শেখার সদিচ্ছা মুষ্টিমেয় মানুষের পাথেয়। (The willingness to learn is in the path of a handful of people!)
আজকের লেখার শীর্ষক নির্বাচন খানিক বিরক্তির সাথেই করেছি!
যখন বেশ কিছু মানুষের সাথে অনেকখানি পথ চলার পরে উপলব্ধি করতে পারছি, যেকোনো অফিসে কোনো কর্মী নিয়োগের সময় তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা কেনো দেখা হয়।
এখানে একটা মস্ত বড় প্রশ্ন হলো, সুযোগ দিয়ে দীর্ঘ সময় অতিক্রম করার সময় একই বিষয় লক্ষবার বলার পরেও যখন অকারণে জানা প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি হয় তখন বুঝে নিতে হবে সেই মানুষগুলোর আসলেই না আছে শেখার আগ্রহ আর না আছে কাজের প্রতি সম্মান।
সবচাইতে বিরক্তিকর বিষয় হলো, উপরে ওঠার আশা এবং মোটা অঙ্কের লালসা ষোলো আনা আছে কিন্তু শেখানোর সময় সবকিছুকে হালকা মনে করে উড়িয়ে দেবার মনোভাব দেখতে পাওয়া যায় এখন সবচাইতে বেশি।
এর আগেও আমি আমার লেখায় উল্লেখ করেছিলাম, আমি যখন এই প্ল্যাটফর্মে সবেমাত্র লেখা শুরু করি, তখন আমাকে শেখানোর কেউ ছিলো না, আর না ছিল এই কমিউনিটির মত কোনো কমিউনিটির টিউটোরিয়াল ক্লাস!
যেখানে সঠিক মানুষ সঠিক তথ্য দিতে সহযোগিতা করবে।
আর ঠিক সেই অসুবিধা গুলোকে পাথেয় করে রাতের পর রাত জেগে অন্যের লেখা পড়ে আজকে আমি যেটুকু জানি সবটাই শেখা।
নিজে অন্য দেশের মানুষের দ্বারস্থ হয়েছি সারা রাত জেগে কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হলে।
অথচ সেই অসুবিধার সমাধান স্বরূপ কমিউনিটি তৎসহ কিছু মানুষকে দীর্ঘ সময় প্রশিক্ষণ দিয়েও কোনো সদর্থক ফলাফল পাওয়া যায় না!
কেউ ক্লাব থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন, কেউ এখন এমন বোকা প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়, শুনলে মনে হয় টিউটোরিয়াল ক্লাসে কানে তুলো গুঁজে থাকে অথবা শেখানোর সময় মন থাকে অন্য জায়গায়।
আরো অদ্ভুত বিষয় দুধরনের মানুষের উপস্থিতি এখন বেড়ে গেছে।
গতকাল একটি গল্প লিখেছিলাম অনেকটা সেই বাকপটু বন্ধুর মত, অধিক সংখ্যায় ইউজার বেড়ে গেছে এই প্ল্যাটফর্মে।
ধাক্কা দিয়ে গাড়ি বেশিক্ষণ চলে না, কাজেই যদি নিজেদের শেখার আগ্রহের চাইতে উপার্জনের, আর নিজের মতলব পূরণের আকক্ষা অধিক থাকে, তাহলে পরিণতি ওই বন্ধুর মতই হবে একদিন।
এখানে অনেকেই জানেন প্রতিদিন লিখেই লেখায় সমর্থন না পেয়ে হাল ছাড়িনি আজ পর্যন্ত, বরঞ্চ কি কারণে আমি সমর্থন বহির্ভূত থাকছি, কোন বিষয়টি আমার অজানা, আমাকে শিখতে হবে সেইদিকে আগ্রহী ছিলাম এবং এখনও আছি।
এখনকার মত তিন বছর সাত মাস আগে সাপ্তাহিক বাধা সমর্থন এই প্ল্যাটফর্মে এসে কখনোই পাই নি! তবুও না কোনোদিন শেখার ইচ্ছে কমেছে আর না লেখায় ফাঁক রেখেছি,যুক্তিপূর্ণ তথ্যবহুল কমেন্ট করে শীর্ষে থেকেছি।
আসলে কোনোকিছু সহজে পেয়ে গেলে তার মূল্য কমে যায়, সেটা কাজ শেখার বিষয় হোক অথবা সমর্থন।
এখন তাই যেটা সবচাইতে আমার মধ্যে বিরক্তির সৃষ্টি করেছে সেটা হলো শেখার সদিচ্ছা মুষ্টিমেয় মানুষের পাথেয়।
যারা এই দলভুক্ত তারা ভেবে দেখবেন, উন্নত করুন মানসিকতা নইলে উপার্জন সাথ ছেড়ে কবে চলে যাবে টের ও পাবেন না।
লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়লে হয়তো উপলব্ধি করতে পারবেন কেনো শেখার আগ্রহ আছে এমন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষদের সকলেই আগে খোঁজে।
তবে, সবকিছুর একটা ইতি তো থাকেই, এইভাবে সুদূর পথ পাড়ি দেওয়া কখনোই সম্ভব নয় এইটুকু হলফ করে পরিশেষে বলতে পারি।
কোনো কিছু যদি সহজে আমরা পাই এটার যথার্থ মূল্যায়ন আমরা করি না। আবার ব্যতিক্রমও আছে বলে আমার মনে হয়, নচেৎ কেউই সফল হতো না।
উদাহরণস্বরূপ; গত পরশুদিন আমি একজনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলাম, রাত বারোটার ও পরে যেখানে আমার কোনো স্বার্থ ছিল। বরং কেউ যেন না দেখতে পারে এজন্যই নিষেধ থাকা সত্ত্বেও ইনবক্সে জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেটার উত্তর পেলাম সর্বনিম্ন ৩৬ঘন্টা পর।🤔
কষ্ট করে কোনো কিছু অর্জন করলে সেইটার ফলাফলের মজাটাই অন্যরকম। অন্যদিকে সহজে পেলে আমাদের এতোটা ভালো অনুভূতি হয় না। কেউ কেউ এটাকে গুরুত্ব দিতেই ভুলে যায়। আমার যোগদান ২০২১ সালে হলেও কাজ সঠিকভাবে শুরু করেছিলাম ২০২২এর ডিসেম্বর মাসে, আপনার হাত ধরে। নচেৎ আজকের জায়গাটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না।
যথাযথ গাইডলাইন কতোটা গুরুত্বপূর্ণ, এটা আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি লেখা আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।🙏
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
আসলে আমাদের যদি শেখার কোন আগ্রহ না থাকে। তাহলে অনেকেই হাজার বার বলেও কোন কিছুই শেখাতে পারবে না। আর সেইসাথে আমাদেরকে অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে।
বরাবরই আপনি বলে এসেছেন আপনি যতটুকু শিখেছেন একমাত্র অন্যের পোস্ট পড়ে। এটা আমি একেবারেই বিশ্বাস করি। কেননা আপনার মত করে রাত জেগে কেউ থাকেনা, রাতের পর রাত আপনি চিন্তা করেন কিভাবে আরো একটু শেখা যায়।
অল্প বিদ্যা ভয়ংকর এমন একটা কথা আছে। এই কথাটা একেবারেই সত্য। অল্প একটু শিখে আমরা কখনোই অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো না। অবশ্যই পরিপূর্ণভাবে আমাদেরকে শিখতে হবে। আর একটা কমিউনিটি গাইডলাইন সেই সাথে একটা পরিবারের আশ্রয় থাকা, কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমি বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারি। ধন্যবাদ চমৎকার বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।
একদম সত্যি কথা বলেছেন দিদি, শেখার আগ্রহ আছে এমন মানুষকে মানুষ সবার আগে খোঁজে। যে নিজের কাজের প্রতি মনোযোগী নয় তাকে দায়িত্ব দেওয়া নিরর্থক। আপনার লেখার মাঝে জীবনের অনেক কঠিন পাঠ রয়েছে। লেখাটি পড়ে এটি আবারও শিখতে পারলাম যে, পরিশ্রম ও কাজের প্রতি সততার কোনো বিকল্প নেই। খুব ভালো লাগলো লেখাটি পড়ে।