19/6/24 আজ ছিলো আমার খালামনির গায়ে হলুদ।
19/6/2024
আজ বুধবার, গিয়ে ছিলাম আমার খালামনির গায়ে হলুদে। খুবই ভালো একটা সময় কাটিয়েছি এবং গায়ে হলুদের গিয়ে কি কি করেছি চলুন শেয়ার করছে আপনাদের সাথে।
- এই খালা মণিদের বাসা আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে খুব একটা দূরে নয়। মাত্র 10 মিনিটের রাস্তা, তাই আমি আর আমার শাশুড়ি মিলে চলে গিয়েছিলাম গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে। গিয়ে দেখলাম খালামণিকে রেডি করছে অনুষ্ঠানে নেওয়ার জন্য, এবং অন্যদিকে উরাধুরা নাচ হচ্ছে, অনেক দিন হয়েছে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যাওয়া হয় না। তাই এরকম একটা অনুষ্ঠানে আসতে পেরে একটু আনন্দ বোধ হয়েছে আমার।
এখানে এসে দেখলাম সবাই হলুদ শাড়ি পড়ে এসেছিল, তবে আমি আমার মেয়ে কে হলুদ শাড়ি পরিয়েছি ঠিকই তবে আমি পড়ার আর সাহস পায়নি। কারণ এত বেশি গরম পড়েছে যে এর মধ্যে আবার শাড়ি পরা। জায়গার উপরে ফিট খাবো এই ভয়ে আর শাড়ি পরিনি। এখানে আসার পরে আমার বাবার বাড়ির অনেক আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা হলো,,,।
তখন তো আমার আরো বেশি ভালো লেগেছে এবং সবাই একটা কথা জিজ্ঞাসা করছে আমি কবে বাবার বাড়িতে যাইতেছি। এরপরে বউকে দেখতে গেলাম এবং তার সাথে একটা ছবিও তুলে নিয়েছি যদিও তার কাছে আমাকে একদম মানায় নি, কারণ আমি মুখে একটু ক্রিম লাগাইনি গরমের ভয়ে। তবুও একটা ছবি তুললাম স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য।
এই খালা মনি টা অনেক ভালো, দুই ক্লাস উপরে পড়ে আমার থেকে শ্বশুর বাড়িতে এসো ও আমি তার সাথে অনেক বার কলেজে গিয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা তিনি হলো একটা মিশুক মেয়ে, সবার সাথে খুব সহজে মিশে যেতে পারে। এরপরে তার কাছ থেকে একটু তার হবু জামাই ছবিটা দেখলাম,,
তাদের এই ছয় বছরের সম্পর্ক,,, এ কথাটা আমি কখনোই জানতাম না, আমি কেন কেউ জানতো না আত্মীয় স্বজন আর পারা প্রতিবেশী। সৃষ্টি কর্তা চাইলে সবকিছুই সম্ভব অনেক বাধা বিপদ পেরিয়ে তাদের এখন এই শুভ দিনটা এলো। সবাই দোয়া করবেন তাদের জন্য জীবনের জন্য সুখী হতে পারে।
- এই অনুষ্ঠানে এসে আমার একটা প্রিয় মানুষের সাথে দেখা হয়ে গিয়েছিলো, তিনি একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা, আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। অনেক আদরও করে, আমার বিয়ের পিছনে তার অনেক বেশি ভূমিকা রয়েছে। হয়তো মানুষের সাথে বোঝাপড়া হয়, তবে তাকে আমার বৃদ্ধকাল পর্যন্ত মনে রাখতে হবে। যদি সৃষ্টিকর্তা বাঁচিয়ে রাখে কারণ, কারো দ্বারা কিছু পেলে, তার শুকরিয়া করা উচিত আমি মনে করি।
সে যাই হোক অনেক কথা বলে ফেললাম এরপর আসি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে, গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে সবাই বউকে গায়ে হলুদ লাগিয়ে দিয়েছিল এবং অনেক ধরনের খাবার ছিলো যেগুলো বউকে খাইয়ে দিয়ে ছিলাম সাথে নিজেও খেয়ে ছিলাম। কারণ এখানে খুব সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের কয়েক টা পিঠা ছিলো। যে গুলোর সাথে আমি খুব একটা পরিচিত নাই ।তাই একটু পরিচিত হয়ে নিলাম টেস্ট গুলো কিন্তু বেশ ভালো ছিল।
এরপরে দুই টা কিউট কিউট বেবিদের নিত্য দেখেছিলাম, এত সুন্দর ভাবে নিত্য করেছিল যেটা প্রশংসা করার মতো, খুবই ভালো হয়েছিলো আর এরপরে আমরা খাওয়া দাওয়া করেছিলাম অনুষ্ঠানে। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে খেয়ে ছিলাম বিরিয়ানি। যেহেতু অনেক লোক ছিল তাই আর খাবারের ছবি তুলিনি।
সবশেষে, আমি বলব সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা সন্ধ্যা বিকাল কাটিয়েছি। আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছে আর আপনাদের কাছে কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না। চেষ্টা করব পরবর্তীতে বিয়ের পর্ব নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য।
- এইতো আজ আর আগাবো না এখানেই শেষ করবো। সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
যদিও কোন সাজগোজ করেননি কিন্তু আপনাকে বউ থেকে কম সুন্দর লাগছে না। তবে আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে গায়ে হলুদে বউয়ের সামনে থাকা নাস্তা গুলো। ফল ও পিঠা দিয়ে খুব সুন্দরভাবে স্টেজ সাজানো হয়েছে। নববধূকেও চমৎকার লাগছে।
আপনার মেয়ে এখানে অনেক আনন্দ উল্লাস করেছে জেনে ভালো লাগলো। এ ধরনের অনুষ্ঠানে আসলে বাচ্চাদের সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়।
তবে এই গরমের মধ্যে বিরিয়ানি খাইয়েছে। নিশ্চয়ই বিরিয়ানি খেয়ে সবার আরো বেশি গরম লাগছিল। সব মিলিয়ে চমৎকার উপস্থাপনা করেছেন।
তাই নাকি, তাহলে তো ভালই হয়েছে না সেজে ও বউ মত লাগছে, একদম ঠিক আপনার মত আমার কাছেও, গায়ে হলুদের যত প্রকারের নাস্তা ছিল পিঠাগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। দেখতে যেমন সুন্দর ছিল খেতেও অসম্ভব মজাদার ছিলো।
অনুষ্ঠানে গিয়ে আমার সাথে সাথে আমার মেয়েও বেশ আনন্দ করেছে। আর এরকম অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের আনন্দের বেশি আনন্দ।
সে কথার বলবেন না এই গরমে বিরানি খেয়ে আমার অবস্থা একদম খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান মানেই হচ্ছে অন্যরকম একটা আনন্দ। তবে আমার কাছে বউকে দেখে বউ মনে হচ্ছে না। আপনাকে দেখে বউ মনে হচ্ছে।🫢 যাইহোক মজা করলাম। আপনার প্রিয় মানুষের সাথে আপনার দেখা হয়েছে, আসলেই মানুষগুলোর সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো অনেক বেশি সুন্দর হয়ে থাকে। আর গায়ে হলুদের মধ্যে নিত্য হবে না এটা তো হতেই পারে না। মোটামুটি বলা জায়গায় হলুদের অনুষ্ঠানে আপনি অনেক বেশি আনন্দ করেছেন। ধন্যবাদ গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের এত সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ও ছি লজ্জা পাইছি।
একদম ঠিক বলেছেন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান মানে অন্যরকম আনন্দ উল্লাস, সব মানুষের সাথে দেখা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। তবে প্রিয় মানুষের বেলা তো একটু অন্যরকম ভালোবাসা থাকে এই।
অনেক দিন পরে এই মানুষটার সাথে দেখা হয়েছিল তাই আমার অনেক ভালো লেগেছিল। একটা সময় অনুষ্ঠান শেষে সবাই অনেক নিত্য করছিল যদিও আমি এ ব্যাপারে একদম কাঁচা। তাই আর ওদিকে আগাইনি।
ওরে বাবা এখানে লজ্জা পাওয়ার কি আছে🤔 যেটা সত্যি সেটাই বললাম। একদমই ঠিক বলেছেন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে অনেক বেশি আনন্দ হয়ে থাকে। এবং প্রিয় মানুষের সাথে দেখা হলে কথা এবং গল্প করতে করতে সময়টা কখন পেরিয়ে যায় একটুও বোঝা যায় না। আপনারা মজা করেছেন আনন্দ করেছেন ।সেই সাথে ছোটদের নিত্য অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন এটাই হচ্ছে সবচাইতে বড় কথা।
আপনার খালামনির পরবর্তী জীবনের জন্য শুভকামনা রইল, আশা করি তার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। আপনার তার গায়ে হলুদ ছিলো তাই আপনিও সেখানে গিয়েছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠান মানের হয়ত একটু বেশি কিছু। সকলে মিলে আনন্দ ফুর্তি করবে এটাই স্বাভাবিক।
আজ গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে সকলে মিলে নাচ গান করছিলো। সেখানে গিয়ে আপনার প্রিয় একজন শিক্ষিকার সাথে দেখা হয়েছিলো। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
গরমের দিনে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখলেই প্রথমে আমার যে কথাটা মনে পড়ে সেটা হলো, এই গরমের মধ্যে বিয়ে করে কে?!! না খেয়ে শান্তি না সাজগোজ করে শান্তি। সব জায়গাতেই গরম আর গরম।
আপনি সাজগোজ না করলেও খুব সুন্দর লাগছিলো আপানাকে।
এই রকমের রঙ-বেরঙের পিঠা আমি প্রথমবার দেখলাম।
গরমের মাঝে বিরিয়ানি খেয়ে আপনার কি অবস্থা হয়েছিলো সেটা জানতে ইচ্ছে করছে।😀
ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনি দেখছেন আমার মনের কথাটা বুঝতে পেরেছেন এই গরমে কেন যে বিয়ে পাতায়। যে বিয়ে করে তাদেরও খারাপ অবস্থা ।
আর যারা বিয়ের দাওয়াতে যায় তাদের তো আরো খারাপ অবস্থা হয়।
আমি ওই রকমের রংবেরঙের একটা প্রথম দেখলাম। তবে আমার কাছে এটা খেতে অনেক ভালো লেগেছে। রেসিপি টা শিখে এসেছি কোন একদিন শেয়ার করবো আপনাদের সাথে ও
ও আপু সে কথা আর বলবেন না বিরানি খেয়ে আমার অবস্থা তো একদম খারাপ হয়ে গিয়েছিল। যদিও জানি এটা শুনে আপনার ভালো লাগবে না তবে ইচ্ছা করছে জানতে তাই বললাম।
গরমের দিনে বিয়ে বাড়ি যাওয়া সত্যি খুব কষ্ট। কারণ না ভালো করে সেজে গুজে ঘোরা যায়। না ভালো করে খাওয়া যায়। মাঝে মাঝে গরমকালে তো ঝড়, বৃষ্টি হয়। আগে দেখতাম গরম কালে কোন বিয়ে বাড়ি হলে সেদিন হয় ঝড় হতো নয় বৃষ্টি। আপনার খালামণিকে গায়ে হলুদের সাজে খুব সুন্দর লাগে। এখন সবাই গায়ে হলুদে হলুদ জিনিসই বেশি করে। তবে ছয় বছরের ভালোবাসা পূর্ণতা পাচ্ছে এটা খুব কথা। আপনার খালামণির বিবাহিত জীবন সুখের হোক এই কামনাই করি।