"কথা যত কম বলা যায়, ততই ভালো!"
কথা যত কম বলবেন, মানুষের কাছে তত বেশি গুরুত্ব পাবেন। কি ভাবছেন বলুন তো? ভাবছেন এই মেয়ে তো মনে হয় পুরোটাই পাগল হয়ে গেছে! কি বলছে যতসব আবোল তাবোল! আসলেই বাবু আমি একেবারেই পাগল হয়ে যায়নি! আমার ব্যক্তিগত জীবন থেকেই কিছু কথা উঠিয়ে নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
এবার চলুন আপনাদের খোঁজখবর জানা যাক কেমন কেটেছে আজকের দিনটা আপনাদের। আশা করি অনেক ভালই কেটেছেন এবং সবাই সৃষ্টিকর্তার দোয়ায় পরিবারের সাথে অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
কথা কম বলুন আপনার গুরুত্ব বেড়ে যাবে
কথায় কথা বাড়ে এটাই স্বাভাবিক। কথা বলতে বলতে আমরা এমন এক পর্যায়ে চলে যাই, সেখান থেকে ফিরে আসাটা মোটেও সম্ভব হয় না।
ঠিক তেমনি যেই লোকটা বেশি অতিরিক্ত কথা বলে। তাকে সবাই বাচাল বলে, কেউবা বলে পাগল। কিন্তু আমি বলব লোকটা আদৌ কি পাগল।
আমি দেখেছি যে লোকটা অনেক বেশি কথা বলে, তার সাথে কেউ তেমন একটা কথা বলতে চায় না। তাকে কেউ তেমন একটা গুরুত্ব দিতে চায় না, আর সেজন্যই নিজেকে নিজে বুঝিয়েছি আমি কথা কম বলব।
এর একটাই কারণ, হয়তো বা কেউ না কেউ আমাকে গুরুত্ব দেবে। কারণ পরিবারের কাছ থেকে আজ পর্যন্ত তেমন সঠিকভাবে গুরুত্ব পাইনি। গুরুত্ব পাওয়ার জন্য অনেক কিছু করেছি।
আমি দেখেছি যারা খুব কম কথা বলে, তাদেরকে সবাই গুরুত্ব দেয়, কারণটা কি জানেন তারা যে কথাটা বলে খুবই মূল্যবান একটা কথা বলে, আর যারা সারাদিন বকবক করে। তারা কিন্তু কখনোই মূল্যবান কোন কথা বলতে পারে না।
আমি দেখেছি সমাজে যারা অনেক বেশি কথা বলে তাদের তেমন একটা মর্যাদা দেয় না। এমনকি সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে। যারা বেশি কথা বলে, তাদের উপর অনেক বিরক্তি বোধ করে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যত সমস্যা রয়েছে, অনেক সময় দেখা যায়, এই কথা বেশি বলার কারণেই আমাদের এই সমস্যাগুলো খুব অতিরিক্তভাবে সৃষ্টি হয়।
আমার দেখা একজন মানুষ আমি তার নাম উল্লেখ করছি না। যে ব্যক্তি সারাক্ষণ শুধু বকবক করতে থাকে। সে কথার অর্থ থাকলেও কথা বলে, আবার অনর্থক কথাও বলে। বেশিরভাগই দেখেছি সে মানুষের গীবত করে বেড়ায়। গীবত খুবই খারাপ একটা জিনিস। যেটা আমাদের করা মোটেও ঠিক না।
পরনিন্দা করা মোটেও ভালো কাজ নয়। এতে করে যেমন একজনের সম্মানের উপর আঘাত আসে, ঠিক তেমনি ওই দুইজন ব্যক্তির মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে, সে সম্পর্কের মধ্যে বিচ্ছিন্ন ঘটে।
আমি দেখেছি যারা বেশি কথা বলে তারা অনেক সময় মিথ্যা এবং অশ্লীল কথায় জড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে সমাজের উপর অনেক বড় বেশি আঘাত হানে। সমাজের নিয়ম শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে যায়, এবং সমাজের মধ্যে অনেক বড় একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত কথা কম বলা, কোন একটা বিষয় যখন আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। সে বিষয়টাকে ভালোভাবে বুঝে শুনে তারপর সে বিষয়টার ছোটখাট একটা উত্তর বের করে, সেই উত্তরটা দেয়া।
অল্প কথা বলা মানুষ সবার কাছেই প্রিয়, এমনকি সমাজের একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবেও পরিচিতি লাভ করে। তার কাছে সবাই একটা ভালো পরামর্শের জন্য চলে আসে।
আমি সর্বদাই চেষ্টা করি অল্প কথা বলার, যাতে কোন মানুষ আমার কোন দোষ তুলে ধরতে না পারে।
আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলছি না। তবে আপনারাও সবাই চেষ্টা করবেন কম কথা বলার জন্য, কারণ আপনি যত কম কথা বলবেন। আপনার জবান তত বেশি সুরক্ষিত থাকবে।
বলতে বলতে অনেক কথাই বলে ফেলেছি। আমার কথায় যদি কোন ভুল হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
TEAM 2
Congratulations! This post has been voted through steemcurator05. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমাকে সমর্থন করার জন্য।
আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি কথা বলা ভালো কিন্তু এমন কোন কথা বলা ভালো না যে কথা শুনে মানুষ কষ্ট পাবে কথা বললে মন ভালো থাকে নিজের মনে আমরা যখন কথা লুকিয়ে রাখি কারো সাথে শেয়ার করতে পারি না তখন সে কথা গুলো জমতে জমতে আমাদের শরীর অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এবং যারা দেখবেন বা আমি দেখেছি বেশি কথা বলে মানুষের সাথে হেসে খেলে চলে তাদের মন অনেক পরিষ্কার থাকে।
এমন ধরনের কোন কথা বলা যাবে না যাতে নিজের আত্মসম্মান চলে যায় নিজের আত্ম সম্মান বাঁচিয়ে রাখতে গেলে ভেবে চিন্তে কথা বলতে হবে। মানুষের সামনে আমরা যদি বেশি কথা বলে যদি কথার ভেতরে কারোর কষ্ট দেওয়ার কথা না বলি তখন আমার মনে হয় না কোন মানুষ কষ্ট পাবে বা বিরক্তিকর হবে।
আমি নিজে বেশি কথা বলা মানুষ, যদিও সবার সাথে না । তাই বেশি কথা বলা ঠিক না এটার সাথে আমি একমত হতে পারলাম না পুরোপুরি।
আমার কাছে মনে হয় আমি কখন কোথায় এবং কার সঙ্গে কথা বলতেছি এটা সব সময় খেয়াল করে কথা বলা উচিত।
অবশ্যই পাশাপাশি এটাও ঠিক যে , বেশি কথা বললে অনেক সময় অনেক বেফাস কথা মুখ
দিয়ে বের হয়ে যায় যদি।
বলা আর না বলার মাঝে ব্যালেন্স করে কথা বলা উচিত।
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
ভালো থাকবেন সব সময়।
আসলে প্রত্যেকটা মানুষ যদি ব্যালেন্স মাথায় রেখে কথা বলে, তাহলে হয়তো বেশি কথা কখনোই হয় না।হ্যাঁ হয়তোবা আমরা আমাদের প্রিয় মানুষের সাথে গল্প করতে অনেক বেশি কথা বলি, তাদের সাথে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু সময় অনুযায়ী ভেবেচিন্তে কথা বলাটা আমার কাছে সবচাইতে বেটার মনে হয়। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
কথা যত কম বলা যায়, ততই ভালো। এই কথাটার মাঝে অনেক অর্থ লুকিয়ে আছে। কারণ আমি আমার নিজের জীবন দিয়ে এই কথাটির উপলব্ধি করতে পেরেছি।
জীবনে কিছু কিছু সময় নীরবতাই সবথেকে বেশি দরকার।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেকের মুখে বলতে শুনেছি নীরবতা সম্মতির লক্ষণ, কথাটা একেবারেই বাস্তব, আর কথা যত কম বলা যায়, আমার মনে হয় সমস্যা ঠিক ততই কম হয়। কথায় আছে না বোবার কোন শত্রু নেই। তাই নিজের মনের অনুভূতি দিয়ে লেখাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।