আমার আজকের দিনের কিছু কার্যক্রম।

হ্যালো বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে আমি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। আশা রাখি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আমি আজ আপনাদের মাঝে আমার আজকের দিনের কিছু কার্যক্রম তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

আমি গতো কালকে আপনাদের বলেছিলাম আমার শরীরটা খুব বেশি ভালো নয়। তাই সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আজও খুব বেশি ভালো যাচ্ছে শরীর তা কিন্তু নয়। যাই হোক সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে গোসল করে যখন রুমে বসে ছিলাম। তখন জানতে পারলাম আজকে আবারো মিটিং আছে।

তাই খাওয়া দাওয়া ছাড়া চলে যাই সোজা যেখানে মিটিং হবে সেখান। আসলে মিটিং টি হয় রাস্তার সাইডে এবং সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম গতকালকে যে মেহমান আমাদের এখানে এসেছিল সে আজ আমাদের এখান থেকে চলে যাচ্ছে। যাহোক তার সাথে দেখা করে বসে পড়লাম মিটিং হওয়ার ওখানে। আস্তে আস্তে সব মানুষ সেখানে চলে আসে।

জানি না এই তিন সপ্তাহ ধরে সেফটি একটি কাগজে আমাদের পাসপোর্ট নাম্বার এবং নাম ও কোম্পানির নাম লিখে নিচ্ছে। কিসের জন্য তারা নিচ্ছে এটা আমরা জানি না তবে আজ কয়েক দিন যাবত তারা একটি কাগজে পাসপোর্ট নাম্বার এবং নিজের নাম সহ কোম্পানির নাম দিয়ে লিখতে হচ্ছে আমাদের। হয়তোবা যে কোম্পানিতে কাজ করছি তার কোনো নতুন নিয়ম হয়েছে এটা আমি সঠিক বলতে পারলাম না।

যাইহোক মিটিং শেষ হয়ে যাই সাড়ে আটটার দিকে এবং মিটিং শেষ করে আমরা রুমে চলে আসি আবার। এখানে এসে দেখতে পেলাম ক্যান্টিনে রুটি আছে এক পিস দ্রুত গিয়ে সেই এক পিস রুটি নিয়ে ছিলাম কিন্তু ডাউল ছিলো না। সকালে কিছু খাওয়া না তাই শুধু রুটি খেয়ে চলে যায় ওপরে কাজে। সেখানে গিয়ে অল্প কিছু সিমেন্ট মারতে বাকি ছিলো আমাদের। সেই সিমেন্ট গুলো মেরে চলে এসেছিলাম সাড়ে দশটার সময়।

এবং ১১ টার দিকে আবার ওপরে যাই সেখানে গিয়ে আমাদের কাজ পরিবর্তন হয়ে যায়। যে কাজ দেখে আমি মনে মনে ভয় পাই সেই কাজ আজ আমাদের করতে হবে। আসলে আমি কাজ দেখে ভয় পাই না কিন্তু আমি কোন একটি পোস্টে বলেছিলাম আমার ঘাড়ে ওপর থেকে ইট পড়েছে। আজ সেই কাজ আমাকে দিয়েছিল তাই নিজের মনে একটু ভয় ভয় কাজ করছিল।

যাইহোক কাজ করতে করতে দেখতে পেলাম আমার মামুন ভাই আমাদের এখানে এসেছে। আমি প্রথম মনে করলাম তাদের মনে হয় কাজ অল্প তাই তারা আমাদের এখানে ঘুরতে এসেছে । কিন্তু পরে জানতে পারলাম তাদের ওখানে কাজ শেষ তাই তারা আমাদের এখানে কাজ করবে বলে চলে এসেছে। মামুন ভাইয়ের দেখে আমি একটু আনন্দিত অনুভব করলাম কারণ সে আসলে এই কাজ আমার করতে হবে না।

আসলে বিপদ কখন আসবে আমরা জানি না তবে যে কাজে একবার বিপদ আসে সেই কাজ দেখলে এমনি একটু ভয় লাগে এই ছাড়া কিছু না। এবং অন্য মানুষের বললে অন্য কিছু ভাবতে পারে তাই মামুন ভাইকে বলেছিলাম মামুন ভাই সেই কাজটি করছিল। এবং আপনারা তো জানেন কাজের মধ্যে অন্য মানুষের ছবি তোলা আসলে ঠিক নয় কারণ সে একটি কথা বলতে পারে যাই হোক কাজের বিষয়ে খুব বেশি ছবি আমি আজ ব্যবহার করতে পারলাম না।

তবে কাজের মধ্যে আনন্দর মুহূর্ত টি আমি ছবি ধারণ করতে পেরেছিলাম। একটি ভাই আমাকে প্রথমে বলছিল সে সব পারে তাই নিয়ে আমাদের কিছু কথা হয়েছিল। সেই ভাইটি অনেক বড় আমাদের বয়সের চেয়ে। যাইহোক কথা হয়েছিল বুক ডাউন নিয়ে সে বলছিল তুই যদি বুক ডাউন দশটা দিতে পারিস তাহলে আমি এগারোটা দিতে পারব। এবং তাকে আমি বলছিলাম এই বয়সে আপনি পারবেন না যাই হোক তার সাথে এই ভাবে আনন্দ করছিলাম।

অন্য পাশ থেকে আমার বয়সী আরেক টি ভাই এসে বলছিল কি কথা বলছো। তখন আমি বলছিলাম ভাই বলছিল বুক ডাউন আমার চেয়ে অনেক বেশি দিতে পারবে। এবং তখন সেই ভাই বলছিল তাহলে হয়ে যাক আমি তখন হার মেনে নিলাম। কারণ আমি কখনো বুক ডাউন দেইনি এবং কখনো চেষ্টা করিনি। সেই ভাই হেসে বলল তাহলে আর কি করার। এবং সে নিজে চেষ্টা করছিল সে কয়টি বুক ডাউন দিতে পারে। সে তখন ছয়টি বুক ডাউন দিয়ে হাঁপিয়ে গিয়েছিল এবং অন্য ভাবে বুক ডাউন দিচ্ছিল।

যা দেখে আমরা সবাই হাসাহাসি করছিলাম। তখন আমাকে বলল এখন তো তাহলে তোমাকে দিতেই হবে। আমি হাসাহাসি করতে গিয়ে বিপদে পড়ে যাই। যাই হোক তবুও আজ বুক ডাউন দেয়ার চেষ্টা করলাম। এবং বুক ডাউন দিতে গিয়ে বারোটা বুক ডাউন আমি দিতে পেরেছিলাম। আমি আজ প্রথম বুক ডাউন দিয়েছি তাও বারোটা যে আমি দিয়েছি তাই আমি আজ অনেক আনন্দিত হয়েছিলাম। কারণ জীবনের প্রথম বুক ডাউন দেয়া এবং বারোটা দিতে পেরে অনেক খুশি ছিলাম।

ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন

@baizid123