দশম ওয়ার্ম-আপ ম্যাচটি বেশ এক্সসাইটেডপূর্ণ ছিল
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। আমাদের ইন্ডিয়ায় এখন বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সবাই বেশ এক্সসাইটেড আছে কখন শুরু হবে। এমনিতেও এখন সবার মাঝে একটা করে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলা চলছে। এই ম্যাচগুলো অতটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও বিশ্বকাপ শুরুর আগে ঝালাই চলছে বলতে গেলে একপ্রকার যে, কার কেমন ফর্ম আছে। অনেক খেলা যদিও বৃষ্টির কারণে একদমই হচ্ছে না। গতকাল অস্ট্রেলিয়া আর পাকিস্তানের ওয়ার্ম আপ ম্যাচটি দেখেছিলাম। পাকিস্তানের সাথেও অস্ট্রেলিয়ার একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে ক্রিকেটে মোটামুটি। আর দুই টিম এর সব প্লেয়াররাও বেশ ভালো ফর্মে আছে। হায়দ্রাবাদের পিচটা একদম ব্যাটিং পিচ ছিল, আর এই মাঠে যে কাউকে যে কোনো রানে মোটামুটি টেক্কা দিতে পারে। যাইহোক, অস্ট্রেলিয়া গতকাল টসে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্নার বর্তমানে বেশ ভালো ফর্মে আছে যেটা গতদিনের ম্যাচ সহ আগের কয়েকটি ম্যাচেও ভালো খেলতে দেখা গিয়েছে। ভালো রান এবং ভালো স্ট্রাইক রেটও আছে তার ওপেনিং হিসেবে।
ওয়ার্নার আমরা সবাই জানি একজন মারপিটো প্লেয়ার, ওপেনে মোটামুটি একজন না একজন এইরকম প্লেয়ার থাকে, যেটা পাওয়ার প্লেতে রান গড়তে অনেকটা সহায়তা করে। আর ওয়ার্নার এই জায়গাটা মোটামুটি ভালো বজায় রাখে। গতকালকের ম্যাচটিতেও ওয়ার্নার এবং মার্শ বেশ ভালো ইনিংস খেলে। তবে ওয়ার্নার দুর্ভাগ্যবশত মাত্র দুই রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি থেকে পিছিয়ে পড়ে, গ্যাপ শর্ট দিতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে যায়। পরে স্মিথ এসে তেমন দাঁড়াতে পারেনি, সেও ক্যাচ আউট হয়ে যায় দ্রুত। মোটামুটি ১৫ ওভার পর্যন্ত বেশ ভালো দ্রুত রান রেট থাকে, কিন্তু মাঝে বিশেষ করে ২০ ওভারের পর থেকে রান রেট অনেকটা নিচে নেমে যায়। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল দারুন ইনিংস উপহার দেয় ওই মুহূর্তে। আর ম্যাক্সওয়েল এমন একজন প্লেয়ার যে, হাত খুলে গেলে আর রেহাই নেই, সেই ম্যাচে ৪ আর ৬ এর ব্যাটিং দেখা যায়। যদিও ম্যাক্সওয়েল বেশিরভাগ বাউন্ডারির ক্ষেত্রে দেখা যায় তো ৬ টা বেশিই মেরে থাকে,গতকালকের ম্যাচটাতেও তাই হয়েছে।
ম্যাক্সওয়েল এর একটা শর্ট বেশ ভালো লাগে যে, রিভার্স শর্টগুলো বেশ দারুন মারে, কারণ রিভার্স শর্টে ৬ মারা অনেকটা কঠিন ব্যাপার, আর ম্যাক্সওয়েল বেশিরভাগটাই স্পিনের ক্ষেত্রে এই শর্ট খেলে থাকে। মোটামুটি ৬ আর ৪ এর মাঝে ১০৮ স্ট্রাইক রেট নিয়ে দারুন ইনিংস খেলে আর রান রেট বেশ ভালো জায়গায় নিয়ে যায়। তবে তার এই ইনিংসে শতরান করার একটা চেঞ্জ ছিল, কিন্তু রিভার্স শর্টে ব্যাটের আগায় লেগে ক্যাচ আউট হয়ে যায়। এর পরে লাস্ট যে ১০ ওভার, খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক সেই সময়ে একদমই নতুন দুই ব্যাটসম্যান আর রান তখন ২৫০ এইরকম। এক্ষেত্রে রান ৩০০ পার হওয়াটাও তাদের জন্য একপ্রকার মুশকিল ছিল। কিন্তু লাস্ট ৫-৬ ওভারে গ্রীন আর জোশ যে মারটা মারলো তাতে যে রানটা আশা ছিল না, তার থেকেও বেশি হয়ে যায় অর্থাৎ ৩৫০ পার করে দেয়। এই রানের দিকে তাকিয়ে পাকিস্তানের বিষয়টা যদি ভাবা যায়, তাহলে তাদেরও এই রান চেজ করার ক্ষমতা আছে, কারণ তাদেরও বেশ ভালো ভালো ব্যাটসম্যান আছে। তবে একটা বিষয় দেখে অবাক লাগলো অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আর ফিল্ডিং খুবই বাজে ছিল, তাদের খেলা দেখে একটা বিষয়ই মনে হচ্ছিলো যেন, তাদের কাছে কোনো গুরুত্বই নেই এই ম্যাচের।
যদিও পাকিস্তান প্রথম থেকে ২০ ওভার পর্যন্ত তেমন ভালো খেলতেই পারেনি, আর এতে সবার মধ্যে একটা ধারণা চলে এসেছিলো যে পাকিস্তান এই রান চেজ করতে পারবে না। তবে ইফতিকার আর বাবর এসে ম্যাচের চেহারাই বদলে দিলো ১০-১৫ ওভারের মধ্যে। রান পুরো কন্ট্রোলে এনে ফেলে তারা। ম্যাচ হাতের বাইরে চলে যায় শুধু স্মিথ আর ওয়ার্নার এর কয়েকটা ওভারে, কারণ প্রত্যেক ওভারে ২০ করে রান দিয়েছে। যদিও ম্যাচ পুরোটা এনালাইসিস করলে দেখা যাবে, বাবর যদি শেষ অব্দি খেলতো তাহলে এই ম্যাচ আসলেই পাকিস্তান জিতে যেতো, আর সেটা ৫০ ওভার শেষ হওয়ার আগেই। কিন্তু বাবর রিটায়ার্ড হয়ে উঠে যায় মাঝ পথে। এরপরে ইফতিকারও আউট হয়ে যায়। তবুও যে রান করে দিয়েছিলো তাতে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা পাকিস্তানের ৮৫% ছিল। কিন্তু হাতে উইকেট অনেক শর্ট পড়ে যায় তাদের আবার। লাস্টে বেশ একটা এক্সসাইটেডপূর্ণ খেলা হয়েছে। ১৭ বলে ১৭ রান কিন্তু তার পরেও পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায়। এই রান সিঙ্গেলের উপর খেললেও ম্যাচ বেরিয়ে যেত, কারণ যে বল করছিল তা কোনো হার্ড ছিল না।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/779167798706438164.gif)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আজকেও আপনি অনেক সুন্দর করে একটা খেলা বিষয়ক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এক্সাইটেড পূর্ণ ম্যাচগুলো কিন্তু অনেক বেশি ভালো লাগে দেখতে। আপনি সব সময় আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে খেলা বিষয়ে পোস্টগুলো শেয়ার করেন, যেগুলো আমি সব সময় পড়ার চেষ্টা করি। ইন্ডিয়ার সবাই বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে বেশ এক্সাইটেড এটা শুনে অনেক ভালো লেগেছে দাদা। আসলে বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে এক্সাইটেড হওয়ার কথা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আর ফিল্ডিং খুবই বাজে ছিল, এটা জানতে পেরে আমার কাছেও অবাক লেগেছে দাদা। আসলে যে কোন ম্যাচের মধ্যে গুরুত্ব দিয়ে খেলা উচিত। আমার তো মনে হচ্ছে তাদের কোনো রকম গুরুত্ব নেই। ১৭ বলে ১৭ রান ছিল কিন্তু পাকিস্তান অলআউট হয়ে গিয়েছিল দেখছি। তবে যাই হোক দাদা আপনার পরবর্তী খেলা বিষয়ক পোষ্টটার জন্য অধীর আগ্রহে থাকলাম। এই খেলাটার রিভিউ সুন্দর করে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা এই ম্যাচটি আমি দেখেছিলাম। ম্যাচটি বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছিল। এমন ম্যাচ দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। অস্ট্রেলিয়ার ম্যাক্সওয়েল এর ব্যাটিং দারুণ উপভোগ করেছি। একের পর এক বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি হাঁকান ম্যাক্সওয়েল। পাকিস্তানের বাবর এবং ইফতেখার দারুণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। বিশেষ করে বাবরের ইনিংসটা এককথায় দুর্দান্ত ছিলো। তবে শেষের দিকে নওয়াজ ভালো ব্যাটিং করে। কিন্তু এতো সহজ সমীকরণ হওয়ার পরও পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা হেরে গিয়েছে। মূল পর্বের ম্যাচ হলে পাকিস্তান হয়তো ম্যাচটা জিতে নিতো। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করেছি সম্পূর্ণ ম্যাচটি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা খেলা আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আমি গত কালকের পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে যে দশম ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ হয়েছিল সেই খেলাটি আমি সম্পূর্ণভাবে দেখেছিলাম। খেলাটি দেখে বেশ ভালো লেগেছিল লাস্টের দিকে ভালো এক্সাইটিং ছিল পাকিস্তান জিতে যাওয়ার একটা ভাবছিল কিন্তু হেরে গেছে। তবে এবার বিশ্বকাপের খেলা গুলো খুব জমজমাট হবে কারণ রানের বন্যা বয়ে যাবে এই পিস গুলোতে।
দাদা দশম ওয়ার্ম-আপ ম্যাচটি বিবেচনা করে যা বুঝা যায় ,দ্বিতীয় পর্বে অস্ট্রেলিয়া তেমন গুরুত্ব দেয়নি। এক দিক দিয়ে রান বেশি আবার অন্যদিক দিক দিয়ে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ। তবে তারা প্রথম পর্বে ব্যাট করে দারুন একটি স্কোর গড়ে তুলে ছিল। পাকিস্তানের মত বোলারদের মেরে এত বড় রানের পাহাড় করা সত্যিই কষ্টকর ছিল। কিন্তুু যে দলে ওয়ার্নার আছে সে দলে ভরসা থাকে বেশি। কারন ওয়ার্নার খুবই বিশ্বস্ত একজন খেলোয়ার। এমন একজন খেলোয়ার রয়েছে টিম ইন্ডিয়াতে রোহিত শর্মা। এই দুই জনের খেলার ধরন,ব্যবহারে আমি মুগ্ধ। অস্ট্রেলিয়া দলে আরেকজন খেলোয়ার রয়েছে ম্যাক্সওয়েল। হাসঁতে হাসঁতে বাউন্ডারি মারে। দারুন ভাবে শর্ট মারে। পাকিস্তানও কিন্তুু দারুন খেলেছে। ইফতিকার আর বাবর নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে বলে আর রানে সমান করে দিয়ে গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি উইকেট শূণ্য হয়ে যাওয়ার কারনে খেলাটা আর জিততে পারে নি। যায়হোক আজকে শুরু হবে বিশ্বাকাপ মহাযজ্ঞের মূল খেলা। দেখা যাক কে কিভাবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারে। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আমার কাছে দারুণ লেগেছে আপনার এই পোস্টটি। আসলে খেলা সম্পর্কে আমার আগে একেবারেই কোন রকম ধারণা ছিল না, তবে আপনার খেলা বিষয়ক পোস্টগুলো পড়ে এখন খেলা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিতে পারি। আপনি অনেক সুন্দর করে খেলা বিষয়ক পোস্টগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেন, যার মধ্যে থেকে অনেক ধারণা নেওয়া যায়। এখন খেলা সম্পর্কে অনেক কিছু জানা রয়েছে। আশা করছি এভাবে যদি আপনার খেলা বিষয়ক পোস্টগুলো পড়া হয় তাহলে আরো অনেক কিছু জানতে পারবো। দ্বিতীয় পর্বে অস্ট্রেলিয়া তেমন কোন গুরুত্ব দেয়নি কেন এটা ঠিক বুঝলাম না। এরকম খেলা গুলোর মধ্যে বেশিরভাগ সময় এক্সাইটেড থাকা হয় কোন দল জয়ী হবে এটা নিয়ে। এখানে কিন্তু পাকিস্তানের জয়ী হওয়ার একটা ভাব ছিল। তবে অল উইকেট হওয়ার কারণে আর হয়নি কোন কিছু। শেষ পর্যন্ত দেখছি তারা হেরে গিয়েছিল। অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনার আজকের এই খেলা বিষয়ক সম্পূর্ণ পোস্টটা।
যদিও খেলা দেখা হয় না। তবে খেলাধুলা নিয়ে আপনার পোস্টগুলো পড়তে অনেক ভালো লাগে। দাদা আপনি দারুন একটি ম্যাচের রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বুঝতে পারছি ম্যাচটা অনেক উত্তেজনা পূর্ণ ছিল। প্রথমে তো আমিও ভেবেছিলাম পাকিস্তান হয়তো ভালো খেলতে পারবে না। ওয়ার্নার সত্যি একজন ভালো প্লেয়ার। ওয়ার্নার এবং মার্শ জুটি বেশ ভালো খেলেছে বুঝতে পারছি। অন্যদিকে পাকিস্তান প্রথম থেকে ২০ ওভার পর্যন্ত ভালো না খেললেও পরে কিন্তু বেশ ভালো খেলেছে।ইফতিকার ও বাবর ম্যাচটাকে জিতানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। সবশেষে ১৭ বলে ১৭ রানের টার্গেট এটা কিন্তু বেশ কঠিন ছিল দাদা। অনেক ভালো লাগলো এই স্পোর্টস রিভিউ পড়ে। দারুন একটি পোস্ট আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।