You are viewing a single comment's thread from:
RE: "Better Life With Steem || The Diary game || 29 December "
জানেন আপু আমি আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু শিখতে পারি।
- প্রতিটা নিহত সংসারের পিছনে যে খাটনি টা আপনি খাটেন সেটা সত্যি বলে শেষ করা যাবে,, বর্তমানে আপনার পরিবেশ পরিস্থিতি খারাপ কেননা আপনার শ্বশুর অসুস্থ সেই সাথে আপনার ছেলেও অসুস্থ।
- এসবের ভিড়ে নিজেকে সামলিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন, কারণ যখন আপনি সুস্থ থাকবেন তখন আপনি পরিবারে প্রতিটা মানুষকে সুস্থ রাখতে পারবেন। আমি বুঝতে পারছি সারাদিন খুব কাজকর্মের মধ্যে দিয়ে নিজেকে পার করেন তবুও একটু সময় পেলেই নিজের দিকে খেয়াল রাখবেন।
আমি মাঝে মাঝে নিজের কথা বলে যাই। যেটা সত্যি কথা পরিবার সামলাতে গিয়ে আমি কতটুকু ভালো আছি সেটা আমি জানি না, বা চিন্তাও করি না। যখন রাতে ঘুমাতে আসে তখন নিজের শরীরের অবস্থা দেখে নিজের কাছেই অনেক বেশি খারাপ লাগে। পরিবারের জন্য যতটুকুই করি না কেন? দিন শেষে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে, সারাদিন কি করেছো! জানিনা এই প্রশ্ন থেকে নিজে কখন এড়িয়ে যেতে পারবো ধন্যবাদ। পরামর্শ দেয়ার জন্য।
একটা কথা কি জানেন আপু,,
আমরা মেয়েরা যারা গৃহিণী সংসারের জন্য যত কাজ বা যতই খাঁটি না কেন,
একটু এদিক থেকে অধিক হলেই প্রশ্ন আসে একটা কাজ ওকে ঠিকমতো করতে পারো না তাহলে এতগুলো কাজকে করল ?আমার ঘাড়ে কি ভূত আছে! যে সে করে দিয়ে যাবে।
কিন্তু তবুও আমরা কত অদ্ভুত তাই না সকাল থেকে রাত অব্দি এই সংসারে পেছনে কেটে যায় তবে হ্যাঁ এটা তো সত্য আমি কি করছি না করছি সবাইকে দেখানোর তো কোন দরকারই নাই, সৃষ্টিকর্তা দেখলেই হবে,
আমরা আমাদের বাবার ঘরে রাজকন্যা। আর যখন শ্বশুরবাড়ি আসি তখন আমরা হয়ে যাই সেই সংসার সামলানোর মানুষ। আসলে অনেকেই প্রশ্ন করে যে তোমাদের কোন বাড়ি নেই। বাবার বাড়িতে গেলেও আমরা বাবার বাড়ির মেহমান। শ্বশুরবাড়িতে আসলে সবাই বলে এটা তোমাদের বাড়ি না। কিন্তু একটা কথা আমরা সবাই জানি, নারীদের ছাড়া কোন বাড়ি কখনোই অসম্পূর্ণ হয় না। তাই আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তা যে নিয়ম নীতি সৃষ্টি করেছে। সেই নিয়ম নীতি অনুযায়ী চলতে হবে। আমরা এই পৃথিবীতে এভাবেই চলব, এভাবেই একদিন এই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিয়ে চলে যাব। সৃষ্টিকর্তা সবকিছুই দেখেন, ওনার চোখের আড়াল কোন কিছুই হতে পারে না, ভরসা রাখুন।
ঠিকই বলেছেন মেয়েদের আসল বাড়িটা কোথায়,
আপনার কমেন্টটা পড়ে বেশ ভালো লেগেছে, সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে নিয়ম নীতি দিয়ে রেখেছে এটা মেনেই আমাদের চলতে হবে, মন খারাপ দুঃখ কষ্ট জয় করে সামনের পথগুলো পার করতে হবে তবে মাঝেমধ্যে কেন জানি নিজের অজান্তেই হাঁপিয়ে যাই।
মেয়েদের নিজেদের বলতে কোন বাড়ি হয় না। কিন্তু সব জায়গাতেই মেয়েদের ঠাই হয়। এটা সৃষ্টিকর্তা বলে দিয়েছেন নবী করীম (সাঃ) কে যখন একজন সাহাবী জিজ্ঞেস করেছিলেন। যে আমি কাকে সবথেকে বেশি সম্মান করবো। তখন তিনি বলেছিলেন আপনার মাকে। একবার নয় দুইবার নয় প্রায় তিন বার উনার কাছে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আমি কাকে সবচাইতে বেশি সম্মান করবো। প্রত্যেকবার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, অবশ্যই আপনার মাকে সম্মান করবেন। যখন চতুর্থ বার জিজ্ঞেস করেছিল তখন বলেছিল বাবাকে। এখান থেকে যে শিক্ষাটা আমি পেয়েছি, সেখান থেকে আমি বুঝতে পারছি। আল্লাহ তা'আলা মেয়েদেরকে কতটা সম্মান দিয়েছে। আমাদের বাড়ি নেই ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের সম্মান আল্লাহ তায়ালার কাছে আছে।এটাই সবচাইতে উত্তম বিষয়।
রিপ্লাইটি পরে বেশ ভালো লাগলো, শহীদ বুখারি হাদিস থেকে নাম একটি হাদিস শুনালেন সত্যি খুবই সুন্দর এটা তো অবশ্যই সত্যি মায়ের কথা আল কুরআনেও সৃষ্টিকর্তা তিনবার বলেছে আল্লাহ আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুক
সবাই যদি এই জিনিসটা বুঝতো তাহলে সবাই মেয়েদেরকে অনেক বেশি সম্মান করতো। কিন্তু তারা সবচাইতে যে জিনিসটা বেশি বোঝে। সেটা হচ্ছে একজন পুরুষ মানুষ মনে করে একজন মহিলার পুরুষের পায়ের নিচে জান্নাত। কিন্তু সেই জান্নাত অবলম্বন করার জন্য বা আপনার মর্যাদা দেয়ার জন্য, অবশ্যই তাকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।