মুঠো ফোনে ধারণ করা কিছু ফটোগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি।
আজ আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আজ আমি মুঠোফোনের ধারণ করে কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। যে ফটোগ্রাফি গুলো নদীর এলাকায় গিয়ে ধারণ করা।
প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফিতে আপনারা নদী এলাকার ছোঁয়া পাবেন। এই ফটোগ্রাফি গুলো অনেক দিন আগে মুঠোফোনে ধারণ করেছিলাম হঠাৎ মোবাইলের গ্যালারি ঘাটতে ঘাটতেই এই ছবিগুলো সামনে চলে আসে। তাই ভাবলাম আজ আপনাদের মাঝেই ছবিগুলোই উপস্থাপন করব।
ফটোগ্রাফি শেয়ার করার পাশাপাশি আমি ফটোগ্রাফির নিচে করে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করছি আমার ফটোগ্রাফি গুলো এবং আমার এই পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসা যাক।
এই ফটোগ্রাফিটি আমি ধারণ করেছিলাম রৌমারী ফলুয়ারচর ঘাটে, যে ঘাট দিয়ে আমরা রৌমারী থেকে কুড়িগ্রাম আসি সেই ঘাটের নামই ফলুয়ারচর। নদীর পানি যখন অনেকটা শুকিয়ে যায় তখন নদীর জলে এরকম বিভিন্ন রকমের ফসল ফলায় এখানের স্থানীয়রা।
দূরে যেই লম্বা সবুজ গাছগুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো হল পাটগাছ। সেখানে পাট গাছের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলাতে দেখেছিলাম আমি। তবে এই চড়ে সবথেকে বেশি যেটা ফলানো হয় সেটা হল বাদাম, আমরা সকলেই জানি বালু মাটিতে বাদাম অনেক ভালো ফল দেয় তাই এদিকের মানুষ নদীর পানি শুকিয়ে এলেই চড়ে বাদামের গাছ লাগিয়ে দেয়।
নদী এলাকা বলে কথা মাছ না ধরলে কি চলে। বাদাম চাষের পাশাপাশি এদিকের মানুষে আরেকটি কাজ হল মাছ ধরা। এই নদীতে প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়ে। এই মাছগুলো খেতেও ভীষণ সুস্বাদু। এখানের স্থানীয়রা এভাবেই মুঠো জালের মাধ্যমে মাছ ধরে, আবার কেউ কেউ ছোট নৌকো নিয়ে নদীর মাঝে গিয়ে কারেন্ট জাল বিছিয়ে মাছ ধরে।
যারা নৌকা কিংবা জাহাজে উঠেছেন তারা হয়তো এই জিনিসটা চিনবেন। এটা হল পারে নৌকা কিংবা জাহাজকে আটকে রাখার মাধ্যম। পারে যখন নৌকা রাখা হয় তখন এটা ঘাটে ফেলে রাখলে নৌকার কোন ভাবেই কাট ছেড়ে চলে যেতে পারবে না।
সেই ঘাটে একটি বালু তোলা ড্রিজার নৌকায় উঠে আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। তখন সূর্যমামা প্রায় অস্ত চলে গিয়েছে তাই সে সময় ধারণ করা ফটোগ্রাফি গুলোও অন্যরকম সুন্দর দেখাচ্ছিল।
এই ছবিটি মাঝ নদীতে নৌকায় বসে ধারণ করেছিলাম। তখন শুকনো মৌসুম ছিল তাই দূরে ওই চরগুলো দেখা যাচ্ছিল। আমরা যখন ভরা মৌসুমে এই নদী পার হই তখন এই মাঝ নদীতে আসলে চারিদিকে কোন পার চোখে পড়ে না।
ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি নৌকার উপর উঠে আমি এই ছবিটি ধারণ করেছিলাম। নৌকা ঘাটে গিয়ে সব সময়ই নৌকা ছাড়ার জন্য অনেকক্ষণ বসে অপেক্ষা করতে হয়। আমি সবসময়ই এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে নিজের মুঠোফোনের ক্যামেরা বের করে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে ফেলি।
এটা হল রৌমারির জিঞ্জিরাম নদী। অনেকেই হয়তো এই নদীটির নাম শুনেছেন। এই নদীটি ভারতের আসাম থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আসাম থেকে সোজা বেরিয়ে এসে এই নদীটি ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এই জিঞ্জিরাম নদীটিও মোটামুটি বড়সড় একটি নদী।
Device | Realme 8 |
---|---|
Camera | G-Cam |
Photographer | Mahir |
Location | Rowmari, Kurigram |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি যে সব ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন আসলে এটা আমাদের বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ফটোগ্রাফি আমার মনে হয় অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন আমার আপনার ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে আমাদের এদিকে নদী নেই। যার কারণে আমরা নৌকায় উঠতে পারি না। আসলে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করছেন।ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে। আপনি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার।
আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। অসম্ভব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।তার সাথে ফটোগ্রাফি গুলোর বর্ণনা দিয়েছেন ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য।
আপনি খুব সুন্দর করে ছবি তুলতে পারেন, এক কথায় অসাধারণ। ছবিগুলো মুগ্ধ করে দেয় আমাকে। আপনি প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির বর্ননা দিয়েছেন সাবলীল ভাবে। পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত পেয়ে আমার ফটোগ্রাফি করা সার্থক মনে হচ্ছে ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।