পুঁইশাক এবং কচুরমুখী দিয়ে সাইটিং মাছের মজাদার রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল সাইটিং মাছ দিয়ে একটি তরকারি করেছিলাম। মাছটি পুঁইশাক আর কচুরমুখী একসাথে বেশ ভালো লেগেছিলো খেতে। সাগরের এই সাইটিংগুলোর স্বাদই আলাদা হয়ে থাকে ছোট হলেও। তবে এই মাছগুলোর মাংসল অংশ শক্ত হলেও তরকারিতে বা ভাজায় খেতে অসাধারণ লাগে। সাধারণত এই মাছগুলোকে কিন্তু অনেক সময় ইলিশের মতো ভর্তা করে খেতেও ভালো লাগে। আমি যদিও এই মাছ আগে কখনো ভর্তা করে খাইনি, কিন্তু গতকাল অল্প করে একটু ভর্তা করেছিলাম আর সাথে একটু লঙ্কা বেশি দিয়েছিলাম। খেতে অসাধারণ লেগেছিলো অর্থাৎ একটা ভিন্ন রকমের স্বাদ ছিল। যদিও আমার কাছে সবকিছুই খেতে স্বাদ লাগে হা হা। এই মাছটা আমার খুবই প্রিয় একটি মাছ বলা যায়, খেলেই যেন মনটা ভরে যায় আমার সত্যি বলতে। যাইহোক, এই সুস্বাদু মাছের রেসিপিটার এখন উপকরণসহ প্রস্তুত প্রণালীর দিকে চলে যাবো।


❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂

❣উপকরণ
পরিমাণ❣
সাইটিং মাছ
২ টি
পুঁইশাক
পরিমাণমতো
কচুরমুখী
১০০ গ্রাম
পেঁয়াজ
১ টি
রসুন
১ টি
কাঁচা লঙ্কা
৭ টি
গোটা জিরা
১ চামচ
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৫ চামচ
হলুদ
৪ চামচ
জিরা গুঁড়ো
২ চামচ


পুঁইশাক, কচুরমুখী, পেঁয়াজ, রসুন


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


✔এখন রেসিপিটা যেভাবে তৈরি করলাম---


✠প্রস্তুত প্রণালী:✠


➤কেটে রাখা সাইটিং মাছগুলোকে একবার ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে রেখেছিলাম। এরপর পুঁইশাকগুলো কেটে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

➤কচুরমুখীগুলোর খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে কেটে নিয়ে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে কেটে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে রসুনের কোয়াগুলো থেকে খোসা ছাড়িয়ে রেখেছিলাম।

➤সাইটিং মাছের পিসগুলোতে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে ভালো করে পিসগুলোর গায়ে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।

➤একটি কড়াইতে তেল দিয়ে সাইটিং মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মাছের পিসগুলো ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

➤মাছ ভাজার পরে কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে কচুরমুখী দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভাজা হয়ে আসলে তুলে নিয়েছিলাম।

➤এরপর কড়াইতে আরেকবার তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং একটু ভেজে নেওয়ার পরে তাতে পুঁইশাকের ডাঁটা দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤পুঁইশাক দেওয়ার পরে তাতে ভাজা কচুরমুখী দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কেটে রাখা পেঁয়াজ আর রসুন দিয়েছিলাম এবং পরে লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤এরপর স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং উপাদানগুলোর সাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

➤মিক্স করার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারিটা কিছু সময় ধরে জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।

➤জ্বাল দেওয়ার পরে সেদ্ধ কিছু কচুরমুখী তুলে নিয়েছিলাম এবং ভালো করে গলিয়ে নিয়েছিলাম।

➤এরপর তরকারিতে ভাজা মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে গলিয়ে রাখা কচুরমুখী দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিতে হাফ চামচ জিরা গুঁড়ো দিয়ে আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।

➤তরকারি ভালো মতো হয়ে আসলে নামানোর আগে আরেকটু জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম এবং পরিবেশনের জন্য মাছের তরকারি অল্প করে একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।


রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 9 months ago 

রেসিপিটি দারুণ হয়েছে দাদা। আপনি তো সাইটিং মাছ বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাচ্ছেন। ভালো লাগার কথা এই মাছ ভর্তা করে খেলে খুব ভালো লাগবে দাদা। আপনি কচুর মুখী এবং পুঁইশাকের ডাটা দিয়ে রান্না করলেন খেতে অনেক বেশি ভালো লাগবে। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন। প্রতিটি ধাপ আমার দেখতে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 months ago 

সাইটিং মাছের রেসিপি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। খুব লোভনীয় লাগছে। দাদা আপনার সাইটিং মাছ ভীষণ পছন্দ জানতে পারলাম। যদিও এই মাছ আমার খাওয়া হয়নি।তবে মাছটি দেখে খুব মজারই মনে হচ্ছে।আপনি এই মাছ পুঁই শাক ও কচুমুখি দিয়ে রান্না করলেন। খেতে খুবই মজার হয়েছে আশাকরি। ধন্যবাদ দাদা মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

পুঁইশাক আর কচুরমুখী দিয়ে অনেক মাছ রান্না করে খেয়েছি। কিন্তু দাদা এ পর্যন্ত সাইটিং মাছের নামটি আমি শুনিনি।। রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে দারুন একটি সুস্বাদু রেসিপি আপনি আজ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আর শেয়ার করা রেসিপিটি একটু ঝাল ঝাল হওয়াতে খেতেও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

যেকোনো মাছের ভর্তাই আমার খুবই ভালো লাগে। সাইটিং মাছের ভর্তা আমার কখনো খাওয়া হয়নি। এটিও নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু খেতে। আপনার আজকের রেসিপি টিও লোভনীয় লাগছে দেখতে। কচুর মুখী এবং পুঁইশাক দুটোই আমার বেশ পছন্দ। তবে এভাবে একসাথে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। দেখে বোঝাই যাচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

দাদা আপনি তো দেখছি আজকে বেশ ইউনিক একটা রেসিপি নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। পুঁইশাক এবং কচুর মুখী দিয়ে সাইটিং মাছের মজাদার রেসিপি আমার আগে কখনোই খাওয়া হয়নি। যার কারণে এই রেসিপিটা আমার কাছে একেবারে ইউনিক মনে হয়েছে। সত্যি কথা বলতে এই মাছের নাম আজকে আমি প্রথমবার শুনেছি বলে আমার মনে হচ্ছে। আপনার মাধ্যমেই এই মাছের সাথে আজকে পরিচিত হলাম দাদা। মাছটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা অনেক বেশি সুস্বাদু। অনেক মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখে আমার তো খুব লোভ লেগে গিয়েছে। পুঁইশাক এবং কচুর মুখী দুটোই আমার এমনিতে পছন্দের। যার কারণে এই দুটি দিয়েছেন দেখে আমার কাছে মনে হচ্ছে, রেসিপিটির আলাদা স্বাদ হয়েছিল। দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেটা দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা। রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি সুন্দর করে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আপনার পরবর্তী রেসিপি পোস্ট দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবেন।

 9 months ago 

আমিও এই মাছকে কখনো ভর্তা করে খাইনি। আর এই মাছটাকে মনে হচ্ছে এটি ঝাটকা ইলিশ। কচুর মুখি আমি বরাবরই খুব পছন্দ করি। কচুর মুখির ঝোল দিয়ে অনেকগুলো ভাত সাবাড় করে ফেলা যায়। তবে কচুর মুখি ও পুইশাকের ডাক একসাথে কখনো রান্না করেনি। একবার ট্রাই করে দেখতে পারি।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 9 months ago 

দাদা মুখে রুচি থাকলে সবকিছুই স্বাদ লাগে 😂। আপনার মতো আমার মুখেও সবকিছু স্বাদ লাগে, শুধু মুলা তরকারি ছাড়া। যাইহোক টুনা মাছ আমার ভীষণ পছন্দ। টুনা মাছ ভাজি করে খেতে এবং তরকারি রান্না করে খেতে দারুণ লাগে। পুঁইশাক এবং কচুরমুখীর সাথে টুনা মাছের কম্বিনেশনটা দারুণ হয়েছে। রেসিপির কালারটা এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। খেতেও মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। যাইহোক বরাবরের মতো আজকেও এতো চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

মাছের অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। আপনার রেসিপি আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমি মাঝেমধ্যে লক্ষ্য করি কচু দিয়ে আপনি বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করে থাকেন। এ জাতীয় রেসিপিগুলো আমার খুবই প্রিয়। যেখানে আজকে আপনি কচু পুঁই শাক আর মাছের সমন্বয়ে রান্নার কার্যক্রম করে দেখিয়েছেন। অনেক ভালো লাগলো সুন্দর এই রেসিপি উপস্থাপনা।

 9 months ago 

দাদা প্রথম থেকে আমরা দেখে আসতেছি যে আপনি সবসময় আননকম মাছের রেসিপি শেয়ার করে থাকেন। আজকে দেখলাম পুঁইশাক এবং কচুরমুখী দিয়ে সাইটিং মাছের মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার মনে আছে আপনি এই সাইটিং মাছ দিয়ে আরেকবার নতুন আরেকটি রেসিপি শেয়ার করেছিলেন। সাইটিং একটি সামুদ্রিক মাছ। আমাদের দিকে এই মাছটিকে সুরমা মাছ হিসাবে ডাকা হয়। আমরা সবাই জানি যে সুরমা বা সাইটিং সামুদ্রিক মাছ হওয়ার কারনে খেতে খুবই স্বাদ লাগে। আপনি ঠিকই বলেছেন এই মাছটি দিয়ে ভর্তা করলে খেতে দারুন লাগে। আমি কয়েকবার ভর্তা করে খেয়েছিলাম। আরেকটি বিষয় হলো পুইশাকের সাথে যে কোন মাছই খেতে অসাধারন লাগে। কথায় আছে,রান্না করতে জানলে যে কোন জিনিষই মজা। আর পুইশাকটা আমার কাছেও খুবই প্রিয় । এখানে আপনি পুইশাকের সাথে কচুরমুখী ব্যবহার করেছেন। এই সবজিটাও খেতে দারুন। কচুরমুখীর সাথে পুইশাক গুলো দেওয়ার কারনে রেসিপিটা অন্যরকম একটি স্বাদ লেগেছে। পদ্ধতি করে ঝোলটাও গাঢ় করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলোও ক্লিয়ার। ধন্যবাদ দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 59010.30
ETH 2515.57
USDT 1.00
SBD 2.45