স্বর্ণের ডিম পাড়া মুরগির গল্প
কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই অনেক বেশি ভালো আছেন। তো আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটা স্বর্ণের ডিম পাড়া মুরগি সম্পর্কে আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
এক গ্রামে ছিল এক বুড়িমা সে প্রচুর পরিমাণে গরীব ছিল যেটা হয়তো বলে বোঝানো যাবে না যে সে কতটা পরিমাণে গরীব ছিল। সে ভিক্ষা করে খাওয়া দাওয়া করত এবং সে যদি একদিন ভিক্ষা করতে না যেত তাহলে তার সেদিন খাওয়া হত না।
এতটাই গরিব ছিল সেই বুড়িমাটা সেবিকা করার টাকা দিয়ে একটি মুরগি কেনে বেশ কিছুদিন খেলে মুরগিটা খুব সুন্দরভাবে বড় হয়ে যায়।এবং যখন মুরগিটা ডিম পাড়ার মতন হয় তখন বুড়িমা বুঝতে পারে যে এখন মুরগিটা ডিম পাড়ার মতন হয়েছে এবং এখন এই মুরগিটা ডিম পারবে।
এর কারণে বুড়িমা প্রতিদিনই মুরগিটাকে একটি খাঁচার ভিতর বন্দী করে রাখবো এবং প্রতিদিনই একটি করে ডিম দিত হঠাৎ করে একদিন বুড়ি মার চোখ গেল যে এই মুরগিটি যে ডিম গুলো দেয় সেগুলো সোনালী কালার।
বুড়িমা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিল না যে এই ডিম গুলো সোনালী কালারের কিসের জন্য এর কারনে ।বুড়িমা একদিন একটি ডিম নিয়ে ।একটি দোকানে গেল দোকানে যাওয়ার পরে দোকানদারকে বলল যে আমার এই ডিমটা আপনি একটু দেখেন এই দিনটার কালার সোনালী কালারের কিসের জন্য।
পরে দোকানদার খুব ভালোভাবে দেখেশুনে বলল যে বুড়িমা আপনার এই ডিমটা স্বর্ণের ডিম তখন তো।বুড়িমা আচার্য হয়ে গেল যে হঠাৎ করে আমি কি পেলাম এবং আমার এই মুরগি স্বর্ণের ডিম দিতেছে সেটা বুড়িমা খুবই আনন্দিত হয়ে যায়।
এবং ওই স্বর্ণের ডিম বুড়িমা ধীরে ধীরে বেচাকেনা করতে থাকে বেচাকেনা করার ফলে বুড়িমার ভিক্ষা করা আর লাগেনা।সে প্রতিদিন একটি করে ডিম বিক্রি করে। এবং দুই তিন দিন ধরে খাওয়া দাওয়া করে।এভাবেই বুড়িমা খুব সহজে চলতে লাগলো। ওদিকে মুরগিটা প্রতিদিনই একটি করে স্বর্ণের ডিম দিতে থাকলো।
এবং আস্তে আস্তে বুড়িমার অবস্থা পুরাই পরিবর্তন হয়ে যায় এবং বুড়িমা অনেক টাকা পয়সার মালিক হয়ে যায় ঘরবাড়ি সবকিছু বুড়িমার হয়ে যায় গ্রামের ভিতরে বুড়িমা অনেক নাম করনীয় একজন লোক হয়ে যায় এবং তার টাকা পয়সার অভাব থাকে না।এত পরিমাণে টাকা পয়সা হয়ে গেছিল বুড়িমা যেটা হয়তো গ্রামের মানুষ কখনোই বুঝে উঠতে পারি নাই যে এই টাকা পয়সা কিভাবে হল।
বুড়িমা প্রতিদিনই একটি করে ডিম বেচাকেনা পড়তো এবং এভাবেই সে খুব সুন্দর হবে চলাফেরা করতে পারত তার আর অন্যের কাছে গিয়ে হাত পাড়তে হতো না যে আমাকে কিছু টাকা দাও আমি খাব এমন কিছু আর করতে হতো না। বুড়িমার পুরো কপাল খুলে যায় কেননা সে যে মুরগিতে কিনেছিল সেটা ছিল আসলে স্বর্ণের ডিম পাড়া মুরগি।
বেশ কিছুদিন যাওয়ার পরে বুড়িমার মাথায় একটি ভূত চেপে বসে যে আমি একসাথে সবগুলো স্বর্ণের ডিম নিয়ে নেব। এর কারণে হঠাৎ করে একদিন বুড়িমা মুরগি ধরল এবং মুরগিটি জবাই করে দিল শুধুমাত্র স্বর্ণের ডিমের লোভের আশায় পরে মুরগিতেই যখন জবাই করে দিল তখন পেটের ভিতরে দেখে কোন ডিম সে পায় নাই।
তখন বুড়িমাটা হায় হায় করে কাঁদতে থাকো যে আমি কি করলাম এটা আমার স্বর্ণের ডিম পাড়া মুরগিটাকে আমি এভাবে মেরে ফেললাম আসলে যে যত বেশি লোক করে তার তত বেশি ক্ষতি হয় অতি লোভে তাঁতি নষ্ট কথায় আছে।
Src
বুড়িমাটা যেভাবে মুরগিটির স্বর্ণের ডিম দিতে ছিল ওইভাবে যদি বুড়িমাটা নিতে থাকতো তাহলে বুড়িমার হয়তো আর কোনদিন পিছনে ফিরে তাকাতে হতো না কিন্তু বুড়িমা সেটা করে নাই সেই অ্যাকশান চেয়ে সব টিম পাওয়ার আশায় মুরগিটাকে মেরে ফেলল।
আসলে আমাদের এটা করা কখনোই ঠিক না যে আপনি একটি জিনিস পেয়েছেন তাই বলে আরও বেশি লোক করবে এটা কখনো ঠিক না আপনি যতটুকু পেয়েছেন ততটুকু নিয়ে খুশি থাকা উচিত।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি স্বর্ণের ডিম পাড়া মুরগি সম্পর্কে গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দেবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের জীবনে আমরা অতিরিক্ত লোভ করি বলে আমরা সবসময় যেটা পাই সেটা জিনিসটা হারিয়ে ফেলে ঠিক বুড়ি মার ক্ষেত্রে সেই জিনিসটা হয়েছে সে অতিরিক্ত লোক করেছিলো বলে আজ তার সবকিছু হারাতে হলো।
খুব সুন্দর একটি লেখা আজ আপনি আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন যেটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো এবং এখান থেকে অনেক কিছু শিক্ষা আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে আমরা পারবো।
ধন্যবাদ।
আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত! যা পাচ্ছি, যা পেয়েছি, সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা! কারণ "লোভে পাপ পাপে মৃত্যু" এমন একটা কথা আছে! তাই অতিরিক্ত লোভ করার কোন মানুষেরই উচিত নয়।
আপনার গল্পের বুড়িমা যদি,, প্রত্যেকদিন একটা একটা ডিম পেয়ে সন্তুষ্ট থাকত! তাহলে হয়তোবা সে আরো অনেক বড়লোক হত! অতিরিক্ত লোভের আশায়,,, সে তার মূল সম্পদটাই হারিয়ে ফেলল।
আপনার গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো! এই গল্পটা থেকে আমাদের প্রত্যেকেরই শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন!
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি আমাকে এত সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন।
ছোটবেলায় এই গল্পটি পড়েছিলাম রাঁজহাঁসের ঠিক এই মুরগীর মতই ৷ তবে এই গল্পে একটি কথাই প্রকাশ পেয়েছে অতি লোভে তাতি নষ্ট ৷ আর বিশেষ করে এই গল্প থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া দরকার যে কোন ভাবেই অতিরিক্ত লোভ করা যাবে না ৷
যাই হোক ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।