গ্ৰামের সকাল
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আমি গ্রামে থাকাকালীন যে সকাল বেলার দৃশ্য অনুভব করেছিলাম। সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। গতকাল আমার লেখা পড়ন্ত বিকেল বেলা আপনাদের কেমন লেগেছে, আমি জানিনা। তবে আমি চেষ্টা করছি আমার গ্রামটাকে আপনাদের সামনে খুব ভালোভাবে তুলে ধরার।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার বাপের বাড়ি অনেক গল্প বাকি আছে। কারণ আমার পোস্টগুলি পরপর দেওয়া হয়নি। কারণ এই কদিন আমি শুধু বাইরে বাইরেই কাটিয়েছি ।তাই কোন পোস্টটি আগে দেবো, ঠিক করে উঠতে পারিনি। তাই পোস্টগুলি পরপর দেওয়ার সুযোগ হয়েওঠেনি। আমি যেহেতু শহরে থাকি, তাই শহরে সকালবেলা একরকম হয়। কিন্তু গ্রামে সকালবেলা একদমই অন্যরকম। হয়তো না দেখলে বোঝা যাবে না। আমার কাছে একটু অন্যরকমই লাগে। কারণ আমি যেখানে থাকি ,সেখানে আমি ওই রকম কিছুই চোখে পড়ে না।
আমি বাড়িতে সকাল বেলায় অনেকটাই দেরি করে ঘুম থেকে উঠি। কারণ আমি বাড়িতে তেমন কাজকর্ম কিছু করি না। আমার ঘুম থেকে ওঠার আগে শাশুড়ি মার সব করা হয়ে যায়। যখন হয়তো শাশুড়ি থাকে না তখন সকাল সকাল উঠতে হয়। তাও সকাল বেলায় উঠে গ্রামের দৃশ্যের সাথে শহরের দৃশ্য কখনোই মিলবে না। আমি বাপের বাড়িতে গিয়েও খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি না। এখন বাইরে যা সূর্যের তাপ ,মানুষ বেরোতেই পারছে না। আমাদের শহরাঞ্চলে ঘুম থেকে উঠেই এত রোদের তাপ দেখে মনে হয় হয়তো বেলা বারোটা বেজে গেছে। সকাল থেকেই গরম।
গ্রামেও কিন্তু সারাদিন খা খা রোদ প্রচণ্ড গরম। কিন্তু আমার বাপের বাড়ি যেহেতু টিনের ঘর প্রচন্ড তাপ দিনের বেলায়। রাত্রিবেলা হলে বেশ ঠান্ডা ।মাঝ রাতে তো শীত করে গায়ে কাঁথাও দিতে হয়। সেদিন হঠাৎ সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। বাইরে বেরোতে বাড়ির পিছন দিকে গেলাম ।গিয়ে দেখলাম শীতকালে যেমন কুয়াশা পড়ে তেমনি আমাদের বাড়ির পিছনের দিকটাতে হালকা কুয়াশা পড়েছে। আমি তো অবাক শীতকালে গিয়ে দেখেছি। তখন খুব কুয়াশা পরে। কিন্তু এত গরমে বাইরে কুয়াশা। বাড়ির পিছনটা ফাঁকা মাঠ তাই হয়তো কুয়াশা পড়ে। কিন্তু সকালবেলায় বেশ ঠান্ডা ঘাসের আগায় এই শিশিরও পড়েছে। আমার তো দেখতে বেশ ভালই লাগলো । সেই শিশির ভেজা জমির আল দিয়ে হাঁটতে বেশ ভালোই লাগে।
আমার তো এইসব দেখে আর ঘুমোতে ইচ্ছে করল না । আমাদের শহরাঞ্চলে শুধু গাড়ি ,ঘোড়ার হর্ন বাজতে শোনা যায়। কিন্তু গ্রামের সকালে পাখির কোলাহলের শব্দ শুনে মনটা ভরে গেল। ভোরের আলো ফুটেছে। আর পাখির কিচিরমিচির শুরু হয়ে গেছে। সকাল বেলায় আশেপাশের লোকজন সবাই রান্না বান্না করতে ব্যস্ত ।কারণ ভাত খেয়ে, সাথে করে ভাত নিয়ে যাবে মাঠে কাজ করতে। সবাই কাজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কেউ কেউ গোবর দিয়ে উঠান নিকোচ্ছে ,কেউ আবার গোয়াল থেকে গরু বের করছে। কিন্তু আমার এই ঠান্ডা আবহাওয়া সত্যিই খুব ভালো লেগেছে।
কারণ দিনের বেলায় এত গরম মানুষ ঘরে থাকতে পারে না ।আর সকাল বেলাটা এত সুন্দর দৃশ্য কার না ভালো লাগে। আপনারা যারা গ্ৰামে থাকেন তারা নিশ্চয় অনুভব করেছেন। যেহেতু আমি এই প্রথমবার গ্ৰামের দৃশ্য এতো ভালো ভাবে অনুভব করেছি। তাই বারবার গ্রামের দৃশ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
শহরের সকাল এক রকম। গ্রামের সকাল অন্যরকম। গ্রামের মানুষরা খুব ভোরের দিকেই উঠে যায়। অন্যদিকে শহরের মানুষের ঘুম ভাঙতে একটু দেরীই হয়।
আপনাদের গ্রামের সকালটা খুব উপভোগ্য ছিল দেখে বোঝা যাচ্ছে। শিশিরভেজা জমির আল দিয়ে আপনি হেঁটেছেন। এই কাজটা আমিও গ্রামে গেলে করি মাঝে মাঝে।ধন্যবাদ এত সুন্দর মূহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমাকে এতো ভালো একটা কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি ঠিকই বলেছেন সেই দিনের সকালটা আমার কাছে উপভোগ করার মতই ছিল ।আমিও আপনাদের সামনে এত সুন্দর সকালের দৃশ্য শেয়ার করতে পেরে আমিও খুব খুশি হয়েছি।
সকাল বেলার গ্রামের দৃশ্য খুবই অমায়িক যা প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। আর গ্রামের মানুষজন একটু সহজ সরল এবং। গ্রামে আমার সবথেকে বেশি ভালো লাগে প্রাকৃতিক পরিবেশ মধ্যে সবুজ গাছপালা এবং মুক্ত বাতাস। শহরাঞ্চলে মানুষজন হচ্ছে রোবটের মত চলাফেরা করে। গাড়ির শব্দ ও গাড়ি হন এগুলো শুনে ঘুম থেকে জাগনা পায়। আর গ্রামের মানুষটা পাখির ডাকে এবং মোরগের ডাকে ঘুম থেকে জানায় এই বিষয়টি আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি পোস্ট পড়ে গ্রামের যাওয়ার লোভ জেগে উঠেছে। ধন্যবাদ আরো আরো বেশি বেশি গ্রামের ছবি ও গ্রামের কথা আমাদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ
আমার পোষ্টটি পড়ে এত ভালো কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।হ্যাঁ আমি চেষ্টা করব আরো বেশি গ্রামের ছবি ও গ্রামের কথা আপনাদের সামনে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপু, আমার কমেন্ট পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য 🌹🌹
দিদি প্রথমেই বলবো আপনি অনেক ভাগ্যবতী। কেননা আপনি ঘুম থেকে ওঠার আগেই আপনার শাশুড়ি মা সব কাজ করে দেয়। অনেকের ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা হয় না। তাই এদিক থেকে আপনি বেশ ভাগ্যবতী।
যাইহোক আজকে আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার লেখায় পুরো গ্রামীন পরিবেশের সকাল স্পষ্ট। গ্রামের সকালবেলা সত্যিই একটু অন্যরকম হয়। আমিও গ্রামীন জীবনের সকাল উপভোগ করতে বেশ ভালোবাসি। বিশেষ করে শীতকালে।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল। আপনি যেহেতু শহরে পরিবেশের সাথে অভ্যস্ত হয়েছেন তাই গ্রামীণ পরিবেশ আপনার ভালো লাগার কথা। কেননা শহরের থেকে গ্রামের পরিবেশ অনেক অনেক আলাদা। যাই হোক আপনার অনুভূতিগুলো শুনে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন দিদি শুভকামনা রইল।
আপনি ঠিকই বলেছেন। সত্যিই আমার শাশুড়ি খুব ভালো মানুষ। আপনার কমেন্ট পড়ে সত্যিই আমার খুব ভালো লাগলো। আপনিও ভালো থাকবেন। আর এই ভাবেই আমার পাশে থাকবেন।
শহর গ্রামের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।। যারা গ্রামে থাকে শহরে যাবে তারা অনেক কিছুই দেখতে পারবে বুঝতে পারবে।। আর যারা শহর থেকে না আসবে তারাও ঠিক তেমনি।।। আপনি শহরে থাকলেও এখন গ্রামের রয়েছেন আর সেখানকার সকাল ও বিকেলের আবহাওয়া আপনার বেশি ভালো লেগেছে।। আমি গ্রামে বসবাস করি আর এইগুলো আমার প্রতিনিয়ত দেখা।। আর হ্যাঁ সময় সুযোগ না থাকার জন্য আপনি নিয়মিত পোস্ট করতে পারছেন না।। আপনার জন্য আশীর্বাদ রইল আপনি যেন সকল সমস্যা পার করে নিয়মিত আমাদের সাথে কাজ করতে পারেন।।
অবশ্যই গ্রাম শহরের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। যেহেতু আমি ছোট থেকেই গ্রাম শহর দুটো মিশিয়ে মানুষ হয়েছি তাই আমার শহর থেকে গ্রামে গেলে অসুবিধা হয় না। অবশ্যই এই ভাবেই আমার পাশে থাকুন তাহলেই আমি সমস্ত বাধা পেরিয়ে নিয়মিত কাজ করতে পারব।
জেনে ভালো লাগলো আপনি গ্রাম এবং শহর দুটো আমি সেই বড় হয়েছে তাই আপনার কোথাও থাকতে অসুবিধা হয় না।। আমরা অনেক সময় দেখতে পাই কেউ গ্রাম থেকে শহরে গেলে থাকতে পারে না আবার শহর থেকে গ্রামে আসলে থাকতে পারে না।।
বৌদি তোমাদের গ্রামটা সত্যিই খুব সুন্দর ।কতবার বলেছি তোমাকে আমাদের নিয়ে বেড়াতে যাবার কথা। কিন্তু তুমি নিয়ে যাওনি। এবার কিন্তু নিয়ে যেতেই হবে।
এবার চেষ্টা করব তোমাদের আমাদের গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার।
গ্রামের মানুষ সকালবেলা খুব বেশি পছন্দ করে। বর্তমানে যে গরমের তাপমাত্রা যা বলার মত নয়। হ্যাঁ আপনি একদম ঠিক বলেছেন শ্বশুরবাড়ি থেকে এরকম সকালবেলা বাইরে হাঁটাহাঁটি করার মত সুযোগ হয় না। নিজের বাবার বাড়িতে গিয়ে সকাল বেলার কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার নিজেরও গ্রামের সবুজ ঘাসের উপর খালি পায়ে হাটতে খুব ভালো লাগে ।
গ্রামের সকাল নিয়ে সুন্দর একটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এখন সূর্যের যা তাপ রোদে দিনের বেলায় বাইরে বেরোই যায়। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে রোদ না উঠতে সমস্ত কাজ সেরে নেয়। পোস্ট দিতে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দরভাবে গ্রাম আর শহরের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার জন্য। আসলে মানুষের সহজ সরল এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য গ্রাম অত্যন্ত কার্যকর।কারণ এখানে নেই কোনো গাড়ির হর্ণ আর নেই কোনো ঘনবসতি। এখানে গাছপালায় আচ্ছাদিত হয়ে থাকে।আসলে ঠিকি বলেছেন,শহরে ঘুম থেকে উঠেই মনে হয় দুপুর হয়ে গেছে।অনেক রোদ দেখতে হয়।শহরে গাছপালা কম থাকায় এমনটা হয়।কিন্তু জীবনকে গড়তে তো দিনশেষে সবাইকে শহরে পাড়ি জমাতেই হয়।😊
এটা ঠিক কথা জীবনকে ঘুরতে গেলে সব মানুষই দিনশেষে শহরেই পাড়ি দিতে হয়। এখন বেশিরভাগ গ্রামের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনার জন্য শহরে আসতে হয়। কিন্তু গ্রামের পরিবেশ শহরের পরিবেশে তুলনায় অনেক ভালো। পোস্টটিতে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
গ্রামের দৃশ্যগুলো আসলে মনোরম দিদি, সকালের শিশির ভেজা দুবলো ঘাসের উপরে থাকতে যেমন ভালো লাগে তেমনি ভাবে সকালের সূর্য ওঠা দেখতেও বেশ সুন্দর লাগে।
বিশেষ করে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলে দেখা মেলে বিভিন্ন পাখির সাথে এবং শোনা যায় কিচিরমিচির বিভিন্ন পাখির ডাক।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ গ্রাম বাংলার সকালের দৃশ্য উপস্থাপনা করার জন্য।
শিশির ভেজা ঘাসের উপর হাঁটতে বেশ ভালোই লাগে। শিশির ভেজা ঘাসের উপর এসে যদি সূর্যের আলো পড়ে তাহলে দেখতে আরো সুন্দর লাগে। আমাদের শহরে পাখির শব্দ পাওয়া যায় না। পোস্টটিতে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই তাই দিদি গ্রামের দৃশ্যগুলো সুন্দর সকালে পাখিদের কিচিরমিচির ডাক তার পাশাপাশি ঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটলে কেমন যেন শিরশির করে সমস্ত শরীরটা শীতল হয়ে ওঠে সমস্ত দেহ এক আলাদা অনুভূতি আলাদা ভালোলাগার জায়গা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টে পড়ে খুব সুন্দর একটি রিপ্লে করার জন্য
শহর আর গ্রামের মধ্যে অনেকটা পার্থক্য রয়েছে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে গ্রামের মধ্যে ঠান্ডা হওয়া উপভোগ করা যায়। গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখলে মনটা জুড়িয়ে যায়। যেটা আমি মাঝে মাঝেই হয়তোবা আমার পোস্টে বলে থাকি। গ্রামের মধ্যে দুপুর বেলা টিনের ঘরে থাকতে একটু সমস্যা হয়।কিন্তু রাতের বেলা আপনার মত করেই শীত লাগে। কেননা আমিও বর্তমান সময়ে আমার বাবার বাড়িতেই আছি।
আমার কাছে তো মনে হয় গরমের সময় টিনের ঘরে থাকাটাই উত্তম। অন্ততপক্ষে দিনের বেলা অতিরিক্ত গরম সহ্য করে। রাতের বেলায় প্রশান্তির ঘুম ঘুমানো যায়। গ্রামীণ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে আপনার হার ঘুমোতে ইচ্ছে করলো না। বিষয়টা জানতে পেরে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ গ্রামের সকাল বেলার মুহূর্ত নিয়ে এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন মাঝে মাঝে আপনার পোস্টেই আমি সকালের দৃশ্য খুঁজে পাই। রাতের বেলা সত্যি দিনের ঘরে খুব ভালো ঘুম হয়। পোস্ট দিতে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
সকালবেলা দৃশ্য দেখার পাশাপাশি একটু হাঁটাহাঁটি করার চেষ্টা করবেন। দেখবেন সারাদিনের ক্লান্তি নিমিষেই দূর হয়ে যাবে। একদমই ঠিক টিনের ঘরে রাতে বেশ ভালো ঘুম হয়। কেননা ঠান্ডার পরিমাণটা একটু হলেও অনুভব করা যায়। আর বিল্ডিং এর মধ্যে রাতে ঘুমানো টা, একেবারেই অসম্ভব এত পরিমাণে গরম।