Better life with steem|| The Diary Game || 26th December 2023.
সকালটা শুরু হলো বাপ্পির ফোনে।ও ভোর ৫ টায় ডেকে তুলে বলল নিচে নামতে।আমিতো ভয় পেয়ে গেলাম কারো কোনো সমস্যা হলো কিনা।পরক্ষণেই মনে পড়ল ও হয়তো ওকে এগিয়ে দিয়ে আসার কথা বলছে।ওর জব পোস্টিং সাতক্ষীরা। স্বভাবতই সাতক্ষীরা গিয়ে অফিস করতে হলে এমন সময় রওয়ানা দিতেই হতো।বাপ্পি কখনো সকালে গিয়ে অফিস করতে রাজি না।ও আগের দিনই গন্তব্যে পৌঁছে যায়।আমিই বলতাম আগের দিন কেন যায় সে। এর আগে আমি কখনো এত সকালে ওর রওয়ানা হওয়া সম্পর্কে জানতাম না।আর শীতের সকালে তো এত সকালে বাইরে যাওয়া মোটামুটি অসম্ভব কাজ।সেই সাথে বপশ ঝুকিপূর্ণ ও।
যাইহোক আমি প্রস্তুতি নিয়ে নিচে নামলাম।মোটামুটিভাবে প্যাকেট হয়েই নামলাম আমি।বাইরে তাকিয়ে দেখি বেশ অন্ধকার। আমি আর ও রওয়ানা দিলাম ফকিরহাটের উদ্দেশ্যে।বাইক বাইরে বের করে যতটা না কুয়াশা মনে হচ্ছিল তার থেকে অনেকগুন কুয়াশা পড়েছে আজ।২/৩ হাত দূরে কি আছে তাও বেঝা যাচ্ছে না।বাইকের গতি ছিল ১২ কিমি/ঘন্টায়!!
কিছুদূর পর শ্মশান বাধে যাওয়ার পথে।সেখান থেকে যাওয়ার সময় গা ছম ছম করতে লাগলো। পরক্ষনেই দেখি প্রায় ১০/১২ টা কুকুর রাস্তা আটকে দাড়িয়ে আছে।এবার ব্যাপারটাতে আরও ভয় পেলাম।বাইক দ্রুত টেনে ওখান থেকে চলে গেলাম।কিন্তু মনে মনে ভাবছি ফেরার পথে তো একা ফিরব, তখন কি হবে।এরপর ফকিরহাটে ও কে নামিয়ে দিলাম।সেখান থেকে আমি একটা ছবি তুলে নিলাম।ফেরার পথে দেখি কুকুর গুলো ওখানে নাই। শ্মশান যখন ক্রস করি তখন কোনোদিকে না তাকিয়ে বাইক যথাসম্ভব স্পিডে চালাতে লাগলাম।মনে হচ্ছিল কেউ বসে আছে বাইকের পিছে!!
এরপর বাড়িতে এলাম,আবার একটু ঘুমিয়ে নিলাম।সকাল ৮:৩০ টায় উঠে অফিসের জন্য রেডি হলাম।আজ আবার আমাদের গ্রামে শীতলা পূজা।তাই ইচ্ছা ছিল দুপুরে বাড়ি চলে আসার।তবুও লাঞ্চ সাথে করে নিয়ে এলাম, যদি ছুটি না পায়।এরপর স্যারকে বুঝিয়ে বললাম সমস্যার কথা।সে বলল ১ টার দিকে চলে যেতে।আমিও কাজ মোটামুটি গুছিয়ে অন্য একজনকে বুঝিয়ে দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।এরপর বাড়িতে গিয়ে ওয়াইফ কে বললাম রেডি হতে।সবাই রেডি হয়ে গাছতলায় চলে গেলাম।
পূর্বপুরুষেরা এইস্হানে পূজা আরম্ভ করেছিল। পাড়া থেকে একটু দূর কিন্তু তাদের সেই ধারাই বজায় রাখা হয়েছে। এরপর পূজা দেখতে লাগলাম।পূজা শেষ হতে প্রায় রাত ৭:৩০ টা বাজল।এরপর প্রসাদ নিয়ে মা কাকিদের নিয়ে বাড়িতে আসলাম।সবাই উপস করেছিল,তাই সবাই কে বললাম কিছু খেয়ে নিতে।সবাই যার যা ভাল লাগে সেটা খেয়ে নিল।এরপর সবাই মিলে আড্ডা শুরু করলাম।বেশ আনন্দে কাটল বাকি সময়।আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বিবাহ।আমার ভাই থেকে শুরু করে কাজিনরা সবাই বিবাহযোগ্য।তাই তাদের বিয়ে নিয়ে আলোচনা হলো অনেক সময় নিয়ে।এরপর যার যার মতো ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
আসলে শ্মশানের কিংবা কবরস্থান এর পাশ দিয়ে একা চলাচল এর সময় কিছু থাক আর না থাক মনের মাঝে একটা ভয়ের অনুভুতি কাজ করে। আর সেটাই হয়তো হয়েছিল আপনার সাথে একা বাইক চালানোর জন্য।
তকবে মাথা ঠান্ডা রেখে চালিয়েছুলেন বলেই কোন দূর্ঘটনা ঘটে নাই। অনেক সময় ভয়ের কারনে এক্সিডেন্ট ঘটে।
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য
সকাল বেলার দৃশ্য টা কিন্তু অসাধারণ ছিলো। কুয়াশা মাখানো সকাল সত্যিই দেখার মতো।আপনি সকাল ৫ টার সময় আপনার বাপ্পির ফোন পেয়ে ঘুম থেকে উঠেছেন। আর কুয়াশায় আপনি রাস্তার সামনে অংশ দেখতে পাচ্ছিল না ।আর এর ফলেই এক্সিডেন্ট হয় অনেক। আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সকাল বেলা খুব সহজেই আপনি দেখতে পারবেন না,কারণ আমরা ভয়ানক প্রকারের আলসে।কুয়াশার কারনে শীতকালে বেশি দুর্ঘটনা হয়ে থাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মানুষ চাইলে পারে না এমন কোন ও কাজ নেই ভাই কিন্তু আমার ভিতর সেই চাওয়া টাই নাই আর আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন আমি অনেক অলস আমার পরিবারের মানুষ ও তাই বলে।
এই যে আপনি নিজে বলছেন আপনি অলস এই বোঝাটাই অনেকে বুঝতে পারে না বিধায় সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না।কিন্তু আপনি পারবেন অলসতা কাটিয়ে ভাল কিছু করতে।
ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকবেন।
ভাই নিজের ভিতরে থাকা অভ্যাসগুলো আমরা বুঝতে চাই না শুধু অন্যের অভ্যাসগুলো ধরে আলোচনা করি। আসলে অলসতা হলো অনেক খারাপ একটি অভ্যাস যার ভিতরে থাকে সেই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয় না। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমরা অন্যের খারাপ গুন বা ভাল গুন সহজেই বুঝতে পারি কিন্তু নিজের ভালটা সব সময় দেখি কিন্তু নিজের খরাপ গুন দেখতেই পাইনা।
অলসতা আসলেই অনেক খারাপ গুন।এটা থাকলে এই সমাজে পিছিয়ে পড়তে হয়।
ভালো থাকবেন আপনি।
আপনি অনেক সুন্দর একটি কথা বলেছেন আমরা নিজের ভিতরে কি আছে তা না দেখে অন্যকে বলি তুই এমন। আসলে মানুষ যদি নিজের দিকটা দেখে কথা বলতো ।আমি আমার টাই বলি আমিও কিন্তু অনেক অলস কিন্তু আমি আপনাকে বলি অলস যাই হোক ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
গ্রাম বাংলায় একটা প্রবাদ আছে," চালন সুইকে বলছে তোর পাছায় ফুটো কেনো'- এরকমই ব্যাপার আমাদের সমাজে এখন।
আমরা নিজের টা দেখি না,বলা যায় দেখতেই পায় না।
ধন্যবাদ আপনাকে পুনরায় মন্তব্য করার জন্য।
শ্মশানের পাশে কুকুর দেখে আপনি ভয় পেয়ে গেলেন। ভয় পাচ্ছিলেন ফেরার সময় কিভাবে একা ফিরবেন। শ্মশান ঘাটের দিকে এমনিতেও তাকালে আসলে গা ছমছম করে ওঠে। এছাড়া ছিল আপনাদের শীতলা পূজা। তাই অফিস থেকে বলে ছুটি নিয়ে দুপুরে চলে আসলেন। এরপরে পূজায় অংশগ্রহণ করলেন। আজকের আলোচনা ছিল বিবাহ নিয়ে। তাই আপনার কাজিনদের বিবাহ নিয়ে আলোচনা করতে করতে দিন পার করে দিলেন। খুব ভোরবেলায় দিন শুরু হলো আপনার।অতঃপর কাজ করতে করতে আপনার সারাদিন কেটে গেল। আপনার ব্যস্ত দিনলিপি পড়লাম। ভালো লাগলো পড়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টটি যত্নসহকারে পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আসলে শ্মশান পবিত্র জায়গা আমি নিজেও জানি কিন্তু কেন যেন এখানে গেলে ভায় লাগে।
ঐদিন অনেক ভায় পেয়েছিলাম কারন কিছুদিন আগে আমাদের পাড়ার ২ জন লোক মারা যাওয়ার পর ওখানে দাহ করা হয়েছিল।
ভালো থাকবেন।
আপনার ভোর সকালে ঘুম ভাঙ্গে বাপ্পির ফোন পেয়ে। বাইরে যে কি কুয়াশা এবং প্রচুর ঠান্ডা তারপর ঘুম থেকে উঠে বাপ্পীকে আনার জন্য গিয়েছেন। আপনাদের ওখানে আজ পূজা ছিল তাই দুপুরে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে চলে আসেন এবং পূজাতে অংশগ্রহণ করেন। পূজা শেষ করে প্রসাদ নিয়ে আসলেন তারপর সবাই একসাথে বসে আড্ডা দিলেন। তারপর বিয়ে নিয়ে আলোচনা করলেন আপনার কাজিনদের বিয়ে নিয়ে আলোচনা করতে করতে রাত পার হয়ে গেল। তারপর সবাই ঘুমিয়ে গেলেন।
থ্যাংক ইউ আপনার ব্যস্ত দিনগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
এত কুয়াশায় বাইকের এই গতিই ঠিক আছে। স্পিড বাড়িয়ে আবার নতুন করে অ্যাক্সিডেন্ট করবেন নাকি। তাও ভাল কুকুরগুলো বাইকের পিছনে তাড়া করেনি। ওদের একটা খারাপ অভ্যাস আছে, দল বেঁধে থাকলে অনেক সময় ওরা বাইকের পিছন পিছন ছোটে। শ্মশানের পাশ দিয়ে ভোররাত্রে গেলে কিছুটা অন্যরকম অনুভূতি হওয়াটা স্বাভাবিক। আপনাদের গ্রামের শীতলা পূজায় তো বেশ ভালো লোকসমাগম হয়েছিল। আপনাদের পূর্বপুরুষদের ধারা যে আপনারা এখনো বজায় রেখে চলেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো।
আমাদের এখানে শীতলা মাতা অনেক জাগ্রত। আমাদের পাড়ার সব লোক এদিন ওখানে জমায়েত হয়। এমনকি যারা বাইরে থাকে তারাও ঐদিন বাড়িতে আসে।
বাইকের গতি আসলে বাড়ানোর উপায় ্ই ছিল না। ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকবেন।
যে টপিকে আপনাদের আলোচনা সভা শুরু হয়েছিল, তা বাঙালীর আড্ডার প্রিয় বিষয়। কয়েকদিন আগেই আপনার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল, তাই কুয়াশার সকালে অবশ্যই সাবধানে বাইক চালাবেন। রাস্তার কুকুরগুলোর কারনেও অনেকসম য় অ্যাক্সিডেন্ট হয়। হাফ অফিস করলেও বাকি অর্ধেক দিন কিন্তু প্রিয়জনের সাথে ভালোই কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ দিদি আমাকে পুনরায় সতর্ক করে দেয়ার জন্য। আসলে এসব কুকুর দের জন্য দুর্ঘটনা বেশি হয়।কুকুর গুলো কোথা থেকে যেন বাইকের নিচেই চলে আসে।
আর হাফ অফিস করার কারনে অপরাধবোধ হচ্ছিল কারন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এমনটা করা আমার উচিৎ হয়নি।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।
আমি অনেকের মুখেই শুনেছি শ্মশানে নাকি আত্মা ঘুরে বেড়ায়।। আর এই কারণে মানুষ সেখান দিয়ে যেতে অনেক বেশি ভয় পায় ।। আসলে আত্মা ঘুরে বেড়ায় কিনা এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই।। আপনি হয়তোবা ভয় পেয়েছিলেন আর একটা স্বাভাবিক ভয় পাওয়াটা আপনার জায়গায় আমিও থাকলে ভয় পেতাম।। কিন্তু কোন দুর্ঘটনা হয়নি শুনে বেশ ভালো লাগলো।।
আমিও আপনার মতো শুনেছি যে শ্মশানে খারাপ আত্মা ঘুরে বেড়ায়। তবে এটা অবশ্যই ভুল ধারনা।তবে ছোট বেলা থেকে মাথায় এসব গল্প শুনে বড় হয়েছি বিধায় এখনো এসবই মাথায় ঘোরে।
তবে সেদিন সত্যিই অনেক ভয় লাগছিল।আর এসব ভয়ের কারণ অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ভালো থাকবেন, সুস্হ থাকবেন।
শ্মশানে যে মৃত আত্মা ঘুরে বেড়ায় এটা আমার কাছে কুসংস্কার বলে মনে হয়।। আর সেদিন একটু ভয় পেয়েছিলেন শুনে একটু খারাপ লাগলো।। আসলে মাঝে মাঝে এরকম আমারও হয়ে থাকে।।
আমার কাছে মনে হয় না শুধু যে আত্মা ঘুরে বেড়ায় শ্মশানে, আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি এটার কোনো অস্তিত্ব নাই।তাও মনের ভিতর ভয় ঢুকিয়ে দেয়া আছে।যেটা আমাকে এখনো ভয় টাই পাওয়ায়।
এটা আপনি ঠিক বলছেন।। মনের ভিতরে ভয় ঢুকে দেওয়ার জন্য শ্মশানের পাশ দিয়ে যেতে অনেক ভয় লাগে।।
ভাই খুব ভোরে উঠে কোথাও বাইক নিয়ে যাওয়া আমার কাছে বেশ মজার একটি বিষয়। সেই সাথে অভিজ্ঞতারও বটে। আর সেটি যদি হয় শীতের সময় তাহলে তো কোন কথাই নেই। কিন্তু শীতের সময় প্রচন্ড কুয়াশা থাকায় বিপদের সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
যাইহোক আপনি ভালোমতো পৌঁছাতে পেরেছিলেন শুনে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন ভাই।
আমার মোটেই ভালো লাগনি এত সকালে বাইক রাইডিং। এমনিতে তো শীতের সকালে বিছানা ছেড়ে আসাটাই সব থেকে বিরক্তিকর তারউপর বাইকে বসলেই ঠান্ডা বাতাস সব কিছু বরফের মতো ঠান্ডা করে দেয়।
তবে একেক জনের ভালো লাগা একেক রকম।
অনেকে উপভোগ করে এটা।তবে শীতের সকালে হালকা রোদে ঘুরতে ভালোই লাগে,বাইক ছাড়া।
ধন্যবাদ।
আপনার গ্রামে শীতলা পূজা। তাই অফিস থেকে ছুটি নিয়ে চলে এসেছেন। বেশ কুয়াশা পড়েছে আপনার ওখানেও দেখা গেল। আমার এখনো বেশ কুয়াশা। সর্বোত্ত শীতের আমেজটা টের
পাওয়া যাচ্ছে। শীতকালে হয় শীতলা পূজা। আমি আসলে জানিনা। শীতকালে আমাদের এখানে অনেক ওয়াজ মাহফিল হয়। আমরা সবাই রাত জেগে ওয়াজ মাহফিল শুনি। আপনাদের ধর্মীয় জিনিসগুলোই শুনেন ওখানে
বসে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।