চোখের সামনে কি আছে সেটা বড়ো কথা নয়, আপনি কিভাবে দেখছেন সেটাই বড়ো কথা।
প্রিয় বন্ধুরা,
সকলকে রবিবাসরীয় শুভেচ্ছা, যদিও এই লেখা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবার আগে ভারতীয় সময় অনুসারে দিনটি পূর্বেই অতিবাহিত হয়ে গেছে।
তবুও যখন লিখতে বসেছিলাম দিনের কিছু অংশ বাকি ছিল। কাজেই শুরুটা ধরেই এগোনো শ্রেয় বলে মনে হলো।
আজকে আমার লেখার শীর্ষকটি অনেকের বোধগম্য নাও হতে পারে কারণ একদিকে শরীরের একটি অঙ্গকে উল্লেখ করে দুটি বার্তা দেবার প্রয়াস করেছি।
সেক্ষেত্রে কেউ কেউ ভাবতেই পারেন চোখের সামনে যা থাকে সেটাই তো দেখবো, তার মধ্যে আবার আলাদা করে কি দেখার আছে!
|
---|
ধরুন আপনার বাড়িতে আসা অতিথির সামনে একটি কাঁচের গ্লাসে আপনার পরিবারের কোনো এক সদস্য গ্লাস ভর্তি জল পান করতে দিলো সেই অতিথিকে;
এবার যাকে সেটা পান করবার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছিল সে, অর্ধেক জল পান করবার পরে গ্লাসটি যথাস্থানে রেখে দিল।
এখন কেউ চোখের সামনে এটা দেখতে পারেন গ্লাসটি অর্ধেক খালি, আবার কেউ দেখতে পারেন গ্লাসটি অর্ধেক ভর্তি(দুটোই সত্যি, কিন্তু দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পৃথক)।
তাহলে বিষয়টি কি দাড়ালো?
চোখের সামনে কি আছে সেটা বড়ো কথা নয়, আপনি কিভাবে দেখছেন সেটাই বড়ো কথা।
যেকোনো বিষয় বা জিনিসের প্রতি দেখার দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের আর সবার থেকে পৃথক করে।
সত্যি বা মিথ্যে সে সব বিতর্কে আমার যাবার নেই, তবে আমাকে যদি ঐ কাঁচের গ্লাসের দিকে তাকিয়ে কেউ প্রশ্ন করে আমি কি দেখতে পাচ্ছি?
আমার উত্তর হবে গ্লাসটি অর্ধেক পূর্ণ, এটা কোথাও না কোথাও তেষ্টা মেটাবার আস্থা যোগায়।
যেকোনো বিষয়ের ক্ষেত্রে ইতিবাচক
মনভাবাপন্ন, মানসিকতা থাকা উচিত। খারাপ সময় আমরা কেবল সেই সময়ের খারাপ মুহূর্ত গুলোকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকি;
কিন্তু যদি তার থেকে পাওয়া শিক্ষায় নজর রেখে সমাধানের দিকে চোখ রাখা যায় তাহলে কিন্তু উপায় একটা বেরিয়েই আসে।
কারোর জন্য কোনো মুহূর্ত এমনি এমনি আসে না, হয় ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে আসে, আর নয়তো কোনো শিক্ষা দিতে আসে।
(সৌভাগ্য করে মানবজীবন পাওয়া যায়, প্রতিটি মুহূর্তকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করা উচিত) |
---|
সদর্থক মনোভাব আমাদের পথ প্রশস্ত করে, কাজেই সেটার জন্য দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর প্রয়োজন আছে।
সময় যেমন স্থির নয়, তেমনি পরিস্থিতিও, তবে কোনো কিছুর চুলচেরা বিচার করতে হলে তৎক্ষণাৎ না করে সময় নিয়ে, সুযোগ দিয়ে করা উচিত।
এতে ভুলের সম্ভনার সাথে ক্ষতির সম্ভবনা অনেকখানি কমে যায়, এটা আমার একান্তই নিজস্ব মতামত কাজেই অনেকেই সহমত পোষণ নাও করতে পারেন।
কাউকে সুযোগ না দিয়ে তৎক্ষণাৎ বড়ো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া মনোভাব বা মাথা গরম করে সিদ্ধান্ত নিলে তার ফলাফল হিতকর হয় না।
দৃষ্টিভঙ্গি, সময় আর ধৈর্য্য এই তিনটি জিনিসকে গুরুত্ব দিয়ে অবশ্যই বিচার করা উচিত কোনো বিষয়কে মূল্যায়নের পূর্বে।
যেটা আমার চোখে দৃষ্টিকটু সেটা অন্যের চোখে নাও হতে পারে, আমাদের বেড়ে ওঠা আলাদা পরিবার এবং পরিবেশে।
সেইজন্য কোনো বিষয়ের প্রতি দেখার এবং বিচার করবার মনোভাবও আলাদা আলাদা।
তাই বলে নিজের বিচার সবসময় সঠিক আর অন্য মানুষের বিচার সর্বদাই বেঠিক এটা ভাবাও অযৌক্তিক।
কারোর ক্ষতি করতে কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হয় না, কিন্তু কারোর উপকার বা সহায়তা করার সুযোগ এবং ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা খুব কম মানুষকে দিয়ে থাকেন।
যদি কখনো সেই সুযোগ আসে, তাহলে তাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার দায়িত্ব থাকে সেই মানুষগুলোর উপরেই।
অবশেষে তাই বলবো ইন্দ্রিয় কেবল আপৎকালীন বিষয়কে নির্দেশনা করে না, তার আড়ালে থাকে সেই ইন্দ্রিয়ের যথাযথ প্রয়োগ।
আজ এই পর্যন্তই এসে আমার লেখা শেষ করলাম, আশাকরি ভেবে দেখবেন আমার কথার যৌতিকতাগুলো।
ভালো থাকুন সবসময় এই কামনা করি।
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
আপনি একদমই ঠিক বলেছেন, আমরা আমাদের খারাপ সময় গুলোকে এমনভাবে গ্রহণ করি। যেন আমাদের জীবনে আর কখনোই, ভালো সময় আসবে না।
আমরা বারবার ওই সময়ের খারাপ সেই দিকগুলো নিয়ে বিবেচনা করি। কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই সেই খারাপ সময় গুলো থেকে, শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। এবং সমাধানের পথ খুঁজে বের করা উচিত।
আমি আপনার এই ব্যক্তিগত মতামতের সাথে একদমই একমত পোষণ করছি। কারণ আমরা যখন কোন কিছু বিচার করব, তাৎক্ষণিকভাবে যখন আমরা বিচার করি। তখন কিন্তু সেই জিনিস টায় অনেক সময় ভুল বেশি হয়ে যায়। তাই আমাদেরকে সময় নিয়ে, যেকোনো জিনিসের বিচার করা উচিত।
১০০% সত্যি কথা বলেছেন আপনি, কারোর উপকার করার ক্ষমতা সবার থাকে না। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে দেয় ও না। আবার কারো ক্ষতি করার জন্য,আমাদের যোগ্যতার কোন প্রয়োজন হয় না।
আসলেই আপনার প্রত্যেকটা কথার, প্রত্যেকটা শব্দের মধ্যে অন্যরকম এক অনুভূতি আছে। যেটা আমি আপনার পোস্ট করে বুঝতে পারলাম। আপনার পোস্ট থেকে শিক্ষনীয় অনেক কিছু আছে। এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেই, আমি আমার ভবিষ্যৎ জীবনে পা বাড়াতে চাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনাকে এত সুন্দর একটা শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ভাল থাকবেন।
#miwcc
দৃষ্টিভঙ্গি কারো কারো খারাপ ভালো মিলিয়ে মিলিত হয় ৷ আসলে এগুলো আমাদের পরিবর্তন করা উচিত ৷ খারাপ দৃষ্টিভঙ্গি তে না তাকিয়ে সাধারন ভাবে দেখা উচিত এটাই মূলত সঠিক বিচার ৷
আপনার পোস্ট টি পরে যা বুঝলাম হয়তো সব গুলোর মানে জানি না তবে যেটুকু জানলাম কিছু টা হলেও আমি শিক্ষনীয় কিছু অর্জন করলাম ৷
ধন্যবাদ আপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য ৷
#miwcc
চোখের সামনে যা থাকে মানুষ তাই তো দেখতে পায় কিন্তু এর মধ্যেও দেখার কম বেশি রয়েছে যা আপনি ছোট্ট একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন।
কেউ হয়তো বা দেখবে অর্ধেক ফাঁকা রয়েছে আবার কেউ দেখবে অর্ধেক ভর্তি রয়েছে। এটাই হচ্ছে দেখার কম বেশি। এটাই হলো দেখার কম বেশি মনোভাবের প্রকাশ।
খারাপ সময় গুলোকে কেউ নিতে পারেনা ভাবে এটা আমার জন্য খারাপ সময়। কিন্তু সে যদি সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তাহলেই হয়। এখানেও দেখা যায় চিন্তাধারার দুই রকম বহিঃপ্রকাশ।
দৃষ্টিভঙ্গি সময় ও ধৈর্যের সহিত অতিবাহিত করা এবং বিচার করা।
#miwcc
I enjoyed reading the post. A very nice post. Well written. Best wishes to you. I would like to contact you. I would be happy if you give the discord link. If you have no problem. thank you
Meraindia discord link
You can join our community discord and also share your post inside the community by following our rules.
Can I post to this community? What types of posts can be made in this community? It would be very helpful if I could know the details. thank you
Please join discord and clear all doubts from our moderators
Okk... thank you