লক্ষ লক্ষ প্রবাসীদের মন খারাপ আছে, তার একটি কারণ বাংলাদেশের ইন্টারনেট বন্ধ থাকা।
মন খারাপের কারণ, মানুষ সাধারণত মন খারাপ করে তার বাসায় সমস্যা হলে। মানুষ সাধারণ ভাবে মন খারাপ করে প্রিয় মানুষের কাছ থেকে আঘাত পেলে। মানুষ মন খারাপ করে যে জিনিসটি চাওয়া পাওয়া ছিলো সেটি না পেলে। কিন্তু আজ ৫/৬ দিন ধরে হাজার হাজার প্রবাসী মন খারাপ করে বসে আছে বাংলাদেশের সরকারের কারণে।
তার ভেতরে আমিও একজন আমিও একজন প্রবাসী আজ ৪-৫ দিন ধরে আমার নিজের পরিবারের সাথে আমি যোগাযোগ করতে পারছি না। জানি না নিজের পরিবার ভালো আছে কি খারাপ আছে। এমন চিন্তা করছে হাজারো মানুষ এই দূর প্রবাসে বসে। তাদের পরিবারের কতো মানুষ অসুস্থ আছে। কতো মানুষের কতো ধরনের সমস্যা হয়েছে কেউ বলতে পারে না।
কিন্তু বাংলাদেশের সরকার সেই বিষয়ে লক্ষ্য না দিয়ে নিজের স্বার্থের জন্য আজ ইন্টারনেট বন্ধ করে রেখেছে সারা বাংলাদেশে। বাংলাদেশের মানুষ ছাড়া কি আর কোনো মানুষের প্রয়োজন নাই বাংলাদেশের নেটের। কতো মানুষ আছে ইন্টারনেট জগতে ঢুকে আছে তারা পারছে না কোন কাজ করতে। কতো অফিস কতো আদালত বন্ধ হয়ে আছে এই ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে। কতো যানবাহন বন্ধ হয়ে আছে এই ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে।
আমরা যতটুকু নেটের মধ্যে যাচ্ছি শুধু সেখানে গিয়ে দেখতে পারছি প্রবাসীরা বাংলাদেশের সরকার কে শুধু খারাপ ভাষায় কথা বলছে। বলবে না কেন কারণ কতো প্রবাসীর মা অসুস্থ আছে। কতো প্রবাসীর মেয়ে অসুস্থ আছে। কতো প্রবাসীর কাজ পড়ে আছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে বড় কথা আমরা পরিবার ছেড়ে আছি হাজার হাজার মাইল দূরে আমরা এখানে এসে পরিশ্রম করি।
সারাদিন পরিশ্রম করে আমরা নিজেদের মনে শান্তি নিয়ে আসি নিজেদের পরিবারের সাথে কথা বলে। কিন্তু সরকার সেই শান্তি টুকু আমাদের কে বন্ধ করে দিয়েছেন। আমাদের সারাদিনের পরিশ্রমের কষ্ট আরো দ্বিগুণ করে বাড়িয়ে দিয়েছে আমাদের বাংলাদেশের সরকার। আমরা না পারছি আমাদের পরিবারের খবর নিতে না পারছি তাদের সাথে কিছু সুখ দুঃখের গল্প করতে।
কিছুই ভালো লাগছে না আমাদের আজ কয়েক দিন যাবত মনটা অনেক খারাপ। কিন্তু আজকে যেনো বেশি মনে খারাপ লাগছে। কারণ আজ কয়েক দিন ধরে নিজের বাবার কন্ঠ শুনতে পেলাম না। আজ কয়েক দিন ধরে নিজের ভাইয়ের কণ্ঠ শুনতে পেলাম না। আমি এই বিদেশে এসে আমার মাকে হারিয়ে ছিলাম আমি অন্তত সেই সময় মোবাইলের মাধ্যমে মায়ের মরা মুখটা দেখতে পেয়েছিলাম।
কিন্তু এখন এই ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে যদি কোন প্রবাসীর পরিবারের একটি সদস্য মারা যায়। সে কখনো আর তার পরিবারের সদস্যর মুখ দেখতে পাবে না। কে দায়ী থাকবে যদি কেউ দায়ী থাকে তাহলে আমাদের বাংলাদেশের সরকার দায়ী থাকবে। কারণ তার জন্য আজ আমাদের বাংলাদেশের ইন্টারনেট বন্ধ। তার জন্য আজ হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ প্রবাসী নিজের পরিবারের সাথে কথা বলতে পারছে না।
কতো প্রবাসী ফেসবুকে লাইভে এসে কান্না করছে এক বারও কি আমাদের বাংলাদেশের সরকারের চোখে সেই ভিডিও পড়ছে না। সে তো আছে দেশের বাহিরে তাহলে কেনো আজ বাংলাদেশের মানুষের ওপরে এই কঠিন নির্যাতন করা হচ্ছে। আজ আমরা প্রবাসীরা খুবই কষ্টের মধ্য আছি কারণ নিজের পরিবারের উপর দিয়ে কি যাচ্ছে আমরা কেউ বলতে পারছি না।
আজ কয়েক দিন যাবত হাসি মুখে থাকার চেষ্টা করছি তবে কাজের মধ্য বা কাজ করে এসে যতটুকু সময় পেতাম নিজের পরিবারের কাছে সময় দেয়ার চেষ্টা করতাম। তাদের সাথে হেসে খেলে কথা বলার চেষ্টা করতাম। কিন্তু আজ সেই হাসি আমাদের মুখ থেকে কেড়ে নিলো আমাদের বাংলাদেশের সরকার যার জন্য আজ অনেক বেশি মন খারাপ আছে আমার।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
My Twitter share
সত্যিই তো যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকলে মন তো খারাপ হবেই। যারা বাইরে কাজ করে তাদের সব সময় পরিবারের জন্য চিন্তা হয়। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য আপনারা যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের লোকের সাথে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন যাতে সবাই সুস্থ থাকে ।ভালো থাকে।
বাংলাদেশে একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হল ইন্টারনেট। অথবা নেটওয়ার্ কে যার মাধ্যমে আমরা কথা বলতে পারি খুব সহজে তবে বাংলাদেশে এখন সব জায়গায় নেট বন্ধ করে দিয়েছে শুধু একটি কারণে যাতে করে নিরীহভাবে মানুষের উপর অত্যাচার করতে আর বহিরর্বিশ্বে সেগুলো প্রচার না হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নিজের মনের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করার জন্য।