ফটোগ্রাফী//2023 সাল, বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ||প্রথম পর্ব
পাঠক বন্ধুগণ,
আমার আজকের লেখাটিতে সকলকে স্বাগতম।প্রথমেই আপনাদেরকে মধ্যরাতের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, আশা করি আপনাদের আজকের দিনটা খুবই ভালো কেটেছে।
আজ আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে চলেছি আমার প্রিয় একটি স্থান, আমার প্রিয় শিক্ষাঙ্গনের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কিছু ফটোগ্রাফি এবং ফটোগ্রাফি সংক্রান্ত লেখা।
আশা করি প্রত্যেকটি দৃশ্য আপনাদের মনকে একটু হলেও স্পর্শ করবে এবং আপনাদের শিক্ষাজীবনের কিছু মুহূর্ত স্মরণ করিয়ে দিবে। তাহলে চলুন আমরা ঘুরে আসি আজকের ফটোগ্রাফি ও লেখনী থেকে।
|
---|
ক্রীড়া অনুষ্ঠানের প্রথম দিন এবং সকালের দিকের কিছু ফটোগ্রাফি আমি উপস্থাপন করেছি। যেহেতু এটা আমার প্রিয় শিক্ষাঙ্গন তাই এখানকার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা আমার অতি পরিচিত এবং এই বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি কর্ণার যেন আমার নখদর্পণে।
শিক্ষকদের বেশ অভিমান হয়েছে আমার উপর, আমার এই দিনে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে একটু বিলম্ব হয়েছে। তাই সুযোগে স্বদব্যবহার করার জন্য আমি মঞ্চে উপস্থিত হলাম এবং বসে থাকা সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে ফটোগ্রাফি করলাম।
যেহেতু এই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা স্থানীয়। তাই আমার পরিচিত আর বিশেষ করে এখানে আমার বড় কাকিমা ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষিকা হিসেবে রয়েছেন।
|
---|
যদিও এটা বালিকা বিদ্যালয় কিন্তু এই বিদ্যালয়ের কাছেই আরেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এবং প্রতি বছর বিদ্যালয়ের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালক-বালিকা শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতেই পাচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেছে। তারপর প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নির্বাচন করা হয়েছে। তাদেরকে সম্মান জানাতে বলা হয়েছে জাতীয় পতাকা ও অলিম্পিক পতাকার প্রতি।
|
---|
এখন যে ফটোগ্রাফি গুলো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এগুলোতে আমি উপস্থাপন করেছি বর্সা-নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা চলছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী এই প্রতিযোগিতা পরিচালনা করছেন।
বিশেষ করে আমার কাকিমার উপর এই দায়িত্বটাতে বহাল রয়েছে নিলাম। তারপর আমিও বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে এটার ফলাফল নির্ণয়ে সহযোগিতা করলাম।
তারপর তিনটি রাউন্ড শেষ হওয়ার পর বিজয়ী নির্বাচন করা হলো। দেখতে পাচ্ছেন যারা প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়েছে তারা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে।
|
---|
আকাশে এক বিন্দু মেঘের দেখা নেই। প্রচন্ড রোদ্দুর, সূর্যের প্রখর তাপের জন্য বেশ গরম। এভাবে কিছুক্ষণ রোদে থাকার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সহ সকলেই ক্লান্ত।
শিক্ষকদের সাথে চা-বিরতিতে অংশগ্রহণ করলাম। অনেক গরমের মধ্যে চাটা বেশ কার্যকরী। হালকা কয়েকটি বিস্কুট সাথে এক কাপ চিনি ছাড়া গরম চা। একটু সতেজ অনুভূতি হল।
|
---|
এরপর শুরু হল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ভারসাম্য দৌড়। এটা বেশ মজার এবং উপভোগ্য। দেখুন মেয়েরা চামচের উপর কাচের মার্বেল রেখে এটাকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
এবং যে চামচের উপর মর্বেল রেখে পৌঁছাতে পারবে সে ই বিজয়ী। এ প্রতিযোগিতায় আসলে সবাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে এটাই শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু প্রতিযোগিতাটিকে আকর্ষণীয় করার জন্য এটা প্রথমে ঘোষণা করা হয়নি।
|
---|
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মানে সেখানে বাইরের কিছু খেলা এবং সাথে গান, নাটক, কবিতা আবৃত্তি আরো কতো কি। যেহেতু এটা বালিকা বিদ্যালয় তাই দেখা যায় ওই সময় একটু স্বতঃস্ফূর্তভাবে আনন্দ উপভোগ করতে পারে মেয়েরা।
যেহেতু সমাজের সামাজিক শৃঙ্খলে আবদ্ধ নারীরা সেই সাথে মেয়েরাও বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে। একটা বালকের জন্য যেমন তার মেধা বিকাশে খেলাধুলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি একটি মেয়ের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।
- একজন মেয়ে আজ হচ্ছে দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিশ্ব বিখ্যাত ফুটবলার, আবার কেউ বা রয়েছে বিশ্ব বিখ্যাত শিল্পী ও অভিনেত্রী। তাহলে কেন আমার দেশে পিছিয়ে থাকবে? যেখানে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীই হচ্ছেন একজন নারী।
|
---|
- যদিও বলা হয় নারী পুরুষ সমান অধিকার। কিন্তু আদৌ কি এটা হয়েছে? আমি বলব বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এটা এখনো শতভাগ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
- আমি এটার সাথে তখনই সহমত পোষণ করব যখন একটি মেয়ে তার প্রয়োজনীয় কাজে রাতেও স্বাধীনভাবে বের হতে পারবে। বাংলাদেশের শুধুমাত্র কিছু বিভাগীয় শহর বা ছোট শহর রয়েছে যেখানে মেয়েরা মোটামুটি করে বের হতে পারে।
- এছাড়া অধিকাংশ স্থান বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে মেয়েরা রাতের বেলায় রাস্তায় বের হতে পারে না। এক কথায় তারা নিরাপদ না। আর এখানে সরকারি ব্যবস্থাকে আমি এ দোষারোপ করব না।
- এখানে দোষারোপ করতে হবে প্রত্যেকটি পরিবারকে এবং সেই স্থানের সামাজিক ব্যবস্থাপনাকে। আমাদের ছেলেমেয়ে উভয় সন্তানদের সমান অধিকার দিতে হবে এবং তাদেরকে এটা উপলব্ধি করাতে হবে যে মেয়েরাও ছেলেদের মত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
- আর মেয়েদের এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সহযোগিতা করতে পারি আমরা এবং আমাদের সমাজ। আর তার জন্য তাদের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব ও সমাজের সকলের।
আমি কোনো কাল্পনিক কথা উপস্থাপন করিনি এখানে। আমার অভিজ্ঞতা এবং ধারণা থেকে বিষয়টি উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। আমার লেখাটি যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 7/8) Get profit votes with @tipU :)
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সেই সাথে আপনি শেয়ার করেছেন ক্রিড়া প্রতিযোগিতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকার।
আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন একটা ছেলের যেমন ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার অধিকার রয়েছে। ঠিক তেমনি একটা মেয়েরও ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার অধিকার রয়েছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফির পোস্ট, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, অনেক ভালো থাকবেন।
Amigo que bonito evento tuvieron en la escuela, los niños se ven felices disfrutando de ese día, siempre es bueno incentivar los a hacer deporte.
Tu publicación me hizo recordar mi infancia con esos juegos, aunque ustedes jueguen equilibro con una cucharilla y canicas, nosotros lo llamamos juego de huevos con cucharilla.
Tiene toda razón en tu opinión sobre el papel de la mujer en la sociedad, las mujeres tenemos la capacidad de cumplir cualquier puesto dentro de la sociedad.
Me encantó leerte ☺️
Thank you so much my dear honourable friend for your valuable and meaningful comment.
দেখা যাচ্ছে আপনি তো খুব মজায় আছেন আহারে জীবন আর আমাদের জীবন যাইহোক ছবিগুলো কিন্তু অনেক ভালো লাগছে আর চা একটু আস্তে খান না হলে গলা পুড়ে যাবে
Ha ha ha ha
খুব উপভোগ করলাম, আপনার মূল্যবান মতামত।
ক্রিয়া বিষয়ক একটা দারুণ পোষ্ট শেয়ার করেছেন প্রিয় দিদি।
স্কুল লাইফে থাকাকালীন সময়ে আমিও অনেক খেলায় অংশ নিয়েছি তবে তেমন একটা সাফল্য আনতে পারিনি।তবে ক্লাস টেনে থাকা সময়ে বর্শা নিক্ষেপে আমি ৩য় হয়েছিলাম আপনার পোস্টটি পড়ে সেই স্মৃতিটা আবার মনে পড়ে গেলো।
ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
আপনার এই পোস্ট পড়ে আমার ছোট বেলার কথাগুলো মনে পড়ে গেল। স্কুলে যখন এমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো আমরা অংশ গ্রহণ করতাম। আমার মনে পড়ে আমাদের স্কুল এ আমি একবার দৌড় প্রতিযোগিতা প্রথম হয়েছিলাম। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু শেখার ও আছে যেমন টা আপনি বলেছেন নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে , এ কথার সাথে আমি একমত প্রসন করি,,,, কেননা নারী এখনো পিছিয়ে রয়েছে। এসব এর মূল কারণ গুলোর মধ্যে আমি মনে করি, পারিবারিক সমস্যা অন্যতম, কারণ আমাদের সরকার এ বিষয় যথেষ্ট সচেতন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য প্রদান করার জন্য।
সঠিক বলেছেন ভাই।
বার্ষিক ক্রিয়া প্রতিযোগিতা এখন প্রায় প্রতিষ্ঠানেই হচ্ছে। কিছুদিন আগেও আমাদের মাদ্রাসার ক্রিয়া প্রতিযোগিতা শেষ হয়ে গেলো।
যাইহোক আপনার পোস্টের ১ম পর্বে কয়েকটি খেলা উপস্থাপন করেছেন, যার মধ্যে ভারসাম্য দৌর প্রথম দেখলাম। অবাক করা একটা খেলা৷ ভালোই লাগলো। ভালো থাকবেন।
হরতাল ভাই, ভীষণ মজার খেলা।