প্রকৃতির শিক্ষা !
সাধারণত আমরা সবাই অভিজ্ঞতাকে বয়সের উপর ভিত্তিতে যাচাই করি। আমরা মনে করি, যার বয়স যত বেশি তার অভিজ্ঞতাও হয়ত বেশি। তবে এটা হয়ত কখনও কখনও ঠিক আবার ব্যতিক্রমও রয়েছে।
যারা হয়ত অন্যদের তুলনায় খানিক আগে নিজেকে গুছিয়ে নিতে শিখে যায় বা চেষ্টা করে। একটা ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে উঠতে গেলেও একটা বছর সময় লাগে আর এভাবেই ধাপে ধাপে ক্লাসে উত্তির্ন হওয়ার পাশাপাশি নিজের অভিজ্ঞতাও বৃদ্ধি পায়।
তবে পরিস্থিতি আর বাস্তবতার কারনে কিছু মানুষ ছোট থেকে রাতারাতি অনেক বড় হয়ে যায়। সেটা হতে পারে বাঁচার তাগিদে অথবা পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে।
জীবনের এই কঠিন পরিস্থিতিগুলো আমাদের মেনে নিতে কষ্ট হয়। তবে সত্যি বলতে এই পরিস্থিতিগুলোই আমাদের নিজেকে নতুন করে চেনায়!
আমাদের মধ্যেও যে এক প্রকার আত্মবিশ্বাস, শক্তি, লড়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে সেটা হয়ত এই পরিস্থিতিগুলোই আমাদের এই লুকিয়ে থাকা শক্তিগুলো টেনে বাইরে বের করে!
আমার ভেতরেও যে, অন্য একটা আমি লুকিয়ে আছে সেটা এই পরিস্থিতিই আমাদের জানান দেয়!
জীবনে ভরসা করা যায় এমন মানুষের প্রয়োজন অনেক বেশি। আমরা আমাদের বাবা মা য়ের উপরই সব থেকে বেশি ভরসা করি। তবে পরিস্থিতি আমাদের কখনও কখনও অনেক একা করে দেয়।
সেই মুহুর্তে আমরা অনেক বেশি দিশেহারা হয়ে পড়ি, আর মনে হয় জীবনের সব কিছুই বোধহয় এবার শেষ হয়ে গেলো!
এই অবস্থায় থেকেও যে হার না মেনে লড়ে যায় সে আর যাই হোক জীবনে কখনও হেরে যায় না!
আজ হঠাৎ করে এই বিষয়গুলো মনে আসলো তার কারন - এই প্রকৃতি।
প্রকৃতি আমাদের সর্বোত্তম শিক্ষক । যে আমাদের প্রয়োজনীয় সকল কিছুর শিক্ষা দেয়। তবে হয়ত সেই শিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষমতা আমাদের থাকে না।
আজ সকালে অন্য দিনের তুলনায় অনেকটা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ব্রাশ হাতে নিয়ে উঠানে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন হঠাৎ চোখ পড়লো জামরুল গাছের দিকে।
খেয়াল করলাম জামরুল গাছের ছোট ছোট ফুলের মাঝে তিনটে জামরুল বড় হয়ে পরিপক্ব হয়েছে!
তখন ভাবলাম,
একটাই গাছ, আর ডালপালাও একটা গাছের তাহলে অন্যদের তুলনায় এই তিনটা জামরুল কেন এত বড় হয়ে গেলো?
সত্যি বলতে, এই জামরুলগুলো কালকে পর্যন্ত আমার চোখে পড়ে নি। আজ হঠাৎ আমার নজরে এলো।
গাছের গোড়ায় জল দিলে যেমন প্রতিটা ডাল-পালায় সেটা পৌঁছে যায়, তবুও গাছের কোনো ফল আগে আবার কোনোটা দেরিতে বেড়ে ওঠে । ঠিক তেমনই, সৃষ্টিকর্তাও আমাদের প্রত্যেক কে সমান ভাবে তৈরি করেছেন তবুও একেকজনের ধৈর্য্য, মনোবল, আত্মবিশ্বাস সকল কিছুর মধ্যে অনেক তফাত।
গাছের প্রতিটা ফল যেমন একই সাথে বেড়ে ওঠে না তেমনই প্রতিটা মানুষ একরকম হয় না। কিছু কিছু মানুষ অন্যদের থেকে ব্যতিক্রম হয়, যারা সকলের তুলনায় খানিক আগেই জীবনের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে শিখে যায় এবং জীবনের আসল মানে বুঝতে পারে!
আমি খুব সুন্দর কথা বলেছেন, একটা কথা আছে না হাতের পাঁচটা আঙ্গুল সমান নয়, ঠিক তেমনি সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে বিভিন্ন রকমের গুণাবলী দিয়ে তৈরি করেছে। মানুষ যত বড় হয় তত তার দায়িত্ব বেড়ে যায়, মানুষ যত বড় হয় ঠিক ততই একা হতে থাকে, কারণ তখন মানুষ ম্যাচিউরড হয় সহজেই অন্য মানুষের আচরণ বুঝতে পারে।
অসাধারণভাবে জীবন এবং প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত রেখে পোস্ট করেছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন প্রকৃতিক থেকে আমরা অনেক কিছুই শিক্ষা পেয়ে থাকি। এটা সত্যিই মনে করিয়ে দেয় যে, আমাদের জীবনের যাত্রা কখনও সমান হয় না। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা ও শক্তি আমাদের পথকে আলোকিত করে। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো, ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আপনার জন্য সব সময় শুভকামনা রইল দাদা।
আজকের পোস্টটি আপনি জীবন সংক্রান্ত নিয়ে লিখেছেন সত্যিই মাঝে মাঝে পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় যে নিজেকে যেন একা করে দেয়।।
আর হ্যাঁ এটা একদম সঠিক বলেছেন জীবনে ভরসা করার মত মানুষ প্রয়োজন আর আমরা সবচাইতে বেশি বাবা মাকে ভরসা করে থাকি ।। আসলে পরিস্থিতি কখন কার কেমন হবে সেটা আমরা কেউ জানি না আমরা মানুষকে দেখে যেমন দেখি তার ভিতরে ঠিক অন্যটা চলে।।
আপনি ঠিকই বলেছেন প্রথম অবস্থায় আমাদের অভিজ্ঞতা কখনো কারো বেশি আবার কারো কম আসলে বয়সের সাথে সাথে মানুষ অভিজ্ঞ হয়ে ওঠে এই কথাটা আমি বিশ্বাস করি না কারণ জীবনের পরিস্থিতি আমাদেরকে অনেক কিছু শিখিয়ে দেয় অনেক কিছু বুঝতে শেখায় আমরা কিভাবে আমাদের জীবন পরিচালনা করব সেটা আমরা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারি।
অল্প বয়সে আমরা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করি আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় বয়স্ক হয়ে যাওয়ার পরেও তাদের তেমন কোন অভিজ্ঞতা থাকে না একটা গাছের গোড়ায় যখন আপনি পানি দেবেন তখন তার প্রতিটা শাখা-প্রশাখের মধ্যে সেটা গিয়ে পৌঁছায় কিন্তু আমাদের মধ্যেও তেমনি রয়েছে আমাদের কারো বেশি কারো কম ধৈর্য সবার একরকম থাকে না সবাই একরকম ভাবে বেড়ে উঠতে পারে না প্রকৃত শিক্ষা আমরা সেখান থেকেই পাই যখন আমরা পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে একা হয়ে যায়।