বিদেশ থেকে নিজের জন্মভূমিতে যাওয়ার আনন্দটা থাকে অন্যরকম।
বিদেশ থেকে নিজের জন্মভূমিতে যাওয়ার আনন্দটা থাকে অন্যরকম। একটি মানুষ নিজের জন্মভূমি ছেড়ে নিজের পরিবার ছেড়ে মালয়েশিয়া প্রবাসী হয়েছে। শুধু নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তারা যেনো ভালো ভাবে থাকতে পারে। নিজের সব আশা স্বপ্ন গুলো মাটি করে সন্তানের চিন্তা করে এই দূর প্রবাসে বছরের পর বছর কাটিয়ে দিয়েছে।
হ্যালো বন্ধুরা আমি আজ উপস্থাপনা করতে চলেছি আমাদের এখান থেকে একটি মানুষ দীর্ঘ 14 বছর পরে নিজে জন্মভূমিতে যাচ্ছে সেই বিষয়ে কিছু কথা বলার জন্য। মানুষটি আমাদের পাশের এলাকায় বাড়ি আমি আগে তাকে চিনতাম না মালয়েশিয়ায় এসে তার সাথে পরিচিত। এবং এক সাথে থাকতে থাকতে তাদের সাথে সম্পর্ক অনেকটা ভালো। গতকালকে বলেছিলাম এই মানুষটি বাড়ি যাওয়ার জন্য আমাদের দাওয়াত করেছিল সবাই এক সাথে খাওয়া দাওয়া করার জন্য।
আজকে তার জিনিস গুলো গুছিয়ে দেয়ার কথা বলেছিল আসলে আমি এই জিনিস গুলো ঠিক ভাবে গুছিয়ে দিতে পারিনা। মামুন ভাই এই কাজ গুলো খুবই ভালো পারে তাই মামুন ভাইকে বলেছিলাম তার জিনিস গুলো ভালো ভাবে বেঁধে দেয়ার জন্য। এবং আজকের রাতে এই মানুষটির ফেলাইট আছে রাত তিন টার সময়।
যাই হোক আমরা কাজ শেষ করে রুমে চলে আসি এবং তার কাছে জিজ্ঞাসা করলাম কয়টার সময় বের হবে। সে বলল রাত সাড়ে নয়টার দিকে গাড়ি আসবে গাড়ি আসার সাথে সাথে রওনা দেবে। বুঝতে পারছি মানুষটির মনে আজ অনেক আনন্দ কারণ রাত পার হলেই নিজের পরিবারের সাথে দেখা। এবং তার বাড়ি থেকে গাড়ি ঠিক করে রেখেছে সবাই ঢাকায় আসবেন তাকে রিসিভ করার জন্য। কারণ নিজের সন্তানদের অনেক দিন সরাসরি দেখতে পাইনি।
যাইহোক তার জিনিস গুলো মামুন ভাই বেঁধে দিয়েছিল এবং সাথে আরও একটি ভাই বেঁধে দিয়েছিল। আমি আটটার সময় সেখানে যাই কারণ আমার রান্নার কাজ শেষ করে যেতে হয়। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম কিছু সময় আছে বলে যে মানুষটি বাড়ি যাবে সে বলছে বাড়ি যাওয়ার আগে লুডু খেলে যায়। কারণ তাকে নিয়ে আমরা লুডু খেলতাম আমাকে খেলার কথা বলছিল কিন্তু বললাম আমি এখন খেলব না।
এবং আমি বললাম তাহলে যাওয়ার সময় আমার কাছে ফোন দিও আমি আমার রুমে গেলাম। তার কিছু সময় পরে বৃষ্টি আসে বৃষ্টির জন্য রুম থেকে আসতে পারিনি। এবং সেই সময় গাড়ি চলে আসে তাই সে ফোন দেয়ার কথা ভুলে গিয়েছিল। আমি রুমে বসে ভাবছিলাম এখন যদি ওই মানুষটি চলে যায় তাহলে দেখা হবে না। বৃষ্টি মাথায় চলে গেলাম তাদের রুমে কিন্তু গিয়ে দেখতে পেলাম তারা চলে গিয়েছে। শুনে কিছুটা খারাপ লাগলো কারণ আর কবে দেখা হবে জানিনা।
সাথে সাথে তার কাছে ফোন দিয়ে কথা বললাম এবং বলছিল বৃষ্টি এসেছিল তার সাথে সাথে গাড়িও চলে আসে তাই তাকে চলে যেতে হয়। এবং সাথে মামুন ভাই এয়ারপোর্টে গিয়েছে তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য। যাই হোক আশা করি অনেক ভালো ভাবে সে বাড়ি পৌঁছে যাবে। এবং তার মনের আনন্দটা আমি অনুভব করতে পারি কারণ ১৪ বছর পরে বাড়ি যাওয়ার আনন্দটা অন্যরকম। এই বিদেশে কতো মানুষ আসছে আবার কতো মানুষ বাড়ি যাচ্ছে। এভাবেই চলতে থাকবে সারাটা জীবন মনে হয়।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যিই যারা বাইরে কাজ করে এতগুলো বছর পর বাড়িতে ফিরে যাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম। পরিবারের হাসি ফোটানোর জন্য বাড়ি খেতে তারা কত দূরে পড়ে থাকে। এত গুলো বছর পর বাড়ি গিয়ে পরিবারকে দেখে খুব খুশি হবে। আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রতিটা প্রবাসী আসে খালি হাতে তবে বাড়ি যাওয়ার সময় তারা ব্যাগ লেগেস ভর্তি মাল নিয়ে বাড়ি ফেরে সবার মনের আশা পূরণ করার জন্য যেমন সারাটা জীবন থেকে তাদের হাতে টাকা তুলে দিয়েছে তেমনি ভাবেই বাড়িতে যাওয়ার সময়ও সবার মুখের হাসি দেখার জন্য তারা ব্যাক ভর্তি মাল নিয়ে বাসায় যায়।
দীর্ঘদিন বিদেশের মাটিতে থাকার পর বাড়ি যাওয়ার আনন্দ আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।