চাঁদের পাশে অবস্থিত শুক্র গ্রহের ছবি।
প্রিয় বন্ধুরা,
রবিবারের সন্ধ্যায় সকলকে নিজের লেখায় স্বাগত জানিয়ে আজকের লেখা শুরু করছি।
আশাকরি আজকের দিনটি আপনাদের সকলের ভালো ভাবেই কেটেছে। ভারতে আজ ছুটির মেজাজে সকলের দিন অতিবাহিত হয়।
অফিস ছুটি, কাজেই সারাদিন খোশ মেজাজে সকলের দিন কাটে।
কাল থেকে আবহাওয়া একটু পরিবর্তন হয়েছে, তাপমাত্রা নিম্নমুখী, তবে জানিনা কতদিন সেটা স্থায়ী হবে।
গতকাল সন্ধ্যায় জানালা খুলে দিয়েছিলাম রাতের বেলায় কারণ বাইরে বেশ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবার কারণে ঘরের পাশাপশি পরিবেশটাও বেশ শীতলতায় ভরে গিয়েছিল।
যাক আজও সেই একই আশা নিয়ে সন্ধ্যায় জানালা খুলে একই রকম আবহাওয়া না পেলেও, আকাশের দিকে তাকিয়ে মনটা মুগ্ধ হয়ে গেলো।
চাঁদের পাশে থাকা তারার মত দেখতে শুক্র গ্রহ, স্নিগ্ধ সৌন্দর্য্য:-
একফালি চাঁদের পাশে অবস্থিত তারার মত দেখতে শুক্র গ্রহটিকে দেখে।
তবে বাস্তব কথা হলো, খালি চোখে যতটা সুন্দর লাগছিল দেখতে ছবিতে তার একাংশ আসেনি।
নানা ভাবে প্রচেষ্টা করে বুঝলাম, এই সকল ছবির জন্য আদর্শ ডিজিটাল ক্যামেরা, মোবাইল এই সকল ছবির প্রকৃত সৌন্দর্য্য তুলে ধরতে অক্ষম।
তবুও যতটুকু সম্ভব প্রচেষ্টা করেছি ছবি তোলার জানিনা আপনাদের কেমন লাগবে, সেই সাথে রাতে নিজের এলাকা কেমন দেখতে লাগে সেটাও তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি।
একটা বিষয় আমার কাছে পরিষ্কার সেটা হলো নকল সৌন্দর্য্য আর আসল সৌন্দর্য্যের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য।
যে সৌন্দর্য্যের মধ্যে আভ্যন্তরীণ মলিনতা নেই, সে যেকোনো রূপেই সুন্দর। কাজেই শহরের নকল বৈদ্যুতিক বাতির চোখ ধাঁধানো আলোর চাইতে চন্দ্রের মলিনতা আমার বেশি মন কেড়ে নিয়েছে।
সেই আলোয় একটা সিগ্ধতা আছে যেটা এই নকল সৌন্দর্য্যকে ছাপিয়ে যায়। যে আলো চোখকে নয় মনকে স্পর্শ করতে সক্ষম।
সত্যি যদি চোখে দেখা সৌন্দর্য্য তুলে ধরতে পারতাম তাহলে আপনারাও আমার সাথে নিশ্চই সহমত পোষণ করতেন।
তবে আপনারাও নিশ্চই কখনো না কখনো এই একই দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছেন?
আজকে আমার অনুভূতির সাথে একমত হবেন আসল সৌন্দর্য্য কেবল প্রাণীকুলের ক্ষেত্রে নয় প্রকৃতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
যুগ যুগ ধরে প্রকৃতি তার রূপকে ধরে রেখেছে, যেটি প্রাণীকুলের পক্ষে সম্ভব নয়, এখনও উন্নত প্রযুক্তি সেটা ধরে রাখতে সক্ষম হয়ে ওঠেনি।
লেখার অন্তিম পর্বে তাই বলতে চাই, বেঁচে থাক প্রকৃতির এই অমলিন সৌন্দর্য্য আরো কয়েক যুগ ধরে, প্রাণীকুলের উন্নতি যেনো এই সৌন্দর্য্যের উপরে আর বিশেষ প্রভাব না ফেলতে পারে এই কামনা করি।
উন্নত প্রযুক্তির সাথে উন্নত মানসিকতা দিয়ে আগলে রাখার চেষ্টায় ব্রতী হোক আগামী প্রজন্ম।
সুস্থ্ ভাবে বাঁচুক মানুষ সহ সকল প্রাণীকুল, প্রকৃতিকে রক্ষার মাধ্যমে।
নকলের মাঝে আসল যেনো কখনোই চাপা পড়ে না যায়। আগত দিনগুলি সকলের মঙ্গলময় হোক এই বার্তা জানিয়ে আজকের লেখা শেষ করলাম।
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
আপনার প্রচেষ্টা দেখেই আমি সন্তুষ্ট,,, কারণ আপনি খুব সুন্দর ভাবেই আমাদের দেখানোর চেষ্টা করেছেন। চাঁদের পাশের ওই গ্রহের অস্তিত্ব,,, বিশেষ করে আমি এটা দেখেছিলাম প্রথম রমজানে।
যেদিন রমজানের চাঁদ উঠেছিল। সেদিন আমি যখন রমজানের চাঁদ দেখার জন্য,, ছাদে গিয়েছিলাম।তখন এই চাঁদের সাথে গ্রহটাকে দেখেছিলাম। অনেকটা অবাক হয়েছিলাম।
একদমই ঠিক বলেছেন,,,খালি চোখে যতটা সুন্দর দেখা যায়। ক্যামেরায় বন্দি করলে,,, ততটা সুন্দর আসে না। বিশেষ করে ডিজিটাল ক্যামেরাগুলো ছাড়া এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য,,, তেমন একটা ভালো ওঠে না বললেই চলে।
প্রকৃতি আমাদেরকে প্রত্যেকদিন নতুন এক রূপ ধারণ করে,,,, উপহার দিচ্ছে নতুন নতুন সৌন্দর্য।আমরা আমাদের প্রকৃতির কাছ থেকে,,, অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করি,,, আজকে আপনি আপনার পোস্টে তেমনই একটা মূল্যবান দৃশ্যের,,, কথা তুলে ধরেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কিছু কথা মাঝে,,, সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা,,,, ভালো থাকবেন।
#miwcc
ধন্যবাদ দিদি আপনাকে এই সুন্দর মহুর্তটি মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ধারন করার জন্য এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনি ঠিক বলেছেন মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে এত দুরের ফটো তেমন ভালো আসে না। ডিজিটাল ক্যামেরা হলে হয়তো আরো ভালো হতো।
দিদি আমিও এই সুন্দর মহুর্তের স্বাক্ষী হয়েছি সেদিন। আমাদের বাংলাদেশের আকাশ সেদিন পরিস্কার ছিল। স্পষ্ট সব কিছু দেখা যাচ্ছিলো। আমিও বসে বসে চাঁদ ও শুক্র গ্রহের এই সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম।
দুর্ভাগ্যবশত ফোন দিয়ে ক্যামেরা বন্দি করতে পারিনি।
যাই হোক দিদি আপনার এই সৌন্দর্য উপভোগ আমার কাছে দারুন লেগেছে। এমন কিছু প্রতিনিয়ত আমাদের কাছে তুলে ধরবেন এই আশা ব্যক্ত করছি। ধন্যবাদ দিদি।
#miwcc