Better life with steem || The Diary Game || 18th May, 2024 || Anothet Busy Offday
আশা করি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে গত শনিবারের কাটানো সুন্দর দিনটির ডায়েরি শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
![]() |
---|
🌸সকাল থেকে দুপুর🌸 |
---|
গত শনিবার ছিল আমার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। সাপ্তাহিক ছুটির দিন মানেই যেন আমার আরো বেশি ব্যস্ততা। গত শুক্রবার থেকে বাসা পরিস্কার ও গুছানোর কাজ শুরু করেছিলাম, যা ইতোপূর্বে আমি শেয়ার করেছি। শুক্রবার বেডরুম গুছিয়েই সময় চলে যায়, শনিবারের দিন আমরা গুছিয়েছি কিচেন রুম।
সকাল সকাল ঘুম থেকে ঊঠেই দেখলাম গিন্নি খিচুড়ি রান্না বসিয়েছে। পুইপাতা,আলু দিয়ে সবজি খিচুড়ি। মেয়ে সবজি খায় না তবে, এভাবে খিচুড়ি বানিয়ে দিলে খায়। আমরা সকাল সকাল খিচুড়ি নাস্তা হিসেবে খেয়ে নিলাম।
![]() |
---|
নাস্তার পর এক কাপ চা না হলে কাজে কি আর মন বসে? চা তো চাই! এক কাপ চা নিয়ে বেলকনিতে গিয়ে চায়ে চুমুক দিতে দিতে গাছ গুলো তে পানি স্প্রে করে দিলাম।
![]() |
---|
চা শেষ করেই কিচেন গুছানোর কাজ ধরি। প্রথমেই কিচেন রুমের এডজাস্ট ফ্যান পরিস্কার করেছি। এই ফ্যান কিভাবে খুলতে হয় জানা ছিল না। পরে অনেকক্ষণ চেষ্টার পর খুলেছি, এবং তখন নিজেকে খুব বোকা মনে হয়েছিল। ১০ সেকেন্ডের কাজ প্রায় ১০ মিনিট ধরেও করা যায় না, যদি সঠিক টেকনিক জানা না থাকে।
![]() | ![]() |
---|
![]() |
---|
রান্নাঘরের এডজাস্ট ফ্যান গুলোতে তেল চিটচিটে হয়ে যায়। অনেক কষ্টে সেগুলো গরমপানি আর লেবুর রস সাথে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে পরিস্কার করলাম। এভাবে পরিস্কার করলে দ্রুত ময়লা পরিস্কার হয়ে ঝকঝকে হয়ে যায়।
এর পর রান্না ঘরের সমস্ত টাইলস, গ্যাসের চূলা, ইলেক্ট্রিক চুলা এবং যাবতীয় ডিব্বা পরিস্কার করতে শুরু করলাম। মেয়েদের এই রান্নাঘর আর মেকাপ ব্যাগে যে কত রকমের কৌটা আর ডিব্বা থাকে তা গুণে শেষ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
![]() |
---|
পুরো রান্নাঘর ক্লিন করতে করতে ২ টা বেজে গেল। দুপুরে গোসল করে নামাজ পরে আমরা খাবার খেয়ে নিলাম।
বিকাল থেকে সন্ধ্যে |
---|
মেয়েকে আর ভাত খাওয়ানো গেল না, রান্নাঘর পরিস্কারের সময় সে চিতই বানানোর খোলা দেখতে পেয়ে পিঠা খাবার বাহানা ধরলো, গিন্নি তাকে পিঠা বানিয়ে দিল। এই খোলা টি মাটির তৈরি, আমার গিন্নির বয়স যখন ৫ তখন আমার শাশুড়ি তাকে খেলনাপাতি হিসেবে এটি কিনে দিয়েছিল। সে এটা স্মৃতি হিসেবে এখনো যত্ন করে রেখেছে।
![]() | ![]() |
---|
বাসায় আনারস আনা ছিল। আমরা বিকেলে আনারস কেটে খেলাম। এখনকার আনারস গুলো দেখতে অনেক ছোট কিন্তু খেতে খুব ই সুস্বাদু আর মিষ্টি।
রাত |
---|
রাতে মাগরিবের নামাজ পড়ে বাজারে গেলাম ওষুধ নিতে। মেয়ের জন্যে একটা জিংক বি শিরাপ কিনলাম। আজকে বাসায় নাস্তা বানানো হয় নি৷ এদিকে গিন্নি সিংগারা খেতে চেয়েছিল। অনেকদিন বাদে আজকে বাজার থেকে সিংগাড়া আর আলুপুরি নিয়ে এলাম।
![]() |
---|
রাতের বেলা খাবার খেয়েই বুঝতে পারলাম শরীর কতটা ক্লান্ত। ভেবেছিলাম জোর করে কিছুক্ষণ জেগে থেকে মোবাইল চালাবো। কিন্তু তা আর হয়ে ঊঠলো না। কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি তার খবর নেই। আর এভাবেই আমার আরো একটি দিন কেটে গেল। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার ডায়েরিটি পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন সবাই।
আজ ছুটির দিনে খিচুড়ি দিয়ে সকালের নাস্তা করেছেন। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে অফিসের কাজে ব্যস্ত আর ছুটির দিনে বাসার জিনিসপত্র গোছানোর কাজ করতে হয়।
আজও তার ব্যতিক্রম হলো না, গাছের জল দেওয়া থেকে শুরু করে, ফ্যান পরিষ্কার করা সবই করেছেন। ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রম পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছুটির দিন গুলি আসলে এভাবেই কাটে। সব সময় প্সংসারের টুকটাক কাজ গুলো জমে থাকে এই ছুটির দিনের জন্য।
গাছ আমার অনেক প্রিয়,তাই এদের নিয়ম করে সকাল সন্ধ্যায় আমার পানি দিতে হয়,এছাড়াও আরো যত্নের দরকার তো পরেই।
ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
অনেক আগেই আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পেরেছি শুক্রবার এবং শনিবার মিলে আপনার সাপ্তাহিক ছুটি। যাই হোক, সপ্তাহে আপনার দুই দিন ছুটি রয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো।
ছুটির দিন যদিও মনে হয় অনেক শান্তিতে দিন পার করবো কিন্তু সেটা আর হয় না।
ছুটির দিনে সকালবেলা গরম গরম খিচুড়ি রান্না করে খেয়েছেন। এর আগেও আপনার অনেক পোস্ট পড়েছি ছুটির দিনে আপনি বাড়ির অনেক কাজকর্ম করে থাকেন।
সন্ধ্যাবেলায় আপনার গিন্নি সিঙ্গারা খেতে চেয়েছিল। এজন্য বাজার থেকে সিঙ্গারা নিয়ে এসেছেন।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাভাই, এখন যে জব করি তার এই একটাই শান্তি যে শুক্র ও শনিবার ছুটি, জানিনা এই শান্তি কতদিন কপালে থাকবে, জব চেঞ্জ করলেই সব শেষ হবে,
মাজে মাঝে ছুটির দিনে বাহিরে থেকে খাবার এনে খাওয়া হয়। ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমার এক বান্ধবীর স্বামী শুক্র-শনি বারে নিয়মিত রান্না করে এবং বউ বাচ্চাকে কোন কাজ করতে দেয় না। ওর এসব কথা শুনলে আমি ওকে বলি কোথায় এমন স্বামী পাওয়া যায় আমাকে একটু খোঁজ দে। আজকে আপনার ক্ষেত্রেও এ কথাটি প্রযোজ্য। সাধারণত হাজবেন্ডরা সংসারের টুকিটাকি কাজে সহযোগিতা করলেও রান্নাঘর পরিষ্কার করে দেবে এমন স্বামী পাওয়া বড়ই মুশকিল। সে দিক থেকে আপনার গিন্নিকে আমি ভীষণ ভাগ্যবতী বলে মনে করছি।
কমেন্টে অন্য বিষয়ের অবতারণা না করে শুধু এই বিষয়টি এই জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। সব সময় এমন থাকবেন। ভালো থাকবেন।
রান্নাঘর আসলে সব সময় গিন্নি পরিসার করে। তবে এরকম ডিম ক্লিন বছরে এক আধবার করা হয়, তখন আমি হেল্প না করলে একা মানুষের পক্ষে তা সম্ভব হয় না।
রাধুনিরা তাদের রান্নাঘর এম্নেই পরিস্কার রাখে,কিন্তু এই রান্নাঘরের একটা অংশ জুড়ে আমার গাছ পালার খাবার, সার, মিডিয়া রয়েছে, তাই আমাকেও এই কাজ করতে হয়।
পুঁইপাতা দিয়ে সবজি খিচুড়ি আমি কখনো খেয়ে দেখিনি। কোনো কাজে টেকনিক্যাল নলেজ না থাকলে সত্যিই অনেকটা সময় লেগে যায় আর এই কারণেই টেকনিশিয়ানরা আমাদের বোকা বানায়। পানির মধ্যে কস্টিক সোডা গুলে রেখে সেই পানি দিয়ে পরিষ্কার করলেও কিন্তু তেলচিটে ভাব খুব সহজে দূর হয়। আপনার লেখা পড়তে পড়তে আমার মনে পড়লো যে অনেক বছর হয়ে গেল আমার আনারস খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পুইপাতা দিয়ে খিচুড়ি না খেয়ে থাকলে অবশ্যই একদিন বানিয়ে খাবেন, অনেক মজার খেতে।
এডজাস্ট ফ্যানের ময়লা দূর করতে আপনার দেয়া পদ্ধতি এর পরে এপ্লাই করে দেখবো। ধন্যবাদ দাদা ভাই সুন্দর সাজেশন দেয়ার জন্য।
কথায় আছে যতনে রতন মিলে, আপনার শাশুড়ি আম্মা আপনার গিন্নি কে পাঁচ বছর বয়সের সময় একটা জিনিস দিয়েছিলাম আজ পর্যন্ত সেটাকে যত্ন করে রেখেছে।
শুনে ভীষণ ভালো লাগলো, ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যা আপু, এটা একদম সত্য কথা। প্রিয় জিনিস যখন প্রিয় মানুষের কাছে থেকে পাওয়া হয়, তখন তা আরো বেশি প্রিয় হয়ে ওঠে, যে কোন মূল্যে সেই জিনিস্টা আমরা ভালো রাখতে চাই, আমার গিন্নির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
চাকরি দিবি না ছুটির দিনে একটু কাজে বেশি ব্যস্ত থাকে।। আজ ছুটির দিন সকাল থেকে বেশ কাজই করেছেন।। আর ছোট বাচ্চারা একটু বায়না বেশি ধরে কখন কি খাবে তারা নিজেই জানে না ।। আর তাদের বায়না মিটিয়ে দিলে তারা অনেক খুশি হয়।।
হ্যাঁ ভাই, ছুটির দিন মানেই আমাদের কাছে আরো ব্যস্ত আর পরিবারের সাথে সময় কাটানোর দিন, আমি এই দিন গুলি অবশ্য খুব উপভোগ করি। শুক্র শনি অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই সব সময় পার হয়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সারা সপ্তাহ চাকরি করার পর দুইটা দিন পরিবারের সাথে কাটাতে আসলেই আনন্দ লাগবে।। আর হ্যাঁ প্রতিটি চাকরিজীবী ছুটির দিনের জন্য তার কিছু কাজ রেখে দেয় যেটা আমি অনেককেই দেখে থাকি।। আর আপনিও এর বাইরে নয় যা আপনার পোস্ট পড়লেই বোঝা যায়।।
প্রথমে আমি দোয়া করি আপনার মেয়ের জন্য যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। মাগরিবের নামাজ পড়ে আপনি আপনার মেয়ের জন্য ঔষধ কিনতে গিয়েছেন সেই সাথে সিংড়া ও পুরি কিনে নিয়ে আসতেন।
সিংগা অনেকদিন খাওয়া হয় নাই আমাদের এখানে সচার আচার সিংহা ড়া পাওয়া যায় না। সিঙ্গারা খেতে হলে অনেক দূরে যেতে হয় এজন্য আর খাওয়া হয় না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য।
আমরা বাংলাদেশিরা সিঙ্গরা না খেলে মনে হয় বাচতেই পারবোনা, অফিসের ফাকে প্রায়ই এটা খেতে বের হই। অবশ্য আপ্নারা এখন মানিয়ে নিয়েছেন, যেহেতু আপনার ওখানে এটি সহজলভ্য নয়। বাংলাদেশ এলে মন ভরে খেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।