কেকের রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা মাসখানিক আগে করা ছিল, কিন্তু আজ দেবো, কাল দেবো করে করে গ্যালারিতে পড়ে ছিল। যাইহোক, এই রেসিপিটা ছিল কেকের। আগে এক তারিখ বলেছিলাম যে তাল দিয়ে এখনো কিছু আইটেম তৈরি করা হবে আর তার মধ্যে এই কেকের রেসিপি একটা। তাল দিয়ে তৈরি কেকের স্বাদই আলাদা। তাছাড়া কেকে বিভিন্ন ভাবে ডেকোরেশন করে করলে আরো খেতে বেশ স্বাদের হয়ে থাকে। তবে এই কেকটা নরমালি তৈরি করা। কেকটা মা তৈরি করেছিল, তবে কেক তিনবার তৈরি করা হয়েছে এই নিয়ে তাল দিয়ে, কারণ প্রথম দুইবার একদমই ভালো হয়নি, কিন্তু শেষবারেরটা দেখলাম ভালো ফুলেছে আর খেতেও ভালো হয়েছিল। তালের তৈরি যেকোনো জিনিস তৈরি করে খেতে অনেক ভালো লাগে, আর এর থেকে ভালো ভালো উপকারিতাও পাওয়া যায়। যেহেতু আগের একটি পোস্টে এর উপকারিতা সম্বন্ধে বলে দিয়েছিলাম, তাই এখানে আবার নতুন করে কিছু বলছি না। এখন আর কথা না বাড়িয়ে এই কেকটার প্রসেস সমূহের দিকে চলে যাবো।
✠প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:✠
✔এখন তৈরির ধাপসমূহ নিচের দিকে তুলে ধরবো---
☀প্রস্তুত প্রণালী:☀
❖তালের খোসা প্রথমে ছালিয়ে নিতে হবে এবং আঁটিগুলো থেকে শাঁস ঘষে ঘষে বা চেপে বের করে নিতে হবে। সব শাঁস বের করা হয়ে গেলে একটি বাটিতে তুলে রাখা হয়েছিল।
❖এরপর চিনি যতটুকু নেওয়া হয়েছিল সেটি মিক্সারে করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এরপর ডিমটিকে একটি পাত্রে ফাটিয়ে নিতে হবে।
❖এরপর সেই পাত্রে গুঁড়ো করে রাখা চিনি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং পরে তাতে গুঁড়ো দুধ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
❖দুধ দেওয়ার পরে তাতে বাটার দিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং সব একবার মিশিয়ে নেওয়ার পরে তাতে খাবার সোডা দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
❖এরপর তাতে ব্যাকিং পাউডার দিয়ে ভালোভাবে আরেকবার মিক্স করে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে তালের বের করে রাখা শাঁসটুকু দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖এরপর আবার মিক্স করার পরে তাতে ময়দা দিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং সবকিছু ভালোভাবে ব্যাটার তৈরি করে নেওয়া হয়েছিল।
❖একটি বাটিতে ১ চামচ তেল দিয়ে গায়ে মাখিয়ে নিতে হবে এবং তাতে অল্প করে ময়দার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে হবে।
❖এরপর পাত্রের থেকে ব্যাটারটা ওই বাটিতে ঢেলে নিয়েছিলাম। এরপর একটি কড়াই চুলার উপরে বসিয়ে দিয়ে তাতে লবন দিয়ে একটু গরম করে নিয়েছিলাম।
❖এরপর তার উপর বাটিটা বসিয়ে ঢেকে দিয়েছিলাম এবং কম বেশি আঁচে মিলিয়ে ৪৫ মিনিটের মতো তাপে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
❖এরপর কেকটা ঠিকঠাক তৈরি হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়েছিলাম।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
তালের পিঠা এবং তালের বড়া অনেক খেয়েছি,কিন্তু তালের কেক কখনো খাওয়া হয়নি। আন্টি তো চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছে। প্রথম দুই বার ব্যর্থ হলেও, তৃতীয় বার কিন্তু কেকটা আসলেই খুব সুন্দর হয়েছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। আসলে যেকোনো জিনিস কয়েকবার চেষ্টা করলে অবশ্যই সফল হওয়া যায়। বিকেলের নাস্তার জন্য পারফেক্ট একটা রেসিপি। এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করবো দাদা। কারণ কেক আমার খুব পছন্দ। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই সেই তালের কেক।দেখতে কি সুন্দর হয়েছে।মন চাইছে কেটে এক টুকরো খেয়ে নেই।দাদা কেটে ছবি তুলতেন।ভেতরটা আরো সুন্দর দেখতে লাগতো।আসলে তাল থেকে রস বের করা কঠিন কাজ।আন্টি অনেক কষ্ট করে কেকটি করেছেন।তাই কেকটি বেশি মিষ্টি হয়েছিল।আমার কেকটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আমি কখনও তাল দিয়ে কেক বানাইনি।আশাকরি তৃতীয়বারের কেকটি সবাই খুব মজা করে খেয়েছেন।আন্টি তাল থেকে রস বের করে সেই রস দিয়ে কেক করে দিয়েছেন।খুব সময় ও কষ্টের কাজ করেছেন।আমার তরফ থেকে আন্টির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন পৌঁছে দেবেন দাদা।🥰 আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ দাদা রেসিপিটি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি।কেক ছোট বড় সবারই খুব পছন্দের। কয়েকদিন আগে তালের কেক তৈরি করেছিলাম খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপনার কেকটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার এই কেক দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার এই কেকটি মনে হচ্ছে খেতে অনেক স্বাদে হয়েছে। তবে এত সুন্দর একটি কেক তৈরি করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জী দাদা আগের একটি পোষ্টে আপনার বিভিন্ন ফটোগ্রাফি দেখতে গিয়ে তালের কেকের রেসিপি সম্পর্কে কিছুটা জেনেছিলাম। আজকে তার বাস্তব প্রমান দেখলাম। একটি কথা হলো একবার না পারিলে দেখো শত বার। আপনারা প্রথম দুইবার ফেইল হলেও তৃতীয়বার পাশ করেছেন। তালের কেকটি সত্যি অসাধারন হয়েছে। প্রথম দেখায় বুঝার উপায় নেই যে এটি একটি তালের কেক। আপনি যদি না বলতেন তাহলে কেউ বুঝতে পারতো না। কয়েকদিন আগে আমাদের একজন কলিগের শ্বাশুড়ি আমাদের জন্য তালের পিঠা বানিয়ে পাঠিয়েছিল। দারুন মজা করে খেয়েছিলাম। তাদের বাড়ি আবার বরিশাল। ঐ এলাকায় প্রচুর তাল গাছ আছে। আমাদের এলাকায় তেমন তাল গাছ নেই। ধীর ধীরে তাল গাছ আর খেজুর গাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। যায়হোক আপনার আম্মুর হাতের তালের কেকের মধ্যে আমরাও কিন্তু ভাগ পায়। এই কেকের ভাগতো আর পাবে না। কারন সেটা আপনারা শেষ করে ফেলছেন। পরের বার বানালে আমাদের কে না দিয়ে খাবেন না,হি হি হি। ধন্যবাদ।
তাল ডিম চিনি দুধ এর সমন্ধে খুব সুন্দর একটি কেক তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই অসাধারণ একটি ইউনিক রেসিপি দেখে মুগ্ধ হলাম। বেশ ভালো লাগলো। আশা করি বেশ সুস্বাদু ছিল আপনার এ নতুন রেসিপি টা।
এক মাসের আগে করা রেসিপি হলেও দাদা তালের যেকোন জিনিসই খেতে মজা লাগে। তালের কেক আরও মজা। তিনবারের চেষ্টায় ভালো হয়েছে দাদা।
দাদা, আপনি ঠিকই বলেছেন তালের তৈরি যে কোন খাবার খেতে খুবই মজার হয়। আমার কাছে তো তালের তৈরি খাবারগুলো বেশ পছন্দের। বিশেষ করে তালের তৈরি খাবারগুলো খেতে, তালের একটা আলাদা ফ্লেভার পাওয়া যায়, যা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যাই হোক দাদা, আজ আপনি তাল দিয়ে খুব সুস্বাদু করে তালের কেকের রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার আগে কখনো তালের কেক খাওয়া হয়নি। তাই আপনার তৈরি তালের কেক দেখে খাওয়ার ভীষণ লোভ হচ্ছে। মনে হচ্ছে বাজার থেকে তাল কিনে নিয়ে এসে, আপনার রেসিপি অনুসরণ করে, তালের কেকের স্বাদ গ্রহণ করি। বাজারে এখনো তাল রয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই, যদি পেয়ে যাই, তাহলে অবশ্যই দাদা, আপনার রেসিপি অনুসরণ করে তালের কেকের মজার রেসিপিটি ট্রাই করে দেখব। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা, খুব ইউনিক ও মজার তালের কেক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দাদা,আজ -কাল করতে করতে আপনি রেসিপিটা দিয়েই ফেললেন।অনেকসময় মাসখানেক আগের রেসিপিগুলিও জমে থাকে ফোনে কিন্তু সময়ের জন্য করা হয়ে ওঠে না।যাইহোক আপনার রেসিপিটি চমৎকার হয়েছে, আমার তো দেখেই খেতে মন চাইছে।একদম পারফেক্ট কেক তৈরি করেছেন।কালারটি অসম্ভব সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে।দারুণ ফুলে উঠেছে ,হয়তো তিনবারের বার আপনার মা পুরোপুরি কেক তৈরিতে সফল হয়েছেন।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে রেসিপিটি দাদা।তাল দিয়ে তৈরি করা কেক খেতে খুবই মজাদার হয়,আর কাকিমার হাতে বানানো মানে আরো সুন্দর হবে নিশ্চিতরূপে।ধন্যবাদ দাদা,ভালো থাকবেন।