সিরিজ শেষ হওয়ার আগেই ইন্ডিয়া সিরিজ জিতে নিলো!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি খেলাধুলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এই ম্যাচটা ইন্ডিয়া আর ইংল্যান্ড এর মধ্যে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ ছিল। এই ম্যাচটা যেমন একদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল আবার একদিক থেকে একটু কঠিন ছিল, বিশেষ করে পিচের বিষয়ে। রাঁচির পিচে একটু রান করা সমস্যা আছে, তবে আবার স্পিনারদের জন্য একপ্রকার ভালো সুবিধা আছে। তারপরে আরো একটা সমস্যা হয়েছে টসে হেরে, ইংল্যান্ড এই পিচে টস করে জিতে যায় আর আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ধরণের পিচে পরে ব্যাট করলে আর যদি লিড বেশি থাকে তাহলে একটু হিমশিম পোহাতে হয় ব্যাটসম্যানদের। ইংল্যান্ড আগে ব্যাটিং করলেও কিন্তু সেই ধরণের কোনো সুবিধা করতে পারছিলো না, মানে একেবারে ডুবে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
প্রথমেই বেশ কয়েকটি উইকেট পড়ে যায় আর এইটা একটা টিমের জন্য চিন্তারও বিষয়। তবে এখানে রুট দারুন ভূমিকা পালন করে থাকে, একাই ম্যাচটাকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। এখানে মোটামুটি দুই থেকে তিনজন ব্যাটসম্যান রুটের সাথে একটু ধরে ধরে খেলে পার্টনারশিপ গঠন করে, তবে এই রানটা প্রথম ইনিংসে হওয়ার কোথাও ছিল না। আসলে ভুল করলে তার মাশুল গুনতে হয়, এটাও ঠিক তাই হয়েছে। আসলে রুটের lbw টা যদি রিভিউ করতো, তাহলে এই সাড়ে ৩০০ রানের কোটায় যেত না। এখানে ভুলটা ছিল কিপারের আসলে, আর এ আসলে নতুন কিপার, অতটা অভিজ্ঞতাও নেই যে ঠিকভাবে বলতে পারবে। প্রত্যেক ম্যাচে আসলে ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত দিতে গিয়ে থতোমতো খেয়ে যায় দেখলাম। ওই আউটটা জেনুইন ছিল, কারণ অফ স্ট্যাম্প আর মিডিল স্ট্যাম্প এর একদম মাঝামাঝি লেগেছে আর বলটাও মিডিলে ছিল। এই আউটটা করিয়ে দিতে পারলে আর এতো রান হতো না।
ইন্ডিয়াও প্রথম ইনিংসেও ধরা খেয়ে গিয়েছিলো, বশির নামক এক স্পিনারের কাছে, এক বোলারই ব্যাটসম্যানদের অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে। আসলে এই পিচে ফাস্ট বোলারদের তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না বললেই চলে, সব স্পিনারের কাজসাধী হয়েছে। তবে কিপার ভুল করলেও আবার ব্যাটে দারুন খেলে দিয়েছে ৯০ রানের ভালো একটা ব্যাটিং পজিশন তৈরি করেছিল আর সাথেও যাইস্বলও খেলেছে ভালো। মোটামুটি রানটাকে কভার করার চেষ্টা করেছিল। তবুও পেরে উঠিনি ৩০৭ রানের মাথায় গুটিয়ে যায় ইনিংস। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে সব থেকে সেরা ধরা দিয়েছিলো ইংল্যান্ডকে, কারণ এটাই ম্যাচ জেতার একমাত্র উপায় ছিল। নাহলে এটা হাতের বাইরে চলে যেত।
রোহিত ভালো বুদ্ধি লাগিয়েছে এখানে বোলারদের দিয়ে। অশ্বিন আর কুলদীপ দুইজনেই সাবাড় করে দিয়েছে, দাঁড়াতেই দেইনি কাউকে। সব থেকে কুলদীপ এর একটা বল আকর্ষণীয় স্পিন ছিল, অফ ব্রেক দিলো ব্যাটসম্যান বুঝতেই পারেনি, লেগ স্ট্যাম্প এ লেগে গেলো। এটাই সব থেকে ভালো করেছিল যে ১৫০ ক্রস করার আগেই অলআউট করে দিয়েছিলো। ফলে বেশি একটা রানের টার্গেট দিতে পারেনি। ইন্ডিয়ার উইকেট পড়লেও সহজে বেরিয়ে এসেছে রান দিনের ভিতরে। এই নিয়ে ইন্ডিয়া একপ্রকার টেস্ট সিরিজ জিতে গিয়েছে। কারণ ইংল্যান্ড একটা আর ইন্ডিয়া গতকালকের ধরে ৩ টা।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ইন্ডিয়ার খেলা আমার এমনিতেই বেশ ভালো লাগে। যাক ইন্ডিয়া খেলায় জিতে গেছে এটাই বেশ। তবে ইন্ডিয়া টিম কিন্তু ডুবে যেয়েও বেচেঁ আসতে জানে। তাই তো শেষ পর্যন্ত ইন্ডিয়াই জিতে গেল। শুভ কামনা রইল ইন্ডিয়া টিমের জন্য। আর ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর করে গুছিয়ে খেলার রিভিউ করার জন্য।
ইন্ডিয়া নিঃসন্দেহে সব ফরম্যাটে সেরা দল। টানা তিন ম্যাচ জিতে, ইন্ডিয়া ইতিমধ্যেই পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজটি জিতে নিলো, এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। তবে এই সিরিজে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং দেখে হতাশ হয়েছি। ২/৩ জন ছাড়া তেমন কেউ ভালো করতে পারেনি ব্যাটিংয়ে। তবে এই ম্যাচে টস জেতার পর, ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে আরও ভালো ব্যাট করতে পারলে, ম্যাচটা ফাইটিং হতে পারতো। তবে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে একেবারে অল্প রানেই গুটিয়ে যায়। যাইহোক প্রথম ইনিংসে রুট এক কথায় দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। ইংল্যান্ডের স্পিনার শোয়াইব বশির চমৎকার বোলিং করেছে। তবে এই ম্যাচে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা এবং কুলদীপ যাদবও দুর্দান্ত বোলিং করেছে। মোটকথা স্পিনাররা বেশ ভালো বোলিং করেছে এই ম্যাচে। ইন্ডিয়ার জেসওয়াল আসলেই দুর্দান্ত একজন ব্যাটসম্যান। তাছাড়া উইকেট কিপার ধ্রুব উভয় ইনিংসে বেশ ভালো ব্যাট করেছে। সবমিলিয়ে এই ম্যাচটি বেশ ভালো লেগেছে। আপনি চমৎকার ভাবে পুরো ম্যাচের রিভিউ শেয়ার করেছেন দাদা। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।
দাদা আপনি আজকেও আমাদের মাঝে খেলা বিষয়ক একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনার শেয়ার করা খেলা বিষয়ক পোস্টগুলো আমি সবসময় পড়ার চেষ্টা করি। আজকে আপনি ইংল্যান্ড এবং ইন্ডিয়ার চতুর্থ টেস্ট ম্যাচের রিভিউ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। সিরিজ শেষ হওয়ার আগে ইন্ডিয়া সিরিজ জিতে নিয়েছিল, এটা ভাবতেই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগতেছে দাদা। এরকম খেলা গুলো বেশ ভালোভাবে উপভোগ করে দেখা যায় এবং খেলা গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তারা বেশি একটা রানের টার্গেট নিতে পারেনি এটা তো দেখেই বুঝতে পারতেছি। কারণ 150 রান ক্রস করার আগেই তো অলআউট করে দিয়েছিল। ইন্ডিয়ার টিমটা আমার অনেক বেশি পছন্দের। এই ম্যাচটাতে কিন্তু অনেক সুন্দর বোলিং করা হয়েছে দাদা। এরকম বোলিং এবং ব্যাটিং করলে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে, এত সুন্দর করে এই ম্যাচটার রিভিউ সবার মাঝে সুন্দর করে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আশা করছি আপনি পরবর্তী খেলা বিষয়ক পোস্ট খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
দাদা আমি খেলা দেখতে এত বেশি পছন্দ করি যে, আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না। তবে এখন ব্যস্ততার কারণে খুব একটা খেলা দেখি না। কিন্তু আপনার রিভিউগুলো পড়ার চেষ্টা করি। আজকের রিভিউটা পড়ে তো অনেক ভালো লেগেছে। ইন্ডিয়া এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ ছিল, এটা জানাই ছিল না আমার। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম এবং কি পুরো রিভিউ পোস্ট পড়ে নিলাম আপনার আজকের পোস্টের মাধ্যমে। ইন্ডিয়া এই ম্যাচে বিজয়ী হয়েছে এটা শুনতেই অনেক বেশি ভালো লাগতেছে। দাদা ইন্ডিয়ার জয় দেখলে অনেক ভালো লাগে। সিরিজ শেষ হওয়ার আগেই তাহলে ইন্ডিয়া জিতে নিয়েছিল। বিষয়টা ভাবতেই ভালো লাগতেছে আমার কাছে। ইংল্যান্ড একটা আর ইন্ডিয়া গতকালকের ধরে তিনটা, এটা শুনে তো আরো বেশি ভালো লাগলো। প্রথম ইনিংসে ধরা খেলেও, ইন্ডিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড কে বেশ ভালোই একটা ধরা দিয়েছিল, বিষয়টা দেখে অনেক ভালো লেগেছে। আর ধরা না দিলে কিন্তু ইন্ডিয়া জিততে পারত না। কারণ এটাই ছিল একমাত্র উপায় ম্যাচ জেতার জন্য। অনেক বেশি ভালো লাগলো দাদা। আপনার পরবর্তী পোস্ট দেখার অপেক্ষায় আছি।
দেখতে দেখতে ইংল্যান্ড বনাম ইন্ডিয়ার চতুর্থ নাম্বার টেষ্ট ম্যাচের রিভিউ পড়ে নিলাম। বড় বড় দল গুলো যেখানেই খেলতে যাক,ঐ জাগায় পিচ ও আবহাওয়া সম্পর্কে কিছুটা ধারনা নিয়ে যায়। আর ইংল্যান্ডও রাঁচির পিচের কথা জানতো। তাই তারা টজ জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সবসময় যেমন চিন্তা তেমন কাজ হয় না। যেমনটা হয়েছে ইংল্যান্ডের সাথে। এখানে আরেকটি বিষয় হলো ক্রিকেট খেলায় একটি ভুল খেলার মোড় ঘুড়িয়ে দেয়। যেমন ইংল্যন্ডের জো রুটের আউট টা। যদি ঠিক সময়ে তার এলবিটা ধরতে পারতো তাহলে সাড়ে ৩০০ রানের এত বড় পাহাড় করতে পারতো না। আবার অনেক সময় বিপক্ষ দল থেকে শিক্ষাও নেওয়া যায়। যেমন ইংল্যান্ডের বশির ভালো স্পিং বল করেছিল। যার ফলে রোহিত শর্মাও দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনার দিয়ে ইংল্যান্ডকে কাবু করেছিল। মোটামুটি সব মিলিয়ে বুদ্ধি আর ভাগ্যের খেলা বলতে হয়। ইন্ডিয়ার চেষ্টা করেছে তাই তাদের জয়টা আসতে বাধ্য হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।