"Better Life With Steem || The Diary game || 29 December "

in Incredible India9 months ago
Picsart_23-12-30_09-14-23-455.jpg

প্রত্যেকটা দিনের মতোই সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে, নিজের নিত্য দিনের কাজগুলো করা শুরু করলাম। কাজ করতে করতে কখন যে ঘড়ির কাঁটায় সকাল আটটা বেজে গেছে বুঝতেও পারলাম না। কাজ শেষ করে এসে নাস্তা বানানোর কাজে হাত দিলাম, কিছুই বানাতে ইচ্ছে করছে না। আমার পা দুইটা যেন আমাকে বারবার বলছে। এবার একটু আমাদেরকে বিশ্রাম দাও আমি আর পারছি না।

ভারি কোন নাস্তা না বানিয়ে চা এবং বিস্কিট দিয়ে সকালটা পার করে দিলাম। কেননা ভারি নাস্তা তৈরি করতে গেলে আমার এখন অনেক সময় লাগবে। তাই চা বিস্কিট খেয়ে আবার চলে গিয়েছিলাম সবজি বাগানে, ওখানে গিয়ে সবজি বাগানে পানি দিয়ে শেষ করতে করতে আমার সকাল দশটা। আজকের ছেলের মাদ্রাসা না থাকার কারণে ও আমাকে সকাল বেলা কাজ করার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে। মাঝে মাঝেই আমি যখন কাজ করতে গিয়ে অনেক বেশি হাঁপিয়ে উঠি, তখন ও আমাকে সাহায্য করে থাকে।

IMG_20231229_091035_631.jpg
IMG_20231229_091024_410.jpg

এবার রান্নাবান্না করার পালা, আস্তে আস্তে সব কিছু গুছিয়ে নিয়েছিলাম। সব কিছু গোছানো হয়ে গেলে, ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম বেলা ১১ঃ০০ টা বাজে, কি আর করব তাড়াতাড়ি রান্নাবান্নার কাজ শুরু করে দিলাম। রান্নাবান্না করতে করতে প্রায় দুপুর সাড়ে বারোটা বেজে গেল। এদিকে জুম্মার নামাজের আজান দিয়ে দিয়েছে। তাড়াতাড়ি করে উঠে আগে ছেলেকে গোসল করিয়ে দিয়েছিলাম, কেননা ও মসজিদে যাবে।

ওরা যখন মসজিদে চলে গেল আমি নিজে গোসল করে এসে নামাজ আদায় করে নিলাম। কিছুক্ষণ নামাজের বিছানায় বসে ভাবতে লাগলাম। আসলে এই পৃথিবীতে প্রত্যেকেই স্বার্থের জন্য আমাদেরকে ব্যবহার করে। সকাল বেলায় এমনই একটা ঘটনা সম্মুখীন হয়েছিলাম। যখন ঘুম থেকে উঠেছিলাম, আমার শাশুড়ি আমার কাছে কল করেছিল। কিন্তু আমি কেমন আছি সেটা জানতে না ছেয়ে, উনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আমার হাঁসের বাচ্চা গুলো ভালো আছে। কথাটা শোনার পর একটু অবাক হলাম। কিন্তু তারপরেও আপনাকে উত্তর দিয়েছি যে, হ্যাঁ আপনার হাঁসের বাচ্চা গুলো ভালো আছে।

IMG_20231229_091035_257.jpg
IMG_20231229_091024_508.jpg

অদ্ভুত পৃথিবীর মানুষগুলো অদ্ভুত রকম আচরণ করে। মাঝে মাঝে এইসব ভেবে কেন জানি না নিজের অজান্তেই চোখের কোনে জল আসে। যাই হোক এই কথাগুলো ভাবতে ভাবতে তাকিয়ে দেখে ছেলে নামাজ পড়ে চলে এসেছে। ওকে ভাত খাইয়ে দিলাম এবং নিজেও অল্প পরিমাণে ভাত খেয়ে নিলাম। কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি। আর কোন কিছুই করতে ইচ্ছে করছে না। ভেবেছিলাম ঘুমিয়ে পড়বো কিন্তু ঘুম আসছেনা, বারবার বিভিন্ন রকমের চিন্তা মাথাটা যেন ভেঙে পড়ে যাচ্ছে।

IMG_20231229_091024_930.jpg
IMG_20231229_091024_475.jpg

এরপর চলে গিয়েছিলাম বাজারে কেননা বড় ছেলের ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। আবার ওদের দুইজনকে চুল কাটাতে হবে। বাজারে যাওয়ার পর প্রথমত ওদেরকে চুল কাটার জন্য দোকানে নিয়ে গিয়েছিলাম। এক এক করে দুইজনকে চুল কাটানো হয়ে গেলে, আমি ওখান থেকে গিয়েছিলাম ঔষধের দোকানে। ওখান থেকে ছেলের জন্য ঔষধ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসার সময়, ওদের জন্য বেগুনি আলুর চপ নিয়ে এসেছিলাম। তার সাথে বুট ছিল, এরপর বাসায় আসার পর ওরা নিজেদের মতো করে খেয়ে নিয়েছিল ওদের ফুপু সহ, এরপর আবার বলল ওদের জন্য চানাচুর মুড়ি মাখানোর জন্য। মাখিয়ে ওদেরকে দিলাম, ওরা অনেক মজা করে খেয়ে নিল। আমার কোন কিছু খেতে ইচ্ছে করছিল না।

IMG_20231229_091025_090.jpg

সন্ধ্যার পর ওদেরকে নিয়ে পড়তে বসালাম, কিছুক্ষণ পড়ানো হয়ে গেলে, আমি আমার ভেরিফিকেশন শুরু করলাম। ভেরিফিকেশন করার পর আমি ভাবলাম আমার টিম মেম্বারদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলা দরকার। এরপর আমি উনাদের নিয়ে অনেকক্ষণ আলোচনা করলাম। এবং উনাদের বোঝানোর চেষ্টা করলাম, সঠিকভাবে কাজ করুন অবশ্যই সফলতা আসবে।

IMG_20231229_091024_798.jpg

যাই হোক উনাদের সাথে কথা বলা শেষ করে আমি আমার পোস্ট ভেরিফিকেশন শেষ করলাম। এরপর একটা চকলেট খেয়ে নিলাম, কেননা কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না। এরপর ছেলেদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম ওরা ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি বেশ কিছু পোস্টে কমেন্ট করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ঘুমের কারণে চোখে দেখতে পাচ্ছি না। কারণ বেশ কয়েকদিন যাবত আমার ঘুম হচ্ছে না। এই করতে করতে আমি কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম, নিজেও জানিনা। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  
 9 months ago 

আপনি আপনার সারাদিনের কর্মকাণ্ডগুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আপনার লিখার হাত বরাবরই সুন্দর। সামান্য জিনিস গুলোকে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন। আমি আপনার অনেক বিষয়গুলি ফলো
করি। সকালের নাস্তা সেরে বাজারে গিয়েছেন বড় ছেলের ঔষধ লাগবে ছোট ছেলেকে চুল কাটিয়েছেন। আপনার গ্রামের বিষয়গুলো খুব মনোরম। আবার দেখছি মুড়ি মাখাও খেলে। এটি আমার খুব পছন্দের একটি খাবার শর্টকাট করেও তৈরি করা যায়। আপনার পুরো দিনের কর্মকান্ড গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। একহাতেই বেশ সামলাতে পারেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 months ago 

সত্যি কথা বলতে বর্তমানে সব কিছু করতে করতে একেবারেই হাঁপিয়ে উঠেছি। তারপর ছেলেদের পেছনে সময় ব্যয় করার মত সময় কেন যেন আমি খুঁজে পাই না। কালকে কাজ করার পর মনে হয়েছিল ছেলেদের চুলের অবস্থায় একেবারেই ভালো না। তাই নিয়ে গিয়েছিলাম এবং বড় ছেলের ঔষধ আজকে প্রায় তিন দিন আগে শেষ হয়ে গেছে, নিয়ে আসার মত সময় খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তাই সব কাজ একসাথে সম্পন্ন করে এসেছি। মুড়ি মাখা খুব সহজেই তৈরি করা যায়, এবং খেতেও অনেক মজা। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

 9 months ago 

সব কাজ একাই যে দোষের লাইন তাই হাঁপিয়ে যাওয়ারই কথা। তিন দিন আগে ছেলের ওষুধ শেষ খুবই খারাপ অবস্থা আপনার ঔষধ গ্যাপ দেওয়া ঠিক নয়ঠিক নয়। ভালো ই করেছেন ,একসাথে চুল কেটে ও নিয়ে এসেছে।

 9 months ago 

ঔষধ গ্যাপ দেওয়া ঠিক না, এরপর যখন ডাক্তারের কাছে ওষুধ নিতে গেলাম। ডাক্তার ও আমাকে বকাবকি করল। কিন্তু আমি একা মানুষ সবকিছু সামলে উঠতে একটু সময় লেগে গিয়েছিল। এরপরে ওষুধ নিয়েছিলাম ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে এমনটা আর হবে না।

 9 months ago 

তা তো করবেই। ঔষধের কোর্স সম্পূর্ণ না করলে তো সাইড ইফেক্ট হয়। তাও আবার ঔষধ। অন্য কিছু হলে বোকা দিত না। ডাক্তার ভালোই করেছেন। এই জীবনে আর এমনটি করবেন না ‌

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

এলার্জির সমস্যার কারণেই ওর ওষুধের মাত্রা একটু বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু দুই তিন দিন ওষুধ না থাকার কারণে ওর শরীরের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে গিয়েছে। যার কারণে ডাক্তার ওর শরীর দেখার পর এত পরিমানে বকা দিয়েছে। আমি নিজেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। হ্যাঁ অবশ্যই এ বিষয়টা খেয়াল রাখব।

 9 months ago 

আসলে আপনি এত চতুর্দিক দিয়ে সামনে উঠতে পারতেছেন না। ডাক্তার কে তোরা তো কিছু বোঝানো যায় না। তবে যেহেতু তার
দীর্ঘমেয়াদি ঔষধ খেতে হবে, তাই ওষুধ গ্যাপ
দিবেন না। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। বাচ্চাদের প্রতি খেয়াল রাখবেন নিজের প্রতিও
যত্ন নিবেন।

 9 months ago 

সবকিছু যদি সবাই বুঝতে পারতো তাহলে পৃথিবীর রং হত অন্যরকম। এবং আমাদের পৃথিবীটা একেবারেই সুন্দর হয়ে যেত। আসলে পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্য যদি নিজের দায়িত্ব গুলো সঠিকভাবে পালন করে। তাহলে একজনের উপর কখনো সব কাজের চাপ সৃষ্টি হয় না। আমার ফ্যামিলিতে যদি এমন হতো তাহলে আমি সব কাজ সঠিকভাবেই করতে পারতাম। ধন্যবাদ উপদেশ দেওয়ার জন্য।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server

Manually curated by @ abiga554
r2cornell_curation_banner.png

Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia

 9 months ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমার পোস্ট কিউরেট করার জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি আপনার ডিসকর্ড সার্ভারে যুক্ত হতে পারছি না।🙏 ওখান থেকে আমাকে সম্ভবত কেউ ব্যান করে দিয়েছে। যদি আপনি বিষয়টা দেখতেন তাহলে আরো ভালো হতো। আমি ওখানে যুক্ত হয়ে আমার পোস্ট লিংক শেয়ার করতে পারতাম।

 9 months ago 

আপনার মা ছাড়া আর কখনো আপনি কারো কাছ থেকে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আশা করবেন না। তাহলে সে জায়গায় আপনি শুধু কষ্টই পাবেন। আসলে এই দুনিয়া চলছে স্বার্থের
ঘেরাটোপে। আপনি যদি কাউকে কলিজাও কেটে দেন তাও সে বলবে তোমার কলিজায় লবণ কম। যাইহোক আপু এগুলো নিয়ে মন খারাপ করবেন না। পারিবারিকভাবে আপনি অত্যন্ত দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে কাটাচ্ছেন। আপনার ছেলেটি ও এখনো পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেনি। তারপরে সব দায়িত্ব আপনি নিরলসভাবে পালন করে যাচ্ছেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভালো। থাকবেন।

 9 months ago 

আসলে মাঝে মাঝে এই বিষয়গুলো একেবারে কলিজায় গিয়ে আঘাত করে। চিন্তা করি যে থাক না উনাদের মুখ দিয়ে কথা বের হয়ে গেছে। আমি যদি এগুলো মাথায় রাখি হয়তোবা আমার কষ্ট হবে। কিন্তু যখন চুপচাপ থাকি তখন এই কথাগুলো আমাকে একটু একটু করে আঘাত করে। আর আমার মনে এসে ঘুর পাক খায়, চিন্তা করি এই কথাগুলো মনে আনবো না। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন যে চলে আসে বুঝতেও পারি না, একদমই ঠিক বলেছেন। বর্তমান সময়টাই একেবারে স্বার্থপর, মানুষের কথা না হয় বাদ দিলাম। সময়টাও কেন যেন আমার কাছ থেকে নিজের স্বার্থটা বুঝে নিয়ে। আমাকে একা ছেড়ে দেয়। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

 9 months ago 

জানেন আপু আমি আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু শিখতে পারি।

  • প্রতিটা নিহত সংসারের পিছনে যে খাটনি টা আপনি খাটেন সেটা সত্যি বলে শেষ করা যাবে,, বর্তমানে আপনার পরিবেশ পরিস্থিতি খারাপ কেননা আপনার শ্বশুর অসুস্থ সেই সাথে আপনার ছেলেও অসুস্থ।
  • এসবের ভিড়ে নিজেকে সামলিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন, কারণ যখন আপনি সুস্থ থাকবেন তখন আপনি পরিবারে প্রতিটা মানুষকে সুস্থ রাখতে পারবেন। আমি বুঝতে পারছি সারাদিন খুব কাজকর্মের মধ্যে দিয়ে নিজেকে পার করেন তবুও একটু সময় পেলেই নিজের দিকে খেয়াল রাখবেন।
 9 months ago 

আমি মাঝে মাঝে নিজের কথা বলে যাই। যেটা সত্যি কথা পরিবার সামলাতে গিয়ে আমি কতটুকু ভালো আছি সেটা আমি জানি না, বা চিন্তাও করি না। যখন রাতে ঘুমাতে আসে তখন নিজের শরীরের অবস্থা দেখে নিজের কাছেই অনেক বেশি খারাপ লাগে। পরিবারের জন্য যতটুকুই করি না কেন? দিন শেষে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে, সারাদিন কি করেছো! জানিনা এই প্রশ্ন থেকে নিজে কখন এড়িয়ে যেতে পারবো ধন্যবাদ। পরামর্শ দেয়ার জন্য।

 9 months ago 

একটা কথা কি জানেন আপু,,
আমরা মেয়েরা যারা গৃহিণী সংসারের জন্য যত কাজ বা যতই খাঁটি না কেন,
একটু এদিক থেকে অধিক হলেই প্রশ্ন আসে একটা কাজ ওকে ঠিকমতো করতে পারো না তাহলে এতগুলো কাজকে করল ?আমার ঘাড়ে কি ভূত আছে! যে সে করে দিয়ে যাবে।
কিন্তু তবুও আমরা কত অদ্ভুত তাই না সকাল থেকে রাত অব্দি এই সংসারে পেছনে কেটে যায় তবে হ্যাঁ এটা তো সত্য আমি কি করছি না করছি সবাইকে দেখানোর তো কোন দরকারই নাই, সৃষ্টিকর্তা দেখলেই হবে,

 9 months ago 

আমরা আমাদের বাবার ঘরে রাজকন্যা। আর যখন শ্বশুরবাড়ি আসি তখন আমরা হয়ে যাই সেই সংসার সামলানোর মানুষ। আসলে অনেকেই প্রশ্ন করে যে তোমাদের কোন বাড়ি নেই। বাবার বাড়িতে গেলেও আমরা বাবার বাড়ির মেহমান। শ্বশুরবাড়িতে আসলে সবাই বলে এটা তোমাদের বাড়ি না। কিন্তু একটা কথা আমরা সবাই জানি, নারীদের ছাড়া কোন বাড়ি কখনোই অসম্পূর্ণ হয় না। তাই আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তা যে নিয়ম নীতি সৃষ্টি করেছে। সেই নিয়ম নীতি অনুযায়ী চলতে হবে। আমরা এই পৃথিবীতে এভাবেই চলব, এভাবেই একদিন এই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিয়ে চলে যাব। সৃষ্টিকর্তা সবকিছুই দেখেন, ওনার চোখের আড়াল কোন কিছুই হতে পারে না, ভরসা রাখুন।

 9 months ago 

ঠিকই বলেছেন মেয়েদের আসল বাড়িটা কোথায়,
আপনার কমেন্টটা পড়ে বেশ ভালো লেগেছে, সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে নিয়ম নীতি দিয়ে রেখেছে এটা মেনেই আমাদের চলতে হবে, মন খারাপ দুঃখ কষ্ট জয় করে সামনের পথগুলো পার করতে হবে তবে মাঝেমধ্যে কেন জানি নিজের অজান্তেই হাঁপিয়ে যাই।

 9 months ago 

মেয়েদের নিজেদের বলতে কোন বাড়ি হয় না। কিন্তু সব জায়গাতেই মেয়েদের ঠাই হয়। এটা সৃষ্টিকর্তা বলে দিয়েছেন নবী করীম (সাঃ) কে যখন একজন সাহাবী জিজ্ঞেস করেছিলেন। যে আমি কাকে সবথেকে বেশি সম্মান করবো। তখন তিনি বলেছিলেন আপনার মাকে। একবার নয় দুইবার নয় প্রায় তিন বার উনার কাছে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আমি কাকে সবচাইতে বেশি সম্মান করবো। প্রত্যেকবার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, অবশ্যই আপনার মাকে সম্মান করবেন। যখন চতুর্থ বার জিজ্ঞেস করেছিল তখন বলেছিল বাবাকে। এখান থেকে যে শিক্ষাটা আমি পেয়েছি, সেখান থেকে আমি বুঝতে পারছি। আল্লাহ তা'আলা মেয়েদেরকে কতটা সম্মান দিয়েছে। আমাদের বাড়ি নেই ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের সম্মান আল্লাহ তায়ালার কাছে আছে।এটাই সবচাইতে উত্তম বিষয়।

 9 months ago 

রিপ্লাইটি পরে বেশ ভালো লাগলো, শহীদ বুখারি হাদিস থেকে নাম একটি হাদিস শুনালেন সত্যি খুবই সুন্দর এটা তো অবশ্যই সত্যি মায়ের কথা আল কুরআনেও সৃষ্টিকর্তা তিনবার বলেছে আল্লাহ আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুক

 9 months ago 

সবাই যদি এই জিনিসটা বুঝতো তাহলে সবাই মেয়েদেরকে অনেক বেশি সম্মান করতো। কিন্তু তারা সবচাইতে যে জিনিসটা বেশি বোঝে। সেটা হচ্ছে একজন পুরুষ মানুষ মনে করে একজন মহিলার পুরুষের পায়ের নিচে জান্নাত। কিন্তু সেই জান্নাত অবলম্বন করার জন্য বা আপনার মর্যাদা দেয়ার জন্য, অবশ্যই তাকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

Loading...

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আকাশের সুন্দর হয়েছে। সকাল ১১:০০ টা বাজে তাড়াতাড়ি রান্নাবান্না করে নিলাম। আমার ছেলে এখান থেকে তার যখন এক বছর বয়স তার ছোটমামা নানুর সাথে জুম্মার নামাজ পড়তে যাই বেশ দুষ্টামিও করে। তারপরেও তার নানু মামা নিয়ে যাবে। ছেলেকে নাপিতের দোকানে নিয়ে চুল কাটালেন। আমার ছেলে নাপিতের হাতের কাচি দেখলে তার কান্না আর থামেনা। চুল কাটবো কাটবো করে এক মাসে দুইবার ফিরাই নিয়ে আসছে। চানাচুর মুড়ি মাখানো আমার খুবই পছন্দের খাবার।

 9 months ago 

ছোট বাচ্চারা দুষ্টামি করবে এটাই স্বাভাবিক। আর অবশ্যই ছোট থেকেই ওকে মাদ্রাসায় বা মসজিদে পাঠানোর চেষ্টা করবেন। দেখবেন এটা ওর অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। এবং দুষ্টামি অনেকটা কমে যাবে। হ্যাঁ অবশ্যই আপনার ছেলের দিকে লক্ষ্য রাখবেন।ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

হ্যাঁগো আমারও নিয়ত আছে। যে আমার ছেলেকে আদর্শবান করে তুলবো। আর ওকে মাদ্রাসাতে ভর্তি করে দেওয়ার ইচ্ছা আছে । হ্যাঁ বাচ্চারা এই বয়সের দুষ্টামি করে। সবাই আদর যত্ন করে তো বাড়ি একমাত্র ছোট তো এইজন্য আদর পেয়ে এই অবস্থা।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু

 9 months ago 

ছোট বাচ্চাদেরকে আদর যত্ন দিয়ে ভালোবাসা দিয়ে বড় করতে হয়। তাই প্রত্যেকের চেষ্টা করে ছোট বাচ্চাদের কে আদর করার জন্য। আর মাদ্রাসায় অবশ্যই ভর্তি করিয়ে দিবেন যখন ওর বয়স হবে। সব সময় ওর সাথে শান্ত গলায় কথা বলবেন। এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষাটা দিবেন সেটা হচ্ছে একটা কথা ওর মাথায় ঢুকিয়ে দিবেন যে, সব সময় নারীদেরকে সম্মান করে কথা বলতে। এতে করে সে আপনাকে এবং আপনার সাথে সাথে যারা নারী আছে। তাদেরকে অবশ্যই এবং নম্র ভাষায় কথা বলবে ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ অবশ্যই আপু তাকে আমরা সবাই আদর যত্ন দিয়ে বড় করি। আর আমার আম্মু আমার থেকে অনেক সচেতন একজন মানুষ তাকে এখন থেকে অনেক ইসলামিক দিক দিয়ে বড় করে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সাথে তাকেও যোগ দেয়। আর আমি তো আছি পাশাপাশি। আমাদের ফ্যামিলিটা মোটামুটি ইসলামিক মাইন্ড। ও আমার থেকে আমার মায়ের সাথে বেশি থাকতে ভালোবাসে আমিও অনেক দিক থেকে বিজি থাকি। পড়াশোনা একটা জব নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সত্যি আপনাকে ও আমার একজন পরিবারের সদস্য মনে হয়। এই খুব সুন্দরভাবে আমার সবকিছু আপনি উপস্থাপন করে উল্লেখ করে বলেন।

 9 months ago 

আপনার ছেলে এবং আপনার মায়ের বিষয়টা জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আসলে আপনার ছেলেকে ভালোভাবে মানুষের মতো মানুষ করার ক্ষেত্রে আপনার জব পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা। আপনি যখন জব পাবেন তখন আপনার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারবেন। এতে করে আপনার পরিবারের জন্য ভালো হবে আপনার ছেলের জন্য ভালো হবে এবং নিজে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন।

আপু অবশ্যই জীবনে অনেক লড়াই করেছি নিজের জীবনের সাথে নিজের আত্মার খুব কঠিন সময় পার করেছি। এখন আল্লাহর রহমতে সফলতার মুখ দেখতে পেয়েছি। টার্গেট ছেলেকে মানুষের মত মানুষ করা। নিজে কোনো আয়োজনে সোর্স বের করে। আর নিজের পরিবারকে একটু সাহায্য সহযোগিতা। অসংখ্য ধন্যবাদ

TEAM 4

Congratulations! This post has been voted through steemcurator07. We support quality posts and comments!
Curated by : @chant


 9 months ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে, আমার পোস্ট কিউরেট করার জন্য।

 9 months ago 

আপনার সারাদিনের কাজকর্মগুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলে এই দুনিয়াটা হলো স্বার্থের ভরা যতক্ষণ তুমি দিতে পারবে খাওয়াতে পারবে ততক্ষণ তুমি ভালোবাসার পাবে। কাজে প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তারপর আর তাকে চেনে না । আপনার শ্বশুর অসুস্থ হওয়ার পর থেকে আপনি যে কত টেনশন চিন্তা নিয়ে আছেন নিজের শরীরটার দিকে একবার খেয়াল রাখেন না। সকালে নাস্তা করে বাজারে কিনেন বড় ছেলের ওষুধ আনার জন্য এবং ছোট ছেলেদের চুল কাটার নেওয়ার জন্য। কাজ ছেরে সেখান থেকে এসে পড়েছেন এবং কিছু ছেলেদের জন্য বেগুনের চাপ ও আলুর চপ কিনে নিলেন। এরপর সন্ধ্যায় দেখি আবার মুড়ি মাখাও খেয়েছেন বেশ ভালো লাগার একটি খাবার।
ধন্যবাদ আপনার পুরো দিনের কার্যক্রম গুলো খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন।

 9 months ago 

যতোটুকু মানুষের কাছ থেকে আমি পেয়েছি সবটাই ছিল কষ্ট। কেননা সবাই আমাকে দিয়ে কাজ করানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।কিন্তু কখনো জিজ্ঞেস করেনি আমার শরীর কেমন আছে। আমি আদৌ ভালো আছি কিনা। এখান থেকে আমি যতটুকু বুঝতে পেরেছি স্বার্থ ছাড়া কেউ আমাদের কাছে আসে না। আর স্বার্থ ছাড়া কেউ আপনার সাথে মিষ্টি কথা বলবে না। তাই এখন চেষ্টা করি শুধুমাত্র নিজের পরিবারের জন্য কাজ করতে। এবং একা থাকতে। কেননা আমার কাছে মনে হয় একা থাকলে কেউ আমাকে কষ্ট দিতে পারবে না।ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

 9 months ago 

এই পৃথিবীটা স্বার্থতেইভরে আছে তবে দুই একজন স্বার্থ ছাড়া মানুষ আছে বলে পৃথিবীটা এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে চলতে পারছে। স্বার্থ ছাড়া কেউ কারো কাছে আসে না এবং মিষ্টি কথা বলে না। স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে আসে তো আসে তো না বরং মিষ্টিকে তখন তিতো বানিয়ে ফেলে। থ্যাংক ইউ খুব সুন্দর একটি রিপ্লাই করার জন্য।

 9 months ago 

সত্যি মাঝে মাঝে মনে হয় এই পৃথিবীটা আজব কারণ এখানে সবাই আমরা অভিনয় করছি। আমাদের মুখে এক কথা থাকে আর অন্তরে আরেক কথা থাকে ।অনেক সময় সেটা বুঝেও না বোঝার ভান করে পাশ কাটিয়ে আসতে হয় ।

কিছু মনে করবেন না সে আপনাকে হয়তো ভালোবাসে কিন্তু প্রকাশ করতে পারে না। এই ছোটখাটো কথা নিয়ে মনে কষ্ট পাবেন না ।জীবন তো একটাই যতটা পারেন নিজের মতো নিজেকে মানিয়ে নিন ।আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন সৃষ্টিকর্তা তার নিশ্চয়ই পুরস্কার রাখবেন।
আপনি খেতে পানি দিয়েছেন, হাঁসের বাচ্চাদেরও খাইয়েছেন ,তারপর দুপুরে রান্না করেছেন ,আবার আপনার ছেলে দুটোকে নিয়ে দোকানে গিয়েছেন তাদের চুল কাটিয়েছেন ,বড় ছেলের জন্য ওষুধ নিয়ে এসেছেন এবং তাদের জন্য বিকেলে নাস্তাও নিয়ে এসেছেন ।সত্যি, আপনি একজন পারফেক্ট গৃহিণী ।আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 61852.16
ETH 2402.53
USDT 1.00
SBD 2.60