আলু, পটল, চিচিঙ্গা এবং টমেটো দিয়ে একটা নিরামিষ রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। গতদিন দুপুরের দিকে আমি কয়েকটি সবজির সমন্বয়ে একটা ঘন্ট রেসিপি তৈরি করেছিলাম। তবে একে এক তরফা ঘন্ট না বলে ভাজাও বলা যেতে পারে। কারণ এই রেসিপিটা না ঘন্ট আর না ভাজি অর্থাৎ দুইটার মাঝামাঝি হয়েছে। এই সবজি গুলোর মধ্যে আসলে পটল আর চিচিঙ্গা একটু শুকনো শুকনো মতো হয়ে গেছিলো। মাঝে একদিন পটল রান্না করেছিলাম কিন্তু এইগুলো তারও আগে আনা ছিল, কিন্তু মনে ছিল না, ফলে অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় এই অবস্থা। আমি আসলে বাজারের থেকে কোনোকিছু কিনতে গেলে একবারে অনেক করে কিনে নিয়ে আসি সে সবজি হোক আর মাছ, কারণ বারবার কিনতে যেতে ইচ্ছা হয় না বাজারে। আর এই বেশি বেশি কিনে আনার ফলে এই ভুলটা হয়ে যায়, একসাথে এনে প্যাকেট প্যাকেট ওইভাবেই না দেখে ফ্রিজে ঢুকিয়ে দেই। আর একদম নিচের দিকে যে সবজিগুলো পড়ে যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমি ওই ভুলেই যাই। এখন যদিও এই চিচিঙ্গার সিজন না, তাই বাজারে একপ্রকার এই সবজি সচরাচর দেখা যায় না বললেই চলে। তবে এই সবজি এমনিতেও কিন্তু ১২ মাস লাগানোও যায় বাড়িতে বিশেষ করে। আর এখন এইগুলো বাজারে যদিও মাঝেমধ্যে খুবই কম বিক্রেতার কাছে দেখা যায় যা আগের স্টকের তা নিয়ে আসে।

আমি একদিন সকালে হাঁটতে গিয়েছিলাম তখন আমাদের এখানে কোর্টের মাঠ নামক একটা স্থানে বাজার বসে সকালের দিকে আবার কোর্টের সময় হয়ে গেলে বাজারটা উঠে যায় দ্রুত। আমি যদিও সকালে হাঁটতে কখনো যাই না অর্থাৎ যাওয়ার সময় করতে পারিনা, কারণ রাত ৩ টা কি ৪ টার দিকে শুতে গিয়ে আর মনে হয় না অতো সকালে উঠি। এটা সেই এক সপ্তাহ আগের কথা, আমার মামা ফোন করে বললো চলো সকালে একটু কোর্টের মাঠের দিক থেকে বাজার করে আসি, আমিও বললাম ঠিক আছে চলো। সকাল ৬ টার দিকে বেরিয়ে পড়লাম আর হাঁটতে হাঁটতে কোর্টের মাঠে গিয়ে দুই পাক দৌড় দিলাম কিন্তু আমার শুয়ে-বসে এমন অবস্থা হয়েছে যে দুই পাক দিয়ে মনে হচ্ছিলো আমি আজকে এখানেই শেষ 😅। যাইহোক খানিক্ষন রেস্ট নিয়ে বাজারের দিকে গেলাম আর বাজার করতে করতে দেখলাম একটা বয়স্ক লোক এক পাশে চিচিঙ্গা নিয়ে বসে আছে অন্যান্য সবজির সাথে। আমিও দেখে নিবো কি নিবো না করতে করতে কিছু কিনেই নিয়েছিলাম শেষমেশ।

তো এখন সবজিগুলোর এমন অবস্থা হয়েছিল যে কোনো তরকারিতে দিলে একদমই ভালো লাগবে না, প্রায় দুই সপ্তাহের উপরে যাওয়ার মতো হয়েছে তরকারিগুলো। তাই কি করা যায় করতে করতে ভাবলাম কিছু না কিছু করতে হবে যাতে ভালো লাগে খেতে। তখন সাথে টমেটো জুড়ে দিলাম আর একটু ঝাল ঝাল করে ঘন্ট করার চিন্তা করলাম। টমেটো দিয়েছিলাম কারণ একটা আলাদা ফ্লেভার পাওয়া যাবে। মূলত টমেটোটা দেওয়ার জন্যই কিন্তু ভালো লেগেছিলো নাহলে আর খাওয়া লাগতো না, নষ্টই হতো। যাইহোক অনেক গল্প হলো এখন মূল পর্বের দিকে যাই।


❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂

✦উপকরণ
পরিমাণ✦
চিচিঙ্গা
২ টি
পটল
৭ টি
আলু
৩ টি
টমেটো
১ টি
কাঁচা লঙ্কা
১০ টি
গোটা জিরা
পরিমাণমতো
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৩ চামচ
হলুদ
২.৫ চামচ


চিচিঙ্গা, পটল, আলু, টমেটো


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ


✔এখন এই রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---


❆প্রস্তুত প্রণালী:❆


❖আলুগুলোর প্রথমে খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং একদম ছোট ছোট করে কেটে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।

❖পটলের খোসাগুলো প্রথমে ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং পটলও আলুর মতো খুব ছোট ছোট করে সব কেটে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

❖আলু-পটলের পরে চিচিঙ্গা দুটিকেও খুব ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর টমেটোটি কেটে কয়েকটি পিচ করে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

❖একটি কড়াইতে সরিষার তেল দেওয়ার পরে তাতে ছোট ছোট করে কেটে রাখা পটলের পিচগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালোভাবে ভাজা মতো করে তুলে নিয়েছিলাম।

❖পটল ভাজতে ভাজতে অন্য আরেকটি কড়াইতে তেল দিয়ে আলুর ছোট ছোট পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাতে হালকা একটু হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালোভাবে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

❖ভাজা হয়ে গেলে কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। জিরাগুলো একটু ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে কেটে রাখা চিচিঙ্গা এবং লঙ্কাগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖চিচিঙ্গা এবং লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে ভেজে রাখা পটল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা আলু এবং টমেটোগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖টমেটো দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব একসাথে উল্টেপাল্টে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

❖মিক্স করার পরে তাতে জল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং কড়াইটি কিছুক্ষন ঢেকে রেখে দিয়েছিলাম সবজিগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়ার জন্য।

❖সবজিগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেলে ঢাকনাটা তুলে নিয়েছিলাম। এরপর ঝোলটা কমে আসার জন্য দেরি করলাম আরো কিছুক্ষন ফুল আঁচে দিয়ে।

❖ঝোলটা একেবারে কমে গেলে আঁচ কমিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে খুন্তি দিয়ে নেড়েচেড়ে সবজিগুলো একটু গলিয়ে দিতে লাগলাম, তবে পুরোপুরি সবজিগুলো গলিয়ে দেইনি।

❖মাঝে মাঝে নেড়েচেড়ে এবং উল্টেপাল্টে দিতে দিতে আমার সবজির রেসিপিটা তৈরি হয়ে গেছিলো এবং আমি আঁচটা নিভিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago (edited)

দাদার এমন ভুলা মনের জন্য কি করা যায় ,তাই ভাবছি। আসলে ওজন বেড়ে তারপর বয়সের জন্য সামান্য দৌড় জাফ দিলেই অনেক টায়ার্ড লাগে। যাই হোক ভাজার ভ আর ঘন্ট এর ন্ট এই দুই মিলে আজ আপনার রেসিপি হয়েছে ভন্ট 😜😜.আসলে মাঝে মাঝে অনেক সবজি কিনে ফ্রিজে রেখে দিলে নিচের গুলোর কোন খবর থাকে না। তাই হোক মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। সব সবজির সমন্বয়ে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ

 2 years ago 

বাজার ভ আর ঘন্ট এর ন্ট এই দুই মিলে আজ আপনার রেসিপি হয়েছে ভন্ট 😜😜

😅যাইহোক, একটা তো হয়েছে আর পেটের মধ্যেও গেছে😁 । নাহলে তো সব ঘরের বাইরে ফেলতে হতো।

যাই হোক ভাজার ভ আর ঘন্ট এর ন্ট এই দুই মিলে আজ আপনার রেসিপি হয়েছে ভন্ট 😜😜

এত বুদ্ধি কই রাখেন আপনি। আমাকে একটু ধার দেন তো। যদি আপনার বুদ্ধিটা নিয়ে সরকারি চাকরিটা পেয়ে যাই।🤣

 2 years ago 

আমাদের বাসার পাশেই কাঁচাবাজার রয়েছে, যার কারণে আমরা বাজার থেকে টাটকা টাটকা সবজি কিনতে পারি। দাদা আজকে আপনার এই নিরামিষ রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হয়েছে এবং এটি খুবই পুষ্টিকর। আর শীতকালে এরকম নিরামিষ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আলু-পটল চিচিঙ্গা ও সাথে টমেটো দিয়ে মজাদার নিরামিষ রেসিপি তৈরি করেছেন। এই নিরামিষ রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবি সুস্বাদু হয়েছিলো। সত্যি দাদা আপনার এই রেসিপির পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। তাই দেখে শিখে নিলাম, পরবর্তীতে আমি নিরামিষ রেসিপি তৈরি করবো ইনশাল্লাহ। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

দাদা সবজির মধ্যে টমেটো আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে,যে কোনো রান্নায় টমেটো দেয়া যায় আর আলাদা একটা টেস্ট পাওয়া যায়। তবে আজকের রেসিপি কিন্তু অনেক ভালো লেগেছে। আর রান্না শেষে অনেকটাই শুকিয়ে গেছে। একদম ভাজা ভাজা।

 2 years ago 

টমেটোর একটা আলাদা স্বাদ আছে, এটা যেকোনো কিছুতে দিলে স্বাদটা ভালো আসে তরকারিতে।

 2 years ago 

আমাদের এখানে আমরা প্রায় প্রতিদিনই টাটকা সবজি পেয়ে থাকি এজন্য বাজার করে ফ্রিজে রাখা হয় না তেমন একটা কাঁচা বাজার। সব ধরনের সবজির মিশ্রণে মজাদার একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন এমন রেসিপি আমার খুবই ফেভারেট যেমন খেতে মজাদার তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর।। প্রস্তুত প্রণালী খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হবে।।

 2 years ago 

দাদা মাঝে মাঝে এই ধরনের নিরামিষ রেসিপি খেতে আমিও খুবই পছন্দ করি। যেটার স্বাদ মোটামুটি ভালই আপনি একবারে অনেক দিনের বাজার করেন সেজন্যই হয়তো এটা হয়েছিল দাদা। যাই হোক অবাক হলাম তিনটা চারটার দিকে ঘুমাতে যান আবার একদিন সকালে মায়ের সাথে বাজার করতে গিয়েছেন। অনেক ভালো ছিল আপনার রেসিপি তৈরি।

 2 years ago 

ভাই আপনি চিচিঙ্গা, আলু, টমেটো পটল দিয়ে খুব সুন্দর নিরামিষ রান্না করেছেন। আমার কাছে কিন্তু মাঝে মাঝে নিরামিষ খেতে খুবই ভালো লাগে। সবসময় মাছের তরকারি খেতে খেতে একটা সময় বিরক্ত চলে আসে। আপনি ঠিক বলেছেন দাদা টমেটো দিলে তরকারি তে অন্যরকম একটা ফ্লেভার আসে যার কারণে খেতে খুবই ভালো লাগে।

 2 years ago (edited)

দাদা আপনার কাছে প্রথমে একটা প্রশ্ন পটলের ও চিচিঙ্গার খোসা ছাড়ালেন কি করে? এদের চেহারা যা হাল হয়েছে তাতে করে খোসা ছাড়ানো যে কতটা ঝামেলার ছিল সেটা বুঝতেই পারছি। আসলে টাটকা সবজিগুলো খোসা ছাড়ানো খুব সহজ। তবে শুকিয়ে যাওয়া সবজির খোসা ছাড়ানো আসলে অনেক দক্ষতার ব্যাপার। মাঝে মাঝে সবজি ফ্রিজে থাকতে থাকতে একেবারে শুকিয়ে যায়। মনে হয় যেন না খেতে পেয়ে নিজের শরীর ছেড়ে দিয়েছে। আমাদের মত অবস্থা হয়েছে🤭। শুয়ে বসে থাকতে থাকতে আমরা যেমন ক্লান্ত হয়ে যাই আর কি😅। আমি যখন বাসায় যাই তখন ছোট বোনরা বলে চলো সকালবেলায় ব্রাশ করতে করতে একটু হেঁটে আসি। আমার তো ঘুমই ভাঙ্গে না বাইরে হেঁটে আসা তো দূরের কথা। আপনি তবুও দু-এক পাক দিয়েছেন দাদা। এই সবজিগুলোতে টমেটো দেওয়াতে সত্যি ভালো হয়েছে। টমেটো দিলে আলাদা রকমের ফ্লেভার আসে।

 2 years ago 

দাদা আপনার কাছে প্রথমে একটা প্রশ্ন এবং পটলের ও চিচিঙ্গার খোসা ছাড়ালেন কি করে?

সে যে আর কি বলি, অনেক কষ্টে ছাড়িয়েছি। নরম হয়ে গেলে ছাড়ানো ঝামেলা বড্ড। আর আমি তা বটিতে করে সবজি তেমন কাটিনা, সব ছুরি আর কাটার দিয়ে কাজ চালাই, এতেই দ্রুত হয় আমার কাছে।

 2 years ago 

আমি আবার সবজি বটি দিয়ে কাটি। কাটার দিয়ে কাটতে অভ্যস্ত নই। এবার থেকে তাহলে চেষ্টা করতে হবে।

 2 years ago 

অবশ্য চিচিঙ্গার শারীরিক অবস্থা দেখেই বুঝা যাচ্ছে এগুলো কতটা আগের। দাদা আমিও বাজারে গেলে একসাথে অনেক বাজার করে নিয়ে আসার চেষ্টা করি। যাতে বারবার বাজারে যেতে না হয় এটা এক ধরনের আলসেমি বলা যেতে পারে। তবে আমি হলিরে এই চিচিং গুলো এত সুন্দর ভাবে সিস্টেম করে রান্না করতে পারতাম না। এ ধরনের শুকনো ভাজি রেসিপি গুলো গরম গরম ভাত দিয়ে খুটে খুটে খাওয়ার মজাই আলাদা। মাঝে মাঝে নিরামিষ তরকারি খেতেও ভালো লাগে । চিচিঙ্গা গুলো রান্নার আগেই যদিও কিছুটা শুকনো লাগছে কিন্তু রান্নার পর বেশ টকটকে তাজা মনে হচ্ছে।

 2 years ago 

এক সাথে বাজার করে রাখাই ভালো। তবে বেশিদিন ধরে সবজি ফ্রিজে রাখাটাও ঠিক না। চিচিংগা, পটল দেখেই বুঝা যাচ্ছে, একদম কুচকে গেছে মনে হচ্ছে। যদিও চিচিংগার সিজন এখন নয়! তবে এটা মোটামোটি আমাদের দিকে সবসময় বাজারে পাওয়া যায়। যায়হোক, টমেটো দেয়াতে খেতে মজা হয়েছে নিশ্চয় দাদা!

 2 years ago 

দাদা ছেলে মানুষের এই একটি সমস্যা বাজারে গিয়ে একবারে বেশি করে বাজার করে নিয়ে আসে। আমাদের বাসার সেম অবস্থা হয়। এত সবজি একবারে আনে যে রান্না করে খেতে খেতে কিছু সবজি নষ্ট হয়ে যায়। অথবা আপনার মত ভুলে যাই আমি।
নিয়মিত হাটাহাটি না করলে হঠাৎ করে হাঁটতে গেলে এমনই অবস্থা হয় । একটু হাটার পরে খুব খারাপ লাগে শুরু করে। দাদা আপনার পটলগুলো দেখছি একেবারেই শুকিয়ে গিয়েছিল । যাই হোক টমেটো দিয়ে যদিও ঘন্টর স্বাদ ফিরিয়ে এনেছেন । তাছাড়া চিচিঙ্গা গুলো কেন ভেজে নিলেন না দাদা? আপনি তো সবকিছুই ভেজে রান্না করেন। যাই হোক এভাবে বিভিন্ন ধরনের সবজি একসঙ্গে মিশে রান্না করে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।

 2 years ago 

তাছাড়া চিচিঙ্গা গুলো কেন ভেজে নিলেন না দাদা?

একবার ভেবেছিলাম করবো, কিন্তু দেখলাম বাকিগুলো তো ভাজলাম তাই এটা আর না ভাজি, একবারে সিদ্ধ করে নেবো। আর পটলও ভাজতাম না কিন্তু এইটা বেশি শুকিয়ে গেছে তাই সিদ্ধ হয় কিনা এই ভেবে ভেজে নিয়েছিলাম আগে, শুকিয়ে গেলে দ্রুত সিদ্ধ হতে চায় না । চিচিঙ্গাটাও সহজে সিদ্ধ হচ্ছিলো না, সময় লেগেছে খানিকটা সিদ্ধ করতে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58430.93
ETH 2504.31
USDT 1.00
SBD 2.39