"ছেলে মেয়ে বিভেদ না করে, সন্তানকে শুধু সন্তান ভেবেই বড় করুন"
Hello,
Everyone,
আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
আমার আগের পোস্টে আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম, এই দিন যখন বাপের বাড়ি থেকে ফিরছিলাম, কেমন যেন একটা পিছুটান অনুভব করছিলাম। আসলে যত বয়স বাড়ছে, তত যেন পুরনো দিনের প্রতি পিছুটানও বাড়ছে।
আজ সারাদিন হঠাৎ কেন জানি না ঠাকুমাকে খুব মিস করেছি। আসলে একটা কথা সকলেই বলে, যখন বাৎসরিক কাজের সময় এগিয়ে আসে, তখন নাকি বারংবার আমরা সেই মানুষগুলোর কথা ভাবি। তাই আমরা তাদের বেশি করে মিস করি।
আমার ক্ষেত্রেও বোধহয় তেমনটাই হচ্ছে। কারণ ঠাকুমা মারা গেছে প্রায় এক বছর হতে চললো। সামনেই তার বাৎসরিক কাজ রয়েছে। এই কারণেই হয়তো তার কথা বেশি মনে পড়ছে।
ইচ্ছে করছে আজ আমার ঠাকুমাকে নিয়েই আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করতে। এই কারণেই আজ তাকে নিয়ে এই পোস্ট লিখতে বসলাম।
আগেও আমি আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম, আমার ঠাকুমা খুবই অল্প বয়সে বিধবা হন। তৎকালীন সময়ে বিধবা বিবাহ ততটাও প্রচলিত ছিল না, তাই সারাটা জীবন তাকে বিধবা হয়ে কাটাতে হয়েছে।
রঙিন জামা কাপড় পড়ার সুযোগ তার খুব বেশিদিন হয়নি। অথচ সাদা থান পরে কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের অর্ধেকের বেশি সময়। আগেরকার দিনের মানুষেরা বেশিরভাগ কুসংস্কারে বিশ্বাসী ছিলেন।
সেই কারণে সমাজে রীতি নীতি গুলো আজকের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন ছিল। বিশেষ করে মেয়েদের নিয়মের বেড়াজালে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখার একটি রীতি প্রচলিত ছিল তখন।
আমার ঠাকুমার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু সমস্ত প্রতিকূলতা তিনি একার হাতে সামলেছেন। জীবনের সমস্ত কঠিন লড়াই একাই লড়েছেন। শুধুমাত্র নিজের ছেলেকে সঙ্গী করে। তার সেই অদম্য লড়াইয়ের সাক্ষী হয়তো আমি প্রত্যক্ষভাবে থাকতে পারিনি। তবে গল্প শুনেছি অনেক।
পুরনো দিনের মানুষেরা কুসংস্কার বিশ্বাস করলেও, কিছু মানুষ সেই সময়ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে সক্ষম ছিল। তার মধ্যে আমার ঠাকুরমাও একজন।
আগেকার দিনে এমন অনেক মানুষ ছিলেন যারা বাড়ির বউয়ের ছেলের সন্তান না হলে, তার সাথে যথেষ্ট খারাপ ব্যবহার করতেন। কারণ তৎকালীন যুগের সমস্ত মানুষের একটা ভ্রান্ত ধারণা ছিল যে, একমাত্র ছেলে হলেই বংশের নাম রক্ষা হয় এবং শেষ বয়সে শুধুমাত্র ছেলের ওপরেই ভরসা করা যায়।
যদিও আজকাল মানুষের ধারণা অনেকটাই বদলেছে। কিন্তু এই ধরনের মানুষ আজও কিন্তু আমাদের সমাজে রয়েছেন।
আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা অনেকেই জানেন,আমার আমার কোনো দাদা বা ভাই নেই। আমরা তিন বোন। আরএই কারণে সেই সময় আমার মাকে ও সমাজের অনেক মানুষের অনেক কথাই শুনতে হয়েছে।
তবে আমার মায়ের সৌভাগ্য যে, আমার ঠাকুরমা কখনোই এই বিষয়টি নিয়ে আমার মাকে কথা শোনান নি এবং আমরা নিজেরাও কখনো তার কাছ থেকে এমন কোনো ব্যবহার পায়নি, যেখানে মেয়ে হয়ে জন্মানোর জন্য নিজেদের আক্ষেপ হয়।
সেই সময় শুধু আমার মা কে নয়, আমার ঠাকুমাকেও অনেকেই কথা শুনিয়েছেন। তবে প্রতিবাদী কন্ঠে তখন ঠাকুরমা তাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
শুধু তাই নয় তিনি প্রত্যেককে জানিয়েছেন যে, তার তিনটি নাতনি থাকার জন্য তার কোনো আফসোস নেই, কারণ তার নাতনিরা নাতির থেকে কোনো অংশে কম হবে না।
আর এই গর্ববোধটা তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছিল। কারণ তিনি জানতেন তার অবর্তমানে তার ছেলেকে দেখার জন্য, ছেলের ছেলে না থাকুক তিনটি মেয়ে আছে। যারা তার ছেলেকে ভালো রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
সত্যি বলতে যখন খবরে দেখি বা খবরের কাগজে পড়ি ছেলে সন্তান না হওয়ার কারণে বাড়ির বউদের উপরে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার করা হয়।তখন ঠাকুমার উপরে আমার গর্ব হয়।
সংসারে থাকতে গেলে বিভিন্ন কারণে অনেক সময় হয়ত মায়ের সাথে তার গন্ডগোল হয়েছে,কিন্তু কখনোই তার কারণ আমরা তিনটি বোন ছিলাম না।
সকলেই বলে, রাগের মাথায় আমরা আমাদের মনের ভিতরের কথা প্রকাশ করে ফেলি। তবে আমি কখনোই জন্মের পর থেকে আমার ঠাকুমার কাছ থেকে এই বিষয়ে আক্ষেপের প্রকাশ পায়নি, যে তার একটি নাতি হলে হয়তো ভালো হতো।
এমনকি তিনি যখন শেষ বয়সে একা আমাদের বাড়িটি আগলে রাখতেন, তখনও ভুল করে কখনো এটা বলতেন না আজ একটা নাতি থাকলে হয়তো বাড়িতে থাকার মানুষ থাকত। তখনও তিনি বলেছেন, আমি না থাকলে বাবাকে তোমরা তোমাদের কাছে নিয়ে রেখো, এই বাড়িতে একা রেখো না।
আজ বাবা আমার দিদির ফ্ল্যাটে থাকে। দিদি বাবার জন্য ওদের বিল্ডিংয়ের নিচের তলাতেই আর একটা ফ্ল্যাট কিনেছে। আমি মাঝেমধ্যেই ওখানে গিয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করি। আমরা তিনজন মিলে গল্প করি, ভালো সময় কাটাই, হয়তো ঠাকুরমা উপর থেকে দেখে খুশি হয়।
পুরনো দিনের মানুষ হয়েও এই আধুনিক মনস্কতা আমার ঠাকুমাকে অনেক মানুষের থেকে আলাদা করে। জীবনে মানুষটা অনেক কষ্ট করেছে ঠিকই, তবে আজ হয়তো এতটুকু শান্তি তিনি পান,এটা দেখে যে, যেই ছেলেকে নিয়ে সারাজীবন বেঁচে ছিলেন অন্তত সেই ছেলেটিকে তার মেয়েরা ভালো রাখার চেষ্টা করছে।
ছেলে হোক বা মেয়ে প্রত্যেকটি বাবা-মায়ের কাছে তাদের সন্তান সন্তানই হয়। তাই সন্তানকে সন্তানের মতনই ভালোবাসা উচিত, তাতে করে অন্তত ছেলে মেয়ের বিভেদটা তৈরি হবে না। প্রত্যেকেই সুস্থ সন্তান হয়ে বেড়ে উঠবে।
আর এই তুলনা যেদিন কমবে সমাজের রূপ সেদিন আরও পরিবর্তন হবে। আজকের দিনে দাড়িয়ে অনেককেই বলতে শোনা যায়, ছেলে হোক বা মেয়ে, সন্তান যেন পৃথিবীতে সুস্থ ভাবে ভূমিষ্ঠ হয়।
এই প্রার্থনাটাই প্রত্যেকটি মানুষের করা উচিত। কারণ ভালোভাবে মানুষ করতে পারলে, একটি মেয়েও ছেলের দায়িত্ব পালন করতে পারে। এ কথাটা আজ আর অস্বীকার করা জায়গা নেই।
যাইহোক ঠাকুমার বাৎসরিক কাজের সময় প্রায় এগিয়ে এলো। দেখতে দেখতে কোথা দিয়ে একটা বছর পার হলো বুঝতেও পারলাম না।
সময় বোধহয় আপন গতিতে এইভাবেই এগিয়ে চলে, যার হিসাব আমরা চাইলেও রাখতে পারি না।সকলে ভালো থাকুন, এই প্রার্থনা করি। শুভ রাত্রি।
আসলে আমরা যে মানুষটিকে অনেক ভালোবাসি সেই মানুষটির কথা আমাদের সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে। আপনি আপনার ঠাকুমাকে অনেক ভালোবাসতেন বলেন আপনার ঠাকুমায়ের কথা আপনার সব সময় মনে পড়ে।
এবং বংশের নাম রক্ষা করতে ছেলে বা মেয়ের প্রয়োজন হয় না। মেয়ে বা ছেলে বলে কোন কথা নয় যদি একটি মেয়েকে ঠিকভাবে আমরা বড় করতে পারি তাহলে সে ও আমাদের বংশের নাম রক্ষা করতে পারে। এবং একটি ছেলে যদি খারাপ পথে চলে যায় তাহলে বংশের নাম রক্ষার চেয়ে বংশের নাম ডুবাতে থাকে তাই এইসব কুসংস্কার আগে চলত এখন বর্তমানে এই সব বদলে গিয়েছে।
আপনার আজকে পোস্টে পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আগের দিনের মানুষ কুসংস্কার বিশ্বাসই ছিল ।সেটা আমরা শুনে এসেছি এবং দেখেও এসেছি। আর আজকের এই আপনার পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে তাও বুঝতে পেরেছি যে, এই কুসংস্কারে আমরা এর বাইরে যাননি ।আপনার মাকেও সেই কথা শুনতে হয়েছে ।
আমাদের দেশেও বলা হয় ,ছেলেকে বংশের প্রদীপ ।একটি ছেলে হল সেই বংশের প্রদীপ ।আর মেয়েগুলো কি সেটা তারা কখনোই ভাবেনা ।মেয়েদের সবসময় বোঝা মনে করা হয় ।তারা এটা বুঝতে চায় না যে,ছেলে যদি এক বংশের প্রদীপ হয়, মেয়ে হল দুইটি বংশের প্রদীপ ।
আমাদের দিদা- ঠাম্মা এমনকি মায়েরাও এ কুসংস্কারের সাথে যুক্ত হতেন। কিন্তু মানুষের সেই ভুল ধারণা এখন পরিবর্তন হয়েছে ।এখন দেখা যাচ্ছে যে, ছেলেদের থেকে মেয়েরাই পরিবারের হাল ধরে বেশি ।ছেলেদের থেকে মেয়েরাই শিক্ষার দিক থেকে এগিয়ে আছে ।এমনকি সমস্ত বিষয়ে আমার মনে হয় ছেলেদের থেকে মেয়েরা কোন অংশে কম নয় ।
আপনার ঠাকুমার আত্মার শান্তি কামনা করছি। আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।
ছেলের জন্য প্রত্যাশা এই বিষয়টা আগের তুলনায় কমলেও এখনো রয়ে গেছে। আমার নিজের শাশুড়ীর মাঝেও দেখেছি এটা। আমার জায়ের যখন প্রথম মেয়ে হলো তখন দেখেছি তাকে বাক্যবানে বিদ্ধ করতে। যদিও পরিবারের অন্য সদস্যদের মাঝে এটা নিয়ে কোন মাথাব্যথা ছিল না।
শুনে ভালো লাগলো যে আপনার ঠাকুমা আগের সময়ের মানুষ হবার পরেও তার মাঝে এটা ছিলো না।
আরো বেশি ভালো লাগলো এটা শুনে যে আপনার বাবাকে আপনার দিদি নিজের কাছে এনে রেখেছেন।আসলে একা থাকাটা কস্টকর।
এই জিনিসটা আমার এক কাজিনকেও করতে দেখেছি।মা বাবা দুজনকেই নিজের কাছে রেখেছিলো আর তার কাছেই মারা গেছেন তারা।
আপনার ঠাকুমা যেখানে থাকুন না কেন ভালো থাকুন এটাই প্রার্থনা করি।
সেই সাথে আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।
আসলে প্রিয় মানুষের উপস্থিতি তখন টের পাওয়া যায় যখন সে ফাঁকি দিয়ে অনেক দূরে চলে যায়। আপনার পোস্ট আর বাবার কথা মনে পড়ছে ওনার মৃত্যুর এত বছর পরেও তাকে অনেক মিস করি। তবে কুসংস্কার সমাজের জন্য একটা মারাত্মক ব্যাধি। আপনার ঠাকুরমার যেন ওপারে ভালো থাকে।
আগেকার দিনের এই কুসংস্কার গুলো মানুষের মন ভেঙ্গে দিত। আসলে মানুষ মনে করে ছেলে হলে ঘরের বাতি জ্বালানোর প্রদীপ আসে। কিন্তু এটা হয়তোবা অনেকেই ভুলে যায়। ছেলে মেয়ে উভয়ই পারে মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে। বাবার মুখে দু মুঠো ভাত তুলে দিতে। এই কুসংস্কার থেকে আমাদের প্রত্যেককে বেরিয়ে আসা উচিত।
আসলেই সত্যি বেশ কয়েকদিন ধরে আমার দাদী মায়ের কথা বেশ মনে পড়ছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের ১৩ তারিখে ওনার মৃত্যুবার্ষিকী। হারিয়ে ফেলেছি ওনাকে গত এক বছর আগে। যে মানুষটা চলে যায় সে আর ফিরে আসে না। কিন্তু তার জন্য মনের এক কোণে অবশ্যই কিছু না কিছু খারাপ লাগা থেকেই যায়। সবসময় চেষ্টা করতাম উনাকে ভালো রাখার, কি খাবার খেতে চায় সেটা খাওয়ানোর। কিন্তু কতটুকু খাওয়াতে পেরেছি সেটা নিজেও জানিনা।
আমার মতোই আপনার মনটাও খুব খারাপ। কারণ আপনার ঠাকুমার কথা মনে পড়ছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তা আপনার ঠাকুমাকে পরকালে শান্তিতে রাখুক। প্রত্যেককেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। হয়তোবা কেউ আগে কেউ পড়ে। আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে মনের অজান্তেই চোখের কোনে জল চলে আসলো।
কেন জানিনা আপনার ঠাকুমার জীবন আর আমার দাদিমার জীবন একই রকম। আমার দাদীমা ও অল্প বয়সেই বিধবা হয়েছেন। নয় জন সন্তান নিয়ে নিজের বাকিটা জীবনটা পার করে দিয়েছেন। আমার বাবারা পাঁচ ভাই চার বোন।
তবে আপনার মা অনেক ভাগ্য করে আপনার ঠাকুমাকে পেয়েছিল। কেননা আমাদের এখানে তো শাশুড়িরাও বউকে কথা শোনায়। যখন তাদের পুত্রসন্তান হয় না। কিন্তু আপনার ঠাকুমার আপনার মাকে কখনোই কোন কথা বলেনি। সেজন্য আপনার ঠাকুমাকে স্যালুট জানাতে ইচ্ছে করছে। মন খারাপ করবেন না। জীবন তার গতি নিয়ে চলতে থাকে। একটা সময় আমি আপনি সবাই চলে যাব। ভালো থাকুক সেই মানুষগুলো, যারা এই পৃথিবী থেকে চলে গিয়েছে।
আপনার ঠাকুরমা নি:সন্দেহে একজন মহীয়সী নারী, যিনি স্রোতের বিপরীতে সাতার দেয়ার সাহস দেখিয়েছেন। ওই সময় কুসংস্কার এর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারাটা অনেক সাহসের ব্যাপার ছিল, তার উপর যদি মেয়ে মানুষ হয় তাহলে বুঝতেই হবে উনি কতটা সাহসী।
অবশ্যই আপনি উনার থেকে অনেক শিক্ষা নিয়েছেন, তাইতো ভাই না থাওকলেও তার অভাব আপনার বাবা টের পান নি।
আমাদের সমাজে এখন ভালো পাওয়ার মানুষ কম কিন্তু কারো বিষয় বাজে মন্তব্য করার মানুষের অভাব নেই। আমার শুনে খারাপ লাগল যে আপনার কোন ভাই নেই আমি এটা সত্যি আগে জানতাম না পোস্টটি পরে জানতে পারলাম।আর কোন ও ভাই না থাকার কারণে আপনার মাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা হাজারো খারাপের ভিতরে একজন ভালো মানুষ দিয়েছেন আপনার মাকে আর সেটা হলো আপনার ঠাকুমা। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।