Better life with steem || The Diary Game || 30 th December ||

in Incredible India2 years ago
IMG_20231231_012700.jpg

"আজকের সারাদিনের গল্প"

Hello,

Everyone,

কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।

আজ আমি অনেক ব্যস্ততম একটি দিন কাটিয়েছি। যার গল্প এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। আশা করছি আপনাদের পড়তে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি,-

IMG_20231231_012144.jpg

"আজকের রৌদ্রজ্জ্বল সকাল"

অনেকদিন বাদে আজ বেশ ভালো রৌদ্র উঠেছিল। গত তিন চারদিন যাবৎ মেঘলা আকাশ ছিল। তাই রৌদ্রের তাপও খুব বেশি অনুভূত হয়নি। যাইহোক যেহেতু শুভর অফিস ছিল তাই রুটিন মাফিক ফোনের অ্যালার্ম শুনে ঘুম ভাঙলো।

কিন্তু বেশি রাতে ঘুমানোর জন্য উঠতে ইচ্ছা করছিল না। কিন্তু তারপরও জোর করে উঠে পড়লাম। এরপর ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে এলাম। দরজায় নক করতে শ্বশুরমশাই দরজা খুলে দিয়ে, আবার শুয়ে পড়লেন। বুঝলাম ওনার রাতে ঘুম হয়নি। কারণ গত কয়েকদিন ঠিকঠাক ঘুম হচ্ছে না।

প্রথম ভাবছিলাম বোধহয় উনার আবার সুগার বেড়েছে, এই কারণে ঘুম হচ্ছে না। তাই গতকাল সুগার টেস্ট করতে দেয়া হয়েছিল। যাইহোক আমি প্রথমে রান্না ঘরে গিয়ে যথারীতি নিজের জন্য একটু জল গরম করলাম। তারপর শুভর জন্য চা বসালাম। শশুর মশাইকে জিজ্ঞেস করাতে উনি বললেন উনার চা ফ্ল্যাক্সে রেখে দিতে উনি একটু পরে খাবেন।

IMG_20231231_012611.jpg

"শীতকালের সকালে গরম চা"

আমি সময় মত শুভর চা উপরে দিয়ে এলাম। পিকলুকে ডাকাডাকি করলাম, কিন্তু ও ওপরে যেতে চাইল না। বিষয়টা যদিও একটু অবাক লাগলো। এরপর আমি শুভকে চা দিয়ে নিচে আসছি, তখন দেখলাম পিকলু সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছে। আমাকে দেখে একটু দাঁড়িয়ে পড়ল ঠিকই, তারপর আবার দৌড়ে ঘরে ঢুকে গেলো। ওর মর্জি বোঝা বড় মুশকিল।

যাইহোক যথারীতি আমি ব্রেকফাস্ট তৈরি করলাম এবং শুভর অফিসের টিফিনের জন্য রান্নাও বসিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ বাদে শাশুড়ি মা ঘুম থেকে উঠলেন। কারণ আজ আমাদের সাপ্তাহিক সবজি বাজার করতে হতো।

শশুর মশাইয়ের শরীর খারাপের পর থেকে যেহেতু শাশুড়িমা বাজারে যান। তাই চেষ্টা করেন একসাথে একটু বেশি সবজি নিয়ে আসার, যাতে বেশ কিছুদিন বাদে বাদে বাজারে গেলেও চলে যায়।

আমি ওনাকে চা করে দিলাম। চা খেয়ে উনি বাজারে বেরিয়ে গেলেন। তখনও পর্যন্ত শশুর মশাই উঠলেন না দেখে বুঝলাম বেশ গভীর ঘুমাচ্ছেন। এদিকে আবার ইনসুলিন দেওয়ার সময় চলে যাচ্ছে দেখে বাধ্য হয়ে ওনাকে ঘুম থেকে ডেকে দিলাম।

উনি ফ্রেশ হয়ে চা ও মুড়ি খেলেন। এরপর ইনসুলিন দিয়ে দিলাম। ইনসুলিনের পরে আধঘন্টা বাদে উনাকে ব্রেকফাস্ট করতে বলেছেন, তাই তার আগে শুভকে ব্রেকফাস্ট দিয়ে ওর অফিসের টিফিন গুছিয়ে দিলাম।

শুভ বেরিয়ে যাওয়ার পরে আমি শ্বশুর মশাইকে ব্রেকফাস্ট দিয়ে ঘরের টুকটাক কাজ সেরে নিলাম। এরপর আমি একটা গরম জল বসিয়ে দিলাম। যাতে জলের সাথে মিলিয়ে পিকলুকে স্নান করাতে পারি।

ঘরের কাজ সেরে, ব্রেকফাস্ট করে, প্রথমে পিকলুকে স্নান করাতে গেলাম। এই কারণে আজ সকালে কমিউনিটির কোনো কাজ নিয়ে বসতে পারিনি। রোদ্দুর পড়ে গেলে পিকলুকে রোদ্দুরে বসাতে পারব না ভেবেই সকাল সকাল ওকে স্নান করে জালনায় বসিয়ে দিলাম। এই সময় এতো দুষ্টুমি করে যে, আমি অনেকবার চেষ্টা করেও ওর কোনো ছবি তুলতে পারিনি।

IMG_20231231_011830.jpg

"আজকে বাজার থেকে শাশুড়ি মায়ের আনা শাক"

ওকে স্নান করাতে গিয়ে নিজেও প্রায় অর্ধেকের বেশি স্নান করে ফেললাম। যাইহোক এর মধ্যে শাশুড়ি মা বাজার থেকে ফিরে এলেন। নিচে নেমে দেখি আমাদের বাড়িতে শাকের চাষ হয়েছে☺। এত ধরনের শাক কিনে এনেছেন বাজার থেকে যে সেগুলোকে সাজানো দেখে আমি একটা ছবি তুলে নিলাম। যদিও শাক খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

এরপর সমস্ত বাজার গুছিয়ে নিয়ে, ঠাকুরের পূজার বাসন মেজে, স্নান করতে গেলাম। ততক্ষণে ঘড়ির কাঁটায় ২.০৫ বেজে গেছে। শাশুড়ি মা সব কাজ গুছিয়ে নিয়ে, দু এক পদ রান্না করলেন। আমি বলেছিলাম আমার জন্য অল্প করে ধনেপাতা ভর্তা করতে, কারণ খুব খেতে ইচ্ছে করছিল। তিনি তেমনটাই করলেন।

IMG_20231231_011850.jpg

"আমার লাঞ্চ-ধনেপাতা ভর্তা দিয়ে গরম ভাত,সাথে চুনো মাছ ভাজা"

যথারীতি আজ দুপুরের লাঞ্চ আমি ধনেপাতা ভর্তা দিয়ে করেছি। তার সাথে ছোট ছোট কোনো মাছ তিনি ভাজা করেছিলেন। তারও দু'চারটে আমাকে দিয়েছিলেন। যদিও আমি ভালো খাই না, তবুও আজ খেয়েছিলাম। লাঞ্চ শেষ করতে করতে এতটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল যে কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা হয়ে যাবে ভেবে, আমি আর শুলাম না। বসে কমিউনিটির কিছু কাজ দেখছিলাম।

IMG_20231231_012038.jpg

"পিকলুর দুষ্টুমি"

এরপর সন্ধ্যা দিয়ে নিলাম এবং তারপর কমিউনিটি যে সকল দায়িত্বগুলো আমার থাকে, সেগুলো নিয়ে বসলাম। এই কাজগুলো গোছাতেই অনেকটা দেরি হয়ে গেলো। তারপর বসলাম কমেন্ট করতে। আপনারা সকলেই জানেন যে, টুর্নামেন্টের আর মাত্র একটা দিন বাকি, সুতরাং যতটা সম্ভব কমেন্ট করতেই হবে।

কমেন্ট করতে করতে ডিনার তৈরি করার সময় হয়ে এলো। তাই আমি রুটি করতে গেলাম। এরপর যথারীতি প্রতিদিনের মতো সকলকে ডিনার করিয়ে, নিজে ডিনার করে, কাজগুলো সব গুছিয়ে এসে, পোস্ট লিখতে বসলাম।

আগামীকাল যদিও আমাকে একটু বাইরে যেতে হবে, কিন্তু তবুও আমি আমার দিক থেকে অবশ্যই চেষ্টা করব যাতে কমিউনিটি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি, আমার নিজের কমেন্টের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করতে পারি।

যাইহোক এইভাবেই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে আজকের দিনটি পার হলো। আগামীকাল এই বছরের শেষ দিন, তাই সেই দিনটি কিভাবে কাটাচ্ছি, সেই গল্প পরবর্তী কোনো পোস্টে শেয়ার করবো। সকলে ভালো থাকুন, সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। শুভরাত্রি।

Sort:  
 2 years ago 

দিদি আপনাকে দেখে আমরা প্রতিনিয়ত শিখছি। কমিউনিটির এত এত কাজ সবকিছু সামলে কি করে যে করেন আমি বুজি না। হয়তো একটু বেশি এফোর্ট দেন। তবে আপনার কাজ দেখেই বোঝা যায় কোন কিছু অসম্ভব নয়।

প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও আপনি সংসারের যাবতীয় কাজ করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে নিজের সব কাজ , হাজবেন্টের কাজে সাহায্য করা এমনকি শশুর মশাইয়ের দেখভাল করা, সব কিছু আপনার দ্বারাই সম্ভব। ভালো থাকবেন দিদি। আপনার আগামী দিনগুলো ভালো কাটুক এই কামনা করি।

 2 years ago 

সবকিছু সামলাতে গেলে একটু এফোর্ট তো দিতেই হবে।তার মধ্যেও অনেক কিছুই ভুল হয়ে যায়, তবে সেই ভুলগুলো থেকে শেখার চেষ্টা প্রতিনিয়তই করি। আপনাদের সকলের শুভ কামনায় কোনো না কোনো ভাবে সব দিকটা ব্যালেন্স করার চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

 2 years ago 

Thank you for your support.🙏

Loading...

Congratulations! This publication has been supported through the Steemcurator06 account for containing good quality content.

 2 years ago 

Thank you for your support 🙏.

 2 years ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি দিন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আজ আপমি অনেক ব্যস্ততম একটি দিন কাটিয়েছেন।আজকের রৌদ্রজ্জ্বল সকাল কিন্তু আমাদের এদিকে কয়েকদিন ধরে খুব মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও খুব কুয়াশা পড়ছে প্রচন্ড শীত। আজকে বাজার থেকে শাশুড়ি মায়ের আনা শাক, আপনারা মনে হয় খুব স্বাদ প্রিয় মানুষ শাকসবজি খেতে অনেক পছন্দ করেন যদি আর সাগর পরশুর গুণাগুণ পুষ্টি সমৃদ্ধ থাকে। আমার লাঞ্চ-ধনেপাতা ভর্তা দিয়ে গরম ভাত,সাথে চুনো মাছ ভাজা যেভাবে মাখিয়েছেন আপনি খেতে ইচ্ছে করছে 😅চুনো মাছ ভাজি দিয়ে মুসুরির ডাল পাতলা করে খেতে আমার কাছে খুব মজা লাগে। যদিও আমি ধনিয়া পাতা দিয়ে চুন মাছ কখনো খাইনি কিন্তু আপনার ভাত মাখানো দেখে মনে হচ্ছে খুব মজা হয়েছে। পিকলু মশাই 😅ও আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে কেন 🤭আমি থাকলে ওর সাথে একটু দুষ্টুমি করতে পারতাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু

 2 years ago 

চুনো মাছ ভাজা আমি যে খুব একটা ভালো খাই এমনটা নয়। তবে শাশুড়ি মা ভেজেছিলেন গরম গরম, সেই কারণে কয়েকটা দিয়েছিলেন। খুব যে খারাপ খেয়েছি সে কথা বলবো না, তবে বোধহয় আপনার মতন এতটাও ভালো খাইনি, যতটা আপনি মুসুর ডালের খেতে পছন্দ করেন। পিকলু যদি আপনাকে পেত নিশ্চয়ই অনেক দুষ্টুমি করত। শুরুর দিকে ওর সাথে বন্ধুত্ব করতে সময় লাগলেও,একটু বাদেই ও আপনার আশে পাশেই ঘুরতে থাকবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

আমার মাও গত দুদিন ধরে একটু বেশি ঘুমাচ্ছে। ঠান্ডা পড়লে বয়স্ক লোকেদের একটু বেশি সমস্যা হয়। আপনার শাশুড়ি মা অনেক শাকসবজি বাজার করেছেন দেখছি। তবে বাজারের কেনা শাকসবজি খেয়ে আমরা কতটা উপকৃত হই সেই ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে। কিন্তু কোন উপায়ও নেই। আমাদের এই খেয়েই জীবন ধারণ করতে হবে। ধনেপাতার ভর্তা আমারও অত্যন্ত প্রিয় একটি পদ। এটা থাকলে আর অন্য কোন খাবার না হলেও চলবে। ধনেপাতার ভর্তা দিয়ে আমি সব ভাত খেয়ে নিতে পারবো।

 2 years ago 

আমি আপনার সাথে একমত বাজারে যে শাকসবজি গুলো আসে, তার মধ্যে এত পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় যে, তার পুষ্টিগুণ আদেও আমাদের শরীরে কতটুকু পৌঁছায় তা যথেষ্ট ভাবনার বিষয়। কিন্তু ওই যে বললেন, আমাদের উপায় নেই। তাই এই শাকই আমাদের ভরসা। আমিও সেদিন ধনেপাতা ভর্তা দিয়ে সব ভাত খেয়েছিলাম,যদিও পাশে কয়েকটা চুনো মাছ ভাজাও ছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

বাসায় একজন রোগী মানুষ থাকলে তাকে নিয়ে মনের ভেতর একটা ভয় কাজ করে ।এমনকি সে প্রতিদিন এর তুলনায় বেশি ঘুমালেনও মনে হয় আজ এত বেশি ঘুমাচ্ছে কেন ।
আপানার শাশুড়ি মা দেখি বাজার থেকে অনেক ধরনের শাক নিয়ে এসেছেন ।অবশ্য সবুজ শাকসবজী শরীরের জন্য ভালো ।যদিও ইদানিং মনের মাঝে একটি সন্দেহ কাজ করে যে আসলে কি খাচ্ছি ।
আপনার সারাদিন দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো ।
ভালো থাকবেন সবসময় ।

 2 years ago 

আসলে শশুরমশাই গত কয়েকদিন ধরে রাতের বেলায় ভালো না ঘুমিয়ে, সকালের দিকে একটানা ঘুমাচ্ছেন। কিন্তু সকালেই ইনসুলিন দেয়ার সময়। সুতরাং ঘুমটাও পুরোপুরি হচ্ছে না। আবার পুনরায় ডক্টর দেখাতে হবে মনে হচ্ছে, কি কারন এটা হচ্ছে এটা সত্যিই টেনশন এর বিষয়। আমাদের মোটামুটি সপ্তাহের বেশি সময় চলবে এমন বাজারে করে আনা হয়, কারণ শাশুড়ি মায়ের পক্ষে প্রতিদিন বাজারে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। ধন্যবাদ আমার পোস্টটি এত মন দিয়ে পড়ার জন্য।ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

আমার বাসায়ও বাজার একবারে বেশি করেই আনা হয়। বার বার বাজারে যাওয়াটা একটা ঝামেলা যদিও ফ্রেশ জিনিশ খেতে পারলেই ভালো।
আপনিও ভালো থাকবেন।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

আপনার শশুর মশাইয়ের শরীর এখনো খুব একটা ভালো নয়। এ কারণে আপনার শাশুড়ি মাকে বাজারে যেতে হলো। উনি প্রচুর শাকসবজি নিয়ে আসলেন বিশেষ করে শাক। আসলে বাজারে গেলে তাজা তাজা শাক দেখলে ইচ্ছে করে সব নিয়ে আসি। আপনি দুপুরে তেমন কিছুই খেতে পারলেন না। ধনেপাতা ভর্তা দিয়ে ও ছোট মাছ দিয়ে ভাত খেয়ে নিলেন। আজকে আবার পিকলু বাবুকে গোসল করিয়ে দিলেন যথেষ্ট ঝক্কি করে। সব মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত একটি দিন পার করলেন।

 2 years ago 

আজকে যেহেতু সপ্তাহিক বাজার করতে হবে তাই আপনার শাশুড়ি খুব তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বের হয়ে গিয়েছেন। আসলে বাজার করাটা কত বড় ঝামেলা সেটা হয়তোবা বলে বোঝাতে পারবো না। কেননা আমি নিজেও বাজার করতে হয় বর্তমান সময়ে। আমার শশুর অনেক বেশি অসুস্থ হওয়ার কারণে।

পিকলু বাবুকে দেখলে এমনিতেই মনটা ভালো হয়ে যায়। ও যেভাবে দুষ্টুমি করছে আসলে ওর মর্জি আপনি বুঝতে পারেন না। ও তো আপনার সাথে মজা করে, ওকে গোসল করাতে গিয়ে নিজেও গোসল করে নিয়েছেন। আমি তো আমার বাচ্চাদেরকে গোসল করাতে গিয়ে নিজেও অনেক সময় অনেক বেশি ভিজে যাই। যার কারণে ঠান্ডা লাগা শুরু করে। যাই হোক আমার মনে হয় আপনার শরীরটা এখনো ঠিক হয়নি। ঠিকমতো ওষুধ খান খাওয়া-দাওয়া করুন নিশ্চয়ই সুস্থ হয়ে উঠবেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ব্যস্তময় দিনের খানিকটা অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

স্নান করাতে গেলে আর নখ কাটতে গেলে পিকলুর দুষ্টুমি আরো দ্বিগুণ হয়ে যায়। এমনভাবে কান্না করে যেন মনে হয়, আমি ওকে বাথরুমের মধ্যে আটকে রেখে মারছি। আর যতক্ষণ পর্যন্ত ড্রায়ার দিয়ে ওর চুল শুকানো হয় বা পশম গুলো আচড়ানো হয়, ওর এই চিৎকার চলতেই থাকে। পিকলু বাবুকে দেখতে আপনারা অনেক পছন্দ করেন এটা জেনে আমার নিজেরও খুব ভালো লাগে। আসলেই বাজার করাটা কিন্তু সত্যিই অনেকটা সমস্যার কাজ। আপনি যেটা এখন বুঝতে পারছেন, হয়তো আগামী দিনে আমিও সেটা বুঝতে পারবো। ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

আসলেই আপনি আজ খুব ব্যস্ত সময় পার করেছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের জন্য গরম জল করলেন এবং অন্যদেরজন্য চা করলেন।শ্বশুর মশাইকে ইনসুলিন দিয়ে দিলেন এরপর।
শ্বশুর মশাই এর অসুস্থতার পর আপনার শ্বাশুড়ি বাজার করে।ইন্ডিয়া তে এটা খুব করে চোখে পড়ে বাংলাদেশীদের কারন আমাদের এখানে মহিলা মানুষ বাজারে খুব কম যায়।বিশেষ করে সবজি বাজারে।যাই হোক এটা খুবই ভালো,সবাই মিলে কাজ কাম করলে সব দিক দিয়ে ভাল হয়।
পিকলুকে স্নান করালেন।দুপুরে ধনিয়া পাতা বাটা দিয়ে খাবার খেলেন।ছবি দেখে ভাবছিলাম থানকুনি পাতা বাটা। এরপর কমিউনিটির কাজ করলেন।

আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

হ্যাঁ আমার শাশুড়ির মুখেও শুনেছি, বাংলাদেশে থাকাকালীন তিনি কখনোই বাজারে যেতেন না। এমনকি শ্বশুর মশাই অসুস্থ হলেও, পাশের বাড়ি থেকে কেউ বাজার এনে দিতেন। তবে ইন্ডিয়াতে এরকম কোনো ব্যাপার নেই। বাজারে গেলে আপনি কম বেশি মহিলা দেখতেই পারবেন। পিকলু কে স্নান করানো সবথেকে কঠিন কাজ, তবে কাজটা আমাকেই করতে হয়। সাংসারিক কাজগুলো আসলে এমন একটা দায়িত্ব, যেগুলো পালন না করার কোনো অপশন নেই। আর কমিউনিটি হচ্ছে আমার ভালোলাগার জায়গা। সবকিছু মিলিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে দিন পার হয়। অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.34
JST 0.035
BTC 109403.94
ETH 4328.87
USDT 1.00
SBD 0.83