Betterlife: The dairy game 6th June 2023||My traveling trip & happy moments

in Incredible Indialast year (edited)

কেমন আছেন আমার সকল স্টিম বন্ধুরা, অবশ্যই আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আমার এই ব্লগিং লাইফে এই সর্বপ্রথম আমি ডায়েরি গেম লিখতে চলেছি। আমি এর আগে কখনো আসলে ডাইরি গেম লিখিনি, অনেকের দেখা দেখি ভাবলাম নিজের প্রতিদিনকার একটিভিটি শেয়ার করলে কেমন হয়।

Steemit (2).png

Photo design by Canva

আমি প্রতিদিন যেটা করি, যদি সেটা আপনাদের মাঝে পূর্ণরূপে শেয়ার করি তাহলে তো ভালোই হয়। অবশ্য আজকের দিন টা আমার জন্য অনেকটা খুশির ছিল, কারণটা কি জানেন? কারণটা আমি পুরোটাই আমার এই ডায়েরি গেমে শেয়ার করব।অবশ্যই আপনারা পুরো পোস্টে পড়বেন আমার মনে হয় ভালো লাগবে।

আজকে ৬ই জুন সোমবার, এখান থেকে এক মাস আগে আমার বড় ভাই মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশ গিয়েছিল। ও ভুলেই গিয়েছে আমি তো মালয়েশিয়াতে থাকি অনেক বছর ধরে।

তো যেখানে ছিলাম আমার বড় ভাই বাংলাদেশে গেছে বাড়িতে ঘুরতে, এখন সে এক মাসের ছুটি নিয়ে গিয়েছে। একমাস পরে তাকে আবার ফিরে আসতে হবে, তাইতো সে ফেরার আগে আমার কাছে ফোন করল মামুন তুই কি বাড়ি থেকে কিছু নিয়ে আসবি।

তখন আমি তাকে বললাম হ্যাঁ আমার বাড়ি থেকে টুকিটাকি কিছু জিনিস আনা লাগবে। তুমি যদি আনতে পারো তাহলে আমি আমার বাড়িতে বলে দেবো, সেগুলো দোকান থেকে কিনতে আর সেগুলো তোমার বাড়িতে পৌঁছে দিবে।

মূলত আমার বাংলাদেশ থেকে আমার পরিবার যে জিনিসপত্রগুলো দিয়েছে সেটা আনার উদ্দেশ্যেই আমি আজকের এই ডাইরি গেমটি শেয়ার করছি।

আমার বাড়ি থেকে অনেক কিছুই দিয়েছে, তো মনের ভেতরে একটা আনন্দ বিরাজ করছে। কখন যে রাত পোহাবে রাত পোহালেই সকাল হতেই আমি আমার সেই বড় ভাইয়ের বাসায় যাব। আমার দেশের বাড়ি থেকে যে জিনিসপত্র গুলো দিয়েছে সেগুলো আনতে।

সারারাত যেন খুব একটা ভালো ঘুম হয়নি, কারণ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আমার বাড়ি থেকে দিয়েছে। অনেক বছর আসলে সেগুলো ব্যবহার করা হয় না, কিছু খাওয়ার জিনিসও দিয়েছে। যেগুলো অনেক বছর ধরে খায় না, এর জন্য সারারাত ছটফট করেছি কখন সকাল হবে।

IMG_20230607_003855.jpg

ঘড়ির কাটায় যখন ভোর পাঁচটা বেজে ৩০ মিনিট তখন হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে গেল। তাই ভাবলাম এখন যখন ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছে তাহলে আমি হাতমুখ ধুয়ে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নেই।

কারণ আমাকে তো আবার আমার সেই বড় ভাইয়ের বাসায় যেতে হবে। তাই আগেভাগেই সাজুগুজু করে নেই যাতে পরবর্তীতে দেরি না হয়ে যায়।

তাই তাড়াহুড়ো করে আমি আমার গোসলের বালতিটি নিয়ে চলে গেলাম গোসলখানায়। সেখানে গিয়ে ব্রাশ করে হাতমুখ ধুয়ে সুন্দর করে সাবান শ্যাম্পু মেখে গোসল করলাম। গোসল শেষে আমি সুন্দর নতুন জামা কাপড় পড়লাম, কারণ অনেকদিন যাবত বাহিরে যাওয়া হয় না, এর জন্য খুব একটা বেশি ভালো জামা কাপড় পড়াও হয় না।

জামাকাপড় পড়ে পেটে হাত দিয়ে দেখলাম পেটের ভেতরে খাবো খাবো করছে। কারণ সকালবেলা আমার কফি খাবার অভ্যাস, ভাত না খেলেও কোন কিছু যায় আসে না। তবে আমাকে একটা কফি বা চা খেতেই হবে, না হলে খিদের চোটে আমার সারা শরীর কাঁপতে শুরু করে।

IMG_20230607_004006.jpg

তাই ভাবলাম এখনো তো অনেক সময় আছে সবেমাত্র তো সকাল হলো, যাক একটা কফি বানিয়ে খেয়ে ফেলি। তখন ঘড়ির কাটায় বেজে গিয়েছে 6:30am তারপরও কফিটি বানিয়ে কয়েকটি বিস্কুট নিয়ে কফির সাথে ভিজিয়ে খেয়ে নিলাম, দেখলাম পেট বাবাজি একটু ঠান্ডা হয়েছে।

তারপর প্রয়োজনীয় কাগজ পাতি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম বড় ভাইয়ের বাসার উদ্দেশ্যে। সাথে অবশ্য আমি আমার আরো একটি ভাইকে নিয়ে নিলাম, কারণ আমার একা যাইতে কেমন যেন একটা লাগছে। একে তো অনেক খুশি তাতে আবার ভয়ও লাগছে কারণ বর্তমানে আমার কাছে কোন কাগজ পাতি নেই, নতুন করে কাগজ পাতি করার জন্য মালেশিয়ার ইমিগ্রেশনে সকল ডকুমেন্টস জমা দিয়েছি।

তাই আমার আরও একটি ভাইকে আমার সাথে নিয়ে নিলাম। প্রজেক্টর রাস্তা দিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম বেশ এক কিলোমিটার এর মতো, হেঁটে গিয়েই মূলত মূল রাস্তায় পৌঁছাতে হবে। আর সেখান থেকেই আমাদেরকে গাড়ি ধরতে হবে। যে গাড়িটি আমাদের আমার বড় ভাইয়ের বাসায় নিয়ে যাবে।

IMG_20230607_004139.jpg

এই দেশে একটি অ্যাপসের মাধ্যমে গাড়ির অর্ডার করা যায়।যে কোন জায়গায় আপনার যাওয়ার ইচ্ছা হলে খুব সহজেই আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ভালো মানের একটা ভিআইপি এসি গাড়ি পেয়ে যাবেন, এক কথায় বলা যায় ট্যাক্সি পেয়ে যাবেন।

তখন পকেট থেকে আমার মোবাইলটি বের করে সেই অ্যাপসটি ওপেন করলাম। এবং আমার ভাই যে বাসায় থাকে সেই বাসার এড্রেসটি বসিয়ে দিলাম, এবং সার্চ করলাম বেশ ১৫ মিনিট পর একটি ট্যাক্সি খুঁজে পেলাম,তখন সেই ট্যাক্সি বুক করলাম।

ট্যাক্সি বুক করার পর ৯ মিনিট পরে আমাদের এখানে এসে পৌঁছালো। যে জায়গায় আমরা দুই ভাই দাঁড়িয়ে রয়েছি ওই ট্যাক্সির আশায়।

IMG_20230607_003754.jpg

ট্যাক্সিটি আমাদের এখানে এসে থামল, এবং আমরা ট্যাক্সিতে উঠে বসলাম। গুটি গুটি পায়ে চলতে থাকলো আমাদের গাড়িটি। আমি যে জায়গা থেকে ট্যাক্সিটি বুকিং দিয়েছি আমার ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার জন্য আমার এখান থেকে ট্যাক্সির ভাড়া পড়েছে rm-15 টাকা। তাহলে বুঝতেই পারছেন মালয়েশিয়ার ১৫ টাকা সমান কতগুলো রাস্তা মোটামুটি বিশ কিলোমিটারের মতো রাস্তা।

IMG_20230607_003743.jpg

অবশেষে পুরো রাস্তা জুড়ে চারিদিকে দেখতে দেখতে এক সময় পৌঁছে গেলাম আমার ভাইয়ের বাসায়। সেখানে গিয়ে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করলাম, খাওয়া-দাওয়া শেষে আমার বাড়ি থেকে যে জিনিসপত্রগুলো দিয়েছে সেগুলো নিয়ে আমার বড় ভাইকে বললাম যাক এখন আমরা চলে যাচ্ছি, কালকে আবার কাজ রয়েছে।

YouTube video

এভাবেই আমার বড় ভাইকে বিদায় জানিয়ে আমরা আমাদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কিন্তু এখন একটি সমস্যা হয়ে গেল আমার বড় ভাইয়ের বাসার ওখান থেকে ট্যাক্সি বুকিং দিতেছি কিন্তু কোন ট্যাক্সি খুঁজে পাচ্ছি না, কি একটা ঝামেলা তাই না।

দীর্ঘ এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর অবশেষে আমরা একটি ট্যাক্সি পেলাম, এবং সেই ট্যাক্সি চেপে আমাদের বাসায় চলে আসলাম। বাসায় চলে এসে আমার বাড়ি থেকে কি কি জিনিস দিয়েছে সেগুলো দেখার জন্য আমার সেই বক্সটি খুললাম।

বক্সটি খুলে দেখি বাড়ি থেকে বেশ কিছু জিনিস দিয়েছে খাওয়ার জন্য আমের আচার পাঠিয়েছে, গাছের মিষ্টি আম দিয়েছে, সাথে কুমড়া দিয়ে তৈরি করা বড়ি দিয়েছে। যেটা সাধারণত তরকারি দিয়ে রান্না করতে হয়, আসলে আমার খুবই পছন্দ এই কুমড়ার বড়ি।

তাই আমি বাড়িতে আগে থেকেই বলে দিয়েছিলাম একটু বেশি করে দিতে। তাই তো কেজি দুয়েকের মত বড়ি পাঠিয়েছে সাথে কিছু চিড়া ভাজা আর কিছু আম শর্ত পাঠিয়েছে।।

আর প্রয়োজনীয় যে জিনিসটি সেটা হল আমার জন্য বেশ কিছু ঔষধ পাঠিয়েছে। আসলে আমাদের বাংলাদেশের ঔষধ গুলো কেন জানি আমাদের শরীরে খাপ খেয়ে যায়। ওষুধগুলো খেলে আমাদের যেই রোগই হোক না কেন সেই রোগ নিরাময় পায়। তাই তো এই দেশের ঔষধের থেকে আমি বাংলাদেশের ঔষধের প্রতি একটু বিশ্বাসই বেশি।

অবশেষে সকল জিনিসপত্র বের করে যেগুলো তাৎক্ষণিক খাওয়ার মত খাবার ছিল সেগুলো আমরা কয়েক ভাই মিলে খেতে চালু করলাম। এবং খাওয়া-দাওয়ার শেষে আমি একটু মোবাইল বের করে চলে আসলাম বাহিরে।

তখন সময় প্রায় 7:30 pm এক কথায় বলা যায় আমাদের এখানে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। আর আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি একটা চাঁদ মামা উঁকি দিয়ে তাকিয়ে রয়েছে আমার দিকে। তাই ভাবলাম সুন্দর এই চাঁদ মামার একটি ছবি উঠায়।

IMG_20230607_004408.jpg

ছবি ওঠানোর পরে বসে বসে মোবাইল টিপতে চালু করলাম, আমি আবার একটু গেম খেলতে বেশি পছন্দ করি। তাই আমি আমার গেম স্টার্ট করে গেম খেলা শুরু করে দিলাম।

এভাবেই আমার একটি পুরো দিন চলে গেল খুবই আনন্দের সহিত। অনেক ভালো লেগেছে অনেকদিন পর বাহিরে গিয়ে সাথে দেশের জিনিসপত্র কিছু পেয়ে।

যাইহোক বন্ধুরা কেমন লেগেছে আমার আজকের ডাইরি গেমটি। অবশ্যই আপনারা আপনাদের কমেন্টসের মাধ্যমে জানাবেন। জানিনা সঠিকভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পেরেছি কিনা, তবে চেষ্টা করেছি। ভুলত্রুটি হলে অবশ্যই আপনারা কমেন্টস করবেন। কিভাবে করলে আরো একটু ভালো করা যায় আপনাদের কাছ থেকে সাজেশন পেলে দেখা যায় পরবর্তীতে সেটা আমি সংশোধন করতে পারবো।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPyPsMyHugtgimeGf4GaeSLBpLo19W7P5uB2gbyncoyGXD1NKkqukpZJFh2WSt...i2LbyGrGp3KDwaNNTVPj8pXyBbDECv2RUcQMZUuix3w2ie6U2tSFKHFnMAWiyM3Z4WSs5tmVVZtZLUo3r2H5Kjzj3KJAfwBB9Scd3Y8TwikXP8v6EJiisMZjQA.png

আজ এ পর্যন্তই বন্ধুরা, সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সকলকে আমার ছোট্ট এই ডাইরি গেমটি পড়ার জন্য আল্লাহ হাফেজ।

প্রথম ছবি বাদে আর যতগুলো ছবি শেয়ার করেছি প্রত্যেকটি ছবি আমার নিজের মোবাইলে তোলা।

DeviceName
Androidvivo Y76
Categorythe dairy game
Camera50 mp camera
Locationmalaysia
Short by@mamun123456

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Loading...
 last year 

আপনার আজকের ডায়রি গেম আপনি উল্লেখ করেছেন,, আপনার বাড়ি থেকে কিছু জিনিসপত্র দেয়া হয়েছিল! আপনার এক বড় ভাইয়ের কাছে! সেগুলো নেয়ার জন্যই আজকে আপনি তার বাসায় যাবেন।

বাড়ি থেকে যে জিনিসপত্রগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো পেয়ে আপনি খুব খুশি,, এবং সেগুলো আনার জন্য আপনি প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন! আপনি ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠেছেন! এরপরে গোসল করে আপনার ভাইয়ের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনেকটা পথ হেঁটেছেন।

অবশেষে আপনারা সেখান থেকে,, আপনার জিনিসপত্র গুলো নিয়ে এসেছেন।

এরপরে আপনি একটা ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন! যেখানে চাঁদ মামা উকি দিয়েছে! এমন একটা ফটোগ্রাফি তখন মনে হচ্ছে সন্ধ্যা হয়ে গেছে।

যাই হোক আপনার দিন পঞ্জিকাটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো! আপনি আজকে দিনে কি করেছেন,, সেটাই আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 59956.07
ETH 2524.56
USDT 1.00
SBD 2.49