ঘুমের ওষুধের আসক্তি ছাড়ানোর একটি সহজ উপায় || Easy Way to Get Rid of Sleeping Pill Addiction
মানুষ কি কি কারণে ঘুমের ওষুধ সেবন করেনঃ- |
---|
ঘুমের ওষুধ মানুষ নানা কারণে খেয়ে থাকে। বয়স্ক লোকেদের রাতে ঘুম সহজে আসে না, এই কারণে অনেক বয়স্ক মানুষ রাতে শোবার আগে ঘুমের ওষুধ সেবন করে থাকেন এবং এটা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কিছু ক্রিটিক্যাল রোগীদের যন্ত্রনা উপশমের জন্যও অনেক সময় ঘুমের ওষুধ প্রেসক্রাইব করা হয়।
এছাড়াও মানুষ অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন ইত্যাদি কারণে ঘুমের ওষুধ সেবন করে থাকেন। অনেকে আবার শুধুমাত্র নেশা করার জন্যও ঘুমের ওষুধ খান এবং এর প্রতি ধীরে ধীরে আসক্ত হয়ে যান, এটা জেনেও যে ঘুমের ওষুধের কিছু মারাত্বক সাইড এফেক্ট আছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক ঘুমের ওষুধ না খেয়ে কি ভাবে খুব সহজ উপায়ে রাতে ভালো ঘুম আসবে।
ঘুমের ওষুধ সেবন না করে কিভাবে রাতে গভীর ঘুম আসবেঃ- |
---|
প্রথমেই বলে রাখি এই উপাচারটি আমি আমার পরিচিত একজন ব্যক্তির কাছ থেকে পেয়েছি। এই উপাচারটি করা খুবই সহজ এবং যে কেউ করতে পারে। আমি নিজে একটা সময় Alprazolam 0.5 mg (Brand Name - Alprax) দীর্ঘ ৬ মাস যাবত সেবন করেছিলাম। আমার এই সমস্যার কথা ওনাকে বলাতে উনি আমাকে এই উপাচারটি করতে বলেন। আর এই উপাচারটি করার পর আমাকে এখন আর কোনোরকম ঘুমের ওষুধ খেতে হয় না।
এই উপাচারটি করার জন্য দুটি এক লিটারের প্লাস্টিকের বোতল নিন, কোল্ডড্রিঙ্কসের বোতল হলেও চলবে। এবার প্রত্যেকটি বোতলে দু চামচ করে লবণ দিন। বাড়িতে যে নুন বা লবণ দিয়ে রান্না করেন সেই লবণ এখানে ব্যবহার করতে হবে। এবার দুটি বোতল জল দিয়ে ভর্তি করে দিন। তারপর বোতল দুটি ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন, যাতে লবণ সম্পূর্ণরূপে জলের সাথে মিশে যায়। এবার রাতে শোবার সময় বোতল দুটিকে নিজের মাথার বালিশের দুপাশে রাখুন।
এই ক্রিয়াটি ৪৫ দিন ধরে টানা করতে থাকুন। নিয়ম করে অবশ্যই প্রত্যেক দিন রাতে দুটি বোতলের জল এবং লবণ পাল্টে নেবেন। ৪৫ দিন পর এই ক্রিয়াটি করা বন্ধ রাখুন এবং একটি ছোট কাঁচের বাটিতে সন্ধক লবণ নিয়ে শোবার ঘরের উত্তর-পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রেখে দিন। আলমারির উপরে রাখলেও চলবে। লবণের পাত্রটিকে প্লেট জাতীয় কিছু দিয়ে ঢাকা দিতে ভুলবেন না। প্রতি একমাস অন্তর সন্ধক লবণ পাল্টে দিন।
যারা কোনোরকম ঘুমের ওষুধ খান না, তারাও সুখনিদ্রার জন্য এই উপাচারটি প্রয়োগ করতে পারেন।
কথায় বলে, ”বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।“ আমি এই উপাচার টি পালন করে সুফল লাভ করেছি তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
বিঃদ্রঃ ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ঘুমের ওষুধ খাওয়া বন্ধ করবেন না বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের ওষুধ সেবন করছেন বা যারা হাই পাওয়ারের ঘুমের ওষুধ খান। ঘুমের ওষুধ খাওয়া হঠাৎ করে বন্ধ করে দিলে এর কিছু withdrawal symptoms থাকে।
Shared on Twitter: https://x.com/PijushMitra/status/1730900056201654410?s=20
বর্তমান অনেক লোককেই দেখা যায় ঘুমের ওষুধ সেবন করতে। বিভিন্ন মানসিক চাপের কারণে ঘুম না হওয়ার জন্য মানুষ ঘুমের ওষুধ খায়। খেতে খেতে এডি একসময় নেশায় পরিণত হয়ে যায়।
ঘুমের ওষুধ সেবন ছাড়া ঘুমানোর একটি সুন্দর পদ্ধতি উল্লেখ করেছেন। এরম পদ্ধতি আমি আগে কখনো শুনিনি। তবে আমার কখনো এরকম সমস্যা হলে আমি নিশ্চয়ই আপনার পদ্ধতিটি অনুসরণ করব।
তথ্যবহুল সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ সেবন একদমই অনুচিত। আমি শুনেছি অনিয়ন্ত্রিত ঘুমের ওষুধ সেবন কিডনিকে ড্যামেজ করে ফেলে। যেহেতু ঘুমের ঔষধের সাইড ইফেক্ট আছে তাই আমি মনে করি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এগুলো সেবন করা উচিত নয়। আপনার পোস্ট পড়ে দেখলাম আপনিও এক সময় অনিয়ন্ত্রিত ঘুমের ওষুধ সেবন করতেন। কিন্তু পরবর্তীতে একজনের পরামর্শে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে ঘুমের ওষুধ ত্যাগ করে এখন স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। ব্যাপারটা খুব ভালো লাগলো।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ গ্রহণ বা পরিহার কোনটাই করা উচিত নয়। আপনি ভালো ঘুমের জন্য একটি উপাচার দিয়েছেন এবং আপনি ঠিকই বলেছেন বিশ্বাসে মিলায় বস্তু। আসলে আপনি যদি বিশ্বাস করেন এমনটা করলে আপনার ঘুম আসবে আপনি নিশ্চিত থাকেন আপনার ঘুমিয়ে আসবে। এসবের জন্য কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার খুব একটা প্রয়োজনও হয় না।
আসলে সবকিছুর ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। আপনি যে উপায়টি বলেছেন লবণ ও দু বোতল পানির কথা আমি আর কখনো এমন উপাচারের কথা শুনিনি। কিছুটা অবাক হলাম এই উপাচারের সম্পর্কে জেনে ।
তবে যাই হোক হেয় উপাচারটি প্রয়োগ করে আপনি উপকৃত হয়েছেন এটাই সবচেয়ে ভালো কথা। ভালো থাকবেন।
আপনি ঘুমের ঔষুধ পরিহার করার সহজ কিছু নিয়ম আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ৷ যেগুলো বিষয়ে আজকে প্রথম জানতে পারলাম ৷ আসলে ঘুমের ঔষুধ মানুষ নানা ধরনের টেনশনে খেয়ে থাকে আর অতিরিক্ত ঘুমের ঔষুধ খেলে নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে ৷ আবার যারা দৈনদিন ঘুমের ঔষুধ সেবন করে তারা যদি হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয় তাহলে বিপরীত সমস্যা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অতি গুরুত্বপূর্ণ মনে রাখতে হবে ৷ তাছাড়াও আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনি প্রাকৃতিক সহজ উপায়ে ঘুমের ঔষুধ পরিহার করার নিয়মাবলি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ৷
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷ দিনটি আপনার শুভ হোক ৷ 🙏
আসলে ঘুম না আসার কারন হচ্ছে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারনে। অনেক মুঠো ভরে ঘুমের ঔষধ খায়। যারা এর মারাত্মক ক্ষতির কথা জানে তারাও এই ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করে। তবে আপনার দেওয়া কৌশলটি বেশ কাজের। আমার অবশ্য ঘুমের কোন সমস্যা হয় না তবে আপনি বলেছেন সুখকর ঘুমের জন্যেও এটা চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
দাদা আপনার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করলেন ঘুমের ঔষধ খাওয়া কিভাবে ছাড়তে হবে। ঘুমের ঔষধ দিয়ে অনেক নেশা দ্রব্য জিনিস তৈরি করা সম্ভব এবং যে ব্যক্তি প্রতিনিয়ত ঘুমের ঔষধ খায় তা অনেকটা নেশার মতো।
আপনি দারুণভাবে আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন স্বাস্থ্য বিষয়ক এমন টিপস আমার সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন সবসময় সুস্থতা কামনা করি।
ঘুমের ওষুধ মানুষ বিভিন্ন কারণে খেয়ে থাকে। মাঝে মাঝে আমিও ঘুমের ওষুধ সেবন করে থাকি। রাতে ঘুম হয় না বিভিন্ন ধরনের টেনশন করতে করতে দেখা যায় রাত অনেক পেরিয়ে যায়। কিন্তু চোখে ঘুম আসে না আর তাই মাঝে মাঝেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকি। আজকে আপনি খুব চমৎকার ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। মানুষ কেন ঘুমের ওষুধ খায়।
সে সাথে আমি আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করেছি। আপনি লিখেছেন ঘুমের ওষুধ না খেয়ে কিভাবে গভীর ঘুমানো যায়। আসলে আমি ঠিক জানিনা তবে আপনার পোস্টে উল্লিখিত প্রত্যেকটা বিষয় নিজে অবলম্বন করার চেষ্টা করব। যদি ঘুমের ওষুধ না খেয়ে ঘুমাতে পারি। তাহলে তো সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করব, ভালো থাকবেন।
সবার প্রথমে আমি বলবো ঘুমের ঔষধ শরীরের জন্য একদমই খারাপ।একজন স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ ঘুমের ঔষধ খেলে অনেকটা দুর্বল হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ, যদি কারণবশত ঘুমের ওষুধ খাওয়াই লাগে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।