রেনডম ফটোগ্রাফি||শেষ বিকাল থেকে সান্ধ্যবেলা||steemCreated with Sketch.

in Incredible Indialast year (edited)

হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।

Picsart_23-03-25_00-29-04-415.jpg

বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা, সবেমাত্র শীতের প্রকোপ কাটিয়ে বসন্ত ঋতু চলে এসেছে। সবুজ পত্র-পল্লবে প্রকৃতি নতুনভাবে সেজে উঠেছে। গাছে গাছে রংবেরঙের নানান রকম ফুল ও কোকিলের কুহু কুহু ডাকে মুখরিত চারিদিক।

বরাবরের মতো সেদিনটিও ছিল রৌদ্রজ্জ্বল ও চকচকে। সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে পূর্ণিমার রাত্রি। শহরে বৈদ্যুতিক লাইটের আলোর কারণে চাঁদের আলো ঠিক মতো বুঝতেই পারি না। কিন্তু গ্রামের চাঁদনী রাত সে এক অসাধারণ অনুভূতি।

যাইহোক শহর ছেড়ে কিছুটা দূরে ছিল আমার ট্যুর প্রোগ্রাম। এই ট্যুর প্রোগ্রাম অনুযায়ী আমাকে প্রতিদিন বাইরে যেতে হয়। হঠাৎ গ্রামে থেকে ফোন আসলো জরুরি প্রয়োজনে আমাকে যেতে হবে।

IMG20230319153444.jpg
IMG20230319153534.jpg

বিস্তারিত কিছু না জেনে কিভাবে শেষ বেলায় গ্রামে যাব তাই ভাবতে লাগলাম। বিষয়টা জানার জন্য চেষ্টা করলাম পরে জানতে পারলাম জমি জমা নিয়ে শরিকদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। অবস্থা গুরুতর দেখে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।

গ্রামের ফাঁকা রাস্তা ও সবুজ মাঠ পেরিয়ে আমার গাড়ি ছুটতে শুরু করল। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সন্ধ্যা নেমে এসেছিল। সেদিন আমার ট্যুর ছিল জেলা শহর পেরিয়ে অন্য একটি উপজেলা শহরে। তাই শহরে ঢুকতেই সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল।

IMG20230313205117.jpg
IMG20230313205100.jpg

কুড়িগ্রাম জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শাপলা চত্বর। শাপলা চত্বর আমাদের জিরো পয়েন্ট এখান থেকে আরও ১০ কিলোমিটার দূরত্ব যেতে হবে গ্রামে পৌঁছাতে।

দিনে কয়েকবার শহীদ মিনারের সামনে দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। অন্যদিনের তুলনায় আজকে অনেক বেশি সুন্দর লাগলো শহীদ মিনারের দৃশ্য। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আমি প্রতিদিনই শহীদ মিনারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কিছুক্ষণ দাঁড়াই।

সময় স্বল্পতার কারণে দাঁড়াতে না করলেও ফটোগ্রাফিতে দৃশ্যটি ধারণ করতে ভুল করিনি। আসলে অন্যদিনের চেয়ে বেশি সুন্দর মনে হচ্ছিল রাতের শহীদ মিনারের দৃশ্য।

IMG_20230325_002102.jpg

গ্রামে প্রবেশের মুখে বাঁশ বাগানের উপর দিয়ে পূর্ণিমার চাঁদ চোখে পড়লো। পূর্ণিমা রাতে চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভুল করলাম না। গ্রামের লোকজনের কাছে এটা হয়তো কোন ব্যাপারই না।

কিন্তু অনেকদিন পর পূর্ণিমার চাঁদ দেখে আমার অন্যরকম ভালোলাগা সৃষ্টি হয়েছিল। "বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই, মাগো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি কই।" বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ দেখে লাইনটি খুব বেশি মনে পড়েছিলো।

IMG_20230325_002035.jpg

অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে পূর্ণিমা রাতের দৃশ্য শুভ করলাম। চাঁদ মামা একটু দূরে চলে গেল অন্য একটি গাছের আড়ালে। পূর্ণিমা রাতে চাঁদের লুকোচুরি খেলা দেখতে বেশ ভালোই লাগলো।

IMG_20230325_001946.jpg
IMG_20230325_001830.jpg

পূর্ণিমা রাতের মনোরোম এই দৃশ্য আমাদের সকলের ভালোলাগার বিষয়। শহরে থাকতে থাকতে পূর্ণিমার রাত কি সেটা আমরা ভুলেই গিয়েছি। তাইতো গ্রামে ঢুকেই আমি আশ্চর্য হয়ে গেছি। বৈদ্যুতিক বাতি নেই কিন্তু চারিদিকে পরিষ্কার চাঁদের আলো বিরাজমান।

মনে হচ্ছে তখনও ঠিকমতো রাত্রি চলে আসেনি। চাঁদের আলো গায়ে মাখে আমি অনেকক্ষণ গ্রামের রাস্তা দিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি। ভালোলাগার স্মৃতিগুলো সাথে নিয়ে আবারও যান্ত্রিক শহরে ফিরতে হয়েছিল।

বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।

ডিভাইসrealme narzo50
ফটো@mayedul
লোকেশনউলিপুর, কুড়িগ্রাম

-1675190969286.gif

Our Discord Link

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

বিশেষ করে আপনার চাঁদের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ৷ আর চাঁদ দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে ৷ তবে আজকের রাতে একটি চাঁদের নিচে তারার দেখা গিয়েছিল ৷ এই দৃশ্য টা আমার সেরা চাঁদ দেখার দৃশ্য ছিল ৷

ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য ৷

 last year 

শেষ বিকেলের মুহূর্তগুলো এমনিতেই অসাধারণ হয়।সত্যি কথা বলতে শেষ বিকেল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত, মুহূর্তটা খুব শান্ত পরিবেশের একটা মুহূর্ত হয়ে থাকে।

আপনার পোষ্টের প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার সাথে আপনি অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন। সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 58132.39
ETH 3138.08
USDT 1.00
SBD 2.44