তথ্যপ্রযুক্তির অবদান
বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি এতটা অগ্রসর হয়েছে যে ঘরে বসে সারা বিশ্বের সংবাদ নেওয়া সম্ভব এক কথায় বলতে গেলে সারা পৃথিবীটা এখন আমাদের হাতের মুঠোয়।
Source
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন আর আমি সর্বদা সৃষ্টিকর্তা নিকট আমি আমার সকল বন্ধুদের সুস্বাস্থ্য মঙ্গল কামনা করে থাকি।
বন্ধুরা বরাবরের মত হাজার নতুন আরেকটি ব্লক নিয়ে হাজির হলাম তবে আজকের ব্লকের মূল বিষয়বস্তু হলো তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির ফলে আমাদের কি কি সুবিধা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের মাঝে বলতে চাই।
আমরা সর্বদা যুগের সাথে তাল মেলে চলা পছন্দ করে হয়তোবা এখান থেকে দশ বছর আগে যে পর্যায়ে সারা বিশ্বে চলেছে আমরা তখন সেই পর্যায়ে চলার চেষ্টা করেছে এখনো আমরা সারা বিশ্বে যে হারে মানুষ চলছে সেই মানুষের সাথে সমতল হয়ে চলার চেষ্টা করছে আমি মনে করি এটাকেই সমতল বলে জানি।
Source
ঠিক তেমনি তথ্যপ্রযুক্তি কতটা অগ্রসর হয়েছে আমরা যদি আমাদের নিজেদের দিকে খেয়াল করি তাহলে আমরা বুঝতে পারবো কারন আমরা ঘরে বসেই সারা বিশ্বের খবরা খবর থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজ সবকিছু অল্প সময়ের ভিতর দেখতে পাচ্ছি এবং সবকিছু সমাধান করতে পারছি।
ছোটবেলায় অনেকে আমরা দেখেছি যে ধনবান ব্যক্তিরা টেলিফোন ব্যবহার করত যেটা ছিল তার সংযুক্ত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় তথ্য প্রদানের জন্য এটা ব্যবহার হতো তারও আগে ব্যবহার হতো চিঠি বা ডাক পিয়ন।
Source
যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় কোন বার্তা বা কোন সংবাদ যখন পাঠানো দরকার হতো সেক্ষেত্রে প্রথমত আমাদেরকে একটা কাগজ-কলম নিয়ে চিঠি লেখার প্রয়োজন ছিল এবং সেটা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আদান-প্রদান করতে হতো দিনের পরিবর্তনে বা যুগের পরিবর্তনে সে জিনিসগুলো এখন বর্তমানে বিলুপ্ত হয়ে গেছে তবে তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে এসে এখন আরো অনেক সহজ পদ্ধতি আমরা পেয়ে গেছি।
আপনি এখন এক দেশ থেকে অন্য দেশে যখন কোন সংবাদ বা কোন খবর বা যেকোনো ধরনের বার্তা যখন পৌঁছাতে যাবেন ঘরে বসে একটা ইমেইল করলে চলে যাচ্ছে এটা এক ধরনের সুবিধা।
Source
দেশ-বিদেশে আত্মীয় পরিজনের সাথে যখন কথা বলা দরকার আছে তখন সাথে সাথে মোবাইলে ডাটা অন করে কারণ এখন প্রতিটা মানুষের ঘরে ঘরে এন্ড্রয়েড মোবাইল আছে যখন ইচ্ছা যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ আমরা কথা বলতে পারছি খুবই স্বল্প খরচে।
আমরা জানি যে বেশ কিছুদিন আগে সারা পৃথিবী জুড়ে কি একটা দুর্যোগ শুরু হয়ে গেছিল অনেকে বুঝতে পারছেন আমি কিসের কথা বলতে চাচ্ছি করোনার মধ্যে সারা পৃথিবীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল কিন্তু মোবাইল বার তার মাধ্যমে বা ইমেইল এগুলোর মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাথে কথাবার্তারা সংবাদ আদান প্রদান সবকিছু করতে পারছিলাম।
আমরা কিছুদিন আগে এটা বেশিরভাগ খেয়াল করেছি যে যখন করোনা চলাকালীন বিভিন্ন ধরনের লকডাউন বা নিষেধাজ্ঞা ছিল তখন অনেকেই অনলাইনে মিটিং বা ব্যবসায়িক কাজকর্ম সবকিছু করেছে তথ্যপ্রযুক্তির এটাও একটা বড় ধরনের সুবিধা।
অনেকে হয়তো ভাবতে পারে যে এটা খুবই ব্যয়বহুল একটা জিনিস আসলে ততটা না যতটা আগের দিনে ছিল প্রথম দিকে যখন মোবাইল মানুষের হাতে আসে তখন আমরা দেখে খুবই হতভম্ব হয়ে গেছিলাম যে এটা খুবই দামী একটা জিনিস সেটা সবাই দ্বারা সরবরাহ করা সম্ভব না তবে দিনে দিনে এটার অগ্রগতি যখন মানুষের মাঝে প্রচলিত হয়ে গেছে তখন দেখেন খুবই শাস্ত্রী এবং সুবিধার্থে মানুষ ব্যবহার করছে।
যেমন প্রতিটা জিনিসের উপকারিতা আছে ঠিক তার বিপরীত দিকে কিছুটা ক্ষতির দিক আছে আমরা সর্বদা উপকারের কথা বলে থাকে অপকারের কথা কখনো বলে না তবে যে দিকগুলো অপকারিতা আছে সে দিকগুলো আমরা এড়িয়ে চলব আমরা সর্বদা সাবধানতা অবলম্বন করব কখনো কারো সাথে প্রতারণা করবো না বর্তমান জামানায় অনলাইন থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার শিকার হচ্ছে এগুলো থেকে আমরা বিরত থাকবো।
বর্তমান সময়ে আমরা সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করি বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট আমাদের মাঝে আসে তার ভিতরে অনেকগুলো প্রতারক থাকে আমাদের জরুরী ডকুমেন্টস থেকে শুরু করে আপনার ব্যক্তিগত যত ধরনের তথ্য ডাটাবেজ থাকে সবগুলো হাতিয়ে নিয়ে চলে যায় সর্বদা এগুলো থেকে সচেতন থাকবেন যেমন উপকার আছে ঠিক তেমনি কিছু ক্ষতির দিকও আছে।
সর্বতো আমরা ভালো কাজে ব্যবহার করব সেটা যে কোন কিছু মোবাইল হোক বা কম্পিউটার হোক তথ্য প্রযুক্তের যত ধরনের উন্নতি আছে সবগুলো মানুষ যাদের কল্যাণের জন্য ব্যবহার হয়েছে সবগুলো আমরা ভালো কাজে ব্যবহার করব কখনো খারাপ কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করব না।
যেকোনো কিছু যখন আপনি ভাল কাজে ব্যবহার করবেন অবশ্যই ভালো কিছু উপহার দিতে পারবেন আমরা যে মোবাইলটা দিয়ে আজ এই অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করতেছি এটাও তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আমরা এখানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি এজন্য আমি সর্বদা সকলের কাছে অনুরোধ করব কেউ কখনো এটার অপব্যবহার করবেন না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তথ্যপ্রযুক্তির অবদানের কথা হয়তো বা লিখে শেষ করা যাবে না। কিন্তু তারপরেও আপনি আপনার পোস্টে। খুব সুন্দর ভাবে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে অনেক কথাই বিশ্লেষণ করেছেন।
আপনার পোষ্টের প্রত্যেকটা কথাই অসাধারণ। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। তবে তথ্যপ্রযুক্তির অবদান যেমন রয়েছে। ঠিক তেমনি এর পেছনে অনেক সমস্যা রয়েছে।
যেটা হয়তোবা আমরা একটু ঘাঁটাঘাটি করলেই। সে সমস্যাগুলো আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। অসংখ্য ধন্যবাদ তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে এত সুন্দর একটা পোস্ট, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য,ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
Thank you for visiting my blog
তথ্যপ্রযুক্তিতে আমরা যতটুকু ভালো কোন অবদান পাচ্ছি, তার চেয়ে আমি মনে করি সবচেয়ে বেশি ক্ষতির অবদান পাচ্ছি। আমি জানি এই অবদানগুলো এখন পেলে, পিছনের অবদানগুলো ভুলে যাবে। কিন্তু এই অবদানগুলোর যাতে এত পরিমান ক্ষতি তা আপনিও জানেন আমিও জানি।
দেখুন আপনি অনেক ক্যাটাগরি তুলে ধরেছেন, সেখান থেকে আমি একটা কথা বলি, সেটা আপনার মোবাইল ফোন দিয়েই বলি। এই স্মার্টফোনটি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গাতে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করা যাচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের খবর আমরা সাথে সাথে পেয়ে যাচ্ছি। যেমনটি আপনি শেয়ার করেছেন করোনাভাইরাস এর কথা।
কিন্তু আমি বলব এই করোনাভাইরাস এর চাইতেও অনেক ভয়াবহ দুর্যোগ মহা ভাইরাস কিন্তু আমাদের বিগত বছরে চলে গেছে। তবুও কি খুব বেশি সমস্যা হয়েছে? বরং সমস্যা হলেও সেটা সেই ভাইরাসে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। কিন্তু আমাদের এই সময়ে অসুস্থ হওয়ার কারণ হল ডিপ্রেশন, যেটা মোবাইল থেকে আসে। একটা খারাপ খবর আমরা হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখলাম। আর তখন থেকেই ডিপ্রেশন, বাঁচবো কিভাবে, কিভাবে খাবো, কিভাবে আমার পরিবারকে বাঁচাবো, কত কি টেনশন শুরু হয়ে গেল। যে ওই ভাইরাস আসার আগেই সে মারা গেলো। যাই হোক আরো এরকম অনেক কিছু আছে, যার প্রেক্ষিতে বোঝা যায় মোবাইল ফোন স্মার্ট ফোন এখন এসেছে উপকার হিসেবে ঠিকই, কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে বেশি। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনার পোস্টটি অনেক উপকারিতা হয়ে গেল আমার জন্য। আসসালামু আলাইকুম।
Thank you for feedback
হ্যাঁ ভাই আপনি একদম যথাসময়ে পোস্ট লিখেছেন কেননা এই সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার পুরো পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।
আপনি এখন বিদেশে থাকতে চাই অথচ আপনার সাথে আমরা কথা বলতে পারতেছি মেসেজে হক কিংবা ভিডিও কলে। এটা তথ্য প্রযুক্তির অত্যন্ত বড় একটা অবদান।
যারা বাহিরে থাকে তাদের সাথে পরিবারের সংযোগ থাকে না কিন্তু আজ এই তথ্যপ্রযুক্তির অবদান সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে দিয়েছে, নিয়ে এসেছেন নতুন প্রজন্ম।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
বর্তমান হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি যুগ এই তথ্যপ্রযুক্তি প্রযুক্তির যুগে এই বিশ্বকে এখন হাতের মুঠো য় আনতে পেরেছে যেমন তথ্য প্রযুক্তির কারণে আমরা নিমিষেই দেখতেছি এক দেশের সাথে অন্য দেশের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে তাই এক কথা বলতে গেলে তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম।
Thank you for visiting my blog