করে ফিচারড আর্টিকেল আমরা দেখতে পাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রতিদিন একটি করে ফিচারড আর্টিকেল আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
দুই দিনের এই দুনিয়ায় সবাই কতইনা প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যায়। কতই না অহংকার কতইনা হিংসা সবার মধ্যে থাকে। এত কিছু করে কি হবে একদিন তো এই পৃথিবীর ছেড়ে চলে যেতেই হবে। যে কোন সময় মানুষের মৃত্যুর হবে। মনিরা আপু অনেক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছে। এই পোস্টটাকে ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে বাছাই করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।