আমি গতকাল যে ভাবে চলেছিলাম সেই সম্পর্কে কিছু কথা।
কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি কিন্তু মনের দিক থেকে ভালো নেই। বেশ কিছু দিন ধরে আছি অনেক চাপে তবুও দিন শেষে নিজের মন ভালো রাখার চেষ্টা করি। যাইহোক আমি আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। গতকাল বুধবার আমাদের সেফটি মিটিং হয় সেখানে যাওয়ার বিষয় নিয়ে এবং গতকাল কাজের কিছু কথা।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে চলে যাই কাজের জন্য। ওই রুমে গিয়ে দেখতে পেলাম একটি মানুষও রুমে নেই। প্রথম ভাবছিলাম সবাই মনে হয় কাজের জায়গায় চলে গিয়েছে। কিন্তু ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি এখনো ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় আছে। তাহলে সবাই গেলো কোথায় অন্য মানুষদের কাছে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম সেফটি মিটিং আছে আজ।
আসলে অনেক দিন পরে সেফটি মিটিং হচ্ছে এবং আমি জানতাম না তাই এমনটা হলো আমার সাথে গতকাল। যাই হোক যাওয়ার সময় সকালের সূর্যের আলো শরীরের ওপরে পড়ল যা খুবই ভালো লাগছিল অনুভব টি। এবং মিষ্টি সকাল চারিদিকে চিক মিক করছে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল পরিবেশটি। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম আমাদের কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। তাদের কাছে গিয়ে বললাম আমাকে একবার বললে না কেনো। তারা বলল তুমি হয়তোবা জানতে আমি মনে করেছিলাম তাই আর তোমাকে বলা হয়নি।
যাইহোক ধীরে ধীরে আরো মানুষ সেখানে আসতে শুরু করল কারণ আমার মতো অনেক মানুষ জানতো না গতকাল সেফটি মিটিং আছে। ধীরে ধীরে সবাই সেখানে উপস্থিত হয়ে যায় এবং সেফটি চলে আসে। প্রথম ভাবছিলাম হয়তোবা অনেক কিছু আমাদের বলবে। কিন্তু আমাদের ধারণা একদম ভুল ছিলো। আশে পাশের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য মানুষ নেয়ার জন্য সবাইকে এক জায়গায় করেছে আজ।
তখন আমরা সবাই রেগে গিয়েছিলাম কারণ মেসেজ করে দিলে সবাই লোক পাঠিয়ে দিতো। শুধু মানুষ নেওয়ার জন্য একজন করে সব মানুষদের এক জায়গায় করেছে বলে রাগ করছে সবাই। যাই হোক সেখানে আমরা কিছুটা সময় হাসি মজা রাগা রাগি করে চলে আসি রুমে। রুমে এসে কাজের জিনিস গুলো নিয়ে আবার ওপরে চলে যায় কাজ করার জন্য।
আসলে আজ কয়েক দিন ধরে আমি কাজের মধ্যে অনেক চাপের মধ্য আছি। যাই হোক খাওয়া দাওয়ার সময় ঠিক ভাবে দিচ্ছি না। রেস্ট নেওয়ার সময় ঠিক ভাবে দিচ্ছি না। সব সময় আতঙ্কের মধ্য পড়ে আছি। জানি না কতোদিন এভাবে চলবে তবে আমি বিশ্বাস করি একদিন ঠিক হয়ে যাবে। গতকাল কাজ ছেড়ে দিতে হয় আমাদের সাতটার সময়। যেখানে প্রতিদিন কাজ ছাড়ি আমরা সাড়ে ছয়টায় সেখানে আজ কয়েক দিন ধরে সাতটার সময় কাজ ছাড়তে হচ্ছে।
এবং আমি অনেক পোস্টে বলেছিলাম আমাদের এখানে পানির সমস্যা আছে। ঠিক ভাবে গোসল করতে পারছি না তার ওপরে কাজ করে এসে আবার রান্না করতে হয়। আজ কয়েক দিন ধরে আমি রান্নার কাজ শেষ করতে গিয়ে রাত দশটা থেকে সাড়ে দশটা বেজে যায়। সেখানে খাওয়া-দাওয়া করে উঠতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম হয়তো বা অনলাইনে কিছু দিন কাজ বন্ধ করে রাখবো। তবে মাঝে মধ্যে চেষ্টা করব আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এবং আমি অবশ্যই যখনই সময় পাবো তখন আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করব। যে কোন বিষয় নিয়ে হোক বা নিজের সম্পর্ক। কারণ অনলাইনে কাজ করতে করতে এখন একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। তবে নিজের ব্যক্তিগত ভাবে এই সমস্যা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আমি ভালো ভাবে সময় দিতে পারবো না। কারণ এখন যে সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি এখান থেকে যতো দিন না পর্যন্ত আমি চলে যেতে পারছি ততদিন এই সমস্যা আমার দেখা দেবে। ঠিক কতোদিন এই ভাবে চলবে আমি জানি না। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেনো সবকিছু খুবই দ্রুত ঠিক করে দেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিদেশে যারা কাজ করেন সত্যিই তাদের খুব কষ্ট করেই দিন কাটাতে হয় ।সারাদিন কাজকর্মের পর বাড়িতে গিয়ে আবার রান্না করে খাওয়া খুবই কষ্টের ব্যাপার। তবে জলের সমস্যা থাকলে সেটা তো আরো কষ্টের ব্যাপার। জল ছাড়া আমরা কোন কাজই করতে পারি না। সারাদিন কাজকর্মের পর যদি চান না করা যায় শরীর মন কোনটাই ভালো লাগে না। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনি আপনার সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে তাড়াতাড়ি উঠুন।
ঠিক তাই কাজ শেষে এসে যখন নিজেদের রান্না করতে হয় তখন কষ্টটা আরো বেড়ে যায় তবে কি আর করার রান্না করে খেতে তো হবে। এবং পানির সমস্যা হলে সব সমস্যা হয়ে থাকে রান্না করা থেকে শুরু করে গোসল করা পর্যন্ত সবই সমস্যা হয় পানির জন্য। তবুও চলতে হচ্ছে এভাবে আমাদের জানিনা কতদিন চলতে হবে এই ভাবে।
We support quality posts and good comments Published in any community and any tag.
Curated by : @edgargonzalez
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য।
অনেকদিন পর সেফটি মিটিং হয়েছে এজন্য আপনি জানতেন না যে আজকে সেফটি মিটিং আছে। সকালের ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কাজের জন্য যখন বেরিয়ে পড়ছেন তখন অন্য রুমে তাকিয়ে দেখেন যে তারা আগে থেকেই মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার দিনলিপির অংশ আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন
আসলে মাঝেমধ্য আমাদের এমনটা হয়ে থাকে আমার জানা ছিলো না বলে এমনটা হয়রানি আমার সাথে হয়েছিল। কারণ অনেকদিন পরে সেফটি মিটিং হয়েছে আমাদের। যাইহোক সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করেছেন ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা না জানার জন্য অনেক সময় অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হই বা অনেক দেরি করে ফেলি।। আপনার পূর্বের প্রশ্ন শুনেছিলাম আপনাদের মাঝে মাঝে সেফটি মিটিং হয় আর এবারও হচ্ছিল কিন্তু আপনার জানা ছিল না তাই দেরি করে গিয়েছিলেন।। আর হ্যাঁ আপনি বর্তমান সময়ে অনেক সমস্যার মধ্যে দেই পার করছেন আশা করি সকল সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি দূর হবে।।