হঠাৎ করে বাহিরে যাওয়ার মুহূর্ত দ্বিতীয় পর্ব।
তো বন্ধুরা গতকালকে বলেছিলাম আমরা বাহিরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এবং গাড়ির ড্রাইভার একটু পরে নামাজ শেষ করে চলে আসে। তখনো হালকা হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। এবং আমি ও আমার সাথে আরেক টি ভাই ছিলো আমরা দুইজন বেরিয়ে পড়লাম বাজারে যাওয়ার জন্য। এবং আমার সাথে যারা ছিলো তারা সবাই রুমে চলে আসে।
আসলে আমি কিন্তু এখনো পাসপোর্ট হাতে পাইনি এবং বাহিরে যেতে এখন জানি কেনো ভয় লাগছে। কারণ মেডিকেল ও ফিংগার করে এসেছি প্রায় এক বছর হতে গেলো। কিন্তু এখনো পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার কোন খবর নেই। বড় ভাই বাড়ি গিয়েছে তাই পাসপোর্ট এর বিষয়ে বসের সাথে কথা বলতে পারছি না। বড় ভাই আসলে বাসের সাথে হয়তোবা কথা ভাবে এবং জানতে পারবো কি সমস্যা হয়েছে।
যাহোক গাড়ির মধ্যেও বসে মনের মধ্যে কিছুটা ভয় অনুভব করতে পারছিলাম। কেনো জানি খারাপ লাগছিল এবং হঠাৎ করে দেখতে পেলাম গাড়ির ড্রাইভার আমাকে বলল সামনের সিটের ছিট বেল লাগিয়ে নিতে। কারণ সামনে দিয়ে পুলিশের গাড়ি যাচ্ছিল। কথায় আছে যেখানে গেলে বাঘের ভয় সেখানে গিয়ে রাত হয়। বিষয়টা আমার কাছেও যেনো তেমন মনে হলো। এই পথ দিয়ে কতো বার গিয়েছি আবার এসেছি কিন্তু এই প্রথম পুলিশের গাড়ি দেখলাম।
যাহোক বিষয় টি নিজের মনে আরো ভয় নিয়ে চলে আসলো। এবং আমার সাথে আরও যে ভাই ছিলো তারও পাসপোর্ট ছিলো না। হয়তোবা খুব বেশি সমস্যা হতো না যদি কাছে টাকা থাকে। যাইহোক পুলিশ আমাদের গাড়ি চেক করে নাই এটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার ছিলো।
এবং গাড়ির ড্রাইভার এর সাথে গল্প করতে করতে যাচ্ছিলাম। কারণ সে বাংলা এবং আমিও বাংলাদেশী। তাই আমাদের কথা বলতে কোন সমস্যা ছিলো না। এবং সে আমাদের জায়গা মতো নিয়ে যাওয়ার পরে আমি তাকে টাকা দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সে বলল আবার যখন যাবেন তখন এক সাথে নেবো। তারমানে দুই বারের টাকা এক বারে নেবে। আমি তখন বললাম আচ্ছা সমস্যা নেই তাহলে আমি বাজার করে আপনাকে ফোন দিবো।
এবং তাকে বললাম আমার বেশি সময় লাগবে না। আমি অল্প সময়ের মধ্যে চলে আসব। যাই হোক আমরা গাড়ি থেকে নেমে সোজা চলে গেলাম একটি দোকানে। আসলে সেই দোকান টিও বাঙালিরা চালায়। সেখানে গিয়ে সর্ব প্রথম ডিম নিয়েছিলাম। এবং গিয়ে দেখতে পেলাম হাঁসের ডিম ও মুরগির ডিম আছে। তাই আমরা হাঁসের ডিম নিয়ে ছিলাম। কারণ যে বড় ভাইটি ডিম নিতে পাঠিয়েছিল সে হাঁসের ডিম নিতে বলেছে আমাদের।
মাঝে মধ্যে হাঁসের ডিম পাওয়া যায় না। তাই আমরা অন্য ডিম নিয়ে আসি। কিন্তু এই রবিবারে গিয়ে হাঁসের ডিম পেয়ে নিয়েছিলাম। যাইহোক সেখান থেকে অন্য আরেক টি দোকানে চলে যাই। সেখানে গিয়ে একটি সিমের টাকার কার্ড নিয়েছিলাম এবং একটি সিম নিয়েছিলাম কারণ আমাদের রুমের অন্য আরেকটি ভাই সিম নিতে বলেছিল। সেখান থেকে নিয়ে দেখতে পেলাম আমার সাথে যে ভাই টি ছিলো সে আরো অনেক কিছু বাজার করছে তাই তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
যাহোক বন্ধুরা আজকের মতো এখানে শেষ করছি আশা করি আমার আজকের এই পোস্ট ভালো লাগবে।এবং আরো অনেক ধরনের বাজার ছিলো এবং আনন্দের বিষয় ছিলো যে গুলো আমি আপনাদের মাঝে পরবর্তীতে উপস্থাপনা করব ।সবাই সেই পর্যন্ত ভালো এবং সুস্থ থাকবে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিদেশে থাকতে হলে অনেক নিয়ম-কানুন অনুসরণ করতে হয় এবং মেনে চলতে হয় । তার প্রধান হলো পাসপোর্ট । যদি পাসপোর্ট না থাকে তাহলে যখন তখন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে পারেন।
আপনার পাসপোর্টটি হয়তোবা কোন সমস্যার জন্য বিজে আছে তাই তো আপনি এখনো হাতে পাননি। তাই ভয়ে ভয়ে আপনি মার্কেটে বের হন। আপনি প্রয়োজন ছাড়া ততটা বাইরে বের হন না । আমিও সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি আপনার পাসপোর্ট দ্রুতি পেয়ে যান।
আসলে বাঙালি মানে ভাই ভাই তাইতো ড্রাইভার আপনার প্রথমবার ভাড়া নেয়নি দ্বিতীয়বার
একত্রে নিবে সে বলেছিল। আপনাদের জন্য রইল শুভকামনা।
জানি না কি সমস্যা হয়েছে পাসপোর্ট হাতে পায়নি তবে ইনশাল্লাহ খুবই দ্রুত পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবো এবং এটা ঠিক বাইরে দেশে থাকতে হলে অনেক নিয়মের মধ্যে চলতে হয় এবং তার মধ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম পাসপোর্ট যেটা আমার কাছে নেই এখন।
যাইহোক আপনার বাজার করার যে সময়ের মুহূর্তটা এটা আসলে অনেকটাই সুন্দর ছিল এবং আপনি যে কথাগুলোর ভিতরে শেয়ার করেছেন সেগুলো হয়তো খুব একটা সমস্যা ছিল না তারপরও সবসময় চেষ্টা করবেন পাসপোর্ট সাথে রাখার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।
পাসপোর্ট দিয়েছি ভিসা লাগানোর জন্য ভিসা যদি হাতে পেয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আমার কাছে থাকবে এবং জানি না কবে এই পাসপোর্ট আমি হাতে পাবো এবং যেদিন হাতে পাবো সেদিন নিজের মনে আনন্দ থাকবো অন্যরকম।
যে কোন দেশে গেলেই তার একটা আইডি কার্ড লাগে বা ডকুমেন্ট তেমন আপনার এখনো পাসপোর্ট হাতে পাননি তাই বাইরে যেতে একটু ভয় লাগে এটা স্বাভাবিক।। আগের পোস্টে বলেছিলেন আজকে লিখবেন কি কি কেনাকাটা করেছে।। আর খুবই সমগ্র হবে সেগুলো তুলে ধরেছে আর শেষ পর্ব রয়েছে আরও আনন্দের কিছু সময় পার করেছেন অবশ্যই সেটা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।।
জি যে কোন দেশে গেলে যে কোন একটি আইডি কার্ড বা তার ডকুমেন্টের প্রয়োজন আছে এবং মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট এর খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং পাসপোর্ট না থাকলে নিজের মনে ভয় লাগে অন্যরকম যে ভয় আমি অনুভব করেছি।
আপনার আর্টিকেলের মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়ার মার্কেট সম্পর্কে অনেক আপডেট আমরা জানতে পারি। হঠাৎ করে বাইরে যাবার দ্বিতীয় পর্ব খুব ভালোভাবেই আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
মালেশিয়াতে অনেক বাংলা গাড়ি ড্রাইভার রয়েছে তারা সবসময় বাংলাদেশী ভাই সহ নেপালদের অনেক সহযোগিতা করে থাকে । প্রথম প্রথম তো আর মালয়েশিয়ার ভাষা জানতাম না তাই বাংলাদেশি গাড়িচালকদের সহীতাই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে হতো।
ভাই আপনার তৃতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি।
একদমই তাই মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি ভাইয়েরা গাড়ি চালায় বলে নতুন মানুষদের জন্য অনেক সুবিধা এবং এই সুবিধা দেখে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে এবং এগুলো থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।