২৬ শে জুন আমার জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ তারিখ
প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু তারিখ, কিছুক্ষণ, মনের মনিকোঠায় গেথে থাকে। এমন একটি দিন ২৬ শে জুন। বিশেষ কারণে ই দিন টি আমার জন্য বিশেষ একটি দিন। ১৯৯৮ সালের এই তারিখে আমার বিবাহ হয়। দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়ে এই পর্যন্ত এসে পৌঁছেছি, তাই মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।।
জীবন মানেই সংগ্রাম ,জীবন মানেই যুদ্ধ, ভালো-মন্দের সমন্বয়ে জীবন ।২৬ বছরের বিবাহিত জীবনে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। হাজারো স্মৃতি সমন্বয়েই হয় মানুষের জীবন। সব স্মৃতি স্মরণ করার মত নয় ,কিছু স্মৃতি রয়েছে শুধু অনুভব করা যায় মুখে বা বলে প্রকাশ করা যায় না।
বেশ কয়েকদিন যাবতই মনে মনে ভাবছি যে ২৬ তারিখে আমাদের বিবাহ বার্ষিকী। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আজ আমি সত্যিই ভুলে গিয়েছিলাম আজ আমার ২৬ তম বিবাহ বার্ষিকী। ২৬ তারিখে ২৬ তম বিবাহ বার্ষিকী অনেকটা অবাক করার মতো তারিখ।
আজ যেহেতু স্কুল ছিল, তাই 26 তারিখ টা আজ কয়েকবারই লিখেছি কিন্তু ওইভাবে কখনো ভাবি নি। বিকেলের দিকে সাহেব হঠাৎ করে বলল যে, আজ তো ছাব্বিশ তারিখ চলো কোথাও ঘুরতে যাই। তখন আমার মাথায় আসলো আরে আজ তো 26 শে জুন আমার বিবাহ বার্ষিকী।
তাই ভাবলাম আশপাশ কোথা থেকে ঘুরে আসি। যে রেস্টুরেন্ট আজকে গিয়েছিলাম এটি সদ্য তৈরি করা হয়েছে। আমি আজই প্রথম গিয়েছি। তবে পরিবেশটা দেখে বেশ ভালো লেগেছে, একেবারে ঢাকাও সিলেট হাইওয়ের পাশে ।আমার মনে হচ্ছে খাবারের মান যদি ভাল হয় তাহলে খুব ভালো চলবে কারণ লোকেশনটা একেবারে চমৎকার ।
সত্যি কথা বলতে আমার খুব একটা যেতে মন চায়নি।কারন অনেকদিন পর স্কুল খুলেছে তাই অনেক ক্লান্ত ছিলাম। তারপরও সাহেব যেহেতু বলছে, তাই ছেলেকে যেয়ে বললাম ,চলো বাইরে থেকে ঘুরে আসি ।আজ মা মনির বিবাহ বার্ষিকী ।ছেলে মুশকি এসে বলল ,কখন যাবে, কোথায় যাবে ,তাই তাকে আবার লোকেশনটা বললাম চলো আমরা ভোজন বিলাসে ঘুরে আসি।
কারণ এই রেস্টুরেন্টে ওর ও এখনো যাওয়া হয়নি। আমাদের পরিবারে কেউ এখনো যায়নি ওখানে।কারন কিছুদিন আগে শুধু উদ্বোধন করা হয়েছে ।তাই ভাবলাম যেহেতু বিশেষ একটি দিন ,তাই বিশেষ জায়গায় যাই তাতে করে ভালো লাগবে।
রেস্টুরেন্টে যেয়ে খাবার অর্ডার দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম ।ইতিমধ্যে আমার বড় মেয়ে মোবাইলে ফোন করে উইস করল। তবে ওর মোবাইলটা পেয়ে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল। মেয়েটা পাশে থাকলে হয়তো আরো ভালো লাগতো। ছেলে মেয়ে দূরে থাকলে কোন আনন্দ আনন্দের মত লাগে না।
তারপর রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে বাসায় আসার পথে আমার সাহেব মেয়েকে বিকাশ করে টাকা পাঠালো। আর বলল তুমি কোথা থেকে কিছু খেয়ে নিও। আসলে বাবা মারা এরকমই হয় ।ছেলে মেয়েদের ছাড়া কোন আনন্দই আনন্দের মতো করে উপভোগ করা হয় না।
তারপর বাসায় এসে যেহেতু রাতের খাবার খেয়ে এসেছি রান্না করার কোন ঝামেলা ছিল না । তাই রুম গুছিয়ে একটু রেস্ট নিলাম। তারপর ভাবলাম যে, আপনাদের সাথে শেয়ার করি,আমার বিশেষ একটি দিন ।আপনাদের সাথে শেয়ার না করলেও তো মনে তৃপ্তি পাবো না। তাই চলে আসলাম আপনাদের সাথে আমার বিশেষ দিনটি শেয়ার করতে। সবাই আমার জন্য এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন, যাতে করে আমরা দীর্ঘদিন এভাবেই একসাথে কাটিয়ে দিতে পারি।
বন্ধুরা আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা জানিয়ে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি, আল্লাহ হাফেজ শুভরাত্রি।
ম্যাম প্রথমেই আপনাকে বিবাহ বার্ষিকীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভাইয়া সহ জীবনে ছাব্বিশটি বছর এক ছাদের তলায় বসবাস করে আসছেন। সত্যি ম্যাম আপনারা আমাদের আইডল। বিশেষ করে আমরা যারা নতুন বিবাহ করেছি। কেননা বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। আপনার আজকের লিখা পড়ে অনেক ভালো লাগছে। মনে মনে ভাবছি আল্লাহ্ তা'লা যেন আমাকেও তৌফিক দান করেন আপনাদের মতন বছরের পর বছর আমার স্ত্রী সহ থাকবার।
দিনটি আজ আপনি দারুণভাবে কাটিয়েছেন। ভাইয়া আপনাকে নিয়ে রেষ্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলো। রেষ্টুরেন্ট সম্পর্কে দারুন একটি রিভিউ দিয়েছেন আপনি। সেখানকার খাবার আপনার বেশ ভালোই লেগেছে। সব মিলিয়ে আপনার জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইলো । ভালো থাকবেন ম্যাম।
আপনাকে শুভ বিবাহের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, এবং সেই সাথে সাথে আপনার এই দীর্ঘ পথ চলার সকল বিষয় আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, একটি মানুষকে না চিনে না জেনে বিবাহ করেছিলেন এবং তার সাথে আজ ২৬ টি বছর কাটিয়ে দিয়েছেন এটা শুনে অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু আপনি আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আবারও কমেন্টের অনেক সুন্দর করে রিপ্লাই দিয়েছেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
দাম্পত্য জীবনে অনেক সংগ্রাম ভালোবাসা মধ্য দিয়ে ২৬ টা বছর অতিবাহিত হল আপনার জীবনে এই দিনটা একটি বিশেষ স্মরণীয় দিন যেটা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষ ভুলবে না প্রথমে আপনাকে অভিনন্দন জানাই শুভ বিবাহ বার্ষিকী।
যেভাবে আপনাদের ২৬ টা বছর অতিবাহিত হয়েছে বাকি জীবন যেন আরো সুন্দরভাবে অতিবাহিত হয় এই দোয়াই সর্বদাই করি। আপনি একদম ঠিক বলেছেন জীবন সংগ্রাম একটি বড় সংগ্রাম যেখানে সেক্রিফাইস একে অপরের প্রতি বিশ্বাস খুবই জরুরী।
আপা একদমই ঠিক তাই, যদি বিয়ের আগে প্রেম করা যায় তাহলে কিন্তু অনেকটাই সহজ হয়ে যাই। দুই থেকে তিন বছর প্রেম করলে নিজেদের ভিতরে অনেকটাই বোঝাপড়া এগিয়ে যাই তবে এটা ইসলামে জায়েজ নয়।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা মেয়েদের ধৈর্যশীল বানিয়েছেন আর এই জন্য মেয়েরা সকল পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টে পড়ে সুন্দর একটি রিপ্লে দেওয়ার জন্য।
নয় ।আমি মনে বিশ্বাস করি আসলে। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টটি পড়ে পোস্টে রিলেটেড এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শুভ বিবাহবার্ষিকী।
নতুন নতুন বিয়ের পড়ে এই সব দিনগুলির কথা যতটা মনে থাকে একটা সময় মানুষ ভুলে যেতে থাকে। আমি অন্তত ভুলি।
কিন্তু আমার দুই ছেলে মনে রাখে আমার হয়ে তাই সুবিধা হয়। বাইরে বের হয়ে ভালোই করেছিলেন ,তবে পাশে মেয়ে থাকলে আরো পরিপূর্ণ হতো।
আসলে ছেলেমেয়ে পাশে না থাকলে কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগে সবকিছু।
আপনাদের ভালোবাসার বন্ধন অটুট থাকুক এটাই কামনা করি। ভালো থাকবেন সবসময়।
মানুষ ব্যস্ততার জন্য অনেক সময় স্পেশাল দিনের কথা ভুলে যায় কিন্তু আপনি ভুলে গেলেও আমাদের ভাই কিন্তু মনে রেখেছে।। স্পেশাল দিন স্পেশাল ভাবেই কাটিয়েছেন ভাইয়ের সাথে মেয়েদের সাথে।। দোয়া রইল বাকিটা জীবন যেন এভাবেই কাটাতে পারেন।।
হয়তোবা ছেলেদের ভালোবাসা এমনে হয় আর স্পেশাল দিনে স্পেশাল ভাবে কাটালে আসলেই অনেক ভালো লাগে।। দোয়া রইল পরিবারের সকলের জন্য সবাই ভালো থাকুন।।
আর বাবা মার প্রতি প্রত্যেক ছেলে মেয়ের অনেক ভালোবাসা থাকে অনেকে প্রকাশ করল বেশিরভাগ জনি সেই ভাবে প্রকাশ করে।। বিশেষ দিনটি বিশেষভাবে পালন করেছেন শুনে ভালো লাগলো।।
একদম আর সবার প্রকাশ করা ধরন কিন্তু একরকম হয় না অনেক ছেলে মেয়ে আছে বিভিন্নভাবে প্রকাশ করে থাকে।।
প্রথমে আপনাকে বিবাহ বার্ষিকীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। যদি একটু দেরি হয়ে গেছে তারপরেও সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি ভালো থাকুন সবসময়। তবে আজকে একটু চিন্তা করে বসলাম। আপনার বিয়ের কিছুদিন পরেই আমার জন্ম হয়েছিল। কিছুদিন বললে ভুল হবে প্রায় দীর্ঘ কয়েক মাস। যাইহোক একটা মজা করলাম। পরিবারের সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন। আসলে পরিবারের মধ্যে সমস্যা থাকবে সেগুলো সমাধান করতে হবে। প্রিয় মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক নিয়েই এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়াটাকে আমি উত্তম মনে করি। ভালো থাকুন সবসময়।