বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা মন্দির - পর্ব ২
Design with Canva
সকল সদস্যকে জানাই নমস্কার 🙏🏾
এই ধরনের সমস্ত মন্দির কয়েক প্রজন্ম ধরে বিস্তৃত মল্ল রাজত্ব কালে নির্মিত হয়েছিল। এটি আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক স্থাপত্য ঐতিহ্য যা প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক পরিদর্শন করে। নিঃসন্দেহে এই প্রাচীন কাঠামোগুলি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং শৈল্পিক বিস্ময় এবং সেগুলি কীভাবে শতাব্দী আগে তৈরি হয়েছিল তা আমাদের কাছে রহস্য।
এখানে তিনটি মন্দির ছাড়া আর কোথাও প্রবেশ মূল্য বা টিকিট লাগে না। কেবলমাত্র রসমঞ্চে টিকিট কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যায়। অনলাইনও টিকিট পাওয়া যায়।
পাথরের রথ
রথ বলতে আমারা বুঝি যা হবে চলমান। কিন্তু এই রথটি কাঠের বদলে চুনা পাথরের হওয়ায় এটা স্থিতিশীল। এটি একটি সতেরশো খৃস্টাব্দের খুদ্র্য নিদর্শন। এটির দোতলার উপর একটি ছোট একরত্ন মন্দির রয়েছে। প্রথম তলা চারদিক খোলা ও পাঁচটি আর্চ আছে। দোতলায় তিনটি করে আর্চ রয়েছে।
ছোট দরজা
সতেরশো শতাব্দীর মধ্যবর্তী কালে রাজা বীর সিংহ এটি স্থাপন করেন। এটি বিষ্ণুপুর ফোর্টের দরজা বলে মনে হয় । আশেপাশের কিছু ফোর্টের পাঁচিলের ইটের স্তূপ দেখা যায়।
পাথর বা ঘর দরজা
এটিও রাজা বীর সিংহর রাজত্ব কালে তৈরি হয়। এটিই বিষ্ণুপুর ফোর্টে উত্তর দিক দিয়ে ঢোকার মূল প্রবেশদ্বার, ছোট দরজার নিকটস্থ। এটি কয়েকটা কক্ষ ও গোপন স্থান সমেত অতি বৃহৎ।
লালজি মন্দির
১৬৫৮ সালে বীর সিংহ এই একচালা বিশিষ্ট পোড়ামাটির ইটের মন্দিরটি স্থাপন করেন। একটি বৃহতাকৃতি চৌকো স্তূপের উপর একরত্ন মন্দির। এর দুই দিকে সিঁড়ি রয়েছে। মন্দির চার দিক দিয়ে খোলা আর্ক যুক্ত প্রবেশ দ্বার আছে। চারিদিকে দেওলের কোনাগুলো খাঁজকাটা। এর মাথায় একটি চূড়া রয়েছে।
মদনমোহন মন্দির
১৬৯৪ সালে মল্ল রাজা দুর্জন সিংহ দেব ভগবান মদন মোহন-এর নামে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটিতে আজ অবধি নিয়মিত পূজা পাঠ হয়। এটি পোড়ামাটির ইটের তৈরি নিটল পরিকাঠামো বহনকারী মন্দির।
জোড় শ্রেনী মন্দির / পোড়ামাটির হাট অঞ্চল
এটি জোড়া মন্দির নামে পরিচিত। ১৭২৬ সালে মন্দিরগুলি মল্ল রাজা কৃষ্ণ সিংহ তৈরি করেছিলেন । এখানে দুটি বড় মন্দির ও একটি ছোট মন্দির। এই গুলি চুনাপাথরের তৈরি একচালা বিশিষ্ট একরত্ন মন্দির। এই মন্দিরের তিন দিক খোলা ও একটি করে আর্ক আছে। এই মন্দির প্রাঙ্গণে পোড়ামাটির হাট প্রতি শনিবার ও রবিবার বসে।
বিষ্ণুপুর রাজবাড়ী
এখানে বিষ্ণুপুর রাজবাড়ীর ভগ্নাবশেষ রয়েছে। এই ব্যক্তিগত মালিকানার জন্য এখানে প্রবেশ নিষেধ।
এছাড়া ও রয়েছে আরও ওনাকে মন্দির ও সৌধ যা আজ বিলুপ্তপ্রায়।
বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা মন্দির -পর্ব১
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
সূত্র উইকিপিডিয়া
@tipu curate
Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 4/8) Get profit votes with @tipU :)
Thanks for supporting
যদিও এসব মন্দির সম্পর্কে আমার তেমন একটা ধারণা নেই! কিন্তু আজকে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম! আপনি অনেক ভ্রমণ বিলাসী একজন মানুষ! ভ্রমণ করতে আপনি অনেক পছন্দ করেন।
আপনি খুব সুন্দর ভাবেই ছোট দরজা,, পাথর রথ,,, সবকিছু আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন! এবং আপনি যে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন! দেখেই মন ভালো হয়ে গেল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,,, এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফির পোস্ট এবং তার সাথে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
আমার পোস্টটি আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার প্রশংসা আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিল আরো ভালো পোস্ট লেখার জন্য।
টেরাকোটা পুরাতন স্থাপত্যের উপর আমার আলাদা একটা টান আছে। আমার দেখা সবথেকে ভালো স্থাওপনাটি ছিল দিনাজপুরের কান্তজিমন্দির। আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমের আরেকটি টেরাকোটা স্থাপনা দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে
আমার পোস্টটি আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
প্রথমতই আপনার ফটোগ্রাফির প্রশংসা না করলেই নয় ছবিগুলো বেশ সুন্দর তুলেছেন যা মনমুগ্ধ করার মত হয়েছে।
পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো এবং যেন ভালো লাগছে যে আপনি অনেক ভ্রমণ বিলাস মানুষ আমিও অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি সময় পেরে না ওঠায় কোথাও ঘুরতে পারি না আমার নানুবাড়ি দিনাজপুরের কাছেই গাইবান্ধা জেলায়।
সময় হলে একদিন অবশ্যই করতে যাব টেরাকোটা মন্দির এ