বড় ভাইয়ের বিয়ে -দ্বিতীয় পর্ব।
বিয়েতে আনন্দ হবে এটাই স্বাভাবিক, বিয়ে মানে আনন্দ বিয়ে মানে মজা বিয়ে মানে হাসি ঠাট্টার মেলা। বিয়েতে মানুষ হাসি মজা এবং আরো অনেক কিছু করে থাকে রাগারাগি ও হয়ে থাকে, বিয়ের অনুষ্ঠানে কিছু নিয়ম আছে যে নিয়ম অনুসারে আমরা আমার বড় ভাইয়ের বিয়েতে কিছু হলুদ কিনে এনেছিলাম তাকে গোসল করানোর জন্য।
হলুদ গুলো আমি নিজের হাতে কিনে এনেছিলাম রুমে নিয়ে এসে সুন্দর করে ধুয়ে হলুদ গুলো ছেচুনি দিয়ে পিষে নিয়েছিলাম ভাইয়ের গোসল করানোর আগে তার গায়ে হলুদ দেবো বলে। ওদিকে রান্না বান্নার কাজও শুরু হয়েছিল আমাদের রুমের যে কয়জন মানুষ ছিলো তারা কেউ কাজে যায়নি ভাইয়ের বিয়ে বলে।
তেমন কিছু আয়োজন আমরা করতে পারিনি তবে যতটুকু সম্ভব হয়েছিল আমরা চেষ্টা করেছি সবাইকে সন্তুষ্ট করানোর জন্য, ১৬ কেজি গরুর মাংস নিয়েছিলাম মানুষ হয়েছিল ১৫ জন। আমরা দাওয়াত দিয়েছিলাম অনেক মানুষের মনে করেছিলাম তারা যদি আসে তাহলে আরও বেশি মাংস নিবো কিন্তু আমাদের থেকে তারা অনেক দূরে বলে তারা আসতে পারেনি।
যার জন্য সকাল বেলা আমরা মাংস নিয়ে ছিলাম অল্প করে মাংস দাম দিয়েছিলাম ৬০০ রিংগিত। এবং বিরানি ভাত রান্না করার জন্য আরো চাউল আমরা কিনে নিয়ে আসি। আগে দিন আমি অল্প চাউল নিয়ে এসেছিলাম আবার চাউল নিয়ে এসেছিলাম কারণ আমি যে চাউল গুলো নিয়ে এসেছিলাম তাতে আমাদের হবে না বলে।
যশোর বাড়ি একটি ভাইকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম রান্না করার জন্য সে একাই নিজের দায়িত্বে রান্না করেছিল। এবং আমাদের রুমে আরো যারা মানুষ ছিলো তারা ঝাল পেঁয়াজ রসুন সবাই কেটে দিয়েছিলাম। আমি অনেক কাজে ব্যস্ত ছিলাম হয়তোবা সব সময় তাদের পাশে থাকতে পারিনি। কারণ আপনারা বুঝতে পারছেন আমার কতোটা দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে এখানে।
ভাইয়ের গোসল করানোর জন্য দুবুলো ঘাস এবং দুধ পান নিয়ে এসেছিলাম আরো অনেক কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস ছিলো আবার অনেক কিছু আমি জিনিস খুঁজে পাইনি বলে সব জিনিস আমি দিতে পারিনি তবে যতটুকু সম্ভব আমি চেষ্টা করেছিলাম আমার মতো করে।
বাংলাদেশের নিয়ম অনুসারে এই বিদেশে সবকিছু পাওয়া যায়নি তবে যতটুকু আমি পেয়েছিলাম বা যতোটুকু আমি জানি ততোটুকু আমি চেষ্টা করেছিলাম আমার ভাইয়ের বিয়েতে আমি কেনাকাটা করার জন্য।
তবে কষ্টটা লেগেছিল এখানে নিজেদের মানুষদের অনেক মানুষের আমি দাওয়াত দিয়েছিলাম এবং আমার ভাই দাওয়াত দিয়ে ছিলো তারা কেউ আসেনি। যদি তারা আসতে পারতো তাহলে হয়তো বা বিয়ের অনুষ্ঠানটি আরো অনেক সুন্দর করে করতে পারতাম এবং অনেক ভালো লাগতো।
তবে দুঃখের বিষয় ছিলো এখানে আমার কাজ যেটা আমার বাবা মায়ের করা উচিত ছিলো সেটা এখানে আমার করতে হয়েছে। বাবা-মায়ের দায়িত্ব আজ আমার পালন করতে হয়েছে হয়তোবা আমার বাবা মা যদি এই দায়িত্ব গুলো পালন করত তাহলে আমরা অনেক খুশি হতাম। মা তো নেই যদি আব্বু পালন করতে পারতো তাহলে আরো কিছুটা হলে ভালো লাগতো।
বন্ধুরা এখানে শেষ করছি এবং বাকি পর্বে আপনারা জানতে পারবেন আমার ভাইয়ের বিয়ে কিভাবে শেষ করেছিলাম আমি এই বিদেশে থেকে এবং মেয়ে ছিলো বাংলাদেশ ধন্যবাদ সবাইকে।
Device | Name |
---|---|
Android | VivY77 /v2169 vivo |
Camera | focal length:26mm(equivalent to 35mm focal length film) |
Location | Malaysia 🇱🇷🇱🇷🇱🇷 |
Short by | @bayezid123 |
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে পুরুষ মানুষ হয়ে আপনারা বিয়ের জন্য বেশ ভালই আয়োজন করেছেন। একজন মহিলা ও বিয়ের জন্য কি কি রীতিনীতি মেনে চলতে হয়। অনেক সময় ভুলে যায়। কিন্তু আপনারা প্রত্যেকটা রীতিনীতি খুব সুন্দরভাবেই পালন করে যাচ্ছেন। অনেকটা আনন্দ সহকারে। ধন্যবাদ ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
পরিস্থিতি আমাদের কোন দিকে চালিত করবে, এটা আগে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। যদি সেটা সম্ভব হতো তাহলে হয়তো আমরা অনেক কিছুই পরিবর্তন করতে পারতাম। বাড়িতে দাদা বা বোনের বিয়ে নিয়ে আমরা অনেকেই অনেক কিছু পরিকল্পনা করি, ঠিক যেমনটা আপনিও করেছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি সেগুলোর কোনোটাই পূরণ করার অনুমতি দেয়নি। তবুও বিদেশে থেকেও আপনি আপনার দিক থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, নিয়মগুলো যতটা সম্ভব পালন করার। এইটুকুও অনেকেই করার সুযোগ পায় না। তাই যেটা পাওয়া হয়নি সেটা নিয়ে আফসোস না করাই ভালো, বরং যেটুকু পেয়েছেন সেটুকুই আজীবন মনে থাকুক, এই প্রার্থনা রইলো। ভালো থাকবেন।
এই বিয়েটা যদি বাংলাদেশে হতো তাহলে আপনাকে আর আফসোস করতে হতো না, অনেকেই দাওয়াত না পেয়েও ছুটে আস্তো।
এরকম বিয়ে আসলে কখনোই চাইবো না, স্বশরীরে বিয়ের নিয়ম মেনে বিয়ে হওয়া উচিত, না হলে বিয়ের কি দরকার।
জানিনা, আপনার ভাইয়ের কি নিয়মে বিয়ে হবে। তার পরেও শুভকামনা সবার জন্য।