স্বয়ংসম্পূর্ণতা
src
একটি পরিবারকে কিভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা যায় তা নিয়েই আজকে আমার পোস্টে আলোচনার বিষয়।
বাজারে প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতি চলছে সেই অনেক দিন আগে থেকেই। কোনভাবেই যেন তার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হচ্ছে না।আমাদের বাজারের এমনই খারাপ দশা হয়েছে যেখানে একটি দ্রব্যের দাম বাড়লে তা আর কমে না বাংলাদেশের বাজারে একটি দ্রব্যের দাম যদি বেড়ে হয় ৮০ থেকে ১২৫ টাকা কিছুদিন পর সেটার দাম একটু কমলেও তা আর আগের অবস্থায় ফিরে আসে না। এই দুই চার পাঁচ টাকা কমে প্রতি এককে।এতে এলিট ফ্যামিলিগুলোর উপর কোন ইফেক্ট পড়ে না। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে দিন কাটায় মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষগুলো।
src
তাদের দৈনন্দিন আয়ের চেয়ে দৈনন্দিন ব্যয় বেড়ে যায়। এজন্য হিমশিম খেতে হয় তাদেরকে। যাইহোক, গত বৃহস্পতিবার আমাদের স্থানীয় বাজারে গিয়েছিলাম খাওয়ার জন্য মুরগি কিনতে। মুরগির দাম দর করে বুঝলাম দাম আকাশ ছোঁয়া।যেই মুরগিগুলোর দাম কিছুদিন আগেও ২০০ বা ২৫০ টাকা ছিল সেই মুরগীগুলো এখন ৬০০ কিংবা ৭০০ টাকা। এ তো বললাম শুধু মুরগির কথা, বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রত্যেকটা জিনিসের দামই এরকম বেড়ে গেছে অনেকাংশে।
যাইহোক, চলুন প্রসঙ্গে ফিরি....
একটি পরিবারকে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে নিতে হবে কিছু পদক্ষেপ। যেগুলো আমি আমার এই পোস্টে আলোচনা করবো।আগেই বলে রাখছি, এগুলো নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। মানুষ হিসেবে জীবন যাপন করতে আমরা খাবার খেয়ে বেঁচে থাকি। এই খাবারগুলো বিভিন্ন সোর্স থেকে সংগ্রহ করি। কিন্তু ভেবে দেখুন তো আমরা যদি নিজেদের খাবার নিজেরাই ফলাই তাহলে কেমন হয় ব্যাপারটা..? নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন খাদ্যের। আর খাদ্যের উৎপাদন পদ্ধতি খুবই সহজ। যা আমরা ইচ্ছে করলেই করতে পারি।
পারিবারিক গোশতের চাহিদা মেটাতে কিছু হাঁস-মুরগি, ছাগল,ভেড়া পালন করতে হবে। সবজির চাহিদা মেটাতে বাসা বাড়ির আঙিনায় কিংবা ছাদে সবজির উৎপাদন করতে হবে। এমনটা করলে আমি মনেকরি পারিবারিক খাদ্যের চাহিদা মিটানো সম্ভব হবে।
এবার আসি চিকিৎসায়। পরিবারের মানুষগুলোর মধ্যে যে কেউ যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। যেকোনো সাধারণ রোগকে মোকাবেলা করতে পারিবারিকভাবে ফার্স্ট এইড বক্স রাখতে হবে। যেখানে থাকবে সকল সাধারণ রোগ নিরাময়ক ওষুধ। এবং বাড়ির পিছনে কিংবা সামনে যেখানেই গাছ লাগানোর জায়গা আছে, সেখানেই ঔষধি গাছগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে রোপন করতে হবে। বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে সেখান থেকে ঔষধ সংগ্রহ করে সেবন করতে হবে। তবে তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে।
একটি পরিবারের সবাইকে হতে হবে কর্মমুখর। পারিবারিক আয় কিভাবে বাড়ানো সম্ভব তা নিয়ে পরামর্শ করতে হবে পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে।
src
শিক্ষা অর্জনের ব্যাপারে পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্যদের হতে হবে প্রচন্ড আগ্রহী। পরিবারের মানুষদের জন্য গড়তে হবে ছোট লাইব্রেরি।যেখানে থাকবে অনেক রকমের বই। শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া সদস্যকে অন্য সদস্য দ্বারা টেনে উপরে তুলতে হবে।
উপরিউক্ত পদক্ষেপগুলো মেইনটেইন করলে আমি মনেকরি একটি পরিবারকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক প্রত্যেকটি পরিবার, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
বর্তমান সময়ের দ্রব্যমূলের বাজারের দিকে তাকালে অনেক বেশি ভয় লাগে। বিশেষ করে যেখানে আমরা পেঁয়াজ কিনে খেয়েছি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সেখানে বর্তমানে পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা থেকে 150 টাকা। যদিও এটা আগেও হয়েছে কিন্তু বর্তমানে এর কমিটি আমি দেখতে পাচ্ছি না।
আপনি ঠিকই বলেছেন, আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে খাবার সংরক্ষণ করে থাকি। কেউ হয়তোবা আর কিনে নিয়ে আসি। আবার কেউ যারা ফসল ফলায় তাদের কাছ থেকে সংরক্ষণ করি। কিন্তু আমরা যদি সবজি বাগান এবং মাছ চাষ হাঁস মুরগি পালন করতে পারি। নিজেরা নিজেদের এই ঘাটতি গুলো পূরণ করতে পারি। তাহলে কিন্তু আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
চমৎকার বার্তা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এ বিষয়টা অবশ্যই প্রত্যেকের মাথায় রাখা উচিত। অবশ্যই চেষ্টা করব নিজের জায়গা থেকেই নিজেই স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠার জন্য, ভালো থাকবেন।
সুন্দর একটি মতামত প্রদানের জন্য ধন্যবাদ।
আজকে সকালে বজারে গিয়ে দেখলাম বাজারের পন্যের অবস্থা খারাপ জিনিস পত্রের যে দাম। তবে আপনি যেমন বলেছেন পারিবারিক খাদ্যের চাহিদা যোগানের জন্য চাষাবাদ করা হাঁস মুরগী পালন করা ইত্যাদি এগুলো করার জন্য মোটামুটি একটু জায়গা থাকে লাগে বা বাসার ছাদ থাকা লাগে কিন্তু সবার ক্ষেত্রে জায়গা থাকে না। তবে আপনার দেওয়া পরামর্শ গুলো অনেক কাজে দিবে। ধন্যবাদ উপকারী পরামর্শ দেওয়ার জন্য।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে বর্তমান প্রায় পরিবারগুলো নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। আপনি অনেক সুন্দর একটি মতামত শেয়ার করেছেন।
বাড়িতে হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল লালন পালন করা। শাকসবজি চাষাবাদ। এগুলো বর্তমান অবস্থায় একটু হলেও ঘাটতি পূরণ করে।
বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মায়ের কাছে শুনেছি, তারা যখন সিজনে কোন খাবার সস্তা থাকতো তখন সেই জিনিসটি সংরক্ষণ করে রাখতেন।যাতে যখন দাম বেড়ে যায় তখন তারা সেগুলো নামিয়ে পরিবারের আর্থিক ভারসাম্য বজায় রাখতেন।যেমন সিমের বিচি,ইলিশ মাছ, শুটকি, ডাল ,শুকনো মসলা ইত্যাদি। এসব খাবার ভরপুর সিজনে সংরক্ষণ করলে অফ সিজনে যখন বাজারে সংকট দেখা দেয় তখন বাজার থেকে জিনিস ক্রয় না করে এরকম সংরক্ষণ করা খাবার খেলে বাজারের উপর চাপ কম পড়বে।
আসলে আমরা এই জিনিসটি আমাদের পরিবারে করা এখন একদম ছেড়ে দিয়েছি। আমরা সবাই হয়ে গেছে সুখী মানুষ ।যারা কোন পরিশ্রম করতে চাই না। শুধু বাজার থেকে কিনে আনতে চাই।
অথচ অন্যান্য দেশগুলোতে খেয়াল করলে আমরা দেখব দেখি যে তারা ভালো আবহাওয়ার সময়তে সমস্ত খাবার পেঁয়াজ, রসুন, বেগুন থেকে শুরু করে সবকিছু শুকিয়ে সংরক্ষণ করে রাখে এবং যখন আবহাওয়া খারাপ থাকে তখন সেগুলো খেয়ে নেয়। এভাবেই তারা নিজেদের জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখে।
আপনি একটি চমৎকার ধারণা দিয়েছেন যে নিজেরা ফসল ফলাতে হবে। কিন্তু সব সময় সবার বাড়ির সামনে আঙ্গিনা বা পেছনে জায়গা নাও থাকতে পারে।তাই খাবার সংরক্ষণ হতে পারে আরো উত্তম ধারণা।খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে ।ভালো থাকবেন।
প্রিয় ভাই, একটি পরিবারকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে আপনি যে যে বিষয় উল্লেখ করেছেন তার সবগুলোর সাথে আমি একমত। আপনি খুব সুন্দর এবং গোছালো ভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছেন। একটি পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত খাবার, চিকিৎসা সামগ্রী এবং শিক্ষা এই তিনটি জিনিস অধিক প্রয়োজীয়। এর একটির অভাব হলে সেই পরিবার কখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়।
এছাড়াও আপনি দ্রব্যের উর্ধগতী নিয়ে দারুণ কিছু লিখেছেন। আমি সবগুলো কথার সাথে সহমত পোষণ করছি। বর্তমান বাজারের যে অবস্থা , আমরা যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত আছি তাদের খাবারের জন্য রিতীমত যুদ্ধ করতে হচ্ছে। ভালো থাকবেন ভাই। ধন্যবাদ।
নিজের জমি জায়গা থাকলে অবশ্যই নিজের জমিতে সব্জী চাষ করা উচিত বা হাঁস মুরগি ইত্যাদি প্রতিপালন করা উচিত। তাতে শুধুমাত্র টাকারই সঞ্চয় হয় না, বাজারে বিক্রি হওয়া কেমিক্যাল যুক্ত শাকসবজি এবং মাছ মাংস খাওয়ার হাত থেকে আমরা নিজেদেরকে বাঁচাতে পারি।
কিন্তু কোলকাতায় মুশকিল হচ্ছে যে আমাদের এখানে বেশিরভাগ মানুষেরই নিজস্ব জমি জায়গা নেই। আমরা বলতে গেলে নিরুপায় হয়ে ফ্ল্যাট কালচারে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তাই বাধ্য হয়ে সবকিছু জানা সত্ত্বেও বাজারের বিষাক্ত শাকসবজি এবং মাছ মাংস খেয়ে আমাদের জীবনধারণ করতে হয়।
আমার শ্বশুরবাড়ি প্রত্যন্ত গ্রামে, সেখানে সবকিছুর সুবিধা থাকলেও চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই অনুন্নত। তাই আমি ভেবে ঠিক করে উঠতে পারছি না যে কোলকাতায় থাকবো নাকি পাকাপাকিভাবে আমার শ্বশুরবাড়ির এলাকায় জমি কিনে নিয়ে বাড়ি করে থাকবো।
বাহ্ দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন , আসলে বাজারের সব কিছুর দাম বাড়তেছে আর আমাদের দেশে যেই জিনিসের দাম একবার বাড়বে সেটা আর কমিয়ে আসবে না ৷ এতে করে দেখা যায় মধ্যবিত্ত পরিবারের সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে যায় ৷ তারপর দেখলাম আপনার কিছু নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন কীভাবে নিজে থেকে এগুলো বাড়িতে সহজ উপায়ে অভাব দুর করা যায় ৷ তবে আপনার তুলে ধরা বিষয় গুলো অনেক যুক্তি সম্পন্ন ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
বর্তমানে বাজারে যাওয়াটা একটা আতঙ্কের নাম।বাজারে গেলে সুন্দর মুডটাই নষ্ট হয়ে যায়। শীত কালের কথাই যদি বলি,এখন বাজারে নতুন নতুন সবজি এসেছে। এখন ও যদি সব সবজি ৫০ এর উপরে দাম থাকে তাহলে কেমন করে গরীব রা টিকে থাকবে।আপনি একটা সমাধানের কথা বলেছেন। যার যেটুকু প্রয়োজন সামর্থ অনুযায়ী নিজে ফলানোর চেষ্টা করতে হবে।
অনেক ভালো কিছু আইডিয়া শেয়ার করেছেন। জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে হলে এখন শুধু একটি পেশাকে আকড়ে ধরে থাকা যাবে না পাশাপাশি কৃষিতেও আত্মনিয়োগ করতে হবে নিজেকে। বাজার দাম যেভাবে বাড়ছে, যদি শুধু বেতন নিয়ে চলতে হয় তাহলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত ভালো ভাবে বেচে থাকতে পারবেনা। ধন্যবাদ আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় সামনে তুলে ধরার জন্য।