অনেক দিন পর মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমালাম।
Hello Everyone,,,
নমস্কার বন্ধুরা! কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি তবে ঝড় পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে আছে। তিনদিন পর আজ ফোন চালু করেছি। আর তাছাড়া নেটওয়ার্কের সমস্যা তো আছেই।
আমাদের এলাকায় কারেন্ট না আসলেও খুব চেষ্টা করে অন্য এলাকা থেকে মোবাইলে সামান্য চার্জ দিতে পেরেছি, তাই আজ নতুন একটা লেখা শেয়ার করার সুযোগ পেয়েছি।
![]() |
---|
খবরে শুনেছিলাম ঝড় উঠেছে এবং কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের এখানে আঘাত আনবে। রবিবার সকাল থেকে আবহাওয়া যেন থমকে দাঁড়িয়েছিলো। আকাশ পুরাই মেঘলা ছিলো এবং কোথাও কোনো বাতাসের আভাস মাত্র ছিলো না। গাছের পাতাগুলোও নিস্তেজ হয়ে গিয়েছিলো, একটু নড়াচড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছিলো না।
আকাশে মেঘ থাকার কারনে পরিবেশ ছায়া যুক্ত ছিলো তবে গরমের মাত্রা বেশি অনুভব হচ্ছিলো। ততক্ষণও বিদুৎ সংযোগ চালু ছিলো। সকলে বলছিলো ঝড় আসছে এজন্য আবহাওয়ার এমন অবস্থা। আমার অবুঝ মনে চিন্তা করলাম, হয়ত ঝড় আসার পূর্বে এভাবে প্রকৃতি নিজেই সেটা জানান দেয়, কোনো না কোনো ভাবে।
![]() |
---|
সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে পারে নি ঘুমন্ত প্রকৃতি যেন একটু একটু করে জেগে উঠতে শুরু করলো। হঠাৎ করেই যেন চারিদিক দিয়ে তুমুল বাতাস বইতে লাগলো। বাড়ির ভিতরে বাতাসের আভাস তেমন একটা বোঝা যাচ্ছিলো না তাই সাবধানে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় আসলাম। সেখানে গিয়ে বাতাসের সা সা শব্দ আর উঁচু উঁচু গাছের ভয়ংকর নৃত্য ছাড়া তেমন কিছুই লক্ষ্য করলাম না।
তখনই বুঝেছিলাম আজকের রাতটা হয়ত খুব ভয়াবহ হতে চলেছে। ভীতু প্রকৃতির মানুষ হওয়ার কারনে রাস্তায় আর বেশি সময় না দাঁড়িয়ে বাড়িতে নিরাপদ স্থানে চলে আসলাম। যদিও ঝড়ের সময় কোনো কিছুই আর নিরাপদ থাকে না।
![]() |
---|
সময় যত পার হচ্ছিলো সব কিছু ততই প্রবল হচ্ছিলো। এর মাঝে স্নানটাও সেরে নিয়েছিলাম। এর মাঝে কারেন্ট তো চলে গেলো। সব থেকে বড় সমস্যা গ্রামে বড় বড় গাছ রয়েছে আর যখন তখন সেগুলো বৈদ্যুতিক তারের উপর পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এজন্য বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাটাই উচিত কাজ। ফটোগ্রাফিতে দেখে হয়ত বাতাসের গতি বোঝা যাচ্ছে না তবে বাস্তবে এটা খুব ভয়াবহ ছিলো। দাড়ালে বাতাসে যেন ঠেলে নিয়ে যাচ্ছিলো।
![]() |
---|
শুনেছি রাতে নাকি সব কিছু প্রবল হয়, বিষয়টা আসলেই সত্য। সন্ধ্যা নামতেই ঝড়ের গতি বেগ কয়েকগুন বেড়ে গেলো ততক্ষণে আমাদের এখানে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দিয়ে দিয়েছে। তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। আমার মামা বাড়ি নদী এলাকায়। দাদুর কাছে ফোন করতেই জানতে পারলাম যে বাড়ির সবাই পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করেছে।
আর তাছাড়া নদীতে জল বেড়েই চলেছে এবং সেটা রাস্তার কানায় কানায় হয়ে গিয়েছে। সামান্য একটু জল বাড়লেই রাস্তা ছাপিয়ে বসতি এলাকা জলে ভেসে যাবে। তাই ঘরবাড়ি ছেড়ে সবাই আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়েছে। এসব শুনে সত্যিই খুব চিন্তা হচ্ছিলো। দুর থেকে প্রিয়জনের বিপদের আশংকার কথা ভেবে যতটা চিন্তা হয় এমন হয়ত আর কিছুতে হয় না।
দুর থেকে না যায় তাদের পাশে দাঁড়ানো আর না সম্ভব হয় তাদের কোনো সাহায্য করা।রাত যত বাড়তে থাকে ঝড়ের গতিবেগ আর সেই সাথে মাঝে মাঝে বৃষ্টিও হতে থাকে। মাঝে মাঝে এমন ভাবে দমকা হাওয়া আসছিলো যে সেসময় সত্যি বুকটা কেঁপে উঠছিলো।
![]() |
---|
আমার রুমে আমি সাধারণত একাই থাকি। আজও তার ব্যতিক্রম হয় নি। তবে ঘড়িতে রাত যখন প্রায় ২.৩০ মিনিট, তখন ঝড়ের হাওয়া প্রবাহের দিক বদলে যায় এবং আরও ভয়ানকভাবে রূপ নেয়। সত্যি বলতে যারা ঝড়ের এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েনি সে বুঝবে না। আর তাছাড়া বাড়ির পাশে অনেক বড় গাছপালা রয়েছে। বাতাসে সেগুলোর দুলিয়ে পড়া দেখে ভীষণ ভয় করছিলো, মনে হচ্ছিলো এই যেন ভেঙে পড়বে।
কোনোভাবেই বিছানায় শুয়ে থাকতে পারছিলাম না, অস্থিরতা কাজ করছিলো মনের মধ্যে। তাই একা বসে থেকেই সময় পার করছিলাম আর সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করছিলাম কারন এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই আমাদের রক্ষা করতে পারে।
মা আমাকে ডেকে বারবার বলছে, ভয় করলে মায়ের ওখানে যেতে। আমি নিজেকে সব সময় একটু বেশি সাহসী মনে করতাম কিন্তু আজ সব জারিজুরি কোথায় জানি উড়ে গেলো। একটা পর্যায়ে আর একা বসে থাকতে পারলাম না, চলে গেলাম মা - বাবার এখানে।
স্রোত যতই প্রবল হোক না কেন সেটাকে যেমন নদীর তীরে এসে থমকে যেতে হয় তেমনই বিপদের আশংকায় সন্তানের যতই ভয় হোক না কেন বাবা - মায়ের কাছে আসলে সেটা নিমেষেই দূর হয়ে যায়।
জানি না এটা সবার ক্ষেত্রে হয় কিনা, তবে একটু আগে আমার ভীষণ ভয় হচ্ছিলো তবে মায়ের কাছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সকল ভয় কোথায় জানি মিলিয়ে গেলো।
তখন মনে হচ্ছিলো এখন আমি বাবা-মায়ের পাশে আছি তার মানে আমি সম্পূর্ণ নিরাপদ। ছোটবেলায় বাবা মায়ের মাঝখানে শুয়ে তাদের জড়িয়ে ধরে ঘুমাতাম। আজ অনেক দিন পর আবারও মাকে জড়িয়ে ধরে তার পাশে শুয়ে রইলাম। যদিও এটা হয়েছে বিপর্যয় পরিস্থিতির কারনে তবে অনুভুতিটা একদম অন্য রকম ছিলো। যদিও সারা রাতই কারোর তেমন ঘুম হয়নি।
এখন সচারাচর মায়ের পাশে তেমন ঘুমানো হয় না বললেই চলে। অনেক দিন মায়ের পাশে শুয়ে বারবার ছোটবেলার কথা মনে পড়ছিলো আর ভাবছিলাম এখনও যদি প্রতিদিন মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে পারতাম! মায়ের কোলে মাথা রাখলে সন্তানের মনের সকল মলিনতা ও ভয় দুর হয়ে যায় সেটা অনুভব করলাম আরও একবার।
সৃষ্টিকর্তার কাছে সব সময় প্রার্থনা করি সব সময় যেন বাবা- মায়ের পাশে থাকতে পারি এবং আমার কারনে যেন একটু হলেও খুশি হতে পারে আমার জন্য অন্তত্য কোনো কষ্ট যেন না পায়। 🙏
সকাল সকাল আপনার পোস্টটা পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো। আপনি ঠিক কথাই বলেছেন আমরা যখন কোন বিপদের সম্মুখীন হই ,প্রথমে আমাদের বাবা-মার কথাই মনে পড়ে ।আর এই পৃথিবীর বুকে আমার মনে হয় মা-বাবা ছাড়া আর সুরক্ষিত জায়গা কোথাও নেই। মা-বাবার আঁচল আমাদের সব থেকে বেশি সেফ ফিল করায়।
ইতিমধ্যে আমরা সবাই অবগত হয়েছি, ঘূর্ণিঝড়ের রেমালের সম্পর্কে। এই ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জেলাগুলোতে সব থেকে বেশি আঘাত হেনেছে। যেমনটা আপনার পোস্ট পড়েও বুঝতে পেলাম।আর এরকম অবস্থায় কারেন্টের কোন খোঁজই পাওয়া যায় না ।
ঘূর্ণিঝড়ে আপনাদের এলাকায় ১০ নম্বর বিপদ সংকট দিয়েছিল।
অনেকদিন পর নিজের মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছেন।সত্যিই এই মুহূর্তটা কোনদিনও বলার মত নয়।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যা, ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে আঘাত এনেছিলো আর মুখোমুখি হয়েছিলাম আমরা। ঝড়ের সময় সব জায়গাতেই বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। অনেক দিন পর কাল কারেন্ট এসেছে। ঝড়ের সময় ভয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছিলাম, এটা সত্যি অন্য রকম অনুভূতি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন ঝড় বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আমাদের দিকে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমাদের এখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বেশ ভালোই ছিল ।কারণ আমাদের এখানে আগে থেকেই কৃষ্ণনগর পৌরসভা সবকিছুর ব্যবস্থায় করে রেখেছিল। ঝড় বৃষ্টির দিনে একা থাকতে সত্যিই ভয় লাগে ।কারণ আমিও আপনার মত একা একা থাকি। সত্যিই তো এই বিপদের দিনে মাকে পাশে সবাই পেতে চায়। যাই হোক অনেকদিন পর আপনি মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছেন শুনে বেশ ভালো লাগলো ভালো থাকবেন।
ঝড় আমাদের এখানে যে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এমন বলবো না তবে অনেক জায়গায় ক্ষতির পরিমান অনেক মাত্রায় বেশি৷ জলে ভেসে গেছে অনেক ঘরবাড়ি। আপনার এখানে কারেন্ট থাকলেও আমাদের এখানে তিন দিন পর কারেন্ট এসেছে। এ কদিন ফোন থেকে দুরে ছিলাম, খুব অসহায় লাগছিলো নিজেকে।😀 মাকে জড়িয়ে ধরে থাকলে সত্যি অন্য রকম একটা শান্তি কাজ করে যেটা বলে বুঝানো যাবে না। ভালো থাকবেন।
ঘূর্ণিঝড়ে রেমালের তাণ্ডবে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে বাংলাদেশের কয়েকটি অঞ্চলে ১০ নম্বর ও 13 নম্বর বিপদ সংকেত ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছি।
আপনার পোস্টে পড়ে শৈশবের কিছু কথা মনে পড়ে গেছে মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর সেই স্মৃতিগুলো বিশেষ করে মেঘ ডাকলে আমার প্রচন্ড ভয় করত তখন মায়ের কাছে গিয়ে ঘুমাতাম আমার এখনো মনে পড়ে সেই দিনগুলোর কথা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি আর্টিকেল আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল সত্যি ভয়ংকর দাপট দেখিয়েছে। আমাদের এখানে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়েছিলো। তবে আমাদের এখানে ক্ষতির পরিমান তেমন হয় নি, তবে অন্যন্য এলাকায় জলে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে।
আমি তো ছোটবেলায় প্রতিদিনই মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতাম। তবে বয়সের বয়সের সাথে সাথে হয়ত সব কিছু অতীত হয়ে যায়। তবে আবারও অনেক দিন পর ঝড়ের ভয়ে মায়ের পাশে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমালাম। তখন শুয়ে শুয়ে ছোটবেলার কথা কুব মনে পড়ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলে পৃথিবীতে কতোই বিপদে থাকেন না কেন।মায়ের আঁচলে সব থেকে নিরাপদ যায়গা।আপনি আপনার ফোন বাইরে থেকে চার্জ করে নিয়ে এসেছিলেন।আসলে ঝড়ের কারনে কমবেশি সবাই একই অবস্থা ছিলো।আর আপনার মা আপনাকে কাছে ডেকেছে ঘুমানোর জন্য। এটা অনেক বড় পাওয়া আপনার কাছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য।
মায়ের কাছে গেলে হয়ত সকল বিপদ থমকে দাঁড়ায়। সন্তানের সকল খারাপ পরিস্থিতি থেকে মা বাবা খুব সহজেই উদ্ধার করতে পারে। আমার ভয় করছে ভেবে মা আমাকে ডেকেছিলো তার কাছে। প্রথমে যায়নি তবে পরবর্তীতে গিয়েছিলাম এটা সত্যি অনেক বড় পাওনা। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত করার জন্য।
প্রতিবছর এরকম ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব একবার হলেও আসে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছর এসেছে।। আর হ্যাঁ ঘূর্ণিঝড় আসার আগে আবহাওয়া তার জানান দেয় এটা আপনি সঠিক বলেছেন।। আর যেন একটু আশ্চর্য হলাম আপনাদের ওখানে দশ নাম্বার সংকেত দিয়েছে তার মানে বেশ ঝড়ের কবলে আপনারা পড়তে পারেন।। আর ঝড় বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্কের অনেক বড় সমস্যা বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে।।
একদমই ঠিক বলেছেন সময় যত বাড়তে শুরু করেছিল। ঝড়ের গতি তত বেশি বৃদ্ধি পাওয়া আরম্ভ হয়েছে। আসলে বড় বড় গাছের নাচানাচি ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এত পরিমানে বাতাস যেটা আমরা কখনোই দেখিনি। তবে এবার বেশ ভালোভাবেই এই ঘূর্ণিঝড়ের খুব কাছ থেকে, উপভোগ করতে পেরেছি।
রাতে ঝড়ের পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি নিজেও আমার ছেলেদের কে নিয়ে মায়ের সাথে ঘুমিয়ে ছিলাম। আসলে রাত যত গভীর হয়েছিল ঝড়ের পরিমাণটা তত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল। অতিরিক্ত বাতাস আর বৃষ্টির কারণে মনে হচ্ছিল, ঘরের আশেপাশে থাকা গাছগুলো এইতো ভেঙ্গে ঘরে এসে পড়বে। এই ভয়ে কিছুটা সময় ঘুমাতেও পারিনি।
আপনি একদমই ঠিক বলেছেন, ঝড় বৃষ্টি বা যত বড় বিপদ হোক না কেন? সন্তানের শেষ আশ্রয়ের জায়গা হচ্ছে বাবা-মা! আর ওখানে গিয়েই তাদের মনে হয় তাদের জীবনের সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে গেছে! ধন্যবাদ ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে আপনার মনের অনুভূতি এবং ভয় আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য! ভালো থাকবেন।
রাত যত গভীর হয় সব কিছু যেন ততই ভয়ংকর হয়ে ওঠে। ঝড়ের ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছে। রাত বাড়ার সাথে সাথে প্রকৃতি যেন তার ভয়াবহ রূপ দেখাতে শুরু করেছিলো। প্রকৃতি সুন্দর তবে তার পাশাপাশি যে কতটা ভয়ংকর সেটা খুব ভালো ভাবেই টের পেয়েছি।।
আপনিও আপনার ছেলেকে নিয়ে আপনার মায়ের কাছে ঘুমিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। মায়ের কাছেই হয়ত সবাই নিরাপদ। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।
সত্যি ঝরে আপনাদের ওখানে খুবই ভয়াবহ অবস্থা হয়েছিল যেটা আপনার পোস্টে খুব ভালোভাবে ফুটে উঠেছে,,
তবে আপনার পোষ্টটি পড়ে আমি আমার ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম। ঠিক ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত বিয়ের আগ পর্যন্ত আমি আমার মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছি মা কাছে না থাকলে আমাকে জড়িয়ে ধরে না ঘুমালে মনে হতো ঘুম আসছে না।।
এখনো যখন খুব বেশি মাথাব্যথা কিবা অনেক টেনশন থাকে ভিতরে ভিতরে তখন মাকে জড়িয়ে ধরলে ঘুম পড়লে মনে হয় যেন সব টেনশন দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায় একেই বলে মা।
ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি গুলো জানতে পেরে বেশ ভালো লেগেছে।
যতই বড় হই না কেন ঝড়ের সময় ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম তাই তো মায়ের কাছে গিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। মাকে জড়িয়ে ধরলে যেন জগতের সকল চিন্তা ও ভয় দুর হয়ে যায়। আমিও ছোটবেলা থেকেই মায়ের পাশে ঘুমাতাম এবং না জড়িয়ে ধরলে হতো না। তবে এখন আর হয় না সেভাবে তবে আজ অনেক দিন পর মাকে জড়িয়ে ধরে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।