বেশি খাবার গ্রহণের অপকারিতা এবং বাঁচার উপায় ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসছালামুআলায়কুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু।
প্রিয় সাথী বৃন্দ,
আজকে আমি আপনাদের সাথে বেশি খাবার গ্রহণের অপকারিতা এবং বাঁচার উপায় নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো ইনশাল্লাহ।
মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে খাদ্য খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আর এজন্য তিনি আমাদেরকে রিজিকের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। খাবারের প্রতি কম বেশি সবাই দুর্বল। তাইতো খাবারের মাধ্যমে কাউকে যত তাড়াতাড়ি আয়ত্ব করা সম্ভব অন্য কোন বিষয়ের মাধ্যমে তা সম্ভব হয় না।
আমাদের সবারই রসনা খাবারের প্রতি এবং ভালো খাবারের প্রতি, বেশি খাওয়ার প্রতি, প্রচন্ড লোভ হয়। খাওয়াকে খুব কম মানুষই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাইতো অধিকাংশ মানুষ খাবার খাওয়ার সময় ভালো খাবার হলে প্রয়োজনে তুলনায় অনেক বেশি খেয়ে ফেলে।
বেশি খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। বেশি খাবার খাইলে আমাদের কি কি সমস্যা হয় তাহার নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো।
বেশি খাবার খেলে আমাদের যে অঙ্গ পতঙ্গ গুলো খাদ্য হজম ক্রিয়ায় জড়িত আছে তারা অনেক অল্প সময়েই দুর্বল হয়ে পড়ে।
শরীরের চরমভাবে অলসতা চলে আসে ফলে আমরা দ্বীনই হোক আর দুনিয়াবী হোক কোন কাজই মন দিয়ে করতে পারি না ।
স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে থাকে ফলে আমরা অনেক কিছু ভুলে যাই।
অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে আমাদের দেহে দুই ধরনের হরমোন বেশি নিঃসরিত হয় যেমনঃ মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন। ফলে আমাদের দেহ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কাজ করার উদ্যম কমে যায়।
অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে বমি বমি ভাব সৃষ্টি হয় যা আমাদের মন-মানসিকতাকে অনেক খারাপ দিকে নিয়ে যায়। কোন কিছুই ভালো লাগেনা।
বেশি খাবার গ্রহণের ফলে বুকজ্বালা শুরু হয় কারন তখন পেটের ভিতরে বেশি পরিমাণে হাইড্রোক্লোরিক এসিড তৈরি হয়।
বেশি খাবার খেলে আমাদের দিল মরে যায়। তখন আমরা আমাদের এবাদতগুলো গভীর মনে করতে পারি না।
বেশি খাবার গ্রহণের ফলে আমাদের দেহের পেটের নিম্ন অংশ ফুটবলের মত পেতে থাকে। দেখতে অনেক খারাপ লাগে। শারীরিক গঠন খারাপ দেখা যায়।
এছাড়াও অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের ফলে আমাদের দেহের নানা রোগের সৃষ্টি হয় তার মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে ব্রেন স্টক, খাদ্য গ্রহণের প্রতি অরুচি ইত্যাদি।
আমরা অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহন থেকে কিভাবে মুক্তি পাব ঃ
খাবারের প্রথমে পানি পান করতে অভ্যস্ত হই।
আমরা যদি শাকসবজি বেশি খাই তবে আমরা অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের থেকে রক্ষা পাব।
আমরা খাবার খাওয়ার সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকবো যে, দশ শতাংশ পেট আমাদের সবসময় খালি থাকে।
আমরা সবসময়ই খাবারের ক্ষেত্রে আমাদের নবীর সুন্নত অনুসরণ করে চলবো।
এছাড়াও বেশি খাবার পরিহার করা ক্ষেত্রে আমাদের ইচ্ছা শক্তির একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।আমরা একটু চেষ্টা করলেই সম্ভব হবে।
ইদানীং মানুষের রোগাক্রান্ত হওয়ার হারটা ভীষণ বেড়েছে। তার অন্যতম কারন অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।আর এই অনিয়মের মধ্যে অন্যতম অতিরিক্ত খাওয়া এবং সেই খাবার টা অবশ্য ভালো খাবার না।ভালো থাকতে হলে এখন পরিমিত আহার আর সুস্থ জীবনযাপনের বিকল্প নাই।আপনি পোস্টে বেশি খাওয়ার অপকারিতা উল্লেখ করেছেন সেই সাথে এর থেকে মুক্তির উপায় বলেছেন।আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি সব সময় মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে কোন ও কিছুই অতিরিক্ত ভালো না সেটা যত উপকারিতা খাবার বা জিনিস হয়।আর আমাদের যতটা প্রয়োজন ততটা খাওয়া উচিত। আর এর চেয়ে বেশি খাওয়ার অভ্যাস হলে সমস্যা হতে পারে।আর আপনার পোস্ট পড়ে এগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় গুলো জানতে পারলাম তার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
সর্বপ্রথম আপনার প্রতি শুভকামনা রইল। আপনি আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়েছেন। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
আদমের পিঠ সোজা রাখতে কয়েক লোকমা খাবারই যথেষ্ট। কিন্তু একথা আমরা কজনই বা মনে রেখেছি।এখন তো এত রকমের এত বাহারি খাবার যে খাবারের উপরে মানুষের লোভ
সামলানো যায়। যার সামর্থ্য আছে সে বেশি খাচ্ছে যার সামর্থ্য নেই সে খাবারের জন্য হাহাকার করছে।
অতিভোজন আসলে একটি বড় সমস্যা।
পৃথিবীতে যে পরিমাণ খাবার খাওয়া হয় মানুষ তার থেকে বেশি খাবার নষ্ট করে।আপনি অতিভোজনের ক্ষতিকর দিকগুলো বর্ণনা করেছেন এবং কিভাবে এ থেকে রক্ষা পেতে পাওয়া যায় এটিও লিখেছেন। খুব সুন্দর ভাবে আপনি বিষয়টি তুলে ধরেছেন।পড়তে আমার খুব ভালো লেগেছে কারণ আমি এ থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।
সর্বপ্রথম আপনার প্রতি শুভকামনা রইল কারন আপনি আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়েছেন এবং একটি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
আপনি একটা সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কারন আপনি আমার পোস্টটি কষ্ট করে পড়েছেন। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
হে পেট ভরে খাবার খাওয়া একদমই ঠিক নয়।
পেট খালি রেখে সবসময় খাওয়া উচিত। আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়া ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
এবং বেশি খাবার। খাওয়ার অভ্যাস আমরা কি ভাবে এড়িয়ে চলতে পারি।তাও খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বলেছেন। অনেক উপকারী একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। তাই আমাদের উচিত এই নিয়ম নীতি গুলো মেনে চলা। ধন্যবাদ আপনাকে। এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নির্বাচন করার জন্য।
আপনি একটা সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কারন আপনি আমার পোস্টটি কষ্ট করে পড়েছেন। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে। মন্তব্যের রিপ্লাই দেওয়া জন্য।
আজকে আপনি এমন একটি পোস্ট করেছেন যা আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের জন্য খুবই প্রয়োজন। আমরা অনেক সময় খাবার খেয়ে থাকি অনেক বেশি যার জন্য আমাদের অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়।
খাবার বেশি খাওয়ার কিছু অপকারিতা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম যা জেনে খুবই ভালো লাগছে এবং আমার পুরো অজানা ছিলো এই বিষয়টি।
সাথে আরো আপনি উল্লেখ করেছেন কিভাবে আমরা অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণকে কন্ট্রোল করব তারও কিছু সম্পর্কে আপনি উল্লেখ করেছেন।
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
বেশী খাবার খেলে আনফিল লাগে বমি বমি ভাব লাগে এবং কি পেটের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে ৷ বেশী খাবার খাওয়া উচিত না এতে করে শরীরের নানা অংশে সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে ৷ তারপর আপনি বেশী খাবার তা থেকে বাচার উপায় কিছু টিপস আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পড়ে বেশ ভালোই লাগলো ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
ইদানীং মানুষের রোগাক্রান্ত হওয়ার হারটা ভীষণ বেড়েছে। তার অন্যতম কারন অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।আর এই অনিয়মের মধ্যে অন্যতম অতিরিক্ত খাওয়া এবং সেই খাবার টা অবশ্য ভালো খাবার না।ভালো থাকতে হলে এখন পরিমিত আহার আর সুস্থ জীবনযাপনের বিকল্প নাই।আপনি পোস্টে বেশি খাওয়ার অপকারিতা উল্লেখ করেছেন সেই সাথে এর থেকে মুক্তির উপায় বলেছেন।আপনাকে ধন্যবাদ।
সব কিছুই ভালো তবে তা যদি মাত্রার মধ্যে থাকে। মাত্রাতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। বেশি বেশি খেলে তা উপকারে না এসে বরণ ক্ষতির কারণ হয়ে যায়। আওনি এই বিষয় গুলো খুব সুন্দর করে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর উপস্থাপন এর জন্যে।