এলোমেলো আলোকচিত্র ( পর্ব ২০ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই পর্বে দেখে নেওয়া যাক তাহলে কি কি থাকছে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রগুলো তুলেছিলাম একটি গ্রাম থেকে। আর এই গ্রামটা অনেকেই চিনে থাকবেন, কারণ আমরা অনেকেই এখানে মাঝেমধ্যে যাই আর পোস্টও অনেকেই করে। এটা আমাদের সেই বর্তীর বিলের, তবে আমি গিয়েছিলাম অনেক আগে, ডিসেম্বর মাসে, শীতের সময়ে। এই সময়ে বর্তীর বিলে ভালো ন্যাচারাল কিছু সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়, বিশেষ করে সরিষা ফুলের। মাঠ ভর্তি সরিষা ফুলের চাষ দেখে মনটা আসলে জুড়িয়ে যায়। মাঠ ভর্তি হলুদ ফুলের সমারোহে যেন পারিপার্শ্বিক পরিবেশটা আরো মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে এখানে অনেকেই শুটিং বা কোনো ভিডিও প্রোগ্রামের জন্য এসে থাকে। এছাড়াও ওই সময়ে সারা মাঠ জুড়ে বিভিন্ন চাষ চলতে থাকে, যেমন এখানে দেখতে পাচ্ছেন যে, পুরো মাঠ জুড়ে পেঁয়াজ এর চাষ হচ্ছে, আমি যখন বিকালের দিকে গিয়েছিলাম, তখন সবাই পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত ছিল। এখানে একটা ফসলের পিছনে অনেকজনের শ্রম লাগে। যাইহোক, দৃশ্যগুলো মোটামুটি বেশ মনোমুগ্ধকর ছিল।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: বেড়াবেড়িয়া
তারিখ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
Photo by @winkles
এই ছবিটা হলো খাবারের। এটা অনেকেই ভাবছেন কি হতে পারে, অনেকে খেয়েছেনও বটে। এটা ক্রিস্পি চিকেন। এই ক্রিস্পি চিকেন আমার অনেক প্রিয় বলা যায়। খেতে খুবই টেস্ট লাগে এটি, শীতের সময়ে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। আমি গ্রামের দিকে একটি ধাবা মতো জায়গায় প্রায় যাওয়া আশা করতাম, এখনো যাই, ওখানে চিকেন এর মধ্যে এটিই সেরা বলতে গেলে। তবে এখন গরমের সময়ে খেতে গেলে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, কারণ ঝাল থাকে খুব, গরম হয়ে যায় কান, মাথা হা হা। তবে এতে অতিরিক্ত ক্যাপসিকাম আর পেঁয়াজ দিয়ে ফেলে আর সসটার জন্য মূলত টেস্টটা বেশি ভালো লাগে। তবে ক্রিস্পি চিকেন আবার বেশি ভেজে ফেললে শক্ত শক্ত একদমই ভালো লাগে না, নরম থাকলে সেটাই খেতে বেস্ট লাগে।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: বেরুনানপুখুরিয়া
তারিখ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এটি তুলেছিলাম দাদা-বৌদি রেস্টুরেন্ট থেকে। এটা আমরা একদিন সবাই মিলে খেতে গিয়েছিলাম তখন তুলেছিলাম আর কি। এইগুলো ভেটকি মাছ, দাদা এই ভেটকি মাছ ভাজা খেতে বেশি পছন্দ করে। তবে এটি খেতে একেবারে খারাপ লাগেনি, মোটামুটি ভালোই লেগেছিলো আমার কাছে। যাইহোক, এইসব খাওয়ার পরে নিয়েছিলাম স্পেশাল কয়েকটা বিরিয়ানি, স্পেশাল-এ অনেক বেশি থাকে, এইজন্য একজনের পক্ষে খেয়ে পারা যায় না, তাই আমরা কয়েকজন একটা ভাগ করে নিয়েছিলাম। এটা ছিল মটন বিরিয়ানি, খেতে ভালোই মজার ছিল। আর সাথে স্যালাড ছিল, স্যালাড দিয়ে খেতে কিন্তু সেই মজার লেগে থাকে যেকোনো খাবার ।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: ব্যারাকপুর
তারিখ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
Photo by @winkles
এই ছবিটা তুলেছিলাম পুজোর সময়ে। দূর্গা পুজোর সময়ে আশেপাশে এইসব দোকান বসে ভালো। এইগুলো সব মিষ্টি পানের স্টল। যদিও আমি নরমালি কোনো পান খাইনা, আর এই মিষ্টি পানও তেমন খাওয়া হয়ে ওঠে না। আমার সাথে এক বন্ধু গিয়েছিলো, ও খাবে তাই কিনে দিয়েছিলাম। আসলে এই পানগুলো যে কেমন লাগে খেতে সেটাই বুঝলাম না। আমি একদিন শুধু পান চাবিয়েছিলাম, তাতেই কেমন যেন লেগেছিলো। যদিও পানের পাতার রসের গুন্ আছে। এইসব মিষ্টি পান নিয়ে এখন তো নানা পদের পানের বাহার বসে, যেমন আগুন পান। এটা খাওয়ার জন্য সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে যেকনো পুজো বা মেলার সময়ে।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ২০ অক্টোবর ২০২৩
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই ছবিগুলোও তুলেছিলাম পুজোর সময়ে মণ্ডপের ভিতর থেকে। মন্ডপের ভিতরে বিশেষ করে যেসব ডেকোরেশন করে, তার মধ্যে এই ঝাড়বাতিগুলো আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। ঝাড়বাতিগুলোর ডিজাইন অনেক ভালো ভালো এনে থাকে তারা, আর এইগুলো যখন বিভিন্ন ডিজাইনের মাঝে লাগিয়ে থাকে, তখন দারুন ফুটে ওঠে দৃশ্যগুলো। আরো একটা সময়ে ভালো লাগে, যখন এই ডিজাইনগুলোর মাঝে লাইটিংগুলো ফেলে, তখন সৌন্দর্যটা আরেক রকম লাগে দেখতে।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ২০ অক্টোবর ২০২৩
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা, এর আগে কার পোস্ট থেকে জানি বর্তীর বিলের কথা শুনেছিলাম। গ্রামটা সত্যিই অনেক বেশি সুন্দর। এজন্য সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। তাছাড়া আপনার প্রত্যেকটা খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে আমার খিদে পেয়ে গেল। আর দাদা বৌদির রেস্টুরেন্টের কথা আমি শুনেছিলাম। মাটন বিরিয়ানি দেখে খেতে ইচ্ছা করতেছে। এছাড়াও পূজোর ফটোগ্রাফি কিন্তু আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। প্রত্যেকটা ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।
আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক অনেক ভালো লাগলো। খুব সুন্দরভাবে এলোমেলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। যেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে শুরু করে বাজার এবং অনুষ্ঠানের বেশ কিছু দৃশ্য দেখানোর চেষ্টা করেছেন। রেনডম ফটোগ্রাফি এমনিতে খুব পছন্দ করি কারণ এখানে অনেক কিছু দেখার সুযোগ মেলে।
খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। আপনার গ্রামের অপরূপ সুন্দরময় এই দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। আসলে সরিষা ফুলের দৃশ্য এই সৌন্দর্য গ্রামের দৃশ্যের মধ্যে শুটিং ও ভিডিও করে থাকে জানতে পেরে ভালো লাগলো।
বর্তি বিলের বিষয় আমার মনে পড়ছে আমাদের কমিউনিটির কারোর একজনের পোস্টে পড়েছিলাম।এই বর্তি বিলের দৃষ্টিনন্দন কিছু ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করেছেন আপনি।আসলেই এই গরমে যদি ক্রিস্পি চিকেন এর মতো ঝাল জিনিস খাওয়া হয় তবে নাক,কান,মাথা সব ঝালের ঠেলায় ভো ভো করবে হা হা হা।পান আমিও খেতে পারিনা,অসহ্য লাগে।যাইহোক সব ফটোগ্রাফি গুলিই দারুন হয়েছে দাদা।আর বর্ণনাও দিয়েছেন অতি উত্তম ভাবে।ফটোগ্রাফি সম্পর্কিত সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তির বিল নামটা শুনেছি। শীতের সময় খুবই সুন্দর থাকে পরিবেশ টা। চারিদিকে ফুল ফুটে আছে বেশ লাগছে দেখতে। ক্রিস্পি চিকেন ভেটকি মাছ বিরিয়ানি খাবার গুলো বেশ লোভনীয় লাগছে। পাশাপাশি মেলা থেকে করা ফটোগ্রাফি গুলোও সুন্দর ছিল। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে।।
গরমের সময় ঝাল খাবার খেলে কান যেমন গরম হয়ে যায় তেমনি চোখ একেবারে লাল হয়ে যায়। তবে খাবারটা কিন্তু বেশ লোভনীয় লাগছে দাদা। বর্তীর বিলের সৌন্দর্য দেখে অনেক ভালো লাগলো। বর্তীর বিলের কথা এর আগেও কয়েকজনের পোস্টে শুনেছিলাম। দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
দাদা জাস্ট অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। বর্তির বিলের অনেক ফটোগ্রাফি দেখেছিলাম বড় দাদা,ছোট দাদা এবং স্বাগতা বৌদির পোস্টের মাধ্যমে। যাইহোক দাদা-বৌদি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খাওয়ার ইচ্ছে আছে আমার। খাবার গুলো দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না দাদা। পরবর্তীতে কলকাতা গেলে অবশ্যই দাদা-বৌদি রেস্টুরেন্টে ঢুকবো। আপনার মতো আমিও পান খেয়ে কোনো স্বাদ পাই না। তবে মিষ্টি পান খেতে অনেকেই পছন্দ করে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা-বৌদি রেস্টুরেন্টের খাবারের ছবিগুলো দেখে একদম পেটের ভিতরে বেশ নড়াচড়া করে উঠলো ভাই, তাছাড়া বর্তির বিলের ছবিগুলোও বেশ ভালো লেগেছে।