রেসিপি :- ফুলকপির ভর্তা রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব তালের বড়া রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
ভর্তা খেতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো কিছুর ভর্তা খেতে খুবই পছন্দ করি। তাছাড়া ভর্তা হলে গরম ভাতের সাথে আর কিছুই লাগেনা। এজন্য বাড়িতে যখন ফুলকপি এনেছিল আমি তখন ঠিক করেছিলাম ফুলকপির ভর্তা তৈরি করব। কারণ এটা আমি আগেও খেয়েছিলাম। আমার কাছে কিন্তু অসাধারণ লাগে। তাই জন্য আমি ফুলকপির ভর্তা তৈরি করে ফেলেছি। আসলে এটা যে কত মজা হয়েছে সেটা খেলেই বোঝা যায়। তাছাড়া আমি গরম ভাতের সাথে অন্য কিছু না নিয়েই শুধু ভর্তা দিয়ে খেয়েছি। ভীষণ মজা হয়েছিল খেতে। আশা করি রেসিপিটা দেখতে আপনাদের ভালো লাগবে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ফুলকপি | অর্ধেক অংশ |
আলু | 2 টা |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
কাঁচামরিচ কুচি | ২ টেবিল চামচ |
ধনিয়া পাতা কুচি | ২ টেবিল চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
সরিষার তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি ফুলকপি এবং আলু গুলোকে টুকরো করে কেটে নিলাম। এরপরে পরিষ্কার করে একটি পাতিলের মধ্যে দিয়ে তার মধ্যে পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরের মধ্যে হলুদের গুড়া এবং লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিব।
ধাপ - ৩ :
সিদ্ধ করা হয়ে গেলে এরপরে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম। এগুলোকে পানি সরতে রেখে দিলাম। এরপরে পানি সরে গেলে সেদ্ধ করা ফুলকপি এবং আলু গুলোকে হাত দিয়ে মেখে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর আমি চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিলাম। এরপর এরমধ্যে সরিষার তেল দিয়ে দিলাম। এরপরে পেঁয়াজ কুচি,, রোসনবাটা রোসনবাটা এবং কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপরে আমি এর মধ্যে মত লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে ভেজে নিব।
ধাপ - ৬ :
এরপরে এর মধ্যে মেখে রাখা ফুলকপি এবং আলু দিয়ে দিলাম। এগুলোকে দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে ভেজে নিব।
ধাপ - ৭ :
এরপরে এরমধ্যে ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে আরো ভালোভাবে কিছুক্ষণ ভেজে নেব। এরপর হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিব।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
ভর্তা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। তবে কখনো ফুলকপির ভর্তা খাওয়া হয়নি। আজকে আপনার কাছে নতুন একটি রেসিপি শিখলাম। মনে হচ্ছে গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন লাগবে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনি আমার কাছ থেকে নতুন শিখেছেন জেনেই ভালো লাগলো।
https://twitter.com/TASonya5/status/1743488519820153095?t=Qez3sacxeHp5MVC8TmKTSQ&s=19
আপনার কাছে খুবই উননিক একটা রেসিপি শিখলাম। ফুলকপির যে ভর্তা খাওয়া যায় এটা আমার জানা ছিল না আপু।শিখে রাখলাম এই দারুন রেসিপিটি কোন এক সময় বানিয়ে খেয়ে দেখব আশা করছি বেশ ভালই লাগবে খেতে। ধন্যবাদ আপু দারুন একটি ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার মত যে কোন ভর্তা খেতে আমিও পছন্দ করি। তবে আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে ফুলকপি এবং আলু দিয়ে চমৎকার ভর্তা রেসিপি করেছেন। এই ধরনের ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খেতে খুব মজা লাগে। তবে ভর্তা কমবেশি সবাইর অনেক প্রিয়। খুব সুন্দর করে ভর্তার রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন এই ধরনের ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খেতে অনেক বেশি মজা লাগে 😋। আর এটা শুনেই আমার এখন খেতে ইচ্ছে করতেছে 🤤।
ভর্তা আমার বেশ পছন্দের আমার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মোটামুটি ভর্তা থাকে বলা যায়। তবে সত্যি বলতে ফুলকপির ভর্তা কখনো খাইনি। এটা একেবারে ইউনিক ছিল। এবং প্রস্তুত প্রণালি টাও বেশ দারুণ। বেশ চমৎকার তৈরি করেছেন ফুলকপি ভর্তা রেসিপি টা আপু। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।
আসলে আমাদেরও প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটা থাকে। ফুলকপির ভর্তা কখনো না খাওয়া হলে অবশ্যই তৈরি করে খেয়ে দেখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ওয়াও আপনি অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার কাছে পুরো রেসিপি টি নতুন। ফুলকপির ভর্তা কোনদিন খাই নাই। তবে আপনার রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। ভর্তাটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক টেস্ট হয়েছে। ধন্যবাদ আপু রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য।
আসলে নতুন হওয়ারই কথা কারণ এটা খুবই কম দেখা যায়। হ্যাঁ টেস্ট হয়েছিল বেশ ভালো।
অসাধারণ একটি ইউনিক ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি।এই ফুলকপি নানা ভাবে রান্না করে খেয়েছি কিন্তুু এভাবে ভর্তা কখনো খাইনি বা দেখিনি।আপনার ভর্তা রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে।খেতে অনেকটা মুখরোচক নিশ্চয়ই। শিখে নিলাম আপনার রেসিপি দেখে।ধন্যবাদ আপু ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এভাবে যেহেতু কখনো খাননি তাই অবশ্যই তৈরি করবেন। শিখে নিয়েছেন যেহেতু ভালোই হয়েছে।
যে কোন ধরনের ভর্তা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি ফুলকপি দিয়ে সুস্বাদু একটি ভর্তার রেসিপি করেছেন। তবে এটি ঠিক ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খেতে অনেক মজা লাগে। ভর্তার স্বাদ আলাদা। সত্যি বলতে আপনার ভর্তা রেসিপি দেখে আমার খেতে মন চাইতেছে। অনেক সুন্দর করে ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আসলে যেকোনো ধরনের ভর্তা খেতে আমার নিজের কাছেও খুব ভালো লাগে 😋।