Better life with steem || The Diary Game || 26 th December || Visiting Happy Valley Park (Part -1)
Edited by Canva" |
---|
Hello
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
দুদিন আগের পোস্টে আমি আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম যে,২৬শে ডিসেম্বর দিনটি আমার বেশ ভালো কেটেছে অর্থাৎ অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু অন্যরকম কেটেছে। যে কারণেই দিনটি আমার জন্য বেশ ভালো ছিলো।
আপনাদের বলেছিলাম পরবর্তী পোস্টে কারণটা অবশ্যই জানাবো। গতকাল আমার রিপোর্ট উপস্থাপন করার দিন ছিলো,তাই আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমি ভালো থাকার কারণটা জানাতে চলেছি। চলুন তাহলে ঐদিন সারাদিন আমি কি করলাম সেই বিষয়ে আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করি।
"আমাদের গাছের ফুল,আগের তোলা ছবি" |
---|
রোজকার মতনই ফোনের অ্যালার্মের শব্দে সকালে ঘুম থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে রুটিন মাফিক নিজের সমস্ত কাজ করতে শুরু করলাম। দুদিন যাবৎ ঠান্ডাটাও একটু কম আছে। তাই অন্যান্য দিনের তুলনায় এই দুদিন উঠতে আমার কিছুটা কম কষ্ট হচ্ছে। মেঘলা থাকার কারণেই মূলত ঠান্ডা কম পড়ছে। তবে একথাও ঠিক যে, এই মেঘ কেটে যাওয়ার পর আবার অনেক ঠান্ডা পড়বে।
"পর্দা নিয়ে খেলা শুরু" |
---|
যাইহোক যথারীতি গরম জল খেয়ে, তারপর চা করে শুভকে চা দিয়ে, নিচে গিয়ে শশুর মশাইকে চা দিলাম। উনি চায়ের সাথে অল্প মুড়ি খেলেন। যদিও আমার রুটি তৈরি করা হয়ে গিয়েছিল কিন্তু উনি বললেন পরে খাবেন।
শুভর জন্য রান্না করা হয়ে গিয়েছিল। সেগুলো আমি টিফিন বক্সে গোছাচ্ছিলাম, এমন সময় আমার ননদ ফোন করল। এত সকালে ননদের ফোন পেয়ে কিছুটা অবাক হলাম। তারপর ফোন তুলে জানতে পারলাম তিনি আমাকে ওনাদের সাথে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফোন করছেন।
আমার ননদের হাজবেন্ডও যেহেতু বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন, তাই ক্রিসমাসের দিন তার ছুটি ছিল না। ঐদিন অফিস করে তিনি পরেরদিন ছুটি নিয়েছিলেন। তাই সকলে মিলে প্ল্যান করেছিলেন, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটা নতুন পার্ক হয়েছে, সেখানেই ঘুরতে যাবেন।
কারণ আমার ননদের বড় ছেলে তার বন্ধুদের সাথে পিকনিক করছিলো। এই কারণে ছোট ছেলে বায়না জুড়েছে, হয় তাকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে, না হলে তাকে নিয়ে পিকনিক করতে হবে। তাছাড়া ননদরাও অনেকদিন কোথাও বেরোয় না, এই কারণে ঠিক করল ছোট ছেলেকে নিয়ে পার্কেই যাবে।
আর বিয়ের পর থেকেই ওনরা কোথাও গেলে সব সময় আমাকে নিয়ে যান। এই কারণেই আমাকে যাওয়ার জন্য ফোন করল। বাড়ির অনেক কাজ এবং কমিউনিটির কাজ রয়েছে, ভেবে আমি না বলে দিলাম।
পরে দেখলাম আবার শাশুড়ির কাছে ফোন করে বিষয়টি জানালো। শাশুড়ি মাও বলল বেশিক্ষণের তো ব্যাপার নয়, ৩-৪ ঘণ্টার ব্যাপার যাও ঘুরে এসো ভালো লাগবে। আমারও যে একদম যেতে ইচ্ছে করছিল না, এরকমটা নয়। তাই শুভর সাথে কথা বললাম। ও বলল যাও ঘুরে এসো। তারপর ননদকে ফোন করে জানিয়ে দিলাম, বাড়ির কিছু কাজ গুছিয়ে নিয়ে তারপর আমি আসছি।
আমাকে নিতে আসতে হলে আবার উল্টে আসতে হবে, তাই আমিই বললাম আমি অটো নিয়ে ওনাদের বাড়িতে চলে যাবো। সেখান থেকে গাড়ি করে আমরা সকলে একসাথে পার্কে যাবো। তাড়াহুড়ো করে সকালের কাজ কিছুটা গুছিয়ে নিয়ে, তারপর স্নান করে পুজোটা দিয়ে নিলাম।
"ব্রেকফাস্ট" |
---|
যেহেতু দুপুরের বাইরে থাকা হবে, তাই অল্প করে ভাত খেয়ে বেরোলাম। যাই হোক ব্রেকফাস্ট শেষ করে নিজে তৈরি হয়ে ননদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। ঘড়ির কাঁটায় তখন ১২.০৯ বাজে।
ননদের বাড়ির সামনে পৌঁছে দেখলাম ওরা সবাই রেডি এবং আমি পৌছানোর সাথে সাথেই আমরা সকলে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। মিনিট দশক লাগলো বোধহয় ননদের বাড়ি থেকে গাড়িতে করে পার্কে যেতে। পার্কের নাম "হ্যাপি ভ্যালি পার্ক"। যদিও ওয়াটার সেকশনটা এই মুহূর্তে বন্ধ আছে যেহেতু শীতকাল, সেটি আবার গরমকালে খুলবে।
ছোটোর মধ্যে পার্কটা বেশ সুন্দর গোছানো। শীতকালে পার্কের ভিতরে আমার সবথেকে যেটা ভালো লাগে সেটা হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের ফুল, যা পার্কের সৌন্দর্যকে আরো দ্বিগুণ করে তোলে। এই পার্কের ভিতরে তেমন ফুলের দেখা মিলল।
"পার্কে ঢোকার গেটের সামনে ননদরা সকলে" |
---|
"আমি ও ননদের ছোটো ছেলে" |
---|
পার্কে ঢোকার মুখেই আমি এবং ননদের ছোটো ছেলে প্রথমে ছবি তুললাম। তারপর ননদদের সকলের একটা ছবি তুলে দিলাম। কারণ বেরোনোর সময় তাড়াহুড়োতে পার্কের মেইন গেটের কোনো ছবি তোলা হয় না কখনোই। এই কারণে এবার শুরুর থেকে ছবি তুলতে তুলতে পার্কে প্রবেশ করেছিলাম।
"গৌতম বুদ্ধের মূর্তি" |
---|
"কৃত্রিম ঝরনা" |
---|
ভেতরে ঢুকে আমরা অনেক জিনিস দেখেছি। সেখানে একটি কুল গাছে প্রচুর পরিমাণে কুলও ধরেছে। ঢোকার মুখেই একটা ঝরনা এবং বুদ্ধদেবের মূর্তি চোখে পড়ল। যেটা দেখতে অসম্ভব সুন্দর ছিল। তাই সেগুলোর ছবি তোলার লোভ সামলাতে না পেরে আমি ছবিগুলো তুলে নিয়েছি।
"ঘাসগুলো কাটিং করে লেখা-পার্ক" |
---|
তার পাশেই ঘাস গুলোকে কাটিং করে খুব সুন্দর করে "পার্ক" লেখা ছিল। যেটার ফটোগ্রাফি আমি করেছি। তার উপরে বাঁশের তৈরি যে ঘর ছিল সেটা একটা রেস্টুরেন্ট। কিন্তু আমরা যখন পৌঁছেছি তখনও পর্যন্ত সেটা খোলে নি। তবে যেটা জানতে পারলাম,সেখানে গিয়ে আগে টিকিট বুক করতে হয়। তবে ওই রেস্টুরেন্টে বসে খাবার খাওয়া যায়।
"বাচ্চাদের স্ট্যাচু তৈরি করে সাজানো হয়েছে" |
---|
"ননদের ছেলে দোলনায় চড়ছে" |
---|
এরপর ধীরে ধীরে পার্কের ভিতর গিয়ে, আরো অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখেছি। ননদের ছেলে অনেক মজা করেছে। বিভিন্ন বিভিন্ন রাইড চড়েছে। সত্যি কথা বলতে জীবনে এই প্রথমবার পার্কে গিয়ে আমি কোনো রাইড চড়েছি।
আমার একটুও ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু ননদ রীতিমত জোর করে আমাকে সেই রাইডে চড়িয়েছে। সেখানে কি অভিজ্ঞতা হলো এবং পার্কে আরো কি কি জিনিস দেখলাম, সেই সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য আপনাদের সাথে আগামী পর্বে শেয়ার করব।
আজকের পর্বটি আমি এখানেই শেষ করছি। আশা করছি আপনাদের ছবি দেখে এবং আমার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগবে। তাই ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট এর মাধ্যমে জানানোর অনুরোধ রইলো। ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
আপনার লেখা পড়ে আমার ধারণা হয়েছে যে শীত আপনাকে ভালো কাবু করে ফেলেছে ।আর আমি আপনার ননদের হাসবেন্ড বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন তাই ক্রিসমাসে ছুটি না থাাকার কারনে পরের দিন বাইরে ঘুরার প্ল্যান করেন ।আর তাদের সাথেই আপনিও এই হ্যাপি ভ্যালি পার্কে বেড়াতে যান।
ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে পার্কটা খুবই সুন্দর ।সবাইকে নিয়ে দিনটা বেশ ভালোই কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা দিনের কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য ।
শীতের কথা আর আলাদা করে কি বলবো। ছোটবেলা থেকেই আমি বড্ড শীত কাতুরে। বেশি ঠান্ডা পড়লে আমার অবস্থা বেশ শোচনীয় হয়ে যায়। ক্রিসমাসের দিন ছুটি না থাকলেও,পরের দিন আমরা ক্রিসমাসের ছুটিটা উপভোগ করেছি পার্কে ঘোরার মাধ্যমে। যেটা সম্পর্কে লেখা আমার এই পোস্টটা আপনি অনেক পছন্দ করেছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার দিনলিপিটি ভাল লাগল।আপনি এদিন পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন।আসলে পরুবার নিয়ে মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরে আসার মজাই আলাদা।
আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে যাবতীয় কাজ সেরেছেন। তারপর নিজেই অটো করে ননদের বাসায় গিয়ে সেখান থেকে একত্রে গিয়েছিলেন পার্কে। দারন সময় কাটিয়েছেন নিশ্চয়ই।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
অনেকদিন বাদে সত্যিই অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। শীতকালে পার্কে ফুলের সমারোহ বরাবর আমাকে মুগ্ধ করে। আর বাড়ির বাইরে এইরকম একটি পরিবেশে কিছুটা সময় কাটিয়ে অনেকটা ফ্রেশ লাগছে। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি বাড়ির নৈমিত্তিক পরিবেশ থেকে বেরিয়ে একটা অন্যরকম খোলামেলা পরিবেশে ঘুরতে গিয়েছেন।এটা অবশ্যই ভালো লাগার মতো।দীর্ঘদিন আমরা বাড়ির চার দেয়ালের ভিতর থাকতপ থাকতে বিরক্ত হয়ে যায়।তখন এ ধরনের ট্রিপ আমাদের প্রাণবন্ত করে তোলে।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
গুড মর্নিং পিকলু মশাইকে 😅একসাথে ঘুরতে যাওয়া মজাই আলাদ। কে কখন রেডি হবে এই নিয়ে সবাই হুরুহুরী আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। পার্ক টি খুব সৌন্দর্যময় দিয়ে ঘেরা। আমার খুব ইচ্ছা আছে যে কোন এক সময় ইন্ডিয়ায় ভ্রমণ করব। পাসপোর্টে তৈরি করা হয়ে গেছে ছেলে ছোট বলে কোথাও যাওয়া হয় না। আপনি খুব সুন্দর সুন্দর জায়গার দৃশ্য আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। মাঝে মাঝে ভ্রমন করলে মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ
অবশ্যই আপনার আমন্ত্রণ রইলো আমাদের ইন্ডিয়াতে।ছেলে একটু বড় হলেই চলে আসবেন ইন্ডিয়াতে। ঘুরে দেখার বহু জায়গা আছে এখানে। আমার বিশ্বাস আপনার সেই জায়গাগুলি ভালো লাগবে। পিকলু মশাইয়ের তরফ থেকে আপনাকেও থ্যাঙ্ক ইউ। একদমই মাঝে মধ্যে ঘুরতে বেরোলে মনটা ভালো লাগে, না হলে একই পরিবেশের মধ্যে কখনো কখনো আমরা সকলে বিরক্ত হয়ে উঠি। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।ভালো থাকবেন।
হ্যাঁ অনেক ছোটবেলায় গিয়েছিলাম আমার দাদীর বাপের বাড়ি। আমার দাদি বছরে দুইবার করে যায়। এখনতো ভিসা ছাড়া যাওয়া যায় না আমি যখন ক্লাস টু তে পড়ি তখন একবার গিয়েছিলাম ইন্ডিয়ান পুলিশ দেখে তো কান্না শুরু 😅আম্মু কে বলছে আমাকে কি ধরে নিয়ে যাবে এখনো মনে পড়লে হাসি পাই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
আপনার পিকলু কে আবারো দেখতে পেলাম, বাসায় যাবে তোকে সেরে সারা দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়েছেন। ভ্রমণ মনকে প্রফুল্ল করে ,পরিবার সামলাতে গিয়ে নিজেকে সময় দেওয়া হয় না খুব একটা। আপনি খুব ভালো একটি কাজ করেছেন ননদের বাসায় গিয়ে ননদকে
নিয়ে পার্কে ঘুরতে গিয়েছেন। পরিবেশটা খুবই সুন্দর। অনেক গুছালো সিমসাম। এই ধরনের পরিবেশে গেলে নিজের মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায় । পিকলুর পর্দা নিয়ে খেলা করার দৃশ্যটা অসাধারণ লাগছে। পিকলু, আপনার পোস্টকে আকর্ষণীয় করে তোলে। গুলুগুলু পিকলুর জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
সত্যি পার্কটি অনেক সুন্দর এবং অনেক গোছানো।প্রত্যেকটা ফুল গাছ কত যত্ন সহকারে বেড়ে উঠছে সেখানে না গেলে বোঝা যায় না। এদের পরিচর্যা করার জন্য পার্কের তরফ থেকে আলাদা লোক রয়েছে। তাছাড়া ঝরনা,দোলনা,অ্যাকুরিয়াম সমস্ত জিনিস দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে রেখেছে। পিকলু পর্দা নিয়ে বরাবর খেলতে পছন্দ করে। এই ধরনের দুষ্টুমি ওর চলতেই থাকে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
একদমই ঠিক বলেছেন দিদি, পার্ক টা দেখে বুঝা যাচ্ছে, নিয়মিত পরিচর্যা করা হয়। একটু অন্যরকম লাগলো আমার কাছে।
আর আপনার পোষ্টের মূল আকর্ষণ ই তো
হলো পিকলু। বেশি করে পিক গুলোর যত্ন
নিবেন। ওর দুষ্টু মিষ্টু দৃশ্যগুলো ক্যামেরা বন্দি
করে রাখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
একজন সিনিয়র মডারেটর হিসেবে আপনি দায়িত্ব পালন করছেন আবার একজন গৃহিনী হিসেবে আপনার দায়িত্ব সেই একই ভাবে পালন করছেন। সকালে উঠে সবার জন্য চা তৈরি করা। তারপর আপনার বরের জন্য টিফিন বক্সে দেয়া তাকে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হতে সাহায্য করা। শশুর -শাশুড়ি সুন্দরভাবে লক্ষ্য নিচ্ছেন সত্যি একদিন আপনি আদর্শ গৃহিণী ।শশুর -শাশুড়ি ,ননদ সবার মন যুগিয়ে থাকা খুবই কঠিন হয় । নন যদি যখন বোনের মত হয় তখন কোন সমস্যাই হয় না ।তাই আপনার ননদ কোথাও আনন্দ অনুষ্ঠানে গেলে আপনাকে অবশ্যই নিয়ে যায় ।তাই তো আপনাকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ।আপনার ননদের ছোট ছেলের সাথে আপনার ছবিটা খুব সুন্দর হয়েছে । আপনারা সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন ।আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
একটা মানুষের জীবনের সব পরিস্থিতি সমান হয় না, একথা ঠিক। তবে সকলের সাথে মিলে মিশে আমরা যেমন আমাদের পরিবারে থাকি, তেমন শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সাথেও তেমন আচরণ করার চেষ্টা করি। ননদের সাথে আমার সম্পর্ক সত্যিই অনেক ভালো। তার ভাইয়ের সম্পর্কে আমার সব অভিযোগ, অভিমান সবকিছু জানানোর সে একটা নিরাপদ আশ্রয়। কোথাও ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সে কখনোই আমাকে রেখে যায় না এবং এটা প্রথম দিন থেকেই। যদি কোনো সমস্যার কারণে আমি যেতে না পারি, সে বিষয়টি আলাদা। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো লাগে যখন নিজের এই চেষ্টাগুলোকে কেউ সাধুবাদ জানায়। ভালো থাকবেন।
আপনার শরীরটা বেশ কিছুদিন যাবত অসুস্থ। আসলে ঘুরে বেড়ালে মনটা একটু হলেও ভালো হয়। আপনার ননদের সাথে পার্কে ঘুরতে গিয়েছেন। পার্কের জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর বিশেষ করে কত করুকার্য নিয়ে ঘাসের উপর লিখে দিয়েছে, পার্ক। যেটা দেখে আমি অনেক বেশি অবাক হলাম। আপনার দিনটা বেশ ভালো ভাবে কেটে গিয়েছে। আবার অনেক আনন্দ করেছেন, পার্কে ঘুরে বেড়ানোর আপনার পরবর্তী পার্ট পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম, ধন্যবাদ। আপনার আনন্দময় দিনের খান একটা অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
মাঝে মধ্যে সত্যিই জায়গা বদল করার দরকার আছে, তবে সব সময় সেটা হয়ে ওঠে না। বিশেষ করে প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটালে আনন্দ বোধহয় দ্বিগুণ হয়ে যায়। পার্কে গিয়ে সকলের সাথে আসলেই অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। পরবর্তী পর্ব ইতিমধ্যেই শেয়ার করেছি, আশা করছি সেটা পড়েও আপনার ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন।
আপনি প্রথমে যে ফুলের ছবিটা দিলেন এই ফুল গাছটি আমার বারান্দায় আছে। বেশ বড় এবং প্রচুর ফুল ধরে। আপনার ননদ তার ছেলেকে নিয়ে পার্কে যাবে তাই আপনাকে অনুরোধ
করলো যাওয়ার জন্য। যদি আপনি প্রথমে রাজি ছিলেন না পরে সবার অনুরোধে গেলেন। এই এমিউজিং থিম পার্কের প্যাটার্ন মোটামুটি সবখানে একই রকম। আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে পার্কের সৌন্দর্য আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন। আমার কাছে দেখে খুবই ভালো লেগেছে। তবে অনেকদিন অনেক ব্যস্ততা ও অসুস্থ থাকার কারণে আপনি যে আনন্দ পেয়েছেন এটা জেনেই সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি জায়গা আমাদের সাথে পরিচিত করার
জন্য।
এই গাছটি আমাদের বাড়ির বাইরের পাচিলের গা ঘেঁষে লাগানো,যেহেতু জায়গা খুবই কম। আগে অনেক ফুল ফুটলেও শীতের শুরু থেকেই ফুল ফোটা কমে গেছে। আর এখন প্রায় ফুল ফোটে না বললেই চলে। এ কথা একদমই ঠিক যে ,শীতকালীন সময়ে সমস্ত পার্কের চেহারাই মোটামুটি একই রকম হয়ে থাকে। রকমারি অনেক ফুলের সম্ভার চোখে পড়ে। আপনি আমার পোস্টটা মন দিয়ে পড়েছেন বলে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনার মন্তব্য পড়ে আমারও ভালো লেগেছে।ভালো থাকবেন।
আপনি অনেক সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। সকাল বেলা কিছু ভাত খেয়ে বের হয়েছিলেন।আর তার পরে মন ভালো করার জায়গায় গেলেন আর সেটা হলো পার্ক । আপনাদের মতো আমাদের এইখানের পার্ক গুলো এতো সুন্দর ভাবে সাজানো না।পার্কের ভিতরে সব অসাধারণ খেলনা দিয়ে সাজানো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর এতো সুন্দর কিছু মূহুর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আসলে সকালে বেরিয়ে কখন ফেরা হবে সে ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা ছিল না বলে একটু ভাত খেয়ে বেরিয়েছিলাম। আমাদের এখানে পার্কের ভেতরে বাচ্চাদের জন্য সত্যিই অনেক কিছুর ব্যবস্থা থাকে, যাতে বাচ্চারা গিয়ে উপভোগ করতে পারে। কখনো ইন্ডিয়া এলে অবশ্যই পার্কে ঘুরবেন, ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলে এটা আপনি একদম সঠিক কাজ করেছেন খেয়ে বের হয়েছেন আসলে ঘুরতে বেরিয়ে যদি খাবার এর চিন্তা থাকে মাথায় তাহলে পুরো ঘোরাঘুরি টাই নষ্ট হয়ে যায়। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর কমেন্ট এর রিপ্লাই করার জন্য ধন্যবাদ।
দিদি সকাল সকাল এমন অফার পাওয়া কিন্তু কম কথা নয়। কারণ সকালে উঠেই আপনি ঘুরতে যাওয়ার অফার পেয়েছিলেন এবং আপনার শাশুরি এবং হাজবেন্টেরও এই বিষয়ে সম্মতি ছিলো। যাইহোক আপনি আর দেড়ি না করে হাতের সব কাজ গুটিয়ে দুপুরের মধ্যে আপনার ননদের বাড়ীতে গিয়েছিলেন।
এরপর সেখান থেকে হ্যাপি ভ্যালি পার্কে গিয়েছিলেন। দিদি প্রতিটি মানুষের জীবনে বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে। হাজারো কর্মব্যস্ততার মাঝে একটু বিনোদন একটু ঘুরাঘুরি আমাদের মন এবং শরীর দুটোই চাঙ্গা রাখে। পরবর্তী কাজের জন্য সাহস যোগায়।
যাইহোক আপনি এরপর বেশ কিছু ফটো তুলেছেন এবং সেগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করছেন। এরপর বিভিন্ন রাইটে চড়েছেন। যদিও আপনি স্বীকার করেছেন যে এস ব্রাইডে চরতে আপনি ভয় পান। যাইহোক আপনার আগামী লিখার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন।
এই পার্কটার নাম অনেকদিন যাবৎ শুনেছিলাম, কিন্তু কিছুতেই যাওয়া হয়ে উঠছিল না। অবশেষে ননদ সকালে ফোন করে সত্যিই সারপ্রাইজ দিয়েছিল। তবে প্রথম দিকে যাওয়ার খুব একটা ইচ্ছে ছিল না, আবার একদম ইচ্ছে ছিল না সেটাও নয়। সব কিছু মিলিয়ে শেষপর্যন্ত যাওয়া হয়েছিল। সত্যিই ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছি, সেগুলো সম্পর্কে পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।