একটি কাল্পনিক চিত্রাঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক - #0৭

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি আর্ট শেয়ার করে নেবো। আজকের এই আর্টটি একটি কাল্পনিক আর্ট। আর্টটি কল্পনার অন্তরালে একটি প্রাকৃতিক দৃশ্যকে তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। এই দৃশ্যটা আসলে মনের মধ্যে আজকে অনেক্ষন থেকে ঘুরপাক খাচ্ছিলো, তাই এটাকেই যতদূর যেভাবে মনে আসলো সেইভাবে করার চেষ্টা করলাম। মনের মধ্যে সারাক্ষন একটা বিষয় ঘুরপাক খেতে লাগলে আমার অস্বস্তি মতো লাগতে লাগে, যতক্ষণ না ওটাকে কোনো না কোনোভাবে সঠিক ভাবে রুপাইয়িত করতে পারছি। যাইহোক, এখানে এই প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে দিয়ে আমি সাধারণভাবে গ্রাম বাংলার কিছু বিষয় তুলে ধরেছি। যেমন এখানে প্রবাহমান একটি নদী বয়ে গেছে এবং সেখানে হাঁস সাঁতার কাটছে আবার বক মাছ খাওয়ার জন্য তাক করে বসে আছে। মোটামুটি বিষয়টা যতদূর সাজানো যায় সেইভাবেই সাজিয়েছি। আশা করি আপনাদের কাছেও আজকের এই অঙ্কনটি অনেক ভালো লাগবে। এখন মূল বিষয়গুলোর দিকে চলে যাবো।


☫উপকরণ:☫

আর্ট পেপার
বোর্ড
স্কেচ পেন্সিল
মার্কার পেন
কালার পেন্সিল
রাবার

✎এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো---

➤প্রথম ধাপে, মোটামুটি এক সাইডে একটি বাড়ি তৈরি করে নিয়েছিলাম এবং তার কিছুটা দূরে একটি বড়ো গাছের মতো দেখতে এঁকে দিয়েছিলাম। এরপর ঘরটির অপজিটে আরেকটু দূরে মাটির ঢিবির মতো দেখতে এঁকে দিয়েছিলাম এবং যেখানে গাছটি এঁকেছিলাম সেখানে পাশ বরাবর একটি প্রবাহমান নদীর মতো দেখতে শেপ দিয়ে রেখেছিলাম।

➤দ্বিতীয় ধাপে, সেই নদীতে একটি সাঁতারু হাঁস অঙ্কন করে দিয়েছিলাম এবং পরে পাশে একটি বক অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। এরপর একটি আগাছার মতো দেখতে তৈরি করে দিয়েছিলাম এবং শেষে মাটির ঢিবির আড়ালে অস্তগামী সূর্যের মতো দেখতে এঁকে দিয়েছিলাম।

➤তৃতীয় ধাপে, সব আঁকা সম্পন্ন হয়ে গেলে বিষয়গুলোতে মার্কার পেন দিয়ে কালী করে নিয়েছিলাম। এরপর মার্কার পেন দিয়ে নদীতে কিছু ফুল অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।

➤চতুর্থ ধাপে, কালার দিয়ে আকাশে গোধূলি বেলার দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলাম এবং অস্তগামী সূর্যটিকে কালার করে রক্তিম দৃশ্যে রূপায়িত করেছিলাম।

➤পঞ্চম ধাপে, মাটির ঢিবিতে কালার করে সম্পন্ন করে দিয়েছিলাম। এরপর গাছের পাতাগুলোতে কালার করে দিয়েছিলাম।

➤ষষ্ঠ ধাপে, গাছের সম্পূর্ণ বডিতে কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর যে বাড়িটি এঁকেছিলাম তার টিন শেডে কালার করে দিয়েছিলাম এবং দেওয়ালে কালার দিয়ে মাটির দেওয়ালের মতো তুলে ধরেছিলাম।

➤সপ্তম ধাপে, বাড়ির আশেপাশের সমস্ত জায়গা জুড়ে কালার করে সবুজতায় ভরিয়ে দিয়েছিলাম এবং গাছের গোড়ায় কিছু বড়ো বড়ো ঘাসের মতো দেখতে কালার করে এমনটা তুলে ধরেছিলাম।

➤অষ্টম ধাপে, নদীতে কালার দিয়ে জলের দৃশ্য তুলে ধরেছিলাম।

➤নবম ধাপে, নদীর উপরে অঙ্কিত ফুলগুলোতে কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর যেখানে আগাছার মতো এঁকেছিলাম সেখানে কালার দিয়ে ভূমির মতো বুঝিয়েছিলাম এবং সাথে আগাছাটিতে কালার করে দিয়েছিলাম।

➤দশম ধাপে, অন্তিম পর্যায়ে কিছু পাখির উড়ে যাওয়ার দৃশ্য এবং গাছের ডালে বসে থাকার দৃশ্যের মতো এঁকে দিয়েছিলাম।

আর্ট বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 last year 

আপনার আর্ট গুলো আমার কাছে বরাবরই খুবই ভালো লাগে।খুব সুন্দর একটি গ্রাম বাংলার দৃশ্য চিত্র অংকন করেছেন। দৃশ্যটি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এরকম গ্রাম বাংলার দৃশ্য গুলো দেখতে খুব সুন্দর দেখায়। আর্টের কালার কম্বিনেশন খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই দৃশ্যটির মধ্যে আমার কাছে হাঁস সাঁতার কাটার দৃশ্য এবং বক দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য থেকে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি আর্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

দাদা আপনি খুব সুন্দর একটি অঙ্কন করেছেন। সেই অংকটি দেখে গ্রামের অপরূপ সুন্দর্য চোখে ভাসছে। আসলে গ্রামবাংলার সুন্দর্য কথা বলে শেষ করা যাবে না।পানিতে হাস গুলো খুব সুন্দর ভেসে বেড়াচ্ছে এবং শাপলা ফুল সুন্দর ফুটে উঠেছে সবমিলিয়ে গ্রামের দৃশ্য অসাধারণ হয়েছে।আপনার আর্টের কালার কম্বিনেশন টাও চোখে পড়ার মতো অসাধারণ ছিল। অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি আর্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

দাদা আপনি তো দেখছি আজকে একেবারে গ্রাম বাংলার একটি দৃশ্য তুলে ধরেছেন। এই ধরনের গ্রাম বাংলার দৃশ্যগুলি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। যদিও আমি এখনো পর্যন্ত আর্ট এর ক্ষেত্রে পারফেক্ট নয়। কিন্তু তারপরেও চেষ্টা করি কিছু ম্যান্ডেলা আর্ট করার। তবে আপনার আজকে আর্ট দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। বিশেষ করে হাঁসগুলো নদীতে সাঁতার কাটছে এই দৃশ্যটা দারুন হয়েছে। কারণ গ্রামবাংলায় এইরকম হাঁস সাঁতার কাটতে অনেক দেখা যায়। তাছাড়া ঘরবাড়ি এবং গাছপালার সবকিছু মিলিয়ে একেবারে অপূর্ব একটা দৃশ্য তৈরি করেছেন। আপনার আর্টের হাত এমনিতেই অনেক ভালো লাগে। আজকেও ভীষণ ভালো লেগেছে।

 last year 

আরে বাহ দাদা, আপনার তো দেখছি এখন মনের মধ্যে আবার দৃশ্য ঘুরপাক খায়। আসলেই যদি মনের মধ্যে এরকম কোন কল্পনায় বিশ্বাসে তাহলে সেগুলো কিন্তু আঁকলেও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। তাই জন্যই তো দেখছি আপনি একেবারে গ্রাম বাংলার অসাধারণ একটি দৃশ্য তুলে ধরেছেন। আমি অনেক সময় চিন্তা করলে ওই চিন্তা অনুসারে আঁকার চেষ্টা করি। আর আপনার আকার গ্রামের দৃশ্যটা ভীষণ ফুটিয়ে তুলেছেন। দেখে মনে হচ্ছে যেন চোখের সামনে একটি গ্রাম দেখতে পাচ্ছি। যেখানে খুব সুন্দর একটি নদী রয়েছে। তার মাঝে আবার হাঁস সাঁতার কাটছে। আবার অনেক বড় একটি গাছ রয়েছে ‌‌। সবকিছু মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি করলেন। পরবর্তীতে নিশ্চয়ই আপনার কাছ থেকে আরও সুন্দর আর্ট দেখতে পাবো।

 last year 

দাদা আমি তো একেবারেই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম আপনার এই আর্টের দিকে। সারাক্ষণ একটা বিষয় মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকলে আমারও আপনার মতো অস্বস্তি লাগে। যতক্ষন না কাজটা সম্পূর্ণ করা হয় ততক্ষণ কিছুই ভালো লাগেনা। আপনার এই আজকের মাধ্যমে আপনি অনেক সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। গ্রামের এরকম একটা দৃশ্য যদি অংকন করা হয় খাতার মধ্যে তাহলে খুব ভালো লাগে। আর নদীর মধ্যে আপনি হাঁস এবং বক এঁকেছেন খুব সুন্দর করে। আসলে বাস্তবিক মনে হচ্ছে আপনার এই দৃশ্যটা দেখতে আমার কাছে। আর বাস্তবে এরকম দৃশ্যগুলো অনেক দেখা যায়। বেশিরভাগ গ্রামে দেখা যায় নদীতে হাঁস এবং বক একসাথে থাকতে। আর তারা মাছ খাওয়ার জন্য নদীতে থাকে। হাঁস যখন নদীতে সাঁতার কাটে সেই দৃশ্যটা অনেক বেশি মনোমুগ্ধকর লাগে। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর ছিল দাদা, আপনার আজকের আর্ট।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

কল্পনায় আটকে থাকা প্রাকৃতিক দৃশ্যটি শেষমেশ এঁকেই ফেললেন দাদা।আপনার মতো আমার মাঝেও এই রোগটি আছে কোন একটা কিছু মাথাতে ভর করলে সেটা না করা অব্দি যেনো স্বস্তি ই নেই।আপনার কল্পনায় থাকা প্রাকৃতিক দৃশ্যটি অসাধারণ ভাবে এঁকে ফেললেন যা দেখতে দারুন লাগছে।রঙ করা ছাড়াই খুব সুন্দর লাগছিল।আর কালার করার পর জীবন্ত হয়ে ফুটে আছে।প্রকৃতির এক সজীবতা যেনো ফুটে আছে আপনার আঁকাতে।অনেক ভালো লাগলো দাদা।প্রকৃতি সব সময় ভালো লাগে তা হোক সত্যি বা আঁকাতে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই দৃশ্যটি এঁকে শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

 last year 

দাদা আপনি খুবই সুন্দর একটা আর্ট করেছেন আজকে। এই আর্টটির মাধ্যমে আপনি খুবই সুন্দর একটা গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, যা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো আমার কাছে। হাঁসটি এবং বকটি মাছ খাওয়ার জন্য বসে আছে এখানে নদীর মধ্যে। দৃশ্যটির কালার কম্বিনেশনও অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে, যা দেখে সত্যি দাদা আমি অনেক বেশি মুগ্ধ হলাম। আপনি অনেক সুন্দর করে সম্পূর্ণটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। আপনার এই ধরনের নিখুঁত কাজগুলো অনেক বেশি সুন্দর হয়। আর নদীর পাশে ছোট্ট করে একটা গাছ দিয়েছেন, যেখানে পাতা ভর্তি রয়েছে। সেই গাছটা দেখতেও খুব ভালো লাগতেছে। দাদি আপনার কাছ থেকে পরবর্তীতেও এরকম আর্ট গুলো দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। দাদা আপনার দক্ষতার তার কোন তুলনা হয়।

 last year 

প্রিয় দাদা আপনি অসাধারণ সুন্দর একটি কাল্পনিক চিত্র অঙ্কন করেছেন। আপনার কাল্পনিক চিত্র অংকনটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার কাল্পনিক চিত্র অংকনের ক্ষেত্রে গোধূলি বেলার চিত্র অঙ্কনটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অসাধারণ সুন্দর একটি চিত্র অংকনের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

আর্ট কিংবা পেইন্টিং হলো আমাদের মনের কল্পনা। মনের কল্পনা থেকেই আমরা সব সময় দারুন দারুন চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি। কল্পনায় বিভিন্ন রকমের চিত্র এসে ভিড় করে। হয়তো মাঝে মাঝে সেই চিত্রগুলো বাস্তবে রূপদান করতে ভালো লাগে। সত্যি দাদা আপনার কল্পনার চিন্তাধারা থেকে এত সুন্দর ভাবে এই চিত্রটি অঙ্কন করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। গ্রামীণ প্রকৃতি আর গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মনে চাচ্ছে সেই সুন্দর গ্রামে গিয়ে ঘুরে আসি। আপনার অঙ্কন চিত্রটি দেখে কখন জানি কল্পনার জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম দাদা। কল্পনায় সেই সুন্দর জায়গাটিতে ঘুরে আসতে চেয়েছিলাম। সত্যি দাদা এত সুন্দর ভাবে রঙের ব্যবহার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার নিখুঁত হাতের কাজ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।😍😍

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 76781.75
ETH 3131.82
USDT 1.00
SBD 2.65