প্রতিদিন একরকম খাবার খেতে কারোই ভালো লাগেনা। আমার ক্ষেত্রে ও ঠিক তাই। আর এই দুইদিন বেশ আবহাওয়া অনেক খারাপ। আকাশে মেঘ চারপাশে অন্ধকার কেমন যেন খুব খারাপ লাগে কাজ করছে। আমার কাছে তো অনেক বেশি খারাপ লাগে। এমন দিনে আমার নিজের শরীরটাই ভালো থাকে না। কিন্তু তারপরেও সৃষ্টিকর্তা যেহেতু এই পৃথিবীতে রেখেছে। সবকিছু নিয়ে মেনে চলতে হবে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। কচুর লতি দিয়ে লইট্টা শুটকি রান্না করার পদ্ধতি।
প্রথমত আপনাদেরকে জানিয়ে দেই। লইট্টা শুটকি দিয়ে কচুর লতি রান্না করার ক্ষেত্রে, আপনাদের কি কি উপকরণ লাগবে।
উপকরণ | পরিমাণ |
লইট্টা শুটকি | ১০০ গ্রাম |
কচুর লতি | ৩০০ গ্রাম |
বড় সাইজের টমেটো | একটা |
পেঁয়াজ মাঝারি সাইজের | একটা |
কাঁচা মরিচ | ৮ টা |
নারিকেল বাটা | তিন টেবিল চামচ |
রসুন পেস্ট | হাফ টেবিল চামচ |
জিরার গুড়া | হাফ টেবিল চামচ |
হলুদের গুঁড়া | এক চা চামচ |
মরিচের গুঁড়া | এক চা চামচ |
সাদা সয়াবিন তেল | এক কাপ |
লবণ | স্বাদ মত |
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমত আমি যেটা করেছি। কচুর লতি ভালোভাবে সুন্দর করে ধুয়ে কেটে নিয়েছি। এবং পানি ঝরার জন্য একটা ঝানঝির এর মধ্যে রেখে দিয়েছে।
এরপর আমি নারিকেল ভেঙে নিয়েছি। এবং নারিকেল কুড়িয়ে নিয়েছি। শিল পাটার মধ্যে মিহি করে নারিকেল বেটে নিয়েছি।
এরপর আমি যেটা করেছি লইট্টা শুটকি সুন্দরভাবে ছোট ছোট পিস করে কেটে নিয়েছি। এবং গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি। কারণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে লইট্টা শুটকি থেকে যে আলাদা একটা গন্ধ বের হয়। সেটা খানিকটা হলেও কেটে যায়। এবং শুটকির মধ্যে যদি কোন আলাদা ফরমালিন দেয়া থাকে। সেটা থেকেও আমরা কিছুটা হলেও মুক্তি পেয়ে থাকি।
এবার আমি পেঁয়াজ টমেটো কাঁচামরিচ মিহি করে কুচি করে নিয়েছি। সবকিছু রেডি হয়ে গেলে আমি চুলার মধ্যে আগুন ধরিয়ে নিয়েছি। এবং পাত্র বসিয়ে দিয়েছি। সেখানে সয়াবিন তেল ঢেলে দিয়েছি তেল গরম হয়ে গেলে, আমি পেঁয়াজ টমেটো কাঁচা মরিচ সবকিছু দিয়ে দিয়েছি।
সাথে রসুন পেস্ট, জিরার গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, লবণ, নারিকেল একসাথে দিয়ে দিয়েছি।
সবগুলো উপকরণ দেয়া হয়ে গেলে আমি মশলাটা ভালোভাবে কষিয়ে নিচ্ছি। কারণ আমার কাছে মনে হয় মসলা যত ভালোভাবে কষানো যাবে। আমাদের তরকারি খেতে অনেক বেশি মজা লাগবে। মসলা ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে, আমি তখন যে শুটকি ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে রেখেছিলাম, শুটকি দিয়ে দিয়েছে।
এবার শুটকি এবং মসলা আমি আবারো কষানো শুরু করেছি। শুটকি মসলার সাথে যখন মিক্স হয়ে গেছে, তখন আমি শুটকি গুলো তুলে আলাদা পাত্রের মধ্যে রেখে দিয়েছে। কারণ আমি এখন যদি কচুর লতি শুটকির সাথে দিয়ে দেই। তাহলে শুটকি একেবারে ভেঙে গুড়ো হয়ে যাবে। তরকারি খেতে তেমন মজা লাগবে না!
এরপর আমি যেটা করেছি কচুর লতি ওই মসলার মধ্যে দিয়ে দিয়েছি। এবং সাথে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে দিয়েছি। যাতে করে আমি কচুর লতি ভালোভাবে কষিয়ে নিতে পারি।
কচুর লতি ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে, আমি তার মধ্যে আর একটু পানি দিয়ে দিয়েছি, এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি যাতে করে কচুর লতি খুব তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যায়। সেদ্ধ হওয়ার পর আমি তার মধ্যে আলাদা করে রাখা শুটকি দিয়ে দিয়েছে। এবার আবার আমি ঢাকনা দিয়েছি। দশ মিনিট পর ঢাকনা তুলে দেখেছি আমার রান্না একেবারে শেষ।
আমার মত শুটকি যারা পছন্দ করেন। তারা চাইলে মাঝেমধ্যে এই কচুর লতি দিয়ে শুটকি রান্না করে খেতে পারেন। এটা রান্না করা খুবই সহজ, এটা খেতে অনেক মজা। আমি প্রচুর পরিমাণে ঝাল দিয়েছি, যাতে করে খেতে ভালো লাগে। কেননা আমি এর মধ্যে নারিকেল ব্যবহার করেছি। আপনারা চাইলে খুব সহজেই শুটকি দিয়ে কচুর লতি রান্না করে খেতে পারেন। এই ছিল আমার আজকের রন্ধন প্রণালী ভালো থাকবেন।
কচুর লতি আমি তো বরাবরই পছন্দ করি। তবে নারিকেল দিয়ে কচু লতি খেতে ভালোবাসে কিন্তু আমি শুটকি খাই না। তবে আপনি কচু লতি শুটকি দিয়ে যেভাবে রান্না করলেন মনে হয় আমি এখনই খেয়ে ফেলি। আপনারা রেসিপিটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
থ্যাঙ্ক ইউ খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনি আজকে আমাদের সাথে অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।কচুর লতি আমার খেতে বেশী ভালো লাগে না। কিন্তু আপনার কচুর লতি দিয়ে লইট্টা শুটকি রান্না টা দেখে অনেক ভালো লাগলো আমার খেতে অনেক ইচ্ছা করলো। আপনার রেসিপি টি পেয়ে আমি খুশি হলাম ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
আপনি কচুর লতি দিয়ে লইট্টা মাছের শুটকি সুন্দরভাবে রান্না করেছেন এবং আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুটকি মাছ আমার কাছে খুব বেশি পছন্দ নয়, আমি শুটকি মাছ খুবই কম পছন্দ করি এবং কম খায়। তবে আপনার রান্না দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।
কচুর লতি দিয়ে লইট্টা মাছের শুটকি রান্না করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আমাদের গ্রামে বলতো নারকেল দিয়ে কোন তরকারি রান্না করলে ঝাল নাকি কিচ কিচ করে ধরে। কথাটা হয়তো এখনো প্রচলিত আছে। এ কথার অর্থ আপনি বুঝতে পারবেন। আমাদের নোয়াখালীতে বেশিরভাগ খাবারের রেসিপিতেই নারিকেল আছে ।যদি ও আমরা স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার কারণে নারকেল বাদ দেই। কিন্তু আমি জানি নারকেল দিলে রান্না করলে খাবার কতটা সুস্বাদু হয়।শুটকি দিয়ে লতি রান্না আমার খুবই প্রিয় একটি তরকারি।আর আপনি অনেক সহজভাবে রান্না করেছেন ।খেতেও নিশ্চয় অনেক ভালো হয়েছে। খুব ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি দেখে।
আমাদের ভালো লাগুক আর না লাগুক সৃষ্টিকর্তা যে আবহাওয়া আমাদেরকে দান করেন সেটি আমাদের জন্য কল্যাণ বলে আমি মনে করি। অবশ্যই প্রতিটি প্রতিকূল আবহাওয়া আমাদের উপেক্ষা করতে হবে এবং আগামীতে বেঁচে থাকার জন্য চেষ্টা করতে হবে এবং সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাতে হবে।
কচুর লতি এবং শুটকি দিয়ে আপনি চমৎকার রেসিপি তৈরি করেছেন। তবে কচুর লতি আমার বেশ প্রিয় খাবার হলেও শুটকি মাছ খেতে একদম পারি না। তবে আপনার রেসিপি দেখে খাবার প্রতি একটু আগ্রহ জাগছে ধীরে ধীরে।
অবশ্যই আমি বাসায় চমৎকারের রেসিপি প্রস্তুত করার চেষ্টা করব। তবে আমাদের আশেপাশে লুইট্টা শুটকি খুব একটা এভেলেবেল না। যদি সংগ্রহ করতে পারি তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করব।
চমৎকার উপকরণের সাহায্যে চমৎকার রেসিপি আমাদের মাঝে নিয়ে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে
আপনি আজকে "কচুর লতি দিয়ে লইট্টা শুটকি রন্ধন প্রণালী" রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ৷ বেশ রুচিসম্মত দেখাচ্ছে আপনার "কচুর লতি দিয়ে লইট্টা শুটকি রন্ধন প্রণালী"
৷ আপনি বেশ সুন্দর ভাবে "কচুর লতি দিয়ে লইট্টা শুটকি রন্ধন প্রণালী" উপকরণ গুলো উল্লেখ করেছেন এবং তার পাশাপাশি প্রস্তুতি পদ্ধতি টাও ধাপে ধাপে বেশ সুন্দর ভাবে উপাস্থাপনা করেছেন ৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপি টা ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
@rubina203 কচুর লতি এবং শুটকি দুটোই আমার বেশ পছন্দের। সাথে টমেটো দিয়ে রান্না করলে যত তুলনা করবো তা কম হয়ে যায়। এমন আকস্মিক ও লোভনীয় রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।কচুর লতি আমার খুবই প্রিয় ।আর শুটকি মাছ এর পুষ্টিগুণ অনেক রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমি এখন পর্যন্ত শুটকি মাছ খেতে পারিনি কারণ এর গন্ধ আমি নিতে পারি না ।
আমরা খাগড়াছড়ি থাকাকালীন আমাদের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে শুটকি মাছ দিত ।বিভিন্ন ধরনের শুটকি দিতো ইলিশ শুটকি, চিংড়ি শুটকি, রূপচাঁদা শুঁটকী , সামুদ্রিক বাইল্যা শুঁটকী, ছুরি শুঁটকী আরো অনেক ধরনের শুটকি দিতো ।আমাদের পরিবারে অন্য সদস্যরা এটি খুব পছন্দ করে কিন্তু আমি এটি খেতে পারি না । এর গন্ধ টাই নিতে পারি না ।
তবে আপনার রান্নাটা দেখে মনে হচ্ছে এভাবে রান্না করলে হয়তো বা এর গন্ধটা থাকবে না কিন্তু এর সার্টটা অনেক থাকবে। আমি বাসাতে চেষ্টা করব এভাবে রান্না করার ।আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.