রেসিপি :- চুটকি সেমাই রান্না রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব চুটকি সেমাই রান্না রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
আসলে কিছু কিছু জিনিস যেটা আমরা ছোটবেলায় দেখেছি একরকম , এখন দেখছি একরকম । আমি আজকে যে চুটকি সেমাই রান্না করলাম, এগুলো কিন্তু ছোটবেলায় দেখেছি সবাই হাতে তৈরি করতো। কিন্তু এখন আর সেটা দেখা যায় না। বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে দেখছি এই সেমাই গুলো মেশিনে তৈরি করা। এই বিষয়টা আমার কাছে অনেকটা অবাক লাগে । তবে কি আর করা যেহেতু তৈরি হচ্ছে তাই আমরাও কিনে নিয়ে আসলাম খাওয়ার জন্য। এর আগে আমি কখনো এগুলো তৈরি করিনি। প্রথমবারের মতোই এই সেমাই গুলো রান্না করতে বসলাম। তবে রান্না করার পর যখন খেলাম বেশ ভালোই লেগেছে। আমরা পরিবারের সবাই মিলে বেশ মজা করেই খেয়েছিলাম। আশা করি এই রেসিপিটাও আপনাদের ভালো লাগবে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চুটকি সেমাই | ১ প্যাকেট |
দুধ | হাফ লিটার |
চিনি | ১/২ কাপ |
তেজপাতা | ২ টা |
এলাচ | ৩ টা |
কিসমিস | কয়েকটা |
বাদাম | কয়েকটি |
লবন | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি চুলায় একটি ফ্রাইপেন বসিয়ে দিলাম। এরপর এরমধ্যে চুটকি সেমাই গুলো দিয়ে দিলাম। এগুলোকে একটু নেড়েচেড়ে টেলে নিব। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর আমি আবারও একটি পাতিলের মধ্যে লিকুইড দুধ চুলায় বসিয়ে দিলাম। এর মধ্যে তেজপাতা এবং এলাচ দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর এর মধ্যে চিনি এবং লবণ দিয়ে দিলাম। এভাবে কিছুক্ষণ আমি দুধটাকে ফুটিয়ে নিবো।
ধাপ - ৪ :
কিছুক্ষণ ফোটানো হয়ে গেলে এর মধ্যে চুটকি সেমাই গুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর আমি এভাবেই কিছুক্ষণ নেড়ে চলে রান্না করবো।
ধাপ - ৬ :
এই সময় গুলো একটু অল্প আছে বেশ সময় নিয়ে রান্না করতে হবে। না হলে এগুলো পাতিলের তলায় লেগে যাবে। এভাবে আমি বেশ কিছুক্ষণ রান্না করলাম। রান্না করা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম। এরপর একটি বাটিতে নিয়ে সেমাই এর উপরে কিসমিস এবং বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করলাম
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
চুটকি সেমাই রান্না রেসিপি দেখেই তো জিবে আবার পুনরায় জল চলে এসেছে। খুবই মজা লেগেছিল এগুলো খেতে। সময় পেলে এখন আবার বানাইতে চেষ্টা করো। খেতে ইচ্ছে করতেছে আবার। খুবই দারুণ একটা রেসিপি ছিল এটা।
অবশ্যই তৈরি করবো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চুটকি সেমাই আমরা চুই পিঠা বলে থাকি।আগের দিনের মানুষ হাতে তৈরি করতেন এই পিঠা গুলো।এখন মেশিনের তৈরি হয়।খুব সুস্বাদু এই পিঠা গুলো খেতে চমৎকার লাগে।আপনি দারুণ পদ্ধতিতে এই সেমাই রান্না করেছেন এবং রন্ধন প্রনালী আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি সেমাই রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আগে এই পিঠাগুলো মূলত হাতে তৈরি করা হতো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/TASonya5/status/1792035318465765642?t=zLuvat-VZhX7XkII5nuOpw&s=19
এইতো সামান্য কয়েক বছরের মধ্যে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়ে গেছে সবকিছুতেই। যেমন হাতে কেটে এই ধরনের সেমাই রান্না যেগুলো অনেক খেয়েছি। বর্তমান যেটা মেশিনে কাটা হয় খুব সহজেই মানুষ সেটা তৈরি করে খেতে পারে। দিনে দিনে সবকিছু এই পরিবর্তন অবাক করছে আমাকে অনেক। সুন্দর করে সেমাই রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
একটা সময় ছিল যখন দেখতাম আমার দাদু এই চুটকি সেমাই নিজ হাতে তৈরি করতো এমনকি আমার আম্মুর হাতেও তৈরি করা দেখেছি। কিন্তু প্রযুক্তির বিশ্বায়নে এখন এগুলো মেশিনে তৈরি করা হচ্ছে। তবে আপনি একদম লোভনীয়ভাবে তৈরি করেছেন চুটকি সেমাইয়ের রেসিপি। চুটকি সেমাই রেসিপিগুলি সব থেকে ভালো লাগে এগুলোতে দুধ ব্যবহার করার কারনে ।রেসিপিটি তৈরি করার প্রক্রিয়া আমাদের ধাপে ধাপে বর্ণনা করে শিখিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।।
আসলেই এই সেমাই টা দেখলেই যেন ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
চুটকি দিয়ে সেমাই রান্না রেসিপি আমি আগে কখনো খাইনি আপু। তবে আপনার রেসিপি পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন, আমি দেখে রেসিপিটি শিখে নিলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
তাহলে কখনো খেয়ে দেখবেন, ভীষণ মজার রেসিপি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের ঐ দিকে এই পিঠা কে চুটকী পিঠা বলে? আর আমাদের এই দিকে এই পিঠা কে দুধ সেমাই পিঠা বলে। আপনার আজকের সেমাই রান্না কিন্তু বেশ লোভনীয় হয়েছে। দেখেই তো খেতে মনে চাইছে। খুবই একটি ভিন্ন রকমের রেসিপি। ধন্যবাদ লোভনীয় এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভিন্ন ভিন্ন এলাকাতে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। তবে রেসিপিটা বিষন মজাদার ছিল।
সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই পরিবর্তন হচ্ছে আপু। কিন্তু এই সেমাই গুলোর নাম যে চুটকি তা জানা ছিল না। আমার কাছে এই সেমাই গুলোর থেকে হাতে বানানো সেমাই বেশি ভালো লাগে। শত হলেও হাতের ছোঁয়া থাকে। যাই হোক আপু আপনার এই রেসিপিটি কিন্তু লোভনীয় লাগছে। যেভাবে পরিবেশন করেছেন দেখেই লোভ লেগে যাচ্ছে।
আসলেই হাতে বানানো সেমাই খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও দেখে তো লোভ লেগে গেল আপু আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার। যখন গ্রামে থাকতাম তখন চুটকি গুলো হাতে কেটে নিতাম সবাই মিলে। এই চুটকি নারকেল দিয়ে দুধ দিয়ে রান্না করলে খুব মজার হয়। অনেকদিন পরে আপনার রেসিপি দেখে আবারো খেতে ইচ্ছে করলো আপু। তবে শহরে প্যাকেট পাওয়া যায় কিন্তু প্যাকেটের গুলো এত ভালো লাগে না। যাক আপনার রেসিপি দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। রেসিপি উপস্থাপনা কালার কম্বিনেশন অসাধারণ ছিল।
আমার কাছে নারিকেল ছিল না তাই জন্য দিতে পারিনি। তবে নারিকেল দিলে বেশি মজা হতো।