Better Life With Steem | The Diary game | 22, may |
সকাল |
---|
চোখ খুলেই পর্দার ফূর্তি দিয়ে চোখ পরলো বাইরের দিকে দেখে মনে হলো বৃষ্টি হচ্ছে।গতকাল বারান্দায় শুকাতে দেয়া কাপড়গুলো কিছুটা ভেজা ভেজা থাকার কারনে আর ঘরে আনা হয় নাই। তাই আকাশ এর দিকে চোখ পরতেই প্রথম কথাটা মনে হলো যে বৃষ্টি নামলো কাপড়গুলো ভিজবে।উঠে বারান্দার কাপড়গুলো নিয়ে আসি ভাবতেই দেখি হাসবেন্ড উঠে পরেছে। তাই তাকেই বললাম কাপড়গুলি বাইরে থেকে যেন নিয়ে আসে।
তারপর আবারো ঘুমিয়ে পরেছিলাম। দ্বিতীয়বার ঘুম থেকে উঠে দেখি মোটেও বৃষ্টি হয় নাই বরং রোদ উঠে গেছে।
ওই দিকে বড় ছেলেও উঠে গেছে। ছেলে নাস্তা বানাতে নিষেধ করলো কারন ওরা দুজনে এখন ওর বড় ফুপির বাড়িতে যেয়ে তাকে নিয়ে আর নারায়ণগঞ্জ থেকে আমার ভাসুর এবং তার ছেলেকে নিয়ে গ্রামে যাবে।
আমি যাব কিনা সেটাও জিজ্ঞেস করলো দুজনেই। আমার যেতে কিছুটা লোভ লাগলেও ছোট ছেলেটা অসুস্থ তাই পিছিয়ে গেলাম।
ওরা চলে গেল ৮ টার দিকে। ওরা চলে যাওয়ার পরে বারান্দায় গিয়ে ফুলগাছগুলোকে পানি দিলাম কারন গতকালকেও পানি দেয়া হয় নাই। রুয়েলিয়া ফুল ফুটেছে আজকে নতুন গাছটাতে।
কয়েকদিন আগে টবে মিষ্টি কুমড়োর বীজ লাগিয়েছিলাম।দেখলাম একই টবে অনেকগুলো গাছ গজিয়েছে। এতগুলো গাছ একটা টবে হবে না সেটা জানি তারপরও রেখে দিবো। টবে পানি দিয়ে যেয়ে পাখিকেও পানি দিলাম। পাখিগুলো কি যে খায়, পানিগুলোকে এত নোংরা করে। আজকে যেয়ে দেখি নোংরা গন্ধ আসতেছে।
ফ্রিজে রুটি বানানো ছিলো তাই আর নাস্তা বানানো নিয়ে চিন্তা করি নাই। দুপুর এর রান্নাও শেষ করে ফেললাম এরই মাঝে।
দুপুর |
---|
এরই মাঝে আবারও আকাশ মেঘলা হয়ে আসলো।
দেখে মনটা আবারও ভালো হয়ে গেল বৃষ্টি হবে ভেবে কিন্তু আবারও চলে গেল। আজকে নিউজে দেখলাম যে, বাংলাদেশ ও ভারতে ২৬ তারিখ এর পরে আরেকটা ঘূর্ণিঝড় এর সৃষ্টি হতে পারে। কারন বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য যে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হয় সেগুলোই হচ্ছে।
এরই মাঝে ছেলে হুয়াটস এপে ছবি পাঠালো , আমার শশুড় বাড়ির পেছন দিয়ে খাল চলে গেছে একটা যেটা পদ্মার সাথে সরাসরি যুক্ত সেই খাল থেকে জাল দিয়ে একটা মাছ ধরেছে সেটার ছবি পাঠিয়েছে।
ও কাছ থেকে এভাবে এত বড় মাছ কখনোই ধরতে দেখে নাই। যার কারনে ওর অনেক বেশি উৎসাহ। একটু পর পরই আমাকে ছবি পাঠাতে থাকলো।আমাকে বললো যে, এই মাছটার একটা অংশ নিয়ে আসতেছে।
দুপুরে আমি এবং আমার ছোট ছেলে একসাথেই খেয়ে নিলাম।একটু পরেই ভাইয়ের ছেলে আসলো। ওই সময়ই দেখলাম যে, কিউরেটর ওয়ান এর ভোট পেয়েছি আমি।আগে আসলে এত বড় ভোট কখনো পাই নাই আমি। ভোট পাওয়ার কথা শুনে আমার ছেলে আর ভাইয়ের ছেলে দুজনেই ট্টিট চাইলো আমার কাছে এজন্য দুজনকেই বার্গার খাওয়ালাম সিপি থেকে।
রাত |
---|
রাতে শুধু ভাত রান্না করেছিলাম। আমার টিউটোরিয়াল ক্লাস চলাকালীন সময়ে বড় ছেলে আর ওর বাবা বাসায় ফিরলো। মাঠা আর গ্লাসের দই এনে দিয়ে গেল আমার ছেলে।এই গ্লাসের দইটা আমার ছোট ছেলে পছন্দ করে। আমি অবশ্য দই
খাই নাই, মাঠা খেয়েছিলাম সামান্য ক্লাস চলাকালীন সময়েই।
ক্লাস শেষ করে দেখি মাছের সাথে কাসুন্দি, হলুদ, মরিচ এর গুড়ো, ডাব, আর সবজি নিয়ে এসেছে গ্রাম থেকে। মাছ ওরা আগেই ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিলো তাই সেটাকে আর আমার কিছু করতে হয় নাই। সবজিগুলোকে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখলাম।তবে সবচেয়ে অবাক হলাম সবজির দাম শুনে, এত কম গ্রামে সব কিছু।
ডায়েরি গেম লেখা শুরু করেছিলাম আগেই , সেটাকে শেষ করতে বসলাম এগুলো সব ঠিকঠাক ভাবে রেখে।
আর এভাবেই আজকের দিনটা শেষ হলো।
মোটামুটি বলা যায় আজকের দিনটি আপনার বেশ ভালোই কেটেছে। কেননা কিউরেটরের ভোট পেয়ে আপনি অনেক বেশি খুশি হয়েছেন। যার কারণে আপনার ভাইয়ের ছেলে এবং আপনার ছেলেকে ট্রিট দিতে হয়েছে। আসলে এই ধরনের মাছ একমাত্র গ্রামে পাওয়া যায়। কিছুদিন আগে আমাদের পুকুরে ও পাওয়া গিয়েছে, এই মাছগুলো খেতে অনেক বেশি স্বাদ। আশা করি আপনিও সেই স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ঠিকই বলেছেন যে, পুকুরেও এমন মাছ হয়।আমাদের পুকুরেও একবার ২/৩টা চিতল ও ২টা বোয়াল মাছি হয়েছিল। কোন মতেই ধরতে পারতেছিলো না জাল ছিড়ে বের হয়ে যেত আবার ওইদিকে পুকুর এর বাকি মাছদেরকেও খেয়ে শেষ করে ফেলতেছিলো।
বেশ কয়েকবার চেষ্টার পরা ধরা পরেছিলো।
পুকুরের টাটকা মাছও খেতে খুব ভালো হয় তবে নদীর মাছ এর স্বাদ আরো বেশি । এই খাল পদ্মার সাথে যুক্ত থাাকর কারনে পদ্মা থেকেই এসেছে বলে সবার ধারণা।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময়ই এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আবহাওয়ার কথা তো বলাই যায় না এই রোদ এই বৃষ্টি। গ্রামের খালে পুকুরে মাছের অনেক টেস্ট কারণ প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে থাকে। কোন প্রকার বাহিরের দেওয়া হয় না। কিউরেটর ওয়ান থেকে ভৌট পেয়েছেন এবংছেলেকে ট্রিট দিলেন বার্গার খাওয়ালেন। শুধু ছেলেকে দিলেই হবে না আমরাও কিন্তু আছি। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
আমাদের এখানে এই বৃষ্টি হয় না, শুধুমাত্র এই রোদ না হয় এই মেঘলা আকাশ।বৃষ্টি যা হচ্ছে সব মনে হয় ঢাকারই আশপাশ দিয়ে হচ্ছে। বৃষ্টি শত্রুতা শুরু করেছে আমাদের সাথে।
অবশ্যই, কিউরেটর ওয়ানের ভোট পাওয়ার জন্য আপনাদেরও ট্রিট দেবো চলে আসেন, বার্গার খাওয়াবো সবাইকে।
ঠিকই বলেছেন এগুলো পালা মাছ না হওয়ার কারনে এই মাছের স্বাদই হয় অন্য রকম।তবে গতকাল আমার দেবর,ননাস, ভাসুররা গ্রামে যাওয়ার কারনে ভাগে মাত্র ছয় পিস মাছ পেয়েছি আমি।😀
তবে কম খেলেও সবাই খাচ্ছি এটাই সবচেয়ে বড় কথা।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা বানানোর ঝামেলা পোহাতে হয়নি। এদিকে আপনার ছেলে তার ফুফুর বাড়িতে গিয়ে তার ফুফুকে নিয়ে এবং আপনার ভাসুর এবং ওনার ছেলেকে নিয়ে গ্রামে যাবে।
আপনাকেও যেতে বলেছিল কিন্তু ছোট ছেলে অসুস্থ থাকার কারণে যেতে পারেননি।
বর্তমানে আবহাওয়ার কথা তো বলাই যাচ্ছে না। দেখা যায় রোদ আবার হঠাৎ করে বৃষ্টি চলে আসে।
আপনাদের গ্রামে শ্বশুরবাড়ির পিছনের খাল থেকে দেখলাম অনেক বড় মাছ ধরেছে। সত্যি মাছটি অনেক বড় ছিল।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আগে এমন কোন দিন ছিলো না যে নাস্তা বানাতে হতো না। কিন্তু এখন প্রার দিনই বাচ্চারা নাশতা না করার জন্য বানাতে গিয়েও ঘুরে আসি।
সব জায়গাতে বৃষ্টি হলেও আমাদের এলাকাতে বৃষ্টি হতে দেখতেছি না।
খালে ধরা মাছটা আসলেই বেশ বড় ছিলো। সবাই মিলে গ্রামে গিয়ে ভালোই হয়েছিল।সবাই মাছ পেয়েছে গতকাল। আমিও পেয়েছি কয়েকটুকরা।মাছ বেশ বড় হলেও গতকাল মছের চেয়ে মানুষ বেশি হয়ে গেছে।
চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আবহাওয়ার কথা আমরা কখনো কেউ বলতে পারব না সঠিক ভাবে, সৃষ্টিকর্তা কখন মেঘলা আকাশ করে রাখে এবং কখন রোদ উজ্জ্বল করে দেন শুধু তিনিই বলতে পারেন।
আপনার পুরো পরিবারের সদস্য গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে আপনাকেও নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল আপনার যাওয়ার অনেক ইচ্ছা ছিল কিন্তু আপনার ছোট ছেলে অসুস্থ থাকার কারণে আপনার যাওয়া হলো না।
আসলে এমন ত্যাগ শুধু একজন মা করতে পারে সন্তান অসুস্থ থাকলে মা কখনো অন্য জায়গায় গিয়ে আনন্দ ভাবে দিন পার করতে পারে না। সন্তান যদি দূরে থাকে এবং মায়ের কাছে যদি সংবাদ যায় সন্তান অসুস্থ আছে অন্য মানুষ দিনে একবারও খোঁজ না নিলেও মা কিন্তু ঠিক খোঁজ নিয়ে থাকে।
আপনার ছোট ছেলে খুবই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করি এবং সারা দিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন যে, একজন মা তার সন্তানের জন্য যেভাবে ত্যাগ স্বিকার করতে পারে সেটা অন্য কেউ পারে না।
আমার মা'ও যতদিন সুস্থ ছিলো ততদিন খোজ রাখতো আমার।মাকে হারালো বোঝা যায় যে কি হারিয়েছি।যতদিন থাকে ততদিন বোঝা যায় না।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার ছোট ছেলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। মাছটা কিন্তু যথেষ্ট বড়, সামনে থেকে এত বড় মাছ ধরতে আমিও কখনো দেখিনি। কিউরেটর ওয়ান এর ভোট আমিও প্রথমবার পেয়েছিলাম দুই সপ্তাহ আগে তাও অ্যাডমিন ম্যামের সৌজন্যে। আমার আবার শ্বশুরবাড়ি গ্রামে হলেও ওখানে দেখেছি সব জিনিসের দাম কলকাতার থেকে বেশ কিছুটা বেশি।
আমিও এত বড় মাছ সামনে থেকে কখনো ধরতে দেখি নাই।আমার শশুড় বাড়ির এলাকাতে শাকসবজির দাম কম বাকি সব কিছুর দাম ঢাকার তুলনায় বেশিই বলা যায়। বিশেষ করে মাছ এর দাম।
তবে পদ্মার কাছাকাছি হবার কারনে দাম বেশি হলেও এই এলাকার মাছের টেস্ট অনেক বেশি।
আমি দেখেছিলাম আপনি ভোট পেয়েছিলেন। তবে সেটা এডমিন ম্যামের সৌজন্যে ছিলো এটা জানতাম না।
তাহলেতো এডমিন ম্যাম একটা বাড়তি ধন্যবাদ প্রাপ্য আপনার কাছ থেকে।
সত্যিই অবাক হলাম এত বড় মাছ দেখে। আমি সরাসরি এত বড় মাছ কখনও দেখিনি। মাছটা সত্যিই বিশাল। আমিও খবরে দেখলাম যে কয়েকদিনের মধ্যে ঝড় উঠবে। ঝড়ের কথা শুনলেই বুকটা যেন কেঁপে ওঠে। আপনি প্রথম কিউরেটর ১ এর ভোট পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো, অভিনন্দন আপনাকে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সবার কাছে শুনলাম যে, এই মাছটা খুব সম্ভবত ডিম কিংবা বাচ্চা তুলেছে। কারন খালের ঐ নির্দিষ্ট একটা অংশেই নাকি দেখা যাচ্ছিল।যখন ওপরের দিকে আসতো তখন নাকি লেজ দেখা যেত। দূরে কোথাও যাচ্ছে না।এরকম আরও ২/৩ টা নাকি দেখা যাচ্ছে।কদিন থেকেই জাল দিয়ে ধরার চেষ্টা করতেছিলো কিন্তু বার বার জাল ছিড়ে বের হয়ে যাচ্ছিলো।
গতকাল এই দলের মাঝে থেকে একটাকে ধরতে পেরেছে।
আমি কিউরেটর ওয়ান এর ভোট প্রথমবার পেলাম।আসলে এর আগে একবারই বড়ো ভোট পেয়েছিলাম কিন্তু সেটা এত বড় না, তাই আনন্দতো লাগবেই।
অভিনন্দন জানানোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়।