বাবার বিরিয়ানি রিভিউ
কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন আমি আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব।
Src
নাটক | বাবার বিরিয়ানি |
---|---|
পরিচালক | শুভ |
অভিনয় | তৌসিফ মাহাবুব , ফজলুর রহমান বাবু, শিরিন আলম,রাজু খান,সুমি, ইত্যাদি জনেরা। |
সময় | ৪৬ মিনিট ৮ সেকেন্ড |
তো আজকে আমি যখন এই নাটকটি দেখছিলাম তখন আমার কাছে অনেকটাই ভালো লাগছিল, এই নাটকটি সর্বপ্রথমে আমি নাটকটি খুব একটা বুঝে উঠতে পারি নাই কিন্তু যখন নাটকটির পুরো মনোযোগ সহকারে দেখলাম তখন নাটকটি থেকে আমি কিছু বুঝলাম।
এই নাটকে মূল কাহিনী ছিল একজন সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা সে যখন অবসরে চলে যায় তারপরে তার অবস্থা কেমন হয় সেটা ব্যাংক কর্মকর্তা যখন অবসরে চলে যায়।তখন তার একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে থাকে ছেলেমেয়ে দুজনই ভালো চাকরি করে এবং বাবা-মা থেকে অনেক দূরে থাকে।
কাছে থাকতে বলতে থাকে শুধুমাত্র সেই ব্যাংক কর্মকর্তার ভাতিজা সে ভাতিজা তাকে প্রচুর পরিমাণে ভালোবাসে এবং তাদেরকে ছেড়ে কোন জায়গায় না যাওয়া চিন্তাভাবনা করে।ছোটবেলা থেকেই চাচার কাছে বড় হয়েছে এর কারনে চাপা দে ছেড়ে কোন জায়গায় যেতে চায় না চাচাদের বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করছিল।
চাচা যখন অবসরে চলে যায় তখন তার বাসার অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না যখন পেনশনের টাকা পেয়েছিল তখন ছেলে মেয়েরা এসে বাবাকে বুঝিয়ে পেনশনের টাকা নিয়ে চলে যায় হঠাৎ করে একদিন সে ছেলে মেয়ের মা অসুস্থ হয়ে যায় এবং হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখানে ডক্টর বলে তাকে অপারেশন করা লাগবে,কিন্তু অনেক টাকার প্রয়োজন।
এমন সময় ছেলে মেয়ের বাবা ছেলেমেয়েদের কাছে ফোন দেয় কিন্তু ছেলে মেয়েরা ফোন রিসিভ করে না তার পরের দিন ছেলে মেয়েরা হাসপাতালে আসে এবং তাদের বাবা বলে।
যে তোমার মা অনেকটাই অসুস্থ তাকে অপারেশন করতে টাকার প্রয়োজন ,তোমরা তোমার মায়ের চিকিৎসা টাকাটা দিয়ে দাও ছেলেমেয়েরা বল কত টাকার প্রয়োজন মায়ের অপারেশন করার জন্য বাবা বলল বেশি টাকা না মাত্র চার লক্ষ টাকা লাগবে।তোমার মায়ের অপারেশন করার জন্য তোমাদের কাছে তো আছে তোমরা দিয়ে দাও তোমরা তো আমার কাছ থেকে নিয়ে গিয়েছিলে।
তখন ছেলেমেয়েরা বলল যে আমাদের কাছে কোন টাকা পয়সা নেই আমরা মায়ের চিকিৎসার জন্য একটি টাকাও এখন দিতে পারব না। এর আগে ছেলেমেয়েরা বাবা মাকে বলল যে মা বাবা আমরা যে বাড়িতে আছি এই বাড়িটা অনেকদিন হয়ে গেছে আমরা এই বাড়িটি ভেঙে একটি নতুন বাড়ি করতে চাই কিন্তু এতে বাবা কোন প্রকার রাজি হয় নাই।
টাকা দেবে না বলে ছেলেমেয়েরা চলে গেল। এই কথা শুনে তাদের বাবা অনেক চিন্তায় পড়ে যায় যে আমি এত টাকা এই মুহূর্তে কোথা থেকে এক জায়গায় করব, তখন তার ভাতিজা তার চাচাকে না বলে গ্রামে চলে যায় এবং গ্রাম থেকে তার ভিটাবাড়ি বন্ধক ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে আসে। নিয়ে আসার পরে চাচার হাতে দেয় চাচা বলল যে তুই এত টাকা কোথা থেকে পাইছিস।
তখন ছেলেটি বলল যে চাচা এই মুহূর্তে চাচির আপরশওনএর প্রয়োজন। তুমি চাচির আপরশওনএর বেবস্থা করো চাচা বললো আমি তোর রিন কি করে শোধ করবো।
তোমার ও নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবেনা তুমি পরে দিয়োএ ভাবে চাচির আপরশওনএর হয়ে যায় চাচি সুস্থ হয়ে যায়। পরে এক দিন ভাতিজা তার বন্ধু সাথে বিরিয়ানি খেতে যায়।তার বন্ধু বিরিয়ানি খেতে বলে অনেক সুন্দর বিরিয়ানি হয়েছে। ছেলেটি বলল আমার চাচা এর ছাড়া সুন্দর বিরিয়ানি বানাতে পারে।আসলে তার চাচা অনেক সুন্দর বিরিয়ানি বানাতে পারে।
পরে বন্ধুর কাছ থেকে বিরানির দোকান দেওয়ার কথা শুনে ছেলেটি মনে মনে চিন্তা করলো আসলে আমার বন্ধু ঠিক কথা বলেছে আমার চাচা যদি বিরানির দোকান দেয় তাহলে এছাড়া আরো সুন্দর বিরানি বানাতে পারবে। বাসায় গিয়ে দেখে তার চাচা একা একা বসে আছে এবং বলছে যে এভাবে বসে থেকে আর তো চলে না আমাকে কিছু একটা করতে হবে পরে ছেলেটি বলল যে তুমি এই বয়সে কি করবে দেখা যাক কোন কাজ কাম করা যায় কিনা পরে ছেলেটি বলল আমার কাছে একটি বুদ্ধি আছে চাচা বলল কি বুদ্ধি ছেলেটি বলল যে তুমি একটি প্রাণের দোকান দিয়ে ফেলো চাচা বলো বিরানি দোকান দিতে অনেক টাকার প্রয়োজন।
ছেলেটি বলল আমরা অল্প ছোট্ট একটি দোকান নিয়ে ব্যবসাটি শুরু করব যদি ভালো চলে তাহলে আস্তে আস্তে বড় দোকান নিয়ে নেব।
এভাবে ছেলেটির কথা শুনে চাচা রাজি হয়ে গেল এবং ছোট্ট একটি বিরিয়ানি দোকান নিয়ে নেয় এবং দোকানের নাম দেই বাবা বিরিয়ানি।তার চাচার এই বিরিয়ানি এতটা পরিমাণে স্বাদ যে প্রত্যেকটা লোক খায় আর বিরিয়ানির প্রশংসা করে যায়।
এভাবেই আস্তে আস্তে তার ব্যবসা দাঁড়িয়ে যায় এবং সে অনেক বড় একটি বিরিয়ানির দোকান দিয়ে বসে।
পরে একদিন সেই ছেলে মেয়ে তার বাবার বাসায় আসে সেই বাড়িটা ভাঙার কথা বলার জন্য বাসায় আসলে বাবা-মা কথা শোনার আগে তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয়।
কিন্তু ওই ছেলে মেয়েরা জানে না যে বাবা এখন বিরিয়ানির দোকান চালাচ্ছে। এবং অনেক বড় বিরানির দোকানের মালিক হয়ে গেছে।
হঠাৎ একদিন ছেলেমেয়েরা চিন্তা করে যে আজকে যেভাবে হোক বাবা মাকে বুঝিয়ে ওই বাড়ি ভাঙ্গার ব্যবস্থা করতে হবে পরে ভাই বোন একসাথে হয় এবং তারা দুপুরে নাস্তা করার জন্য তার বাবার দোকানে যায়। সেই বাবার বিরিয়ানির দোকান, পরে ছেলেটি একটিবার মুখে বিরিয়ানি দিতেই বুঝতে পারে যে এটা তার বাবার হাতের বিরানি।
পরে সেই দোকানের ওয়েটারকে সে ছেলেটি বলল যে এই বিরিয়ানি তোমাদের এখানে কে বানাই পরে ওইটারটা বলল যে আমাদের সার এই বিরানি বানায়, পরে যখন তার স্যারের সাথে দেখা করতে চাইলো তখন ওইটারটা বলল আচ্ছা ঠিক আছে আপনারা বসেন আমি স্যারকে বলছি ছেলেটি গিয়ে দেখে তার সেই চাচাতো ভাই বসে আছে।
আরে ছেলেটি বলল যে তুই আমার বাবার বিরিয়ানি চুরি করে বিক্রি করছিস কেন, সেই মুহূর্তে সেখানে তার বাবা এবং মা এসে দাঁড়ায় এবং বলে যে তোরা এখানে কিসের জন্য এসেছিস ও কোন চোর না ওই হোটেলের ফিফটি পাচ্ছেন শেয়ারে আছে।
পরে ছেলেটি বিশ্বাস করে না যে ওই এই হোটেলের মালিক ডেকে বল যে তোমাদের হোটেলের মালিক কে বলল আপনার সামনে যারা দাঁড়িয়ে আছে এনারায় এই হোটেলের মালিক ওরে বাবা মা বলল তোরা এখান থেকে চলে যা তোরা এখানে কিসের জন্য এসেছে আমি দেখতে চাই না তোরা আমার দুঃখের সময় আমার পাশে ছিল না আমার দুঃখের সময় পাশে ছিল আমার এই ভাতিজা।
ছেলে মেয়েদের যখন তার বাবা-মা বেরিয়ে যেতে বলল তখন তারা কিছু না বলে চলে যেতে লাগলো এদিকে ভাতিজা বলল যে চাচা তারা তো ছোট মানুষ তারা না হয় একটি ভুল করেছে তাই বলে তাদের উপরে আর রাগ করে থাকবেন না তাদেরকে ফিরিয়ে আনুন এই শুনে বাবা সে ছেলে মেয়েকে মাপ করে দেয়।
এবং এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায় আসলে এই নাটকটি দেখে আমি যেটা শিখেছি সেটা হল বিপদে পড়লে কাছের মানুষকেও চেনা যায় সে ছেলেমেয়ে হোক কিংবা অন্য কেউ বিপদের সময় যে পাশে থাকে সেই অরিজিনালের আপন মানুষ।
তো বন্ধুরা অবশ্যই আপনারা এই নাটকটি দেখবেন এবং আমি আপনাদের সাথে যে রিভিউ দিয়েছি সেটা কেমন হয়েছে সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে যাবে।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thank you so much
আসলে এই নাটকের কিছু অংশ আমি নেটে দেখেছিলাম! তবে সম্পূর্ণ নাটক দেখা হয়নি! তবে নাটকটা দেখে আসলে খুব খারাপ লাগলো যতটুকু দেখলাম! তারপরে আপনার রিভিউ পড়ার পরে,,, আরো বেশি খারাপ লাগলো।
আসলে এ ধরনের নাটক গুলো অনেক বেশি ইমোশনাল হয়ে থাকে! আমি অবশ্যই নাটকটা দেখার চেষ্টা করবো পুরোপুরি,,, অসংখ্য ধন্যবাদ নাটকটি রিভিউ আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
Thank you so much